মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩০ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জীবনের মূল্যবোধ

মূল্যবোধ এমন একটি জিনিস যা কখনো নিজের মধ্যে পোষণ না করে অন্যের কাছে আশা না করা ঠিক নয়। মানবিক আচরণ সমৃদ্ধ করার সুষ্ঠু নীতি ও মানদণ্ডই হচ্ছে মূল্যবোধ। এ মূল্যবোধ শব্দটা মানুষকে সমাজ জীবনে মর্যাদাবান হতে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা করে থাকে। যে চিন্তা চেতনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মানুষের মানবিক আচরণ, ব্যবহার ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রিত করে তাই মানবিক মূল্যবোধ। অবক্ষয় ও অস্থিতিশীলতা প্রায়শই মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টির পথে শত বাধা হয়ে বিরাজ করে। মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের ফলে সমাজে নিষ্ঠুর অমানবিক কাজগুলো ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।

জীবন-অস্তিত্ব বা বেঁচে থাকাটা জীবনের মূল্যবোধ বোঝার আগে আসছে। জীবনের প্রথম চাহিদা, প্রথম ও আদি তাগিদ হলো, ‘জীবিকা’। স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে, যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রাথমিক অধিকার বা Fundamental right হলো, নিজের খাওয়া-পরার সংস্থান নিজে করা। এর পরই আসবে self-esteem বা স্বাভিমান। ব্যক্তি-স্বাধীনতা ও স্বাভিমান বা আত্মমর্যাদা, এই দুটি শক্ত শিকড়ের বুনিয়াদে গড়ে ওঠে জীবনের মূল্যবোধ এবং সারা জীবন আমরা প্রতি পদে পদে জীবনের মূল্যবোধ উপলব্ধি করতে থাকি। জীবনের চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন। কেউ চায় অর্থ, কেউ চায় জ্ঞান, কেউ চায় ভক্তি, কেউ চায় প্রেম, কেউ চায় ক্ষমতা, কেউ চায় যশ ইত্যাদি। এবং এই উচ্চাকাঙ্ক্ষার কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা টানা যায় না। কথায় বলে বটে, ‘অতি বাড় বেড় না, ঝরে পড়ে যাবে’—কিন্তু আমার যদি বুদ্ধি থাকে, শক্তি থাকে, দক্ষতা থাকে, তবে আমি ঝড়কে উপেক্ষা করতে পারি। আমার ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস থাকলে কেন বাড় বাড়ব না? আকাঙ্ক্ষা গগণচুম্বী হবে না সীমারেখা মেনে চলবে, তা সবটাই নির্ভর করে ব্যক্তিবিশেষের চারিত্রিক দৃঢ়তার ওপর। আমরা আরম্ভ করি, শেষ করি না, আমরা আড়ম্বর করি, কাজ করি না, যাহা অনুষ্ঠান করি তাহা বিশ্বাস করি না, যা বিশ্বাস করি তা পালন করি না’। আবার আমাদের সমাজে অনেককে দেখা যায় আত্মপ্রশংসায় পঞ্চমুখ। তারা নিজেকে বড় বলে প্রচার করে এবং নিজের কর্মকীর্তি নিজেই প্রচার করতে অভ্যস্ত। আপনার কাজ আপনি করে যান নীরবে নিবৃত্তে। সাফল্য, সুনাম, যশ, খ্যাতি অমূল্য ভূষণ হয়ে আপনার চারিত্রিক মাধুর্যকে স্বমহিমায় ফুটিয়ে তুলবে। আত্মতুষ্টি থাকা ভালো, তবে আত্মপ্রশংসা এক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। আপনার মহৎ কাজের স্বীকৃতি প্রশংসার বাণী নিয়ে আপনার মাথায় মুকুট হয়ে শোভা বর্ধন করবে।

প্রাথমিক ধারণায় জীবনের মূল্যবোধকে আমরা সবাই সম্মান করি Universal moral values-এর যে সম্পর্কে তাবৎ বিশ্ববাসী সহমত। সেই নৈতিক গুণাবলী হলো— সততা, বিশ্বাস, প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা, ধৈর্য, শ্রদ্ধা, সহমর্মিতা, শ্রম, সত্যানুরক্তি, কর্তব্যপরায়ণতা, কৃতজ্ঞতা ইত্যাদি।

যাদের মধ্যে এই মানবিক গুণগুলির অভাব দেখা যায় তারা anti-social elements চোর-ডাকাত-খুনি প্রতারক-নিপীড়ক ইত্যাদি। কিন্তু এর মধ্যেও একটা ভাববার কথা আছে। ডাকাতে-পুলিশে হয়ত সমবেদনা-সহানুভূতির সম্পর্ক নেই। কিন্তু চোর-ডাকাতের নিজেদের গোষ্ঠীতে হয়ত তারা জীবনের মূল্যবোধের পরিচয় দেয়। এদের জীবনের মূল্যবোধ সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্যে। সংসার জীবনে এক ডাকাত হয়ত স্নেহময় পিতা বা দায়িত্বশীল পুত্র এবং প্রেমময় স্বামীর ভূমিকা পালন করছে।

কর্মক্ষেত্রে ‘স্বজন-পোষণ’ নীতিতেও জীবনের মূল্যবোধ বিঘ্নিত হয়। যেমন, আমি আমার বোনপো বা ভাগ্নিকে খুব স্নেহ করি। আমার অফিসে তার কাজের ব্যবস্থা করে দিলাম। নিজের স্নেহ-ভালবাসাকে সম্মান দিলাম ঠিকই কিন্তু এর জন্য হয়ত এক যোগ্যতর প্রার্থীকে বঞ্চিত করলাম। জীবনের মূল্যবোধ লজ্জিত হলো।

মূল্যবোধ অহরহ পিষ্ট হয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। অ্যাম্বুলেন্স-কর্মী মুমূর্ষু শিশুর নাক থেকে অক্সিজেনের নল খুলে নিল। কারণ সিলিন্ডারটি অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালের শয্যা পর্যন্ত নাকে অক্সিজেনের নল রইল না। তার আশঙ্কা, যদি সিলিন্ডারটি খোয়া যায়। ফলতঃ শিশুর মৃত্যু। কিন্তু একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, নিজের সন্তানের ক্ষেত্রে কিন্তু কর্মীটি এমন অবিবেচনা কাজ কখনোই করত না। অর্থাৎ সেই আপন-পর বিভেদ, স্বার্থপরতা। দ্বেষ-হিংসা-স্বার্থপরতা সব সময়ে জীবনের মূল্যবোধের অন্তরায়। মাদার টেরেসা পথ শিশুকে বুকে তুলে নিতেন। এই হলো জীবনের মূল্যবোধের সার্থকতা।

জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় দাম্পত্য, এমন এক সম্পর্ক, যাতে রক্তের সম্পর্ক নেই। অথচ সারা জীবন একসাথে পথ চলার শপথ। জীবনের মূল্যবোধে নিবিড়তম যোজনা হলো দাম্পত্যের দাবি। অত্যন্ত সংকটময় পরিস্থিতি। দুটি পৃথক সত্তার জীবনের মূল্যবোধ ভিন্ন-ভিন্ন। অতএব দ্বৈত পথ চলায় সংঘাতের সম্ভাবনা থাকবেই। সে অন্য প্রসঙ্গ।

‘তুমি-আমি দুজন প্রিয়, তুমি-আমি দুজন’ এর বৃত্তে যখন যখন সন্তান এর আবির্ভাব ঘটে, তখন পিতা-মাতার জীবনের মূল্যবোধের বৃত্তে, সন্তান থাকে কেন্দ্রে। বিশেষ করে নতুন মায়ের জীবনের মূল্যবোধে সন্তানই মুখ্য, বাকি সবকিছু গৌণ! জীবনের একটি অধ্যায় একেক ধরনের আবেগ-অনুভূতি প্রাধান্য পায়।

দায়িত্ব-কর্তব্যের সারা জীবন বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আমরা জীবনের মূল্যবোধের চর্চা করি। যখনই দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলা হয়, তখনই জীবনের মূল্যবোধ ক্ষুণ্ন হয়। নবীন প্রজন্মের জীবনের মূল্যবোধ নিয়ে সমাজের প্রভূত আক্ষেপ। প্রবীণের অভিযোগ, তাদের ঔদ্ধত্য ও বেপরোয়া প্রকৃতি। কিন্তু প্রবীণ প্রজন্ম যদি পিছু ফিরে তাকায়, তবে মনে পড়বে, তাদের কৈশোরে-যৌবনে তারাও গুরুজনদের কাছ থেকে একই অভিযোগ শুনতেন। প্রবীণ প্রজন্মের জীবনের মূল্যবোধ ছিল পরিবার ভিত্তিক। বর্তমান প্রজন্মের মূল্যবোধ আত্মকেন্দ্রিক।

সুখ-শান্তি নয়, জয়ই কাম্য, এটা বর্তমান প্রজন্মের দাবি' কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা’। বর্তমান প্রজন্মের মূল্যবোধ বলছে, ‘ক্ষুধা নারীরও আছে এবং সুধা পুরুষেরও তরফেও বর্ষিত হওয়া চাই। জীবনের মূল্যবোধে নারী-পুরুষের ভূমিকা পৃথক-পৃথক নয় মোটেই।’

কেরিয়ার-ক্ষুধা- হচ্ছে নবীন প্রজন্মের নিশানাযুক্ত মূল্যবোধ। ‘আমার জীবন আমার’ এই জীবনবোধ কিন্তু শেষ কথা নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করার দায়িত্ব কিন্তু নবীন প্রজন্মের। প্রবল আত্মবিশ্বাস, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, উচ্চশিক্ষা অবশ্যই জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে। কিন্তু মানুষ তো একা নয়, সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে হলে একক উন্নতি কোনো কাজে আসে না। 'আমি ব্যক্তিগত উন্নতি নিয়ে এমনি মত রইলাম, সন্তানকে কোয়ালিটি টাইম টুকুও দিলাম না। সে গোল্লায় গেল, তখন ব্যক্তিগত সাফল্য-ব্যর্থতার নামান্তর। ব্যক্তিগত সাফল্য সম্পূর্ণ মূল্যহীন যদি না তা পরবর্তী প্রজন্মকে উচ্চতর আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

একটি মাত্র জীবন আর এই জীবনের মূল্যবোধ সর্বজনীন-সর্বকালীন, তার অদল-বদল হয় না। যুগে-যুগে বংশ পরম্পরায় দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টায়। ধ্যান-ধারণার রকমফের ঘটে। কিন্তু মূল কাঠামোটি অর্থাৎ Universal Moral Values অটুট থাকে। সর্বাঙ্গসুন্দর জীবন গড়ে ওঠে ব্যক্তিসত্তার সার্থক বিকাশে। আর জীবনের মূল্যবোধকে যদি এক বাক্যে প্রকাশ করি, তবে বলতে হয়, ‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার

খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার। ছবি: সংগৃহীত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৭ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শুরু হয়।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, হাইকোর্ট বিভাগ এ মামলায় খালেদা জিয়াকে যে সাজা দিয়েছেন তাতে আইনের মারাত্মক ব্যত্যয় হয়েছে। শুধু তাই নয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের যে অর্থ আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে সেই অর্থও সুরক্ষিত আছে; সেই অ্যাকাউন্টে তা সুরক্ষিত রয়েছে। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এ রায় দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেন আদালত। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

গত বছরের ৩ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন চেম্বার আদালত।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান।

একইসঙ্গে এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

বাকি চার আসামি হলেন—সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।

এরপর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পরে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।

Header Ad
Header Ad

এবার টিউলিপকে দায়িত্ব ছাড়ার আহ্বান দুর্নীতিবিরোধী জোটের

টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগের মুখে ক্রমেই বাড়ছে চাপ, যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর। প্রথমে বিরোধী দল এবং এখন দেশটির দুর্নীতিবিরোধী জোটও টিউলিপকে দুর্নীতিবিরোধী দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছে। এই জোটে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত দুর্নীতিবিরোধী সংগঠনগুলো, যেমন অক্সফাম এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জোটটি এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাজ্যের মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ও অর্থনৈতিক অপরাধ মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা টিউলিপের বিরুদ্ধেই অর্থ আত্মসাৎের অভিযোগ উঠেছে। যা তার কাজের সঙ্গে সাংঘার্ষিক। ফলে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো অবস্থানে তিনি আছেন কি না বিষয়টি পরিষ্কার নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ট্রেজারি মন্ত্রী যুক্তরাজ্যের মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক অপরাধ মোকাবিলার কাঠামোর দায়িত্বে রয়েছেন, অথচ তার এমন একটি ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাথে সরাসরি পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে যা সেই কাঠামোর অধীনে তদন্ত করা যেতে পারে।

সম্প্রতি কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্রদের কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নেয়ার অভিযোগ উঠে। এছাড়া, বাংলাদেশের ৯টি মেগা প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

এই অভিযোগের মধ্যেই টিউলিপের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানান ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচ।

টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি)। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বে আছেন তিনি। তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

Header Ad
Header Ad

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী ড. পুরনজিত মহালদার মারা গেছেন। সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন,‘ গতকাল দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর বার রাস্তার মোড় এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ড. পুরনজিত মহালদার। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।’

সহকর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ড. পুরনজিত মহালদারের মরদেহ আজ সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে রাখা হবে। তার বন্ধু শুভানুধ্যায়ী, সহকর্মী, শিক্ষার্থীদের সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হলো।

ড. পুরনজিত মহালদারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি জামিল রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ ইকবাল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার
এবার টিউলিপকে দায়িত্ব ছাড়ার আহ্বান দুর্নীতিবিরোধী জোটের
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
ময়মনসিংহে হামলার হুমকিতে ৭৫৫ বছরের ওরস বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রশাসনের  
নারায়ণগঞ্জে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ বন্ধুর মৃত্যু  
এলপিজি গ্যাসের সাড়ে ৭ শতাংশ অতিরিক্ত ভ্যাট অব্যাহতি  
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্তের পথে  
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ, ঢাকার কড়া প্রতিবাদ
এ বছরের মাঝামাঝিতে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি  
নাইজেরিয়ায় কৃষকদের জড়ো করে গুলি, নিহত অন্তত ৪০
দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ে ঘুরলো ম্যাচের মোড়, রংপুরের সাতে সাত
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা
এইচএমপিভি নিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি
স্বচ্ছ ভোটার তালিকা ১৮ কোটি মানুষের আমানত : নির্বাচন কমিশনার
চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা বহিষ্কার
ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা, থানায় সোপর্দ
এবার মাদক অধিদপ্তরের ডিসপ্লেতে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’
সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের বিরুদ্ধে এক নারীর গুরুতর অভিযোগ
জাপানে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
বাংলাদেশে কিছুই নেই, ওই দেশে দরিদ্র মানুষ বেশি: বিজেপি নেতা