বরিশালে ঝড়ো হাওয়া, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল এরই মধ্যে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অপর দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড হয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)-এর তথ্যানুযায়ী, বরিশাল কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টমিটার ও উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বরিশালসহ দক্ষিণের জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। সাথে ঝড়ো বাতাস বয়ে চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, আসন্ন পূর্ণিমা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি। তবে গতকারের চেয়ে আজ প্রায় সব নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে।
এএজেড
