মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভোক্তা অধিকারের অভিযান, গ্যাস বন্ধের হুঁশিয়ারি ব্যবসায়ীদের

বাড়তি মূল্যে গ্যাস বিক্রির অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে উঠে এলো ১২১৯ টাকার গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকায়। বরিশাল নগরীর শীতলাখোলা গ্যাসের দোকানগুলোতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে দোকান এবং গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন।

সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে গ্যাস বিক্রির অভিযোগে ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে পর্যবেক্ষণ করতে গেলে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমি রাণী মিত্র, সাফিয়া সুলতানা এবং জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়া।

শনিবার (১৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর শীতলাখোলা গ্যাসের দোকানগুলো পর্যবেক্ষণ করে জেলা ও বিভাগীয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যবসায়ীদের গ্যাস ক্রয়ের চালান ও কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করার সময় ব্যবসায়ীরা ক্ষেপে যায়। একপর্যায়ে তারা বলেন, ‘বরিশালে গ্যাস সরবারহ বন্ধ হয়ে যাবে। গ্যাসের দোকানপাট সব বন্ধ করে দে।’ এসময় পুশিল তাদের থামাতে গেলে পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে তারা বলেন, ‘গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান’।

ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে একই স্থানে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গ্যাসের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বারবার তাদের সঙ্গে এমন আচরণে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বেশি দামে গ্যাস ক্রয় করে বরিশালে নিয়ে আসতে পরিবহন ও কর্মচারী খরচ বেড়ে গেছে। এতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা প্রতি ১২ কেজিতে বৃদ্ধি করে বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যথায় লোকসানে পড়তে হবে বলে জানান একাধিক ব্যবসায়ী।

এদিকে ভোক্তা অধিকার বলছে, প্রতি বোতলে ব্যবসায়ীরা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকারকে কোনো তথ্যই জানানো হয়নি। তারা নিজেদের মতো করে ইচ্ছা-স্বাধী ভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ক্রেতারা হয়রানির শিকার হচ্ছে।

বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা প্রতি ১২ কেজি গ্যাসের বোতল ক্রয় করে ১২৫০ টাকায়। এই ১২৫০ টাকার সঙ্গে আর ৪০ থেকে ৪৫ টাকা যুক্ত করে প্রতিটি ১২ কেজি গ্যাসের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১২৮০ থেকে ১৩০০ টাকায়।

প্রতি ১২ কেজি বোতলে ৪৫ টাকা বৃদ্ধির বিষয়টি জানতে কথা হয় গ্যাস ব্যবসায়ী সোহেলের সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমাদের প্রতি বোতল গ্যাস কিনতে হয় ১২৫০ টাকায়। একটি গাড়িতে ৬০ পিস বোতল ধরে। তার সঙ্গে একজন কর্মচারী থাকে যার বেতন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এরপর গাড়িতে তেল খরচ আছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতি বোতল ১২ কেজি গ্যাসে কস্টিং খরচ আসে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তাই আমাদের প্রতি বোতলে নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

এ বিষয়ে মো. রবি ইসলাম খান নামে আরেক গ্যাস ব্যবসায়ী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি নির্ধারিত ১২ কেজি গ্যাসের মূল্য ১২১৯ টাকা। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা ১২ কেজি গ্যাস বিক্রি করছি ১৩০০ টাকায়। সরকারি রেটের চেয়ে আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি। এর মূল কারণ হচ্ছে এই মুহূর্তে কোম্পানি আমাদের কাছে গ্যাস বিক্রি করছে ১২৫০ থেকে ১২৮০ টাকা দরে। এজন্য আমরা ১৩০০ টাকায় বিক্রি করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি রেট না মানার কারণে বরিশাল জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট জানতে আসছে। তখন চালান, ভ্যাট চালান এগুলো তাদের দেখানো হয়েছে। তখন তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’

এদিকে বরিশালে গ্যাস সরবারহ বন্ধ করার ব্যাপারে জনাতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো লস দিয়ে ব্যবসা করব না। আমার কর্মচারী আছে, বিদ্যুৎ বিল আছে, দোকান ভাড়া আছে। এ ছাড়া গ্যাস ১২৮০ টাকায় কিনে ১২১৯ টাকায় বিক্রি করব কীভাবে?’ তবে এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসকে অবগত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

দ্রব্যমূল্যের পাশাপাশি গ্যাস ব্যবসায়ীরা অনাকাঙ্ক্ষিত গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে ক্রেতারা পড়েছেন ভোগান্তিতে। ন্যায্যমূল্যে গ্যাস ক্রয় করতে পারছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

এদিকে আজ শনিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গ্যাস ক্রয়ের সকল কাগজপত্র ও চালানের ফটোকপি সংগ্রহ করেছেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করা হবে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়া ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের দাবি কোম্পানি তাদের কাছে বেশি দামে গ্যাস বিক্রি করে। এতে কম মূল্যে তারা খুচরা বিক্রি করতে পারছে না। তাই এ বিষয়ে ডিসি স্যারের কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানোর জন্য তাদের বলা হয়েছে।’

তবে ভোক্তা যেন ন্যায্যমূল্যে গ্যাস পায় এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলেও জানান তিনি।

এসজি/

Header Ad
Header Ad

সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবির বহিষ্কৃত ১২৮ ছাত্রলীগ নেতার নাম-পরিচয় প্রকাশ

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হামলা সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। বহিষ্কৃত ছাত্রদের তালিকায় নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনানসহ ১২৮ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এই তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বহিষ্কৃত অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের ইমন খান জীবন, বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান শেখ, বিজয় একাত্তর হলের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী এম সাকিব, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি এস এইচ স্বাধীন, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ওমর ফারুক, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের উপসম্পাদক ওমর ফারুক শুভ, জগন্নাথ হলের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়েলস সরকার; পালি অ্যান্ড বুড্ডিস্ট স্টাডিজ বিভাগের কাউসার হাসান, উর্দু বিভাগের কৌশিক হাসান পরশ, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের খালিদ মাহমুদ মিরাজ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আলম চৌধুরী, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার হোসেন, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হাসান অপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নাবিন হোসেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ, অর্থনীতি বিভাগের নাহিদ ভূইয়া, ইতিহাস বিভাগের নায়েব শাহরিয়ার, অপরাধ বিজ্ঞানের নিঝুম ইফতার, আরবি বিভাগের নিয়াজ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগ কর্মী নুরুল আমিন, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগ কর্মী নূরে আলম বিশ্বাস; কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের হুসাইন মোহাম্মদ সোহান, ফিন্যান্স বিভাগের হাসান সাইদ, দর্শন বিভাগের হারুন অর রশিদ, ঢাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বাগত আহমেদ, আইন বিভাগের সৈয়দ ইশতিয়াক ফারদিন, জসীমউদ্দীন হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল সুমন, জগন্নাথ হলের সুমন নন্দী, আইন বিভাগের শাহরিয়ার অনন, সূর্যসেন হলের শাহরিয়ার অভি, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের উপদফতর সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বিজয়, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি বিভাগের শুভ আলম, দর্শন বিভাগের শেখ নাসির উদ্দিন, আরবি বিভাগের শোয়াইব আহসান, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগ নেতা সজিবুর রহমান সজিবসহ ১২৭ জন শিক্ষার্থী।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রানিং শিক্ষার্থীর পাশাপাশি রয়েছেন কয়েক বছর আগে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করা শিক্ষার্থীরাও।

এ বিষয়ে ঢাবির প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ১২৮ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। পরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলাম।

প্রতিবেদনে অনেক সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধেও হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় তাদের একাডেমিক সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

তদন্ত কমিটির দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই হামলার সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টার এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে যাওয়ার পথে আহত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা। এ ছাড়া জরুরি বিভাগের ভেতরে আহতদের ওপর হামলা করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এক রাতে নিহত ৪০০ ছাড়াল, আহতের সংখ্যা ৬৬০

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় গতকাল রাতে দখলদার ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, হামলায় ৪১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং অন্তত ৬৬০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এই তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ২টার দিকে ইসরায়েল আকস্মিকভাবে গাজায় বোমা হামলা চালানো শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার তাণ্ডবে মুহূর্তের মধ্যেই ঝরে যায় শত শত মানুষের প্রাণ। হামলায় বহু ভবন ধসে পড়ে এবং সেগুলোর নিচে আটকে পড়েন আরও অনেকে, যাদের নাম এখনো আহত বা নিহতের তালিকায় যুক্ত করা হয়নি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতের সংখ্যা এত বেশি যে সেখানকার সব হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে রক্তদানের অনুরোধ জানানো হয়েছে। রক্তের সংকটের পাশাপাশি চিকিৎসকরা পেইনকিলার ও ব্যান্ডেজের সংকটেও ভুগছেন।

গত ১৭ দিন ধরে গাজায় সবধরনের ত্রাণ ও সহায়তা প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি দখলদাররা। সেখানকার মানুষকে সকল ধরনের সহায়তা থেকে বঞ্চিত করে নির্মম ও কাপুরুষোচিত এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, হামাস তাদের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং তারা তাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাই এই হামলা চালানো হয়েছে। অন্যদিকে হামাস জানায়, পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল যদি গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করে, তাহলে তারা সব জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দেবে। তবে ইসরায়েল এই চুক্তিতে সম্মত হয়নি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার তথ্যমতে, গাজায় নতুন করে নির্বিচার হামলা চালানোর পরিকল্পনা কয়েক সপ্তাহ আগেই ঠিক করা হয়েছিল। তাই ইসরায়েলের দাবি যে, হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে হামলা চালানো হয়েছে, সেটি সত্য নয়।

গাজার পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সহিংসতা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

১৫ দিনের মধ্যে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি গণঅধিকার পরিষদের

উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফের পদত্যাগ দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের আলটিমেটাম। ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদ, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগের জন্য ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে। তারা জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে উপদেষ্টারা পদত্যাগ না করলে, তারা গণঅভ্যুত্থানের সমস্ত শক্তি নিয়ে কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

রাশেদ খান আরও দাবি করেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানোর জন্য আওয়ামী লীগ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, "সম্প্রতি ওয়াসা নিয়োগ নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা বাতিল করা উচিত এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের নিয়োগও বাতিল করতে হবে।"

গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ফারুক হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। তাই ছাত্রদের মধ্যে যারা উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে।"

এছাড়া, তিনি দাবি করেন, হাইকোর্টের নির্দেশে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। তিনি ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করতে এবং 'ডামি এমপি'দের সম্পদ জব্দ করার কথাও উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের উচ্চ পরিষদ সদস্য দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান ও গণমাধ্যম সম্পাদক আবু হানিফ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবির বহিষ্কৃত ১২৮ ছাত্রলীগ নেতার নাম-পরিচয় প্রকাশ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এক রাতে নিহত ৪০০ ছাড়াল, আহতের সংখ্যা ৬৬০
১৫ দিনের মধ্যে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি গণঅধিকার পরিষদের
পাকিস্তানের কল সেন্টারে জনতার তাণ্ডব, শত শত ল্যাপটপসহ ইলেকট্রনিক পণ্য লুট!
নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে দাঁড়িয়েই ট্রাফিক পুলিশদের ইফতারি (ভিডিও)
যমুনা রেলসেতুতে দুর্নীতি হলে খতিয়ে দেখা হবে: রেলপথ সচিব
এবার খলনায়ক হয়ে ফিরছেন শাহরুখ খান, থাকছেন আল্লু অর্জুন!
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর নতুন প্রধান মহিউল ইসলাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ৬
আপনি কি পরিবারের বড় সন্তান? আপনাকে অভিনন্দন!
টিসিবির জন্য রাইস ব্রান তেল ও মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত সরকারের
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
শেখ হাসিনা ও রেহানার পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা জব্দ
ফেসবুক স্টোরি থেকেও আয়ের সুযোগ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীনে একাধিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান
নতুন দলের নিবন্ধন বিষয়ে ইসির জারিকৃত গণবিজ্ঞপ্তি হাইকোর্টে স্থগিত
সাবেক আইজিপি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম মারা গেছেন
বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নে যা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র
‘যমুনা রেল সেতু’র উদ্বোধন সম্পন্ন, হুইসেল বাজিয়ে ছুটল উদ্বোধনী ট্রেন