
শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় শেষ আখেরি মোনাজাত
১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২৯ এএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ পিএম

গাজীপুর টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ১৮ মিনিটের দিকে এ মোনাজাত শেষ হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের আহমেদ।
এর আগে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে এ মোনাজাত শুরু হয়। বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দেশের নানা প্রান্ত ও বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসেন। শীত উপেক্ষা করে চটের ছাউনির নিচে অবস্থান নেন তারা। রবিবার ঢাকার আশেপাশের অনেক মুসল্লি ভোর ৪টা থেকে মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমায় ছুটে আসেন। অনেক মুসল্লি পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে গিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করেন। ইজতেমা ময়দানের আশেপাশের সড়কেও মানুষের ঢল নামে। সড়কেই বসে তারা মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাতে মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। আত্মশুদ্ধি, নিজ নিজ গুনাহ মাফ, সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত ও রহমত প্রার্থনা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় লাখো মুসুল্লি আকুতি জানান।
আখেরি মোনাজাতে নিরাপত্তার বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েনসহ ১০ হাজার পুলিশ ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় রয়েছেন।খুব দ্রুত ও নিরাপদে মুসল্লিরা যেন ময়দান ত্যাগ করতে পারেন সে জন্য বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে।
ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই সঙ্গে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া ও ঢাকায় প্রবেশের সময় সব ট্রেন টঙ্গী রেলস্টেশনে থামে। এ ছাড়া আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ‘মোনাজাত স্পেশাল’ নামের বিশেষ ট্রেন পরিচালিত হয়।
ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে শনিবার মধ্যরাত থেকে গাজীপুরের কয়েকটি রুটে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ইজতেমার প্রথম পর্বের শেষদিন আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আবদুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকবে। একই কারণে কামারপাড়া থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত সড়কের দুই দিক এবং টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে পূবাইল পর্যন্ত সড়কেও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য যাতে কারও সমস্যা না হয় সে কারণে টঙ্গি ব্রিজের এখানে আমরা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ রাখবে পুলিশ।
এরআগে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) আম বয়ানের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়। শনিবার এই পর্বের দ্বিতীয় দিন। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হলো। চার দিন বিরতির পর আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে। আগামী ২২ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি হবে।
আরএ/

যেভাবে ভাগ হলো অমিতাভ বচ্চনের সম্পদ
০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৭ পিএম

গত কয়েক মাস ধরেই ক্রমাগত আলোচনায় রয়েছে বচ্চন পরিবার। তাদের অন্দরমহলের সমীকরণ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। ‘বচ্চন বহু’ ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে নাকি সম্পর্কে চিঁড় ধরেছে বচ্চন পরিবারের। বিগত কয়েক মাস ধরেই নাকি শ্বশুরবাড়ির থেকে ছাড়াছাড়া ঐশ্বরিয়া রায়। এর মাঝেই মেয়ে শ্বেতা বচ্চনের নামে নিজের প্রথম বাংলো ‘প্রতীক্ষা’ লিখে দিয়েছেন অমিতাভ। এ বার সম্পত্তির ভাগ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা। প্রায় ২৮০০ কোটি রুপীর সম্পত্তির ভাগ কী ভাবে হবে জানালেন অমিতাভ বচ্চন।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তারকা জানান তার সম্পত্তি দুই সন্তানের মধ্যে সমান ভাগ করে দিয়েছেন। প্রথম থেকে ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোনও তফাত করেননি অমিতাভ। তাই সম্পত্তির ক্ষেত্রেও দুই সন্তান সমান ভাগ পেয়েছেন। সদ্য দীপাবলির উপহার হিসাবে অমিতাভ ‘প্রতীক্ষা’ বাংলোটি মেয়ের নামে লিখে দেন। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫০ কোটি।
মুম্বাইয়ের জুহুতে অমিতাভ বচ্চনের পাঁচটি বাংলো রয়েছে। প্রতীক্ষা, জনক, জলসা, বৎসা এবং জলসার পেছনে থাকা আরেকটি বাংলো।

অমিতাভের সম্পত্তি ছাড়া এই মুহূর্তে অভিষেক বচ্চনের সম্পত্তির পরিমাণ ২৮০ কোটি। এর সাথে যদি বাবার অংশ যোগ হয় তাহলে মোট সম্পত্তির পরিমাণ হবে ১৮৬০ কোটি রুপি। অর্থাৎ বাবার সম্পত্তির ভাগ পেলে অভিষেকের সম্পত্তি বেড়ে যাবে প্রায় ৫৬৪ শতাংশ।
শ্বেতা বচ্চন ১১০ কোটি রুপির মালিক। ১৬০০ কোটি রুপি পেলে তার সম্পত্তি বেড়ে হবে ১৬৯০ কোটি রুপি। অর্থাৎ মোট সম্পত্তি বাড়বে ১৪৩৬ শতাংশ। সাথে আছে ‘প্রতীক্ষা’ বাংলো।
অন্যদিকে কারও সম্পত্তি না পেয়েই এই মুহূর্তে প্রায় ৭৭৬ কোটি রুপির মালিক ঐশ্বরিয়া। ঐশ্বরিয়ার চেয়ে অভিষেকের সম্পত্তি অনেক কম। তবে বাবার সম্পত্তির ভাগ পেলে সম্পত্তির দিক থেকে ঐশ্বরিয়ার চেয়ে এগিয়ে থাকবেন তিনি।

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৬ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম নির্বাচনের নামে তামাশা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এর প্রতিবাদে ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।
তিনি বলেন, বাকপ্রতিবন্ধী ও মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ইসির বক্তব্য দলদাস প্রমাণিত। কোনো প্রকার টালবাহানা দেশবাসী দেখতে চায় না। দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। বিস্ফোরণের দায় সরকারকেই নিতে হবে। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া দেশ ও বিদেশে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। একতরফা পাতানো নির্বাচন দেশে নতুন সংকট তৈরি হবে।
আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত থানা ও নগর যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. শহীদুল ইসলাম, মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম খোকন, মাওলানা নজরুল ইসলাম, কামাল হোসাইন, এইচএম রফিকুল ইসলাম, মুফতি আবদুল আহাদ, মুফতি আখতারুজ্জামান প্রমুখ।
মাওলানা ইমতিয়াজ আলম আরও বলেন, সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার নামে অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও অপ্রয়োজনীয় সিলেবাসের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস করে দিয়েছে। এই শিক্ষাব্যবস্থা চলতে থাকলে দেশ নতুন করে সংকটে পতিত হবে। দেশ নেতৃত্বশূন্য হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিপথগামী হবে। সামাজিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। বাঙালিয়ানা সমাজ বিনষ্ট হবে।
তিনি আগামী ৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

রেল যোগাযোগ শুরু না হতেই নাট বল্টু চুরি, বিলম্বে ছাড়ল ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’
০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম

সরাসরি ঢাকা-কক্সবাজার রেল যোগাযোগ শুরু হতে না হতেই রাতের আধারে দুষ্কৃতিকারিরা রেলপথের নাট-বল্টু খুলে নেয়ায় কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আধা ঘন্টার পর রেল ছেড়েছে। কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের কাহাতিয়াপাড়া এলাকায় নতুন রেলপথের নাট-বল্টু খুলে নেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। কক্সবাজার-ঢাকা রেলপথে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেল চালুর দ্বিতীয় দিনে এ ঘটনা ঘটল।
এ ঘটনায় কক্সবাজারবাসীকে চরম অভাগা বলে অবহিত করেছেন কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী।

কক্সবাজার স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী জানান, শনিবার সকালে রামুর রশিদনগর ইউনিয়নের কাহাতিয়া পাড়ায় রেললাইনের এ ত্রুটির ঘটনাটি অবহিত হন তারা। ঘটনা জানার পর রেললাইনের সংস্কারকাজ চালানো হয়। ফলে ৩৫ মিনিট বিলম্বে ঢাকার উদ্দ্যেশে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ রওনা দেয়।
তিনি আরও বলেন, শত বছরের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পর এটিকে সন্তানের মতো লালন করার পরিবর্তে লোভের কারণে রেলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে এসব লোক।
রেল কর্তৃপক্ষের বরাতে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মোস্তফা বলেন, শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের রামুর কাহাতিয়া পাড়ায় রেললাইনের বিটের নাট-বল্টু খুলের ফেলার ঘটনা জানা যায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বিষয়টি রেল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা সকল স্তরে অবহিত করেন। এরপর রেল প্রকৌশলসহ নির্মাণকাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান এবং বিটের খুলে ফেলা নাট-বল্টু পুনঃসংযোজন কাজ শুরু করেন। কাজ শেষ করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে বেলা সাড়ে ১২টা বেজে যায়। তাই সিডিউলের আধাঘণ্টা পর কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন থেকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। এটি নিছক চুরি, না কি অন্য কিছু তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
রামুর ওসি আবু তাহের বলেন, যদিও রেল আলাদা শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা চলে। নতুন পথ হওয়ায় আমাদের সহযোগিতা চাইলে খবরটি শোনার পর পরই প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে রেললাইনের বিটের নাট-বল্টু খুলে ফেলার দৃশ্য দেখা গেছে। ঘটনাটি নিছক চুরি, নাকি কোনো ধরণের নাশকতার চেষ্টা তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও কারা, কী উদ্দেশে এটি সংঘটিত করেছে এবং কারা জড়িত তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, বিজয়ের মাসের প্রথম দিনেই ১০২০ জন যাত্রি নিয়ে কক্সবাজার-ঢাকা রেলপথে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হয়। প্রথম যাওয়া রেলের ঢাকা থেকে ফিরতি ট্রিপ সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে এসে পৌঁছায় শনিবার সকাল ৮টায়। সিডিউল মতে শনিবার দুপুরে দ্বিতীয় ট্রিপ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর আগেই বিটের নাট-বল্টু খুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যা হতবাক করেছে সচেতন সকলকে।