শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, সকালে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। বাসটি পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই ১৬ জনের মৃত্যু হয়।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু নাঈম মো.মোফাজ্জেল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, উদ্ধার কাজ চলছে। বিস্তারিত পরে জানা জানানো হবে।'
প্রতিবছরের মত এই ঈদেও একাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। তবে এই ঈদে তিনি আলোচনার থেকে বেশি সমালোচনার শিকার হচ্ছেন একটি নাটকের জন্য। নাটকের নাম ‘রূপান্তর’।
রাফাত মজুমদার রিংকু ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ভিত্তিক নাটকটি পরিচালনা করেছেন। এরই মধ্যে ‘রূপান্তর’ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার জের ধরে ইউটিউব চ্যানেল একান্ন মিডিয়া থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ‘রূপান্তর’ নাটকটি। সমালোচনার মুখে রূপান্তর নাটকটি নিয়ে কথা বলেছেন জোভান। সেই সঙ্গে তাকে বয়কটের ডাক দিয়েছে অনেকেই।
এর ফলে জোভান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর করবেন না।
এ প্রসঙ্গে জোভান গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমি বুঝতে পারছি না নাটকটি নিয়ে কেন এমন সমালোচনা করা হচ্ছে। নাটকটির ভিউ হয়েছিল নব্বই হাজার। তাহলে বাকি মানুষ তো দেখেনি! আমার মনে হয় না তারা দেখেই সমালোচনা করছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ঘোরের মধ্যে আছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে।
বয়কটের ডাক দ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন নায়কের ভাষ্য, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। কারণ সামগ্রিকভাবে কথা বলার চেয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণটা বেশি হচ্ছে।
তবে নেটিজনেদের এমন সমালোচনার মুখে জোভান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দর্শক পছন্দ করেন না এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় করবেন না। বললেন, যেহেতু মানুষ পছন্দ করছে না সেহেতু এসব আর করা যাবে না। এরপর থেকে এগুলো আর করব না।আমি ভেবেছি এটা নিয়ে একটি বিবৃতি দেব। ওই বিবৃতির মাধ্যমে আমার কথাগুলো জানাব।
এই ইস্যুতে নাটকের পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন বিষয়বস্তু অবহিত না করে আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থীভাবে নাটকটিতে তাদের বিজ্ঞাপনী প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তিও বাতিল করেছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
নীহার আহমেদের চিত্রনাট্যে নাটকটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান। গল্পটি মূলত একজন তরুণ চিত্রশিল্পীকে ঘিরে। যিনি শৈশবে ট্রেন দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। যার ফলে তিনি জানতেই পারেননি তার বাবা-মা কে কিংবা কোন ধর্মের মানুষ। বড় হয়েছেন শিশু আশ্রমে। বড় হয়ে হয়েছেন চিত্রকর। পেয়েছেন খ্যাতিও। এর মধ্যে একজন ধনীর দুলালী তার আঁকায় মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন। বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয় চিত্রকরকে। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাকে দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। এরপর তার চিকিৎসকের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি আসলে একটি হরমোন জনিত বিরল জটিলতায় ভুগছেন। তিনি দেখতে পুরুষের মতো হলেও মানসিকভাবে তিনি একজন নারী।
ইউটিউবে মুক্ত হওয়া এই নাটকটি নিয়ে ১৬ এপ্রিল সকাল থেকে অন্তর্জালে চলছে তুলকালাম। দিনজুড়ে অন্তত শতাধিক পোস্ট ও লাখ প্রতিক্রিয়া মিলছে নাটকটির বিরুদ্ধে। বয়কটের ডাক এসেছে এর অভিনেতা জোভান ও স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের বিরুদ্ধেও। সামাজিক মাধ্যমে বলা হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে নাটকটি বানানো হয়েছে। আরেকটি পক্ষ বলছে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুকে কেন্দ্র করে না জেনেই পরিচালক মনগড়া কথা বলছেন। অন্য একটি পক্ষ দাবি করছে, ট্রান্সজেন্ডার কনসেপ্টকে প্রচারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিনভর এই নাটক নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা চলতে থাকে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে প্রাণঘাতী হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরান সরাসরি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায়। প্রতিশোধমূলক এই হামলার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) তিনি বলেছেন, গত ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় আমাদের হৃদয়ে যে উত্তেজনা গ্রাস করেছিল, তার জন্য প্রধান দায়ী হলেন নেতানিয়াহু এবং তার নিষ্ঠুর প্রশাসন।
আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে এরদোগান বলেন, গত শনিবারের ঘটনাগুলোকে শূন্যতায় দেখা অন্যায়। তিনি বলেন, ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় আমাদের হৃদয়ে যে উত্তেজনা গ্রাস করেছিল তার জন্য প্রধানত একজন দায়ী, তিনি হলেন নেতানিয়াহু এবং তার রক্তাক্ত প্রশাসন।
এরদোগান বলেন, ৭ অক্টোবর থেকে, ইসরায়েলি সরকার পুরো অঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বেছে নিয়েছে। ইসরায়েলি সরকার আন্তর্জাতিক আইন এবং ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
এরদোগান বলেন, আমরা পশ্চিমা দেশগুলির দ্বৈত-মানিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখেছি, মাত্র কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের পদক্ষেপের নিন্দা করেছে, কিন্তু ইরানের প্রতিক্রিয়াকে নিন্দা করতে তারা ছুটে গেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, এরদোগান সাধারণভাবে বর্তমান সংঘাতের জন্য ইসরায়েলকেও দায়ী করে বলেছেন, তার বাহিনী গাজায় ‘নির্বিচারে’ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে, যার মধ্যে মানবিক সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরাও রয়েছে। তুর্কি নেতা দাবি করেন, ১৩২ দিনেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল গণহত্যামূলক নীতি বাস্তবায়ন করছে।
মদিনায় জিয়ারত করতে যাওয়া হজ-ওমরাহকারীদের বিনামূল্যে চা, কফি, খেজুরসহ বিভিন্ন খাবার বিতরণ করতেন অশীতিপর বৃদ্ধ শেখ ইসমাইল আল-জাইম আবু আল-সাবা।
হজ-ওমরাহ করতে যাওয়া অনেকেই বিভিন্ন সময় তাকে দেখেছেন, তার দেওয়া খাবার খেয়েছেন। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি হজ-ওমরা পালনকারীদের মধ্যে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করেছেন। অনেক বাংলাদেশি হাজি তার হাতে চা-কফি পান করেছেন।
সদাহাস্য সিরিয়ান এই নাগরিক মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৯৬ বছর বয়সে মদিনায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হারামাইনের খবর সরবরাহকারী ভেরিফায়েড পেইজ ‘ইনসাইড দ্য হারামাইন’ এই খবর জানিয়ে তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।
জানা যায়, প্রতিদিন ৪০টি ফ্লাস্কে করে চা-কফি আনতেন তিনি। এ জন্য একটি বিশেষ ট্রলি ব্যবহার করতেন, মসজিদে নববিতে যাওয়া অন্যতম পথ জায়েদিয়া এলাকায় বসতেন তিনি। সবুজ চা, লাল চাসহ নানা স্বাদের চা বানিয়ে আনতেন। থাকত চিনিযুক্ত, চিনিমুক্ত চা-কফি। এছাড়া এলাচযুক্ত চা, পুদিনা চা, বিভিন্নরকমের মশলাযুক্ত চা আনতেন।
তিনি রাস্তার পাশে বসে পথচারীদের মধ্যে চা, কফি, খেজুর, রুটি ও বিস্কুট বিনামূল্যে বিতরণ করতেন। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করতেন ছেলেরা। কেউ কিছু দিতে চাইলে বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখান করতেন।
গত বছর সৌদি আরবের প্রভাবশালী পত্রিকা আল আরাবিয়া তাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সিরিয়ার নাগরিক শায়খ ইসমাইল প্রায় ৪০ বছর ধরে মদিনায় বসবাস করে আসছিলেন। মদিনার কুবা এভিনিউতে একটি সাধারণ বাড়িতে বসবাস করলেও নিজের সম্পদ পুরোটাই উৎসর্গ করেছিলেন হজ ও উমরা যাত্রীদের খেদমতে।
টানা চার দশক ধরে অনন্য এই সেবার কারণে সবার কাছে তিনি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হন। তার মৃত্যুতে মদিনায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বাংলাদেশের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্মৃতিচারণের পাশাপাশি শোকপ্রকাশ করে তার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।