রমজানের মাসআলা-১২
রোজা অবস্থায় বমি হওয়া বা বেহুশ-অজ্ঞান হওয়া
রোজা অবস্থায় বমি হলে রোজা ভাঙবে না। তা খাদ্য বমি হোক বা রক্ত বমি। বমির পরিমাণ বেশি হোক বা কম হোক। কারণ রোজা হলো পানাহার না করার নাম। বমি হলে তো পানাহার করা হয় না; বরং তার বিপরীত হয়।
বমি হওয়ার পর রোজা পালনে সক্ষম হলে তা পূর্ণ করবে; অক্ষম হলে রোজা ছেড়েও দিতে পারবেন। এই রোজা পরে কাজা আদায় করতে হবে। কাফফারা প্রয়োজন হবে না।
বমি মুখে আসার পর তা গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে। ইচ্ছাকৃত বমি করলে রোজা ভঙ্গ হবে। এমতাবস্থায় কাজা ও কাফফারা উভয় আদায় করতে হবে।
অনুরূপভাবে কোনো কারণে অজ্ঞান হলে (যাতে সাধারণত রোজার বিপরীত কিছু ঘটে না) রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে দুর্বলতা বা অসুস্থতার কারণে প্রয়োজনে পানাহার বা ওষুধ সেবনে রোজা ভাঙলে পরে কাজা আদায় করে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, বমি হওয়া ও অজ্ঞান হওয়া অজু ভঙ্গের কারণ; রোজা ভঙ্গের কারণ নয়। (ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া; ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া)
টিটি/