শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ | ৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

আর্টিজান হামলা

পায়ের দিকে হঠাৎ তাকিয়ে দেখি শুধু রক্ত আর রক্ত

আজ (১ জুলাই) শুক্রবার হলি আর্টিজান হামলার ৬ বছর পূর্ণ হলো। ৬ বছর হয়ে গেলেও সেই হত্যাকাণ্ডের বর্বর কাহিনী এখনও ভুলেনি কেউই। ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ঢুকেই জঙ্গিরা জিম্মি করে ফেলে অবস্থানরত সবাইকে। জিম্মির এ ঘটনা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে চারদিক। তবে ঘটনার ভয়াবহতা তখনো আঁচ করতে পারেনি কেউ। তবে প্রথম অভিযানেই যখন পুলিশের দুই কর্মকর্তা মারা যায় আর ২৫ জন পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভয়াবহ এ হামলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং প্রায় ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস জিম্মি সংকটের ঘটনা স্তম্ভিত করেছিল পুরো জাতি, পুরো বিশ্বকে। সেদিনের জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ মোট ২২ জন নিহত হন।

জঙ্গি হামলার ওই সময় আমি গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত ছিলাম। গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ফাস্ট রেসপন্সন্ডারদের একজন মানুষ আমি। দুই পায়ে স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার আগ পর্যন্ত জঙ্গিদের প্রতিরোধ করে গেছি। এটি দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নারকীয় ও বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা।

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন সেই রাতের নারকীয় জঙ্গি হামলা নাড়া দিয়েছিল গোটা দেশ তথা সারা বিশ্বকে। নারকীয় ওই জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ৩৬-৩৭ জন পুলিশ সদস্য।

হঠাৎ ওয়ারলেসে খবর আসে গুলশানে গোলাগুলি হচ্ছে। ঘটনার দিন ইফতার শেষ করে অফিসে বসে চা খাচ্ছিলাম। চা শেষ হওয়ার আগেই আনুমানিক রাত প্রায় ৯ টার দিকে ওয়ারলেস সেটে শুনতে পাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে গোলাগুলি হচ্ছে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যেতে সময় লেগেছিল ৫-৬ মিনিট। তখন হামলার বিষয়টি আমার ডিসি স্যার মোস্তাক আহমেদ ফোনে তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্যারকে জানান। পরে পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট আসে। এরপর আমরা বেশ শক্তি পেয়ে যাই।

ওই দিন আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে ইউনাইটেড হাসপাতালের পাশে থাকা গুলশান থানার একটি মোবাইল টিম সেখানে পৌঁছায়। একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে মোবাইল টিমটি হলি আর্টিজানের সামনে যাওয়া মাত্রই তাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে থাকে। সন্ত্রাসীদের গুলির জবাবে মোবাইল টিমের সদস্যরাও গুলি ছোড়ে। এরই মধ্যে ওই মোবাইল টিমের দলনেতা হলি আর্টিজানের প্রধান ফটকটি বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন, যাতে সন্ত্রাসীরা বের হয়ে যেতে না পারে। গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে ওই এসআই গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা শুনতে পায় প্রচুর গোলাগুলির শব্দ বিভিন্ন আওয়াজ আসছিল হলি আর্টিজানের ভেতর থেকে। গোলাগুলির শব্দ শুনে আমাদের মনে নানা ধরনের সন্দেহ জাগছিল। তখনও আমরা নিশ্চিত ছিলাম না যে এটি জঙ্গি হামলা কি না। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আমাদের একাধিকবার গুলি বিনিময় হয়। তারা বাইরে বের হতে চেয়েছিল, কিন্তু আমাদের প্রতিরোধের কারণে তারা বের হতে পারেনি।

প্রাথমিক ধারণা ছিল হয়তো ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের ঘটনা। পরে খবর আসে ভেতরে কিলিং মিশন চলছে। তারা যাকে পেয়েছে তাকে হত্যা করেছে। ভিতরে যে পরিমাণ গুলির শব্দ ও চিৎকারের শব্দ পাচ্ছিলাম তাতে মনে সন্দেহ তৈরি হয় যে এটি হয়তো বড় কোনো সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি হামলা। তখন আমরা আরও পুলিশ সদস্য পাঠানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাই। হামলা শুরুর ৪০-৫০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে হাজির হন র‍্যাব ডিজি ও ডিএমপি কমিশনার। হলি আর্টিজানে হামলা শুরুর ৪০-৫০ মিনিটের মধ্যে তৎকালীন র‍্যাব ডিজি ও বর্তমান আইজিপি স্যার এবং তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার স্যার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র‍্যাবের বড় একটি ডিপ্লয়মেন্ট হয়ে যায়।

যখন ডিএমপি কমিশনার স্যারকে হামলার বিষয়ে ব্রিফ করছিলাম তখন এক গাড়িচালক দৌড়ে এসে আমাদের বলে, স্যার ভেতরে অনেক মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। জানতে চাইলাম, তিনি কীভাবে জানলেন? তখন সে আমাদের বলে, ভেতরে তার এক পরিচিত গাড়িচালক আছে। সে বিদেশি এক নাগরিকের গাড়ি চালায়। ওই গাড়িচালক হলি আর্টিজানের খাবারের টেবিলের নিচে লুকিয়ে থেকে মোবাইল ফোনে বাইরে থাকা চালককে বলে, সন্ত্রাসীরা গুলি করে অনেক মানুষকে মেরে ফেলছে। তখন আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হতে পারি যে এটা জঙ্গি হামলা হতে পারে।

এদিকে আমরা জানতে পারি টিভি স্ক্রলের মাধ্যমে জঙ্গিরা আমাদের অবস্থান জানতে পারে। ডিএমপি কমিশনার স্যার ঘটনাস্থলে আসার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে একদিকে মাইকিং করে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়।

অন্যদিকে হলি আর্টিজানের সামনে কমিশনার স্যারকে মাঝে রেখে আমরা নানা প্ল্যান করছিলাম কীভাবে ভেতরে ঢুকে জঙ্গিদের প্রতিহত করা যায়। আমাদের এ অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন টিভিতে স্ক্রল যাচ্ছিল। জঙ্গিরা হলি আর্টিজানের ভেতরে থাকা টিভি দেখে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। অবস্থান নিশ্চিত হয়েই জঙ্গিরা আমাদের লক্ষ্য করে একাধিক গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। গ্রেনেডগুলো ঠিক আমাদের পেছনে এসে পড়ে।

গ্রেনেড নিক্ষেপ করার সঙ্গে সঙ্গে শুধু শব্দ আর শব্দ। ঠিক সেই মুহূর্তে আমি দেখি তৎকালীন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন রাস্তায় পড়ে গেছেন। একটু দূরে ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রবিউলও পড়ে রয়েছেন। আমার পায়ের দিকে হঠাৎ তাকিয়ে দেখি শুধু রক্ত আর রক্ত। এর পরই আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। চোখ খুলে দেখি আমি ইউনাইটেড হাসপাতালে। ঘটনাটি মিনিটের মধ্যে ঘটেছিল। আমার মনে পড়ে ওই হামলায় আমরা তখন ৩৬-৩৭ জন স্প্লিন্টার বিদ্ধ হই। দুজন স্পট ডেথ।

এ ঘটনা বারবার আমাকে নাড়া দেয় এবং ওসি সালাউদ্দিনের একটি কথা মনে পড়ে, 'স্যার আমি কিন্তু আপনার পেছনে।' সালাউদ্দিন আর এসি রবিউল আজীবন পিছনেই থেকে গেলে। এমন ঘটনা যাতে আমাদের দেশে আর কখনও না ঘটে সেই প্রার্থনাই করি।

আ. আহাদ, মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি)

কেএম/এনএইচবি/এএস

Header Ad
Header Ad

বারিধারায় চলছে বাড়ির সংস্কার, শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান    

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবিঃ সংগৃহীত

চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার কিছুদিনের মধ্যেই দেশে ফিরতে পারেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

বুধবার (১৯ মার্চ) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক।

তিনি বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।

এম এ মালেক বলেন, ডাক্তাররাও সে অনুপাতে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাডামকে সেভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এখানে ফ্লাইটেরও একটি বিষয় আছে। ফ্লাইট যদি নির্ধারিত সময়ে না পাওয়া যায়, তাহলে দুই-এক দিন এদিক-সেদিক হতে পারে। তবে ম্যাডাম দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

এসময় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি বলেন, আমাদের লিডারের দেশে যাওয়ার সময় নিয়ে এখনো নিশ্চিত বলতে পারছি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যাওয়ার কিছুদিন পরে হয়তো তিনি দেশে ফিরবেন। একসাথে দুইজন অবশ্যই যাবেন না, এটা আমি বিশ্বাস করি।

অবশ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার ব্যাপারটি বেশ জোর দিয়েই জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, এটি এখন সম‌য়ের ব‌্যাপার মাত্র। তারেক রহমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর আগেই দেশে ফিরবেন। ঢাকায় তার থাকার জন্য বাসা সংস্কারসহ সব প্রস্তু‌তি চলছে।

