
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরআন হাতে লিখলেন হাবিবুর
১২ নভেম্বর ২০২২, ০৫:১৮ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:২৫ এএম

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়, সেটি আবারও প্রমাণ করে দেখালো সাতক্ষীরার এক উদ্দামী যুবক হাবিবুর রহমান। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী না হয়েও নিজ হাতে আরবি ভাষাতে কোরআন শরীফ লিখেছেন, যেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতে লেখা কোরআনে কারীম বলে দাবি করেছেন তিনি। যা আকারে ৩৩৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ্য ২৬৪ সেন্টিমিটার। দীর্ঘ ৬ বছর ৮মাস ২৩দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৪২ পাতায় লিখেছেন ৬ হাজার ৬৬৬টি আয়াত। সূরা বা পারা কলামের যেখানে শেষ হয়েছে সেই কলামের বাকি অংশে লেখা হয়েছে আল্লাহর নাম।
মার্জিন ও পেইজ ডিজাইনের জন্য মধুর এ নামটি এসেছে তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার বার। ৩০ পারার ঝকঝকে হরফে লেখা ১১৪টি সুরা’র এই কোরআন দেখে বোঝার উপায় নেই এটি ছাপা, না হাতে লেখা। দিন-রাত পরিশ্রম করে পুরো কোরআন হাতে লিখে দীর্ঘ দিনের ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিলেন হাবিবুর রহমান।
হাবিবুর রহমান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পলাশপোল এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে। তিনি ২০০৩ সালে সাতক্ষীরা পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন, ২০০৫ সালে এইচএসসি ও পরবর্তীতে এলএলবি সম্পর্ণ করেন। জীবনে কখনও মাদ্রাসায় না যেয়েও ইউটিউব দেখে আয়ত্ব করেছেন আরবিসহ কয়েকটি ভাষা। মানবতার জন্য কিছু করার ইচ্ছা থেকেই তিনি পুরো কোরআন হাতে লিখেছেন।
কেন তার এই প্রচেষ্টা এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান জানান, ২০১৩ সালের দিকে তিনি সাতক্ষীরা শহর সমাজ সেবা অফিসে কম্পিউটার ইনস্ট্রাকটর হিসেবে কাজ করতেন। সে সময় সমাজের অসহায় অবহেলিত গরীব মানুষের দূরবস্থা দেখে তাদের পাশে থেকে চিকিৎসাসেবার জন্য কিছু একটা করার আগ্রহ জাগে। তখন থেকে তিনি চিন্তা করেন এমন কিছু করবে যেটি বিশ্ব রেকর্ড করবে। সেই চিন্তা থেকেই তার মাথায় উদ্ভাব হয় বিশ্বের সব চেয়ে বড় কোরআন তিনি হাতে লিখবেন।
তিনি বলেন, জীবনে কখনও মাদ্রাসায় যাননি তিনি, ইউটিউব দেখে আয়ত্ব করেছেন আরবিসহ কয়েকটি ভাষা। মহান আল্লাহর বাণীকে ভালোবেসে সেই বিদেশী ভাষাতেই নিজের হাতে লিখেছেন মহাগ্রন্থ আল কোরআন। শুধু লেখা নয় তিনি নিজ সাধনায় মুখস্ত করেছেন কোরআনের দুইটি পারাও। এবার মানবতার জন্য কিছু করতে চান তিনি।
তিন হাজার চারশ আটটি আর্ট পেপারের সমন্বয়ে মোট ১৪২ টি পাতায় লেখা এ কোরআন শরীফের ওজন হয়েছে ৪০৫ কেজি। আকারে ৩৩৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ্য ২৬৪ সেন্টিমিটার। লাল, নিল, সবুজ ও কালো রঙের চারটি কলাম শোভা বাড়িয়েছে ঐশি বাণীর। সূরা বা পারা কলামের যেখানে শেষ হয়েছে সেই কলামের বাকি অংশে লেখা হয়েছে আল্লাহর নাম। মার্জিন ও পেইজ ডিজাইনের জন্য মধুর এ নামটি এসেছে তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার বার।
হাবিবুরের মা ফিরোজা পারভীন জানান, ২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারীতে আমার ছেলে এই পবিত্র কোরআন হাতে লেখা শুরু করে এবং গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে লেখা সম্পন্ন করে। অতিরিক্ত পরিশ্রম করে সারা রাত জেগে সে এই কোরআন শরীফটি নিজের হাতে লিখেছে। এমন অনেক দিন গেছে সারা রাত জেগে লিখে তার পরে ফজরের নামাজ আদায় করে ঘুমাতে গেছে। সন্তানের এমন ভাল কাজের বিনিময়ে মহান রাব্বুল আলামিন যেন তার সন্তানের জীবনে আরও ভাল কিছু করেন এমনটায় দোয়া করেন তিনি।
এদিকে, আরবি ভাষায় অভিজ্ঞ আলেমরাও তার কোরআন পড়ে নির্ভুল বলেছেন। প্রশংসা করেছেন তার এমন উদ্যোগের। সাতক্ষীরা আশাশুনি খরিয়াটি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, মহাগ্রহন্থ কোরআনুল কারীম বৃহতাকারে তিনি লিখছেন। আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন আয়াত তেলাওয়াত করেছি এবং দেখেছি এগুলো অতি সুন্দর এবং নির্ভুল ভাবে লেখা হয়েছে। তাতে করে আমি মনে করি, গোটা কোরআন লেখাটা নির্ভূল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এএজেড

খালেদা জিয়াকে নিয়ে তুরস্কের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ
০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৬ এএম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে তুরস্কের গণমাধ্যম। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি ‘বিরোধীদলীয় নেতাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধীদলীয় নেত্রী ও দুইবারের প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
প্রতিবেদনে চিকিৎসকদের বরাতে বলা হয়, গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীনে রয়েছেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ফরোয়ার্ড করা আপিলকে ‘না’ জানিয়ে বলেছেন, মন্ত্রণালয় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তাকে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিতে পারে না। সরকারের আইনগত অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। সব কাজ আইনি কাঠামো অনুযায়ী করতে হবে। আইনকে বাইপাস করা, যে কোনো ক্ষেত্রেই একটি খারাপ উদাহরণ তৈরি করে।
প্রতিবেদনে বলা আরও বলা হয়, ৭৮ বয়সী বেগম জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং উচ্চ লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
প্রতিবেদনে গত শনিবার ভয়েস অব আমেরিকায় প্রচারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন নেওয়ার আগে খালেদা জিয়াকে অবশ্যই কারাগারে ফিরে যেতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, জিয়ার দল অবশ্য তার বিরুদ্ধে আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে এবং খালেদা জিয়াকে তার অবস্থা গুরুতর উল্লেখ করে অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সুপারিশ করেছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে বিদেশে একটি উন্নত মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো দরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। কোভিড মহামারি চলাকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ, বর্তমান সরকার তাকে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাড়িতে থাকা এবং দেশ ছেড়া যাবে না এই দুই শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৩ এএম

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভারতের মেঘালয় রাজ্য। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩।
গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনবার দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে টাঙ্গাইলে।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত–মিয়ানমার সীমান্ত। এ ছাড়া ৯ সেপ্টেম্বর আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের কাছাড় এলাকা।
আগস্ট মাসে দুই দফায় বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে একটি অনুভূত হয় ২৯ আগস্ট। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট। এর আগে ১৪ আগস্ট আরেকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তবর্তী সিলেটের কানাইঘাট এলাকায়।

কোভিড-১৯ টিকার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই বিজ্ঞানী
০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৪ এএম

চিকিৎসাবিজ্ঞানে অবদান রাখায় এ বছর নোবেল পুরস্কার জিতলেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্র ওয়াইজম্যান। সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউট সোমবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে তাদের নাম ঘোষণা করে।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, নিউক্লিওসাইড বেজ মডিফিকেশন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যানকে। তাদের এ আবিষ্কারের ওপর ভর করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর এমআরএনএ টিকা উদ্ভাবন করা হয়।
১৯০১ সাল থেকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এ যাবত ১২ জন নারী চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন।
চিকিৎসায় সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হরেন ফ্রেডরিক জি. ব্যান্টিং। তিনি ইনসুলিন আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে নোবেল পেয়েছিলেন। চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি বয়সী নোবেলজয়ীর নাম পেটন রৌস। তিনি ৮৭ বছর বয়সে এ পুরস্কার পান।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।
নোবেল পুরস্কারের মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কারটি সোমবার সুইডেনের স্টকহোমে ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানের পুরস্কার। বুধবার রসায়ন ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যের পুরস্কার।
আগামী শুক্রবার অসলো থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। আর অর্থনীতির পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে ৯ অক্টোবর।