লালনের লাঠি
তাঁর উদ্ধত আওয়াজ রুখে দিয়েছিল
জমিদারের লাঠিয়াল বাহিনীর পথ
কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের মহাসংকটে
পাশে সহায় তখন একমাত্র মহাত্মা লালন
কি যাদু ছিল তাঁর বাঁকানো লাঠির খাঁজে!
কি সুর ছিল তাঁর কণ্ঠ সংগীতে, শব্দ ঝংকারে
মানুষ জন বাঁধা পড়ে যেত সে সুর মুর্ছনায়
শীতকালে আখড়ায় ভান্ডারা উৎসবে, কোথা
থেকে জড়ো হতো সাধু সন্ত ভক্তের দল!
কান পেতে শোন, আজো একতারা বাজে
সেই সাথে সুরের ধ্বনি ওঠে আখড়া জুড়ে
‘মিলন হবে কত দিনে
আমার মনের মানুষের সনে’
বেড়ে যায় হৃদ স্পন্দন, প্রশান্তির ছোঁয়ায়
জেগে ওঠে মহাসংগীত ধরনীর কোলে
এখনো আখড়া প্রাঙ্গণে বেজে চলে সাঁইজি
লালনের একতারা, বাঁকানো লাঠির ইশারায়!’
আরএ/