বাড়ির বিষয়ে জানা গেছে, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও তার বড় বোন শাহীনা জামান বিন্দুর উত্তরাধীকার সূত্রে বারিধারা ডিওএইচএসে এক‌টি বাড়ি আছে। বাড়িটি তারেক রহমানের শ্বশুর সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খানের সূত্রে পাওয়া। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে ঢাকায় মারা যান তিনি। বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। তারেক রহমান সস্ত্রীক ঢাকায় গিয়ে এই বাড়িতেই উঠতে চান। সেই লক্ষ্যে বাড়িটিতে বড় ধরনের সংস্কার কাজ চলছে। বাড়ির কিচেন, বাথরুমসহ অনেক অংশ ভেঙে আধু‌নিক ডিজাইনে কাজ করানো হচ্ছে।

গত ২০ মার্চ হাইকোর্ট থেকে সব মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলটির আইনজীবীরা বলছেন, এখন তিনি দেশে ফিরে সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন।

 

Header Ad
Header Ad

গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর    

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবিঃ সংগৃহীত

২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে এসে না দাঁড়াত তাহলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী কৌশলে গণঅভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে বিভাজন তৈরি করতে চায়। এতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে সবাইকে এই বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশ শেষে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে একটি গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি পল্টন থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাব প্রদক্ষিণ করে আবার গণ অধিকারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, নতুন করে এটা নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধে ৫ আগস্টেই জনগণ রায় দিয়েছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফারুক হাসান, হাসান আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকারের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমানসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

Header Ad
Header Ad

সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের ঘোষণা সেনাবাহিনীর  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ফের প্যারালিমিটারি বাহিনীর হাত থেকে দখলে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকফুটে ছিল। তবে সম্প্রতি সাফল্য অর্জন করতে শুরু করে এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে দেশের কেন্দ্রস্থল পুনরুদ্ধার করেছে।

এদিকে আরএসএফ পশ্চিমাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ সুসংহত করেছে, যুদ্ধে তাদের অবস্থান শক্ত করেছে এবং দেশকে কার্যত বিভক্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আরএসএফ তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে একটি সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে।

যদিও তারা বড় আকারে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা মধ্য খার্তুমের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সামরিক সূত্র জানিয়েছে, আরএসএফ যোদ্ধারা প্রায় ৪০০ মিটার দূরে সরে গেছে।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে সেনা সদস্যদের উল্লাস করার ভিডিও শেয়ার করেছে সেনাবাহিনী। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের জানালার কাচ ভেঙে গেছে এবং দেওয়াল বুলেটের দাগে ভরা।রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাবিল আবদাল্লাহ জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছে।

আবদাল্লাহ জানিয়েছেন, আমাদের বাহিনী শত্রু যোদ্ধাদের পুরো সরিয়ে দিয়েছে এবং তাদের বিরাট অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জয় পুরোপুরি না আসা পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। তবে এনিয়ে আরএসএফে মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে সশস্ত্র বাহিনীতে আধাসামরিক বাহিনীর একীকরণকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের এপ্রিলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আরএসএফ দ্রুত খার্তুমের প্রাসাদসহ শহরের বাকি অংশও দখল করে নেয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বারিধারায় চলছে বাড়ির সংস্কার, শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান    
গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর    
সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের ঘোষণা সেনাবাহিনীর  
আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন নিয়ে আমার সাথে আলোচনা হয়নি : সোহেল তাজ
দুপুরের মধ্যে তিন বিভাগে কালবৈশাখী আঘাত হানবে  
গাজার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালও ধ্বংস করে দিল ইসরায়েল  
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক এনসিপির
ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ: নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ
শেখ হাসিনার মতো নব্য ফ্যাসিবাদীরা জাতীয় পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: জি এম কাদের
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের মিছিল, যুবলীগ নেত্রীসহ আটক ৩
তাসকিনের আইপিএল অভিষেকের সম্ভাবনা, যোগাযোগে মিলেছে ইতিবাচক সাড়া!
স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসনের সুযোগ পায়, এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না: তারেক রহমান
ট্রেনের ১৩০ টিকিটসহ নৌবাহিনী কর্মচারী আটক
জনগণ সুযোগ দিলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিএনপির কিছু বলার নেই: রিজভী
বিচারের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ নেই : মামুনুল হক
টাঙ্গাইলে আগুনে পুড়ল ২১ দোকান, ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি
ব্যাংককে ড. ইউনূস-মোদির মধ্যে বৈঠক হচ্ছে না
রাত ১টার মধ্যে ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
পৃথিবীর সর্বত্র আজ দিন-রাত সমান
নরসিংদীতে আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০