বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

গ্রামে নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে: আইজিপি

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গঠন করা পুলিশকে জনবান্ধব হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। এসময় তিনি আরও বলেন, পুলিশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শহরের সুযোগ সুবিধা গ্রামে পৌঁছে গেছে। তাই গ্রামের নিরাপত্তার বিষয়েও পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ নির্মিত গ্রাফিক নভেল 'দুর্জয়ের ডায়েরি' ও অ্যানিমেটেড ফিল্ম সিরিজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, পুলিশ ছাড়া গ্রামকে শহর করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রামকে শহর করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গ্রামকে শহর করার লক্ষ্যে বিট পুলিশিং জোরদার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে বিট পুলিশের কার্যালয় করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদ বলেন, বিট পুলিশিংয়ের কারণে মামলা জট কমেছে। বিট পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব সম্পর্কে তাদের জ্ঞান থাকা জরুরি। এ ছাড়া নাগরিকদেরও জানা দরকার তারা কী সেবা পাচ্ছেন অথবা পাবেন।

তিনি বলেন, এসব সেবা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতেই 'দুর্জয়ের ডায়েরি'র যাত্রা। আ্যনিমেশন ফিল্মের মাধ্যমে সেবা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা সম্ভব।

তিনি বলেন, সেবা দেওয়া ও পাওয়ার বিষয়ে উপযুক্ত জ্ঞান না থাকায় ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এজন্য সর্বক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন প্রতিটি গ্রামই হবে শহর। যে সুযোগের আশায় মানুষ শহরে আসে, সে সুযোগ-সুবিধা গ্রামেই তৈরি হবে। শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবাসহ অবকাঠামোগত বিষয়গুলো গ্রামে তৈরি করতে পারলে মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাবে। আগামী ২০৩০ সালের দিকে এ চিত্র দেখা যাবে।

ড. বেনজীর বলেন, গ্রামগুলো শহরের আদলে গড়ে উঠলে তখন নিরাপত্তাও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হবে। নিরাপত্তা ছাড়া গ্রাম শহর হবে না। নিরাপত্তা অক্সিজেনের মতো। মানবদেহ যেমন অক্সিজেন ছাড়া জীবিত থাকতে পারে না, নিরাপত্তা ছাড়াও একটি সমাজ চলতে পারে না। গ্রাম তখনই দ্রুত শহর হয়ে উঠবে, যখন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। এজন্য সারাদেশে আমরা বিট পুলিশিং নিয়ে কাজ করছি। এর মাধ্যমে গ্রামে সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশি সেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

আইজিপি বলেন, একটা সময় ছিল, যখন বিপদে পড়লেই দৌড়ে থানায় যেতে হত। এখন বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা লোকাল এলাকায় পুলিশি সেবা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি। সরকারের কাছে চিঠি লিখে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে একটি করে কক্ষ নিয়েছি। আমাদের বিট অফিসার ইউনিয়নে গেলে সেই কক্ষে বসতে পারেন। বিট অফিসাররা সুযোগ পেলেই নির্ধারিত তারিখে থানা থেকে ইউনিয়নে যান। আমরা প্রথমবার দেখেছি, বিট পুলিশিংয়ের কারণে ২০-২৫ হাজার মামলা কমে গিয়েছিল।

বিট পুলিশিং সম্পর্কে পুলিশ ও নাগরিকদের ভালোভাবে জানতে হবে উল্লেখ করে ড. বেনজীর বলেন, বিট পুলিশিং সেবার ক্ষেত্রে বিট পুলিশ ও নাগরিক উভয়পক্ষে আগে ভালো করে জানতে হবে, তারা কি সেবা নিতে এবং দিতে পারবেন কি না। এ কারণেই আমরা গ্রাফিক নভেল ও অ্যানিমেটেড ফিল্ম সিরিজ উদ্বোধন করেছি। এসবের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। গ্রাফিক নভেলের মাধ্যমে আমরা নিরাপত্তাজনিত বার্তাগুলো মানুষকে দিতে চাই। আমরা চাই সেবা নেওয়ার বিষয়ে সেবাগ্রহীতার যেন স্পষ্ট ধারণা থাকে। যিনি সেবা দেবেন কাজের বিষয়ে তার ধারণাও যেন স্পষ্ট থাকে।

সঠিক ধারণা না থাকলে পুলিশি সেবা দিতে ও নিতে সমস্যা সৃষ্টি হয় উল্লেখ করে পুলিশপ্রধান বলেন, অনেক সময় দেখা যায় সেবা কোথায় থেকে পেতে পারি সে ধারণা না থাকার কারণে সমস্যা হয়। এমন অনেক অভিযোগও আসে। যেমন- জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় অর্থাৎ দেওয়ানি সংক্রান্ত বিষয় পুলিশের কাজের মধ্যে পড়ে না। অনেকে এ ধরনের সমস্যা নিয়ে এলে আমরা তাদের সেবা দিতে পারি না। সঠিক তথ্য না থাকার কারণে দেওয়ানি সমস্যা নিয়ে আমাদের এলেও আমরা সেবা দিই না। তখন সেবা না পেয়ে ধারণা করেন, পুলিশ অন্য পার্টির কাছ থেকে টাকা খেয়েছে।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বিগত বছরগুলোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। যদিও এর মাঝে কিছু বছর গেছে গ্রহণকাল। সেই গ্রহণকাল শেষে আমরা যখন সত্যের আসল দিশা পেয়েছি, তখন থেকে বঙ্গবন্ধুর কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা ও লেখালেখি আবারও শুরু হয়েছে। এসব গবেষণার মাধ্যমে আমরা প্রচুর তথ্য জানতে পেরেছি। পুলিশের পক্ষ থেকেও আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার উদ্যোগ নিই। পুলিশের গবেষণাটি বেশ উন্নতমানের। এটি খুব দ্রুত আমরা প্রকাশ করতে চাচ্ছি।

‘পুলিশের গবেষণায় দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে থানা করার স্বপ্ন দেখতেন। উনার স্পষ্ট ধারণা ছিল- স্বাধীনতা পরবর্তী পুলিশ কলোনিয়ান বা সেমি-কলোনিয়ান পুলিশ হবে না। স্বাধীনতা পরবর্তী পুলিশ হবে জনবান্ধব পুলিশ। উনি স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সব বিষয় স্পর্শ করেছেন। এমন এমন আইন ও পরিকল্পনা করেছেন যেগুলো এ মুহূর্তেও কারো মাথায় আসবে না’- বলেন আইজিপি।

কেএম/টিটি/এএস

মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা

ছবি: সংগৃহীত

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসে। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা তারপরেও ইচ্ছা করলে করতে পারবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

বিএনপির সমাবেশের পাল্টা সমাবেশ দেওয়ার কথা স্বীকার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে মানসিক বাধা দিতেই পাল্টা কর্মসূচি।

২৬ এপ্রিল ঢাকায় বিএনপির ডাকা কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। বিএনপি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর আওয়ামী লীগও শান্তি সমাবেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে বিভিন্ন সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলে আসছেন, আমরা শান্তি সমাবেশ করছি, পাল্টা কোনো সমাবেশ করছি না।

বিএনপি বা বিরোধী দলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে, ২৬ তারিখ কর্মসূচি ছিল, লোকজন বলছে এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য এ কর্মসূচি দিচ্ছেন? না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে, নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, পাঁচ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল। আপনি যে প্রশ্নটা করেছেন, আপনি বলেন বিএনপি এবং আমরা একইদিন কত সমাবেশ করেছি। আপনি দেখতেন একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে, আমি পাল্টাপাল্টি মারামারি করতে যাচ্ছি কি না। তাদের সমাবেশে আমরা কোনো হামলা চালিয়েছি কি না, সরকারি দল হিসেবে। তা হলে অসুবিধা কি? আমরা কি বাধা দিয়েছি? আমাদের সমাবেশ আমরা করছি, তাদের সমাবেশ তারা করেছে। নির্বাচনের আগের দৃশ্যপট এটা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি একতরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস, সন্ত্রাসের বিষয় দিয়ে জনগণের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদরক্ষা, সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি, তারা গণহত্যা, বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে চলমান চলমান সংঘর্ষে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ ভোরে বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর উপল কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটের কাছে বিজিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। পরে কোস্টগার্ডদের একটি জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট ত্যাগ করে।

এর আগে জাহাজে করে আগত মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আগত বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয় শতের অধিক আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় প্রদান ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবি কর্তৃপক্ষ আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার বিজিপি, সেনা সদস্য ও অন্যান্যদের মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

 

বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে চলমান সকল যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন পর্যন্ত দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

যুদ্ধের ভয়াবহতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনও বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডে পৌঁছালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার এবং ১৯ রাউন্ড গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পর শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন, এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন।

এছাড়া আজ জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়
শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
মুক্তি পেল ইমতু রাতিশ ও অলংকার এর 'বরিশাইল্লা সং'
জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিলো ছাত্রলীগ
সাহিত্য চর্চার আড়ালে শিশু পর্নোগ্রাফি বানাতেন টিপু কিবরিয়া
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬
ধাওয়া খেয়ে গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর, গাড়িতে আগুন দিল জনতা
আর্জেন্টাইন ফুটবলার কার্লোস তেভেজ হাসপাতালে ভর্তি
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন
রাজবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে স্কু‌লশিক্ষকের মৃত্যু
প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
তাপদাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ সচিব
ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ভিডিও পাঠাবেন যেভাবে
ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি নারী বক্সার জিন্নাত ফেরদৌস
নিজে না মেরেও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াজ
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল