শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ | ৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

উর্দু ও জিন্নাহ’র স্ট্যান্টবাজি

মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ। পাকিস্তান যাকে উপাধি দিয়েছে কায়েদে আজম (মহান নেতা) ও বাবায়ে কওম (জাতির পিতা)। যদিও পাকিস্তান তাকে আদর্শ হিসাবে মানে, কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় জিন্নাহ ছিলেন একজন আত্ম-অহংকারী এবং বহুরূপী। যিনি তার ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক জীবনে স্ট্যান্টবাজি করেছেন।

জানাযায়, জিন্নাহর মাতৃভাষা ছিল গুজরাটি। তার পরিবার শিয়া ইসমাইলি মতের অনুসারী ছিল। আফগানিস্তানের কারাকুল টুপি ছিল জিন্নাহ'র পছন্দ। যা পরে জিন্নাহ টুপি নামে গোটা পাকিস্তানে ব্র্যান্ডে পরিনত হয়।

জিন্নাহর মাতৃভাষা ছিল গুজরাটি। অথচ ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন যেখানে প্রায় সাড়ে চার কোটি অর্থাৎ পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ জগনণের মাতৃভাষা ছিল বাংলা।

১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশকে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ইসলামীকরণ তথা আরবিকরণের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে আরবি হরফে বাংলা লিখন অথবা সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা আরবি করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। অথচ ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হওয়া 'ব্রিটিশ ভারত' পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। পাকিস্তানের ছিল দুইটি অংশ। যার এক অংশের নাম ছিল পূর্ব বাংলা। যেই নাম ১৯৫৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান নামকরণ করা হয়। এবং অপর অংশ পশ্চিম পাকিস্তান।

এই দুই অংশের মাঝে দূরত্বের ব্যবধান ছিল দুই হাজার কিলোমিটারের অধিক। দুটি অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে অনেকগুলো মৌলিক পার্থক্য বিরাজমান ছিল। অথচ কেবল মাত্র রাজিনীতিকরণ ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এক অংশের শাসকরা শোষণের চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। যার প্রভাব পড়েছিল জনগনের ভাষায়, জনগণের জীবনে ও জনগণের পেটে।

যে জিন্নাহ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিলেন সেই জিন্নাহ নিজেই আসলে উর্দু ভাষাভাষী ছিলেন না। তার মাতৃভাষা ছিল গুজরাটি। জিন্নাহ ছিলেন তার বাবা মায়ের চার পুত্র ও তিন কন্যার মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান। তার বাবা মা দুজনেই ছিলেন গুজরাটিভাষী। তার বাবার নাম জিন্নাহভাই পুনজা ও মায়ের নাম মিঠাবাই। তার বাবা ছিলেন একজন গুজরাটি ব্যবসায়ী। গোন্ডাল রাজ্যের পিনালি গ্রামে তার পরিবারের আদিনিবাস ছিল।

তার পরিবার শিয়া ইসমাইলি মতের অনুসারী ছিল। তবে জিন্নাহ নির্দিষ্ট মতের অনুগামী ছিলেন না। তিনি সাধারণভাবে মুসলিম পরিচয় গ্রহণ করেন। বিয়ের পর জিন্নাহভাই পুনজা ১৮৭৫ সালে করাচিতে বসবাস শুরু করেন। তাদের সন্তানরা গুজরাটি ভাষার পাশাপাশি কুচি, সিন্ধি ও ইংরেজিতে কথা বলে শেখেন।

জিন্নাহ'র প্রথম স্ত্রী এমিবাই জিন্নাহ। জিন্নাহ লন্ডনে থাকার সময় তার মা ও প্রথম স্ত্রী দুজনের মৃত্যু হয়। ইংল্যান্ডে ছাত্র থাকাবস্থায় অন্যান্য ভবিষ্যত ভারতীয় স্বাধীনতা নেতৃবৃন্দের মত জিন্নাহও ১৯ শতকের ব্রিটিশ উদারতাবাদ কর্তৃক প্রভাবিত হন। পাশ্চাত্য জগৎ জিন্নাহর রাজনৈতিক চিন্তা ছাড়াও ব্যক্তিজীবনেও প্রভাব ফেলে। তিনি ভারতীয় রীতির বদলে পাশ্চাত্য ধাচের পোশাক পড়তেন। পরবর্তী জীবনে তিনি কারাকুল টুপি পড়া শুরু করেন যা “জিন্নাহ টুপি” নামে জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

১৯১৮ সালে জিন্নাহ তার চেয়ে ২৪ বছরের ছোট দ্বিতীয় স্ত্রী রতনবাই পেটিটকে বিয়ে করেন। রতনবাই ছিলেন জিন্নাহর বন্ধু অভিজাত পারসি পরিবারের সদস্য স্যার দিনশা পেটিট'র মেয়ে। এই বিয়ে নিয়ে রতনবাইয়ের পরিবার ও পারসি সম্প্রদায় এবং মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। রতনবাই পরিবারের অমতে ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর তার নাম হয় মরিয়ম জিন্নাহ। এর ফলে তার পরিবার ও পারসি সম্প্রদায় তাকে ত্যাগ করে। জিন্নাহ ও রতন বাই বোম্বেতে বসবাস শুরু করেন। ১৯১৯ সালের ১৫ আগস্ট তাদের একমাত্র সন্তান দিনা জিন্নাহ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৯ সালে রতনবাইয়ের মৃত্যু হয়। জিন্নাহর মেয়ে দিনা ইংল্যান্ড ও ভারতে পড়াশোনা করেছিলেন। দিনা বিয়ে করেন পারসি বংশোদ্ভূত খ্রিষ্টান নেভিল ওয়াদিয়াকে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করায় জিন্নাহর সাথে তার মেয়ে দিনার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। অথচ জিন্নাহ নিজেও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করেছিলেন। পিতা-কণ্যার যোগাযোগ বজায় থাকলেও দূরত্ব রয়ে যায়। জিন্নাহর মৃত্যুর পর দাফনের সময় ছাড়া দিনা আর কখনো পাকিস্তান যাননি।

জিন্নাহ'র আত্ম-অহংকারের উদাহরণ দিয়ে বোম্বে হাইকোর্টে জিন্নাহর সহকর্মী এক ব্যারিস্টার বলেছিলেন যে "নিজের প্রতি জিন্নাহর বিশ্বাস ছিল অসাধারণ"। জিন্নাহ সম্পর্কে একটি ঘটনা মনে করতে গিয়ে তিনি বলেন যে একবার বিচারক জিন্নাহকে বলেন যে “মিস্টার জিন্নাহ, মনে রাখবেন যে আপনি কোনো তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে সম্বোধন করছেন না”। জিন্নাহর উত্তর ছিল, "মাই লর্ড, আমাকে বলার অনুমতি দিন যে আপনিও কোনো তৃতীয় শ্রেণীর উকিলকে সম্বোধন করছেন না।" এমনই জৌলুশ নিয়ে চলতেন জিন্নাহ।

ক্ষমতার দাপট, আয়ু কোনোটিই চিরস্থায়ী নয়। কিন্তু প্রকৃতির অভিশাপ, প্রকৃতির বিচার খুব ভয়ঙ্কর হয়। ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর করাচিতে নিজ বাসভবনে জিন্নাহ মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যক্ষা রোগে ভুগছিলেন।

জিন্নাহ চলে গেলেন, বাঙ্গালীর ইতিহাসের পাতায় হয়ে রইলেন এক কালো অধ্যায়। 'পাকিস্তান ডমিনিয়নের গভর্নর জেনারেল' জিন্নাহ হয়তো সিস্টেমের অংশ ছিলেন। তাই তাকে একা দোষ দিব না। কিন্তু 'ব্যক্তি' জিন্নাহ কি একবারও বিবেকের কাছে বাধা পাননি?? অবশ্য নাও পেতে পারেন কারন যে ব্যক্তি নিজেই সবসময় নিজের নাড়ির পরিচয়কে লুকিয়ে গেছেন, মেকি জৌলুশকে আশ্রয় করে বেঁচে ছিলেন। সেই মানুষ অন্যের মুখের ভাষার দাম নাও বুঝতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

গাজীপুরে কারখানা অনির্দিষ্টকাল বন্ধ, প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার জায়ান্ট নিট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

আজ শনিবার সকালে কারখানায় এসে বন্ধের নোটিশ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন।

তাতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

এর আগে জায়ান্ট নিট ফ্যাশন লিমিটেড নামের কারাখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে আজ সকালে বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, সার্বিক নিরাপত্তা, কারখানার সম্পত্তি ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ১৩ (১) ধারা মোতাবেক কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পুলিশ ও শ্রমিকেরা বলেন, প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও শ্রমিকেরা কারখানার কাজে যান। পরে সেখানে গিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের বিজ্ঞপ্তি দেখতে পান। বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে সকাল আটটা থেকে কারখানাটির শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রথমে তাঁরা জয়দেবপুর-ঢাকা রোড অবরোধ করেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে ভোগড়া বাইপাসের দিকে এগিয়ে গেলে চান্দনা চৌরাস্তা ও চৌধুরী বাড়ি এলাকার কয়েকটি কারখানা ছুটি দেওয়া হয়। পরে জায়ান্ট নিট ফ্যাশনের শ্রমিকেরা চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বর্ষা সিনেমা হলের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।

কারখানার শ্রমিকেরা বলেন, ২০ মার্চ ওই কারখানার শ্রমিকেরা ঈদ বোনাস ও ১০ দিনের ছুটির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। এ ছাড়া শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে চার কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় যৌথ বাহিনী চার শ্রমিককে আটক করে পরে ছেড়ে দেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২–এর পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আশপাশের ৮-১০টি কারখানা আজকের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বারিধারায় চলছে বাড়ির সংস্কার, শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান    

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবিঃ সংগৃহীত

চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার কিছুদিনের মধ্যেই দেশে ফিরতে পারেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

বুধবার (১৯ মার্চ) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক।

তিনি বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।

এম এ মালেক বলেন, ডাক্তাররাও সে অনুপাতে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাডামকে সেভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এখানে ফ্লাইটেরও একটি বিষয় আছে। ফ্লাইট যদি নির্ধারিত সময়ে না পাওয়া যায়, তাহলে দুই-এক দিন এদিক-সেদিক হতে পারে। তবে ম্যাডাম দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

এসময় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি বলেন, আমাদের লিডারের দেশে যাওয়ার সময় নিয়ে এখনো নিশ্চিত বলতে পারছি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যাওয়ার কিছুদিন পরে হয়তো তিনি দেশে ফিরবেন। একসাথে দুইজন অবশ্যই যাবেন না, এটা আমি বিশ্বাস করি।

অবশ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার ব্যাপারটি বেশ জোর দিয়েই জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, এটি এখন সম‌য়ের ব‌্যাপার মাত্র। তারেক রহমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর আগেই দেশে ফিরবেন। ঢাকায় তার থাকার জন্য বাসা সংস্কারসহ সব প্রস্তু‌তি চলছে।

বাড়ির বিষয়ে জানা গেছে, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও তার বড় বোন শাহীনা জামান বিন্দুর উত্তরাধীকার সূত্রে বারিধারা ডিওএইচএসে এক‌টি বাড়ি আছে। বাড়িটি তারেক রহমানের শ্বশুর সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খানের সূত্রে পাওয়া। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে ঢাকায় মারা যান তিনি। বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। তারেক রহমান সস্ত্রীক ঢাকায় গিয়ে এই বাড়িতেই উঠতে চান। সেই লক্ষ্যে বাড়িটিতে বড় ধরনের সংস্কার কাজ চলছে। বাড়ির কিচেন, বাথরুমসহ অনেক অংশ ভেঙে আধু‌নিক ডিজাইনে কাজ করানো হচ্ছে।

গত ২০ মার্চ হাইকোর্ট থেকে সব মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলটির আইনজীবীরা বলছেন, এখন তিনি দেশে ফিরে সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন।

 

Header Ad
Header Ad

গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর    

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবিঃ সংগৃহীত

২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে এসে না দাঁড়াত তাহলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী কৌশলে গণঅভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে বিভাজন তৈরি করতে চায়। এতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে সবাইকে এই বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশ শেষে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে একটি গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি পল্টন থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাব প্রদক্ষিণ করে আবার গণ অধিকারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, নতুন করে এটা নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধে ৫ আগস্টেই জনগণ রায় দিয়েছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফারুক হাসান, হাসান আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকারের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমানসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে কারখানা অনির্দিষ্টকাল বন্ধ, প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বারিধারায় চলছে বাড়ির সংস্কার, শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান    
গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর    
সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের ঘোষণা সেনাবাহিনীর  
আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন নিয়ে আমার সাথে আলোচনা হয়নি : সোহেল তাজ
দুপুরের মধ্যে তিন বিভাগে কালবৈশাখী আঘাত হানবে  
গাজার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালও ধ্বংস করে দিল ইসরায়েল  
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক এনসিপির
ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ: নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ
শেখ হাসিনার মতো নব্য ফ্যাসিবাদীরা জাতীয় পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: জি এম কাদের
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের মিছিল, যুবলীগ নেত্রীসহ আটক ৩
তাসকিনের আইপিএল অভিষেকের সম্ভাবনা, যোগাযোগে মিলেছে ইতিবাচক সাড়া!
স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসনের সুযোগ পায়, এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না: তারেক রহমান
ট্রেনের ১৩০ টিকিটসহ নৌবাহিনী কর্মচারী আটক
জনগণ সুযোগ দিলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিএনপির কিছু বলার নেই: রিজভী
বিচারের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ নেই : মামুনুল হক
টাঙ্গাইলে আগুনে পুড়ল ২১ দোকান, ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি
ব্যাংককে ড. ইউনূস-মোদির মধ্যে বৈঠক হচ্ছে না
রাত ১টার মধ্যে ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
পৃথিবীর সর্বত্র আজ দিন-রাত সমান