রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ | ৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সিলেটে এবার বালতি-কলস হাতে প্রতিবাদ

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পানির বিল বৃদ্ধি নিয়ে গত ৩ মাস ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন নগরবাসী। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বালতি ও কলসি হাতে রাস্তায় নেমে আসেন নগরীর ১ ও ৭নং ওয়ার্ডের নারী-পুরুষ। প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে সিসিককে দ্রুত এ সিদ্ধান্ত থেকে হতে আসার দাবি জানান তারা।

এদিকে, নগরবাসীর এমন প্রতিবাদের মুখে পানির বিল কমাতে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সিসিক। এবার পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে নগরভবনে আগামী ১ অথবা ২ জানুয়ারি সিসিক মেয়র আরিফুল হকের উপস্থিতিতে পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র মঙ্গলবার বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছে।

চলতি বছরের জুলাই থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) পানির বিল বাড়িয়ে দেয়। তারপর থেকে এ নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এমন পরিস্থিতিতে গত ১৩ ডিসেম্বর নগরভবনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে সিসিক কাউন্সিলরদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মেয়রের প্রতি কাউন্সিলররা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে পানির বিল কমানোর দাবি জানান। তবে এ বিষয়ে ওই দিন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে সিসিকের সাধারণ সভা ডেকে ‘নতুন সিদ্ধান্ত’ হবে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন মেয়র আরিফ। তবে ২০ ডিসেম্বর পেরিয়ে পুরো মাস শেষ হতে চললেও এ নিয়ে আর বৈঠক হয়নি নগরভবনে। যার ফলে ক্ষুব্ধ ও হতাশ নগরবাসী প্রতিদিন চালিয়ে যাচ্ছেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে বিকাল ৩টায় নগরীর ফাজিলচিশত এলাকায় ১ ও ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বালতি-কলসি হাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়।

জানা যায়, চলতি বছরের ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নগরীতে মাসিক পানির বিল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয় সেই সভায় কার্যকর করা হয় ১ জুলাই থেকে। কিন্তু পানির বিল বৃদ্ধির বিষয়টি সিসিক গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সবাইকে জানায় সিদ্ধান্তের ৪ মাস পর অর্থাৎ- গত ২ সেপ্টেম্বর। এরপর থেকে বাড়তি পানির বিল ঘিরে ‘জল ঘোলা করা’ শুরু হয় সিলেটে। করোনা পরিস্থিতিতে নানামুখী সংকটে পড়া মানুষ বাড়তি বিলের বোঝা টানতে নারাজ।

আবাসিক সংযোগে প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি ডায়ামিটারের (ব্যাস) লাইনে বিল ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা, পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে বিল ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা এবং এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে ১ হাজার টাকার পরিবর্তে দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।

বাণিজ্যিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি সংযোগে আধা ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে মাসিক বিল ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে ৭০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বাড়ানো হয়। এ ছাড়া, এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনে বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে মাসিক বিল দেড় হাজার পরিবর্তে ২ হাজার ২০০ টাকা, প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা এবং সরকারি গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা করা হয়।

এসইউ/এএন

Header Ad
Header Ad

দেশের নাম পরিবর্তন করা উচিত বলে আমরা মনে করি না: সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐকমত্য সংস্কার কমিশন কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন যে, দলটি সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে দেশের নাম পরিবর্তনকে সমর্থন করে না। পাশাপাশি, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সমতুল্য বিবেচনা করার বিষয়েও বিএনপি দ্বিমত পোষণ করে।

রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে বিএনপির প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি মনে করে যে, সংবিধান সংশোধনের কিছু প্রস্তাব নির্বাচিত প্রতিনিধি ক্ষমতা খর্ব করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, যা তারা মেনে নিতে পারে না। নির্বাচন আগে সংসদীয় পদ্ধতিতে হওয়া উচিত, গণভোট নয়।

তিনি আরও জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারের ক্ষেত্রে ২০টি প্রস্তাবের মধ্যে বিএনপি একমত। বিচার বিভাগের সব প্রস্তাবের সঙ্গে তারা একমত এবং প্রশাসন সংস্কারের ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে অর্ধেকের সঙ্গে একমত। বিএনপি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আদলে লোয়ার জুডিশিয়ারির সংস্কারের প্রস্তাবও দিয়েছে।

সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবে দেশের নাম পরিবর্তনের বিরোধিতা করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘২৪ ও ’৭১-কে একই কাতারে রাখা সমীচীন নয়। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে আলাদা করে উল্লেখ রাখা উচিত।’

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে গত ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি ও ‘স্প্রেডশিট’ পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন।

Header Ad
Header Ad

জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদের। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরে সেট্রাল ইন্টেলিজেন্স থেকে পাঠানো চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠি দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর দেওয়া হয়েছে।

গত ২০ মার্চ থেকে চাঁদাবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য ও দলীয় ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯-২০১৪ সালে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad
Header Ad

হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব : তাজউদ্দিনকন্যা শারমিন

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান তার নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলেন, যেভাবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

শারমিন আহমদ বলেন, শেখ মুজিব গ্রেফতার হওয়ার আগে তাজউদ্দিন আহমদকে কোনো নির্দেশনাই দিয়ে যাননি। তিনি নেতাকর্মীদের ছেড়ে নিজের পরিবারকে নিরাপদ স্থানে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাও দেননি এবং কোনো চেইন অব কমান্ডও নির্ধারণ করেননি।

তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিব জানতেন যে ক্র্যাকডাউন হতে যাচ্ছে। এরপরও তিনি নেতাকর্মীদের কোনো নির্দেশনা না দিয়ে বলেন, ‘তোমরা যা করার করবে।’ সেই রাতে তাজউদ্দিন আহমদ শেখ মুজিবকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নাই যে, যুদ্ধের মুখে জাতিকে ফেলে দিয়ে নেতা ধরা দিয়েছেন।’ কিন্তু শেখ মুজিব তখনও নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা দেননি।

শারমিন আহমদ আরও উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এতদিন চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে এবং অনেক সত্য এখনো বের হয়ে আসেনি। তিনি দাবি করেন, এই ইতিহাস বাদ দিয়ে সরকার শুধু ৭ মার্চ ও ২৬ মার্চের দিকেই নজর দিয়েছে এবং ১৯৭২ সালের দিকে চলে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর জাতীয় চার নেতার পরিবারের সঙ্গে শেখ পরিবারের বিরোধ সামনে আসে। তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ একাধিকবার অভিযোগ করেছেন যে, তাদের পরিবারকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন শেখ হাসিনা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের নাম পরিবর্তন করা উচিত বলে আমরা মনে করি না: সালাহউদ্দিন
জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব : তাজউদ্দিনকন্যা শারমিন
২৫ মার্চ সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন
১০ শতাংশ দাম কমছে ইন্টারনেটের
দীর্ঘ ৮ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর হবে মাইলফলক : চীনা রাষ্ট্রদূত
পাওনা আদায়ে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে তুলছে ইসলামী ব্যাংক
সাগরে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে সারজিসের দ্বিমত
টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় যাত্রীকে মারলেন পাইলট
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত
গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ভারত অবগত ছিল: জয়শঙ্কর
নামাজরত বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করল ছেলে
নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন, তদন্ত কমিটি    
গাজার পর লেবাননেও ইসরায়েলী হামলা  
দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস  
টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, দুর্ভোগে যাত্রীরা  
রাজধানীর সড়কে বসছে ‘রিকশা ট্র্যাপার’