বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নতুন ঘর, চোখেমুখে হাজারো স্বপ্ন

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের মাসুদ রানা (৪২)। আশ্রয়ণ প্রকল্পের নতুন একজন সদস্য হতে চলছেন। তার আগের ঠিকানা ছিল উপজেলার অলোয়া গ্রামে। ২০১১ সালে তিনি সিএনজি দুর্ঘটনার শিকার হন। দুর্ঘটনার দিন জীবিকার তাগিদে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে শহরের চরপাড়া নামক স্থানে ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে মাসুদের দুই পা ও ডান হাত বিকল হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে। মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় চলত সংসার। অন্যদিকে তার ভিটেমাটি না থাকায় ৪ সদস্যের পরিবার নিয়ে গাদাগাদি করে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি।

পঙ্গুত্ব বরণের ২ বছর পর কিছুটা সুস্থ হয়ে ধারদেনা করে ভাড়া নেওয়া বাড়িটির একপাশে ছোট একটি চায়ের দোকান শুরু করেন। একদিকে বাড়িভাড়া, আরেক দিকে পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খান মাসুন। এভাবে খেয়ে-না খেয়ে চলে তার অভাবের সংসার। ২০২১ সালের দিকে জানতে পারেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী অসহায়, ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছেন। তা শুনে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে। সেখান থেকে দিকনির্দেশনা মতে ঘরের জন্য আবেদন করেন।

মাসুদ বলেন, আবেদনের পরে যাচাই-বাছাই শেষে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্যারের সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাকা নতুন ঘর পেয়েছি। যেন স্বপ্নের নতুন ঠিকানায় উঠেছি। একইসঙ্গে ২ শতাংশ জায়গা, বিদ্যুৎ ও যাতায়াতের রাস্তাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও পেয়েছি। ভাবতেই পারেনি মুহূর্তেই আমার পঙ্গুত্ব জীবন ও পরিবারের স্বপ্ন বদলে যাবে। এর ফলে সন্তানদের স্কুল-মাদ্রাসায় পাঠাতে পেরেছি। আমার এ স্বপ্নপূরণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ইউএনও এবং পিআইও স্যারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

কথা হয় উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মমতা রানী শীলের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার জায়গা-জমি ছিল না। রাস্তার পাশে অন্যের জমিতে ভূমিহীন অবস্থায় ঝুপড়ি ঘর তুলে থাকতাম স্বামী-সন্তান নিয়ে। স্বামী নাপিতের কাজ করে যা রোজগার করে তা দিয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতাম। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেয়েছি। আশ্রয় পেয়ে আমরা আনন্দিত। দিনশেষে আপন ঠিকানায় ফিরছি। ইউএনও স্যার আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। স্যারের কাছে দাবি, আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে চুলকাটা দোকানের জন্য একটু জায়গা চাই।



সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভূঞাপুর পৌরসভার শিয়ালকোলস্থ ফায়ার সার্ভিসের পাশে চতুর্থ পর্যায়ে ১২টি নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানেও কয়েক সপ্তাহ ধরে উপকারভোগীরা বসবাস করছেন। নতুন এ স্বপ্নের ঠিকানা পেয়ে নিজ নিজ ঘর গোছাতে ও কাজ-কর্মে ব্যস্ত নববাসিন্দারা। মুহূর্তেই বদলেছে এসব দরিদ্র-অসহায় মানুষের জীবনমান। তারা এখন বসবাস করছে রঙিন টিন আর পাকা দেয়ালের আধপাকা বাড়িতে। এর মধ্যেই অল্প সময়ে কেউ করছেন হাঁস-মুরগি-ছাগল-গরু পালন। সুযোগ পেলে মুদিখানা, সেলুন ও দর্জি দোকান করার আশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

আশ্রয়ণে আসা নতুন বাসিন্দারা স্থায়ী ঠিকানা পেয়ে তাদের চোখেমুখে হাজারো স্বপ্ন। সকাল হলেই সন্তানদের পাঠাচ্ছেন স্কুলে। দুশ্চিন্তা ছেড়ে নিশ্চিন্ত মনে কাজ করছেন। সরকারের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর থেকে নিচ্ছেন নানা ধরনের কর্মসংস্থানের প্রশিক্ষণ। অনেকের মাঝে একাডেমিক শিক্ষা না থাকলেও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রকল্পের বাসিন্দারা হয়ে উঠছেন আত্মনির্ভরশীল। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত তদারকির ফলে এগিয়ে যাচ্ছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের দরিদ্র ও আশ্রয়হীন বাসিন্দারা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় উপজেলায় মোট ২৪২টি ঘর নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হয়। তার মধ্যে চতুর্থ দফায় ৭২টি ঘরের কাজ শুরু চলমান। ইতোমধ্যে ৩০টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলো আগামী ২২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন এবং উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি স্বপ্নের প্রকল্প এটি। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় এ পর্যন্ত ২১২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে ৪২টি ঘর নির্মাণ করা হয়। তার মধ্যে ৩০টি ঘর আগামী ২২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। এই ঘরগুলো টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আমাদের উপজেলা পর্যায়ে ঘর নিমার্ণ কমিটির সদস্য, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সবাইকে নিয়ে কাজের গুণগত মানোন্নয়ন বজায় রেখে অত্যন্ত সুন্দরভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনিরের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং উপজেলার সব জনপ্রতিনিধির সম্পৃক্ত রেখে প্রকৃত ভূমি ও গৃহহীন যারা আছে তাদেরকে তালিকা করে তাদের মাঝে এ ঘরগুলো দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে ঘরগুলো উদ্বোধনের দিন ৩০ জন উপকারভোগীদের মাঝে অন্যান্য কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হবে। ঘর পাওয়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তারা ঘরগুলো পেয়ে অনেক খুশি ও উচ্ছ্বসিত। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে এ ঘরগুলো আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করব।

এসজি

রাজবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে স্কু‌লশিক্ষকের মৃত্যু

রাজবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে স্কু‌লশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে হিটস্ট্রোকে মো. নুর ইসলাম (৭৫) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপু‌রে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে তিনি মারা যান। তি‌নি গোয়ালন্দ পৌরসভার বালিয়াডাঙ্গার বা‌সিন্দা।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধ নুর ইসলাম মাস্টার স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। বুধবার বেলা ১০টার দিকে প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে নিজ বাড়ির আঙিনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের লোকজন দ্রুত এগিয়ে গিয়ে প্রথমে তার মাথায় পানি ঢালেন। পরে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যে বেলা ১১টার দিকে বৃদ্ধ নূর ইসলাম মাস্টার মারা যান।

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওই ব্যক্তি ডায়াবেটিকস ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এ অবস্থার মধ্যে তিনি রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকায় পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়ে স্ট্রোক করে। তাকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

অভিযুক্ত চিকিৎসক মোছা. তাহেরা খাতুন লাভলী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুর রাইয়ান ক্লিনিকে মাইমুন্না আক্তার মীম (১৮) নামের এক প্রসূতির সিজারের পরে পেটের মধ্যে গজ ও ফুল রেখে সেলাই দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডা. মোছা. তাহেরা খাতুন লাভলীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রসূতির বাবা বাদী হয়ে জেলা সিভিল সার্জনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ৩ সদস্যে একটি তদন্তের টিম গঠন করেন দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার এই তিন জনকে তদন্তের দায়িত্ব দেন জেলা সিভিল সার্জন। প্রসূতি মাইমুন্না আক্তার মীম নবাবগঞ্জ উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের ইসাহাক আলীর স্ত্রী।

রাইয়ান হেলথ কেয়ার হসপিটাল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

প্রসূতির বাবা মতিয়ার রহমান বলেন, আমার মেয়ের প্রসব ব্যথা উঠলে, গত ৬মার্চ বিরামপুর রাইয়ান ক্লিনিকে ভর্তি করি। পরে ওইদিন ডা. তাহেরা খাতুন আমার মেয়ের সিজার করেন। তিনদিন পর মেয়েকে রিলিজ দেয় এবং বাড়ি নিয়ে যাই। ৭দিন পর সেলাই কাটা হয়। সেলাই কাটার ২৭ দিন পর মেয়ের রক্তক্ষরণ শুরু হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। আবার চলতি মাসের ৩ তারিখে রাইয়ান ক্লিনিকে ভর্তি করি। ভর্তি করে চিকিৎসা নিলেও রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি। শেষে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। ডাক্তাররা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবারও মেয়ে অপারেশন করেন। তখন ডাক্তাররা বলেন মেয়ের পেটের মধ্যে গজ ও অনেক ময়লা ছিল। এছাড়াও আপনার মেয়ের জরায়ুতে ইনফেকশন হয়েছিল, তা কেটে ফেলা হয়েছে, সে আর মা হতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে আর কোনোদিন মাতৃত্বের স্বাদ নিতে পারবে না, তার জীবন শেষ। আমি আমার মেয়ের এই ক্ষতির ন্যায্য বিচার চাই। সিভিল সার্জনের নিকট অভিযোগ করেছি। আমি চাই আর কোন মেয়ের যেন এমন সর্বনাশ না হয়।

প্রসূতি মাইমুন্না আক্তার মীম বলেন, গত ৬ মার্চ আমার প্রসব ব্যথা উঠে। আমাকে হাসপাতালে নিলে সেখানে ডা. তাহেরা ম্যাডাম আমার সিজার করেন। পরে আমার প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। দিনাজপুরে আবার আমার অপারেশন করে। অপারেশন করে আমার পেট থেকে গজ আর অনেক ময়লা বের করা হয়। ডাক্তাররা বলেন আমি আর কোনোদিন মা হতে পারবো না।

অভিযুক্ত চিকিৎসক মোছা