শসা, গাজর ও বেগুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫ টাকা
রমজানকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে শসা, গাজর ও বেগুনের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২৫ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে শহরের পুরাতন আদালত রোডস্থ সাপ্তাহিক কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ীদের বাড়তি দামে এ তিনটি পন্য বিক্রি করতে দেখা যায়। কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীরা বলছেন পাইকারি দাম বেশি হওয়ায় বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনছেন ক্রেতারা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং এর দাবী তাদের।
বিক্রেতারাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রবিবার কাঁচা বাজারে শসা বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ২৫টাকা, বর্তমান বাজারে সেই শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। গাজর গত বাজারে ছিলো ২৫ টাকা, আজকের বাজারে তা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং বেগুনে ২৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তীত রয়েছে কাঁচামরিচের, টমেটো, লেবু ও মিষ্টি কুমড়োর দাম। বৃহস্পতিবারের বাজারে কাঁচামরিচ ৭০/৮০ টাকা, টমেটো- ২৫ টাকা, লেবু হালি- ৫০/৬০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়ো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।
কাঁচাবাজার খুচরা ব্যবসায়ী আবদুর রহিম বলেন, ৪ দিন আগে শসার বস্তা (৬০/৬৫ কেজি) ৭০০ টাকায় কিনেছি। সেই শসার বস্তা বর্তমান বাজারে ১৫০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। তাছাড়া বেগুন বেশি দামে কিনতে হয়েছে তাকে। এর সঙ্গে পরিবহন ব্যয় তো আছেই। মকামে বেশি দামে কিনতে হয়, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
পৌর শহীদ স্মৃতি একাডেমির শিক্ষক মো. হাসান ও চাকুরী জীবী কামাল হোসেন বলেন, রমজান মাসে ইফতারিতে শসা, গাজর ও বেগুনের চাহিদা বেশি থাকে। এতে ৪/৫ টাকা দাম বাড়াটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু হঠাৎ করে তিন দিনের ব্যবধানে দিগুণ হওয়াটা অস্বাভাবিক। প্রশাসনের তদারকির অভাবে রামজনকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত দাম বাড়াচ্ছে। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্ত শ্রেণীসহ নিম্ন আয়ের মানুষের। এ ব্যাপারে প্রশাসনের বাজার মনিটরিং এর দাবী জানান তারা।
লক্ষ্মীপুর কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, রমজানে ব্যবসায়ীরা যাতে পন্যদ্রব্য বাড়তি দামে বিক্রি করতে না পারে এ জন্য প্রতিনিয়তই তদারকি করা হচ্ছে। বাড়তি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসাইন আকন্দ বলেন, রমজানে কোন ব্যবসায়ী যাতে অসাধু সুবিধা নিতে না পারে এজন্য ভোক্তা সংরক্ষণ অদিধপ্তরসহ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। বাজার মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে। কোথাও অনিয়ম দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজেড