শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অপ্সরা

লিলির বাম গালে একটা তিল ছিল। হাসলে ওকে বেশ সুন্দর লাগতো। যখন ও হাসতো, তখন ওকে জয়সলমীরের অস্তমিত সূর্যের মতো মনে হতো! তিলের জন্য লিলিকে আমি আদর করে নায়িকা বলে ডাকতাম। লিলি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহপাঠী ছিল। খুব ঠান্ডা মেজাজ আর সহনশীলতা ছিল ওর মাঝে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম থেকেই লিলিকে আমার ভাললেগে যায়। আমি ওর পিছু নেই এবং সফল হই।

লিলির বাবা ছিলেন একজন অধ্যাপক। জ্ঞান আর নীতির ভান্ডার! আমার কাছে ওনার কথা কখনও পছন্দ হতো না। আর, লিলির মা ছিল প্রচন্ড ধার্মিক। লিলির পরিবারের সাথে আমার ম্যাচিং না হলেও আমি লিলিকে পছন্দ করতাম। আমি আমার ছা'পোষা পরিবারকেও যে পছন্দ করতাম তাও নয়। আমি সব সময় সাধারণ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছি। নিজের মতো করেই নিজে বড় হতে চেয়েছি। লিলির বাবা শুধু মাত্র একটা কারণে লিলিকে আমার সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছিল। তা' হল মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্ট! দুই পরিবারেরই অভিন্ন সংস্কৃতি।

যখন প্রথম বার আমার শ্রীঘরে যাওয়া হয়, লিলি তখন বাবার বাড়ি চলে গেল। তার বাবা নাকি আমার জন্য সমাজে মুখ দেখাতে পারছিলেন না! আরে বাবা মানুষ বড় হতে গেলে একটু-আধটু ওসব না করলে চলে? লিলি তা' বোঝেনি আর লিলির বাবা-মা তারাও কি বুঝেছেন? আমার পরিবারের মানুষরাও কম কিসে? আমার এগিয়ে যাবার অন্তরায় আমার বড় ভাই তার সাথে সম্পর্ক চ্যুত করেছি। মাকে প্রায়ই ভুলে গিয়েছিলাম। আমার সাথে মা' দেখা করতে নারাজ; আমারও দেখা করার সুযোগ নেই। কিন্তু, লিলিকে ভুলিনি! কি দোষ ছিল আমার? আমার ভালোবাসায় তো' কোন ভুল ছিল না।

আমার পঞ্চম বার গারদে থাকার সময় ছিল দীর্ঘ। লিলি আর তার পরিবার মেনে নিতে পারেনি। চালান শেষ করার সময় সাদা পোশাক পড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা গ্রেপ্তার করে। আমি চিন্তাও করিনি কেউ আমাকে ধরতে পারবে। এবারের পরিকল্পনা নিচ্ছিদ্র ছিল। সফল হলেই মালয়েশিয়াতে একটা ফ্ল্যাট পেতাম। মানুষ তো এভাবেই বড় হয় নাকি? আমার উন্নতি মানুষের সহ্য হল আর কই!

মামলাটি আন্ডার ট্রায়াল ছিল এক বছরের বেশি সময়। শাস্তি হলে ১৪ বছর জেল! লিলি ও তার পরিবার মেনে নিতে পারেনি। আমি জানতাম ট্রায়ালে যাই হোক না কেন, জেল থেকে বেরুতে খুব বেশি সময় আমার লাগবে না। সবই সময়ের ব্যাপার! আমাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ন্যুনতম সময় দেওয়া উচিৎ ছিল। লিলি অপেক্ষা করেনি। আমার অনিবার্য ভবিষ্যৎ আন্দাজ করে, অন্যর বুকে সুখ খুঁজেছে। আমিও পারতাম আরও উপপত্নী রাখতে। আমি কি রেখেছি? আমি শুধু লিলিকে চিনেছি। আমি অস্ত্রের চালানের কাজ ধরেছিলাম লিলিকে নিয়ে মালয়েশিয়া সেটেল্ড হব বলে। আমার প্রেম লিলি বোঝেনি!

আমি তৃতীয় বার জেল থেকে বেরোলে আমার বড় ভাই আমাকে শাসন করেছিলেন! আমাকে জীবন ধারা পরিবর্তন করে স্বাভাবিক হতে বলেন! আমি কি অস্বাভাবিক মানুষ? এই পথে আরও অনেকেই হাঁটছে। তারা সফল হচ্ছে বলেই না আমরা তাদের উত্তরসূরী। আর, একবার মানিয়ে নিতে পারলেই যা আয়েশি জীবন! এরপর বড় ভায়ের সামনে আর কখনো যাইনি। আমার মা বলেছিলেন, সুন্দর করে সংসার করার জন্য। একটা ভালো পরিবারে বিয়ে হয়েছে, তাদেরও সম্মান রয়েছে। ওরা সবাই আমাকে বুঝতে ভুল করে! আমি তো প্রতিনিয়ত আমার উন্নতির জন্যই কাজ করে যাচ্ছি।

আমি দ্বিতীয় বার গ্রেফতার হবার কয়েক দিনের মাথায় জামিন পাই। এরপর লিলি আমাকে সাথে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। কারও কোন কথা শোনার আগেই শ্বশুড়বাড়িতে পুলিশ! অভিযান নেতৃত্বদানকারি ডিবির অফিসার আমার শ্বশুরের ছাত্র ছিলেন। অফিসারের খুব কষ্ট হচ্ছিল আমাকে পাকড়াও করার সময়। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল স্মাগলিং। এতে কোন প্রমাণ ছিল না। শুধুই সন্দেহ করেই হেনেস্তা করা।

আমি তখন জেলে। মামলার শুনানির দিনের অপেক্ষায়। একদিন শুনলাম রুবেলের সাথে লিলির বিয়ের কথা! ডিভোর্স এর কাগজ এসেছিল। তবে লিলি অপেক্ষা করতে পারতো। শেষ বার আমাকে বলে বিদায় নিয়ে পারতো। কিছুই করেনি; আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। আমি করার জন্য, কি করে যাচ্ছি!

লিলির তিলকে চুমু খেয়েছিল রুবেল! সেই তিলে! সাহস কত হারামজাদার? এই তিলকের দাম কোটি টাকার বেশি!
ঐ তিলকে শুধু আমার অধিকার! আর কারো না। তুই তিলক অপবিত্র করে দিয়েছিল। এই তিলক আর থাকবে না। আমি জেলে আর লিলি অন্যজনকে বিয়ে করেছে! ওর তিল থাকে কি করে? আপনারাই বলুন? আমি কি অন্যায় বলছি? আমি লিলিকে শেষ দেখা দেখছিলাম। আমার শিষ্য শূট্যার মিজান অস্ত্র তাক করে ফেলেছে। লিলি সব ব্যাখ্যা করতে চাইছে, ভুল ছিল কোথায়? বার বার ওর বর্তমান স্বামী রুবেলের জীবন ভিক্ষা চাইছে। লিলি তোমাকে ক্ষমা চাওয়া মানায় না! তুমি আমার স্ত্রী; তুমি টর্নেডো কামালের বউ! একটু হাস লিলি। আমি তোমার তিলকটা আবার দেখি। লিলির তিলক রক্তে লাল হয়ে গেল! সে লুটিয়ে পড়লো রাস্তায়। কখন যে মিজান মেশিন চালিয়েছে মনে নেই। লিলি লাল রক্তে লাল!! আমার লিলির শরীর লাল হয়ে গেছে। লিলির রক্তে রাস্তাও লাল হয়ে গেল।

বস লোকজন আসছে। মিজানের সাথে আমিও গাড়িতে ঊঠে বসি। আমাকে ধরে কোন শালা?

লিলির বাম গালে তিলক ছিল। হাসলে গালে টোল পড়তো। আমি পাগল হয়ে যেতাম! লিলির তিলটা ছিল বাংলাদেশের নায়িকা দিতির মতোই! সব মিলিয়ে লিলি আমার কাছে অপ্সরা ছিল। ওর মতো সুন্দর মেয়ে জীবনেও দেখিনি! হয়তো সুন্দর দেখেছি, কাঊকেই লিলির মতো মনে হয়নি। আমার জীবনে লিলি চক্রাকারে ঘূর্ণনায়মান বাসের মতো।
মরুভূমিতে দিনশেষে তপ্ত বালিতে হিমেল হাওয়া বয়। আমার জীবনের শেষে হিমেল হাওয়া হয়ে লিলি কখনো আসবে না। অপ্সরা লিলির জন্য ভালোবাসা অফুরান।

 

ডিএসএস/ 

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস শনাক্ত। ছবি: সংগৃহীত

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৩টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ আইসোলেশনে আসেনি এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৬৬ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫১ জন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। টানা চারদিন ধরে ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩ টার সময় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র তাপপ্রবাহে শুকিয়ে গেছে পুকুরের পানি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট ওয়েভ অ্যালার্ট জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। মাইকিং করে বলা হয়, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে চরম গরম অনুভূত হচ্ছে। রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। রোদের তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশ। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

গরম থেকে বাঁচতে পানিতে নেমেছেন শিশু-কিশোররা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, ‘তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, আপাতত বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না।’

২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।

গাছের ছায়ায় বসে আরাম করছেন ক্লান্ত মানুষজন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আশু মিয়া ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, প্রচণ্ড গরমে মাঠে জমিতে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। ভ্যাপসা গরমে বেশিক্ষণ মাঠে অবস্থান করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমিতে সেচ দেওয়ার পরও মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।
কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুজন আলী বলেন, সকালে কাজের জন্য অফিসে আসতে হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। সড়ক থেকে গরম উঠে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। বাইরে বেশি সময় অবস্থান করা যাচ্ছে না।

উথলী গ্রামের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, বারবার পানি পান করেও তৃষ্ণা মেটানো যাচ্ছে না। বৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। পরিবেশের ভারসাম্য বাজায় রাখতে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। ৪০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে প্রতিদিন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গাতে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে চুয়াডাঙ্গাতে বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার জন্য হিট ওয়েভ অ্যালার্ট (তীব্র তাপদাহের সতর্কতা) জারি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় তথ্য অফিসের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। এই গণসংযোগ চলবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজপথের আন্দোলনে বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন কেউই আমাদের দাওয়াতের বাইরে থাকবে না। আর সর্ব প্রথম দাওয়াত হবে নিজের নফসের প্রতি। আমাদের কথা ও কাজে যেন অমিল না থাকে। যেটা মানুষকে করতে বলব, সেটা যেন আমি নিজে আগে আমল করি।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি জনশক্তির কথাবার্তা, লেনদেন, সামাজিক কাজকর্ম আল্লাহর দ্বীন বা কোরআন অনুযায়ী হতে হবে। যতই বাঁধা আসুক আমরা ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাব। মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই আমাদের দাওয়াত কার্যকর হবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে অনলাইন মাধ্যম জুম, ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভ-এ ঈদপুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনে এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, রমজানের প্রকৃত শিক্ষাকে আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে হবে। যারা রমজানে তাকওয়া অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন মূলত তাদের জন্যই ঈদের আনন্দ। আমীরে জামায়াতের ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে ১৫ দিনব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ চলবে।

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
শহরে কৃষক লীগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না: ওবায়দুল কাদের
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০
পালিয়ে আসা ২৮৫ সেনা সদস্যকে ২২ এপ্রিল ফেরত নেবে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
বিমানবন্দরের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে পড়ল বাস, প্রকৌশলী নিহত
১০ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক লুৎফুলকে শোকজ করল আওয়ামী লীগ
হামলার পর ইসরায়েলকে যে হুমকি দিল ইরান
আওয়ামী লীগ দেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
স্বচ্ছতার সাথে অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তীব্র গরমের মধ্যেই ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, সন্দেহের জেরে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহত
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন