শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভারত ভিসা বন্ধ করে আমাদের উপকার করেছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ভারত বাংলাদেশের জন্য ভিসা বন্ধ করায় এটি দেশের জন্য লাভজনক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ভিসা বন্ধ হওয়ায় ডলার পাচারের প্রবণতা কমবে এবং সেই অর্থ দেশের অভ্যন্তরে থাকবে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা শুরুর আগে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, “ভারতের ভিসা বন্ধ হওয়া আমাদের জন্য আশীর্বাদ। আগে ভারত ভ্রমণ ও বিভিন্ন কাজে প্রচুর অর্থ ব্যয় হতো। এখন সেই অর্থ দেশের ভেতরে থাকবে। এছাড়া, ভারত যদি ভোগ্যপণ্য সরবরাহ বন্ধ করে, তবে আমাদের মানুষ আরও পরিশ্রম করে নিজস্ব উৎপাদন বাড়াবে। এতে দেশের রিজার্ভ শক্তিশালী হবে। সবমিলিয়ে এটি বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক।”

ভারতের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “ভারতের মন ভালো নেই। কারণ, তাদের সঙ্গে ভুটান ও নেপালের মতো প্রতিবেশীরাও আর নেই। তাদের সঙ্গে কেউ দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব করতে পারে না। এখন তারা বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”

সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, “ভারত সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক। সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য প্রবেশ বন্ধ হয়েছে। এতে দেশের তরুণ সমাজ আরও নিরাপদ থাকবে।”

ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনারা যদি চট্টগ্রাম নিয়ে দাবি করেন, তবে আমরা সিরাজউদ্দৌলার বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা দাবি করব। কারণ, আমরা দুর্বল নই। আমাদের সেনাবাহিনী শক্তিশালী। ১৮ কোটি মানুষ একসঙ্গে দেশের স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

রিজভীর মতে, এই পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশের উপকৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। জনগণকে জাতীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এই পরিবর্তন আমাদের অর্থনীতি এবং সামাজিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।”

Header Ad
Header Ad

হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭ ব্যাংক হিসাব জব্দ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদসহ তাদের ৫ প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। এসব হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকা রয়েছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। 

এ সময় দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল এসব হিসাব অবরুদ্ধের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে হাছান মাহমুদের নামে ৮টি, নুরান ফাতেমার ১৪টি, নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের ৬টি, হাসান মাহমুদ ও স্ত্রীর জয়েন্ট একাউন্ট ৩টি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের ৩৪টি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড হোল্ডিংস ৬টি, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেডের ৩টি, সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের ২টি ও বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জেএএস লিমিটেডের ১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস লিমিটিড, একাডেমি অব মেরিন এডুকেশন অ্যান্য টেকনোলজি লিমিটেড, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জে.এ.এস. লিমিটেড, এম/এস বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড এবং সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের নামে ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৭৫৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৯ টাকা লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনগুলো সন্দেহজনক লেনদেন। এই লেনদেনগুলো মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সংগঠিত হয়েছে। যেখানে মানিলন্ডারিং উপাদান থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এছাড়া বর্তমানে হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকার স্থিতি (জমা) আছে।

দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে হাছান মাহমুদসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের ব্যাংকে রক্ষিত টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৭ ধারা মতে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদ মানিলন্ডারিং আইনের ১৪ ধারা মতে উত্তোলন, হস্তান্তর বা মালিকানাস্বত্ব বদল রোধে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

সূত্র : বাসস।

Header Ad
Header Ad

ভোটাভুটি বিলম্বিত করলো ইসরায়েল, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল এবং গাজার মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েছে। নির্ধারিত সময়ে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় চুক্তিটি অনুমোদন না হওয়ায় এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ভোটাভুটির কথা থাকলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তা বিলম্বিত করেন। নেতানিয়াহুর অভিযোগ, হামাস চুক্তির শর্তে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে।

হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা মধ্যস্থতাকারীদের দ্বারা ঘোষিত চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে হামাস ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির তালিকায় কিছু সদস্যের নাম যুক্ত করতে চাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ আরও তীব্র হয়েছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চুক্তি ঘোষণার পর ইসরায়েলি হামলায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। জাবালিয়ায় এক হামলায় ২০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই বিলম্বকে স্বাভাবিক বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, এমন চ্যালেঞ্জিং ও জটিল পরিস্থিতিতে বিলম্ব অপ্রত্যাশিত নয়। তিনি আশাবাদী যে, চুক্তি কার্যকর হবে এবং যুদ্ধবিরতি বহাল থাকবে।

ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে চুক্তিটি অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু নিশ্চিত করা হয়নি।

সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা, ওয়াফা।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন কি না জানা নেই: মুখপাত্র

জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মাদ রফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মাদ রফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বর্তমানে কোন স্ট্যাটাসে ভারতে অবস্থান করছেন, সেটি ভারত সরকারের বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের করা সব চুক্তি পর্যালোচনার দাবির প্রসঙ্গে মুখপাত্র জানান, এসব চুক্তি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে সম্পাদিত। প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থা তা পর্যালোচনা করতে পারে।

ভারতের সঙ্গে চুক্তি গোপন কি না—এমন প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, "ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি হয়েছে, সব প্রকাশিত। এগুলো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।" গোপন চুক্তির বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য জানেন না বলেও জানান।

এছাড়া ভারতে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত হাইকমিশনারের অনুমোদন দেরি হচ্ছে কি না—এ প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র বলেন, "নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক নিয়মে দুই থেকে চার মাস সময় নেয়। এই প্রক্রিয়া নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন হবে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭ ব্যাংক হিসাব জব্দ
ভোটাভুটি বিলম্বিত করলো ইসরায়েল, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে শঙ্কা
শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন কি না জানা নেই: মুখপাত্র
জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করে প্রজ্ঞাপন জারি
শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়লো
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত: আসিফ নজরুল
টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনের পাশে আছি, থাকব: এরদোগান
ওষুধ-পোশাকসহ নিত্যপণ্যের ভ্যাট রিভিউ হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা
অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত, আইসিইউতে ভর্তি
অল্প খরচে দেখা যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টিকিটের মূল্য প্রকাশ
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
বাম চোখের বদলে ডান চোখে অপারেশন করা সেই চিকিৎসক গ্রেফতার
সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র করতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা, সময়সূচি প্রকাশ
বঙ্গবন্ধু সেতুতে চলবে না ট্রেন, বছরে আয় কমবে কোটি টাকা
কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’: সীমান্ত হত্যার বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার দাবি
শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর শতকোটি টাকার সম্পদের পাহাড়
চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে তামিমের ব্যাটে জয় ফরচুন বরিশালের
আলোচনায় পিনাকী ভট্টাচার্যের নতুন বই ‘ফুলকুমারী’