শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঈদুল ফিতর ও ছাদকাতুল ফিতরা

ঈদ আরবি শব্দ। এর অর্থ খুশি, আনন্দ, উৎসব ও ফিতর অর্থ রোজা ভঙ্গ করা অর্থাৎ ইফতার করা। ঈদুল ফিতরের অর্থ দাঁড়াল রমজান মাসের রোজার শেষে আনন্দোৎসব। ঈদুল ফিতরের অন্তর্নিহিত এই ধারণাটিই বাংলার বুলবুল কবিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল গেয়ে উঠতে “রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।” আর আউদুল শব্দের অর্র্থ পুনঃ ফিরে আসাও হয়। সেই অর্থে প্রতি বৎসর দুইটি ঈদ আমাদের নিকট ঘুরে ঘুরে আসে বলেও একে ঈদ বলে যেতে পারে।

ফিতরার পরিমাণ: প্রত্যেক লোক ৮০ তোলার ওজনে দুই সের গমের দাম দেবে। ইমাম আবু হানীফার মতে দুই সের চাউল অথবা চাউলের দাম দেওয়া দুরস্ত হবে না এবং যব, গম, খুরমা ও কিছমিছ এই চারটি জিনিস ব্যতীত অন্য জিনিস দ্বারা দিলে ফিতরা আদায় হবে না। গম দিলে দুই সের এবং যব, খুরমা ও কিছমিছ দিলে চার সের অথবা উহার মূল্য দিতে হবে। চারটি বা পাঁচটি পণ্য দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায়ের প্রমাণ ও বিধান রয়েছে ইসলামে। সেই হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতি বছর সবচেয়ে কম দামি পণ্য ও বেশি দামি পণ্যের হিসেবে করে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ করে থাকে।

এবার জন প্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা সর্বোচ্চ ২৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সদকাতুল ফিতর দেওয়ার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হলো- নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব বেশি মূল্যের খাদ্য বা পণ্য দ্বারা বা সেই খাদ্য বা পণ্যের মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা। কারণ সদকাতুল ফিতর আদায়ের মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ করা ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদেকের সময় অথবা তার আগে যে শিশুর জন্ম হয়েছে, তারও ফিতরা দিতে হবে। একজনের ফিতরা কয়েকজনকে এবং কয়েকজনের ফিতরা একজনকে দেওয়া যায়। ফিতরার পয়সা মসজিদ, মাদ্রাসা, পুল নির্মাণ বা মৃতের কাফন খরিদ ইত্যাদি কাজের দুরস্ত নাই, কিন্তু ধর্মবিদ্যা শিক্ষার খরচ দেওয়া দুরস্ত আছে। সদাকায়ে ফিতরা স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে, পিতামাতা পুত্র-পৌত্রাদিকে এবং পুত্র-পৌত্রাদিকে পিতা মাতাকে দেওয়া দুরস্ত নাই।

ঈদুল ফিতর বছরে একবার আসে। এদিনে বিশেষভাবে নামাজ আদায় করার জন্য আদেশ করেছেন নবীজি (সাঃ)। যেহেতু বছরে মাত্র দুইবার ঈদের নামাজ পড়তে হয়, তাই এই নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে অনেককেই জটিলতা ও দ্বিধা-সংশয় সৃষ্টি হয়। আর এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। এ জন্য ঈদের নামাজের আগে এই নামাজের নিয়ম-কানুন ও আদায় পদ্ধতিটি একটু ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। ঈদের নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে অনেকের ধারণা, নামাজের নিয়ত আরবিতে করা জরুরি। এমনটি ঠিক নয়। যেকোনো ভাষায়ই নামাজের নিয়ত করা যায়। নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট। ঈদের দিন ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে মনে মনে এই নিয়ত করতে হবে যে, আমি অতিরিক্ত ছয় তাকবিরসহ এই ইমামের পেছনে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি। এরপর উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধতে হবে। হাত বাঁধার পর ছানা অর্থাৎ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা.... শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। এরপর আল্লাহু আকবার বলে হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। ইমাম সাহেব তৃতীয়বার তাকবির বলে হাত বেঁধে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহসহ সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং সঙ্গে অন্য যে কোনো সূরা তিলাওয়াত করবেন। এ সময় মুক্তাদিরা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকবেন। এরপর ইমাম সাহেব নিয়ম মতো রুকু-সিজদা সেরে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেন। মুক্তাদিরা ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করবেন। দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব প্রথমে সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন এবং সঙ্গে অন্য সূরা পড়বেন। এরপর আগের মতো তিন বার তাকবির বলতে হবে। প্রতি তাকবিরের সময়ই উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। চতুর্থ তাকবির বলে হাত না উঠিয়েই রুকুতে চলে যেতে হবে। এরপর অন্যান্য নামাজের নিয়মেই নামাজ শেষ করে সালাম ফেরাতে হবে।

সূর্য পুরোপুরি উদিত হওয়ার প্রায় আধ ঘন্টা পর থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত ঈদুল ফিতর-এর সালাত আদায় করা যায়। বিভিন্ন হাদীসের আলোকে আমরা বুঝতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সূর্য উদিত হওয়ার ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে ঈদুল ফিতর এবং ঘন্টা খানেকের মধ্যে ঈদুল আযহার সালাত আদায় করতেন। সালাতুল ঈদ আদায়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাত ছিল ঈদের মাঠে পোঁছে প্রথমে ঈদের সালাত আদায় করা। এরপর তিনি সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুতবা বা বক্তৃতা প্রদান করতেন। মহিলা মুসল্লিগণ যেহেতু মাঠের শেষ প্রান্তে বসতেন এজন্য সাধারণ খুতবার পর তিনি মহিলা মুসল্লিদের কাছে যেয়ে পৃথকভাবে তাদের কিছু নসীহত করতেন। এরপর তিনি ঈদের মাঠ ত্যাগ করতেন।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন রচনায় ঈদুল ফিতর

মানুষের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন রচনায় ঈদুল ফিতর গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানুষকে দাঁড় করিয়ে দেয় কল্যাণমূলক অর্থনৈতিক পরিবেশের দোরগোড়ায়। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বর্ণিত এক হাদিসে রাসূল (সাঃ) সাদকাতুল ফিতরকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ঈদুল ফিতরকে পুরস্কার প্রদানের দিনও বলা হয়। এ পুরস্কার তাঁরাই পেতে পারে, যাঁরা এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে রিপুকে দমন করতে পেরেছেন। আর যারা অসৎ চিন্তা, অসৎ কার্যাবলি থেকে বিরত থাকতে পারেনি, রমজানের পবিত্রতাকে কুলষিত করেছে, তাদের জন্য ঈদুল ফিতর কোনো সুসংবাদ নয়। প্রকৃত অর্থে- ঈদুল ফিতরের আনন্দ তার জন্য, যে তাওবা ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে পাপ- পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত থাকতে পেরেছে। এ জন্য বলা হয়, ঈদুল ফিতর হলো, সিয়াম সাধনায় সাফল্যের প্রতীক।

মুসলমানের আনন্দ উৎসব ঈদুল ফিতর
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ মহান বিত্তবানদের সে রকম নির্দেশনাই দিয়েছেন- “যতক্ষণ না তোমরা দরিদ্রদের চোখের পানি মুছে দেবে, যতক্ষণ না তোমরা তাদের ভালো পোশাকে আবৃত করবে এবং তাদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ঈদ পালন করবে না।” প্রত্যেকজন রোযাদারের জন্য ইসলাম দুটি আনন্দের দিনে ঘোষণা দিয়েছে। তার মাঝে একটি হলো পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন আর অন্যটি হলো পরকালে যেদিন রোযাদারের সাথে আল্লাহ মহান দেখা করবেন।

ঈদুল ফিতরের দিনে পালনীয় ১৩টি কাজ সুন্নাত। (১) শরীয়তের সীমার মধ্যে থেকে যথাসাধ্য সুসজ্জিত হওয়া এবং আনন্দ প্রকাশ করা। (২) গোসল করা। (৩) মেছওয়াক করা। (৪) যথা-সম্ভব উত্তম ইসলামী লেবাছ পরিধান করা। (৫) খোশবু লাগান। (৬) প্রত্যূষ বিছানা হতে গাত্রোত্থান করা। (৭) ফজরের নামাজের পরেই শিগগিরই ঈদগাহে যাওয়া। (৮) ঈদগাহে যাবার পূর্বে খুরমা অথবা কোন মিষ্টদ্রব্য ভক্ষণ করা। (৯) ঈদগাহে যাবার পূর্বে ছদকায়ে ফিতের আদায় করা। (১০) ঈদের নামাজ মসজিদে না পড়ে ঈদগাহে পড়া। (১১) এক রাস্তায় ঈদগাহে যাওয়া এবং অন্য রাস্তায় বাড়ি ফিরে আসা। (১২) ঈদগাহে পদব্রজে গমন করা। (১৩) ঈদগাহে যাওয়ার সময় নি¤œলিখিত তকবীর বলতে বলতে যাওয়াঃÑ আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লালাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্ অর্থ: আল্লাহ সর্বশেষ্ট, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই; আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ; আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ এবং আল্লাহরই জন্য যাবতীয় প্রশংসা।

ঈদের দিনে করণীয়
ঈদের দিন ভোর বেলা ফজর নামাজ জামাতে আদায় করার মাধ্যমে দিনটি শুরু করা উচিত। গোসল করার মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন ও সুগন্ধি ব্যবহার করা। ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য যাওয়া। পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নাত। তাকবির বলা। ঈদে শুভেচ্ছা বিনিময় করা। ঈদ উপলক্ষে পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানানো শরিয়ত অনুমোদিত একটি বিষয়। ঈদের সালাতের আগে খাবার গ্রহণ করা। ইদুল ফিতরের দিনে ঈদের সালাত আদায়ের আগে খাবার গ্রহণ করা এবং ঈদুল আযহার দিন ঈদের সালাতের আগে কিছু না খেয়ে সালাত আদায়ের পর কুরবানির গোশত খাওয়া সুন্নাত। ঈদের সালাত আদায় ও খুতবা শ্রবণ করা। আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ খবর নেওয়া। ফিতরাহ আদায় করা।

ঈদের দিনে বর্জনীয়
ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম। হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা) বলেন, রাসুল (সা) দুদিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। সে দুদিন হলো- রোযা শেষে (এক মাস রোযার পর) ঈদুল ফিতরের দিন এবং ঈদুল আযহার দিন। (বুখারি : ২/৭০২) ঈদের জামাতের আগে নেই কোনো নফল নামাজ। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) হযরত বেলার (রা)-কে সঙ্গে নিয়ে ঈদুল ফিতরের দিন বের হয়ে দুই রাকাত সালাত আদায় করেন। তিনি এর আগে ও পরে কোনো নামাজ আদায় করেননি। (বুখারি : ১/৩৩৫) আমাদের সমাজের ঈদ উদযাপনকে যদি রাসূলুল্লাহ (সা) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা)- এর ঈদ উদযাপনের সঙ্গে মিলাই, তাহলে অবশ্যই বলতে হবে, এই ঈদ ইসলামের ঈদ নয়; বরং আমরা বিজাতীয় সংস্কৃতির আদলে ঈদ উদযাপন করছি। ঈদগাহে নামাজে অংশগ্রহণ পর্যন্ত আমাদের ইসলামী ঈদ সীমাবদ্ধ। ঈদ উদযাপনের ক্ষেত্রে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণ থেকে বিরত থাকা জরুরি। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সঙ্গে সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদের দলভুক্ত (জাহান্নামি) হবে। ’ (আবু দাউদ : ৪/৭৮) তাই ঈদে সব বিজাতীয় সংস্কৃতি বর্জন করতে হবে।

বিভিন্ন হাদীসে ঈদের দিনে শরীরচর্চা ও বিনোদনের জন্য খেলাধুনা ও আনন্দে উৎসাহ দিয়েছেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)। বর্র্তমানে শরীরচর্চামূলক খেলাধুলার স্থান দখল করছে অলস বিনোদন। সবচেয়ে ভয়ঙ্গকর বিসয় হলো, ঈদের দিনে এবং অন্যান্য সময়ে বিনোদনের নামে, খেলাধুলার নামে বেহায়াপনা, বেল্লেলপনা ও অশ্লীলতা সমাজকে গ্রাস করছে। ঈদ উপলক্ষ্যে বেড়ানোর নামে আমাদের মেয়েরা অর্ধ উলঙ্গ হয়ে দেহ, পোশাক ও অলঙ্গার প্রদর্শন করে বেড়ায়। মেয়েদের জন্য বাইরে বোরোতে পুরো দেহ আবৃত করা আল্লাহ কুরআনে ফরয করেছেন। একজন মহিলার জন্য মাথা, চুল, কান, ঘাঢ়, গলা, বা দেহের কোনো অংশ অনাবৃত করে বাইরে যাওয়ার অর্থ প্রতি মহুর্তে ব্যভিচারের মত একটি কঠিন কবীরা গোনাহ লিপ্ত হওয়া। এরূপ মহিলাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিশাপ দেওয়া হয় বলে হাদীসে বলা হয়েছে। ঈদের দিনে যারা এভাবে বের হয় তাদের অনেকেই রামাদানে কষ্ট করে রোযা রেখেছে। এদের অধিকাংশের পিতামাতা রোযাদার মুসলমান। কিভাবে তারা এরূপ ভয়ঙ্কর পাপে লিপ্ত হন তা আমরা বুঝতে পারি না। আমরা যদি সত্যিই আল্লাহকে ভয় করি এবং আল্লাহর গযব থেকে বাঁচতে চাই তাহলে আমাদের সন্তানদেরকে এরূপ পাপ থেকে বাঁচাতে হবে।

জুমুআতুল বিদার মাধ্যমে আমরা রামাদানকে বিদায় জানাতে চলেছি। কিন্তু কিভাবে? বিশ্বাসঘাতকতার সাথে না বিশ্বস্ততার সাথে। রামাদান এসেছিল কুরআন, সিয়াম, কিয়াম ও তাকওয়া উপহার নিয়ে। আমরা কি রামাদানের সাথে এগুলিকেও বিদায় করে দেব? তাহলে রামাদানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো। রামাদানের হাদিয়া ভালবেসে গ্রহন করুন। কুরআন ছাড়বেন না। কত কষ্ট করে সারা মাস তারাবীহে কুরআন শুনলেন। যদি বুঝতে পারতেন তাহলে এ শোনার আনন্দ, তৃপ্তি ও সাওয়াব আরো অনেক বেশি হতো। কুরআনের নূরে হৃদয় আলোকিত হতো। আসুন সকলেই নিয়্যাত করি, আগামি রামাদানের আগে একবার অন্তত পূর্ণ কুরআন অর্থ সহ পাঠ করব। যেন আগামী রামাদানে তারাবীহের সময় কুরআন শোনার অন্তত কিছু বুঝতে পারি।

ড. মাহবুবা রহমান: সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা।

স্বর্ণের দাম কমলো

ফাইল ছবি

রেকর্ড দাম নির্ধারণের দুদিনের মাথায় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। স্থানীয় বাজারে ভরিতে ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, এদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৮ হাজার ৮০১ টাকা। যা সেদিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কমিটি গঠন বন্ধ ঘোষণা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কমিটি গঠন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন হবে না। এসব প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে?

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

তীব্র গরম, চুয়াডাঙ্গায় হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু

হিট স্ট্রোকে নিহত জাকির হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ। এই তাপদাহে জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করে মাইকিং করা হচ্ছে এক সপ্তাহ থেকে। এরই মাঝে আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) জেলার দামুড়হুদায় হিট স্টোকে জাকির হোসেন নামে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক দপ্তরি মারা গেছেন।

নিহত জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে ও ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছিলেন।

শনিবার সকাল ৭ টার দিকে মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে তিনি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এসময় কাজ করা অন্য কৃষকরা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

নিহত জাকির হোসেনের পিতা আমির হোসেন জানান, রোদ গরমে মাঠের ধান মরার অবস্থা। ধানের জমিতে সেচ (পানি) দেওয়ার জন্য জাকির সকাল ৭ টার দিকে মাঠে যায়। মাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর পাই ছেলে মাঠে স্ট্রোক করেছে। এসময় মাঠে থাকা অন্য কৃষকরা জাকিরকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে গেলে পথেই সে মারা যায়।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষক গবেষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ। পরে বেলা ১২ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। সবশেষ বিকেল ৩ টায় সর্বোচ্চ  ৪২.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

স্বর্ণের দাম কমলো
উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কমিটি গঠন বন্ধ ঘোষণা
তীব্র গরম, চুয়াডাঙ্গায় হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি নেতা আউয়াল মিন্টু
শ্যালক রুবেলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক
তীব্র তাপপ্রবাহ: সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা
এক গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ ‘বংশমর্যাদা’
ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরেছে ৪০৭ প্রাণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কে কত ভোট পেলেন?
সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি
চাঁদপুরে চলন্ত লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীদের
গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করার নির্দেশ
ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় যা জানালেন বেনজীর আহমেদ
স্বামীর প্রশংসা করার দিন আজ
টাঙ্গাইলে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন ছাত্রলীগ নেতা
চিন্তাও করিনি মাত্র ১৬ ভোটে হারবো: নিপুণ
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে মিশা-ডিপজল