বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

বরগুনার বেতাগীতে বিএনপির উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি গঠনে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ ও কেন্দ্রীয় নেতার ছবিতে জুতা ও ঝাড়ু পেটা করেছেন বিএনপির পদ বঞ্ছিত নেতা কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার খাস কাঁচারি মাঠে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বেতাগী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান কবির।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতা মামুন মোল্লা এক সময় ছাত্রলীগ করতেন। বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা জাতীয় পার্টি থেকে এসে বিএনপিতে যোগদান করেছেন। তারা ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে জানে না। তারা মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে বেতাগী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি দিয়েছেন। ১১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা আহব্বায়ক কমিটির সদস্য সচিবসহ ৫ জনই বিতর্কিত আওয়ামী পন্থী। আমরা এই কমিটি বাতিল চাই।
বিক্ষোভকারীরা জানান, গত ২ আগস্ট বেতাগী উপজেলা বিএনপি ও পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক কমিটি দেয়া হয়। এতে ১১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আহবায়ক কমিটি ও ১৪ সদস্য বিশিষ্ট পৌর আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি। তাদের অভিযোগ, ওই কমিটিতে ত্যাগী ও জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মীদের পদ পদবী না দিয়ে টাকার বিনিময় পকেট কমিটি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ-উজ্জামান মামুন মোল্লার বলেন, আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তমূলক, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা বলা হচ্ছে। কমিটি অনুমদন দিয়েছে বরগুনা জেলা বিএনপি। শাহজাহান ভাইয়ের যদি কোন অভিযোগ থাকতো তাহলে তা দলীয় ফোরামে জানাতে পারত। রাস্তায় মানুষের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করে তিনি কান্ডজ্ঞানহীন নেতার পরিচয় দিয়েছে। বড় দলে কমিটি হলে এক গ্রুপ লাফালাফি করেই। এরা আবার থেমে যায়।
বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা বলেন, যারা রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে তারা অসাংগঠনিক লোক। টাকার বিনিময়ে কমিটি দিয়েছি এমন অভিযোগ মিথ্যা। শাহজাহান কবির দুইবার বহিষ্কৃত ছিল। তাকে উপজেলা কমিটিতে আহবায়ক না করায় তিনি এসব করছেন। আমরা তাকে শোকজ করবো।
এএজেড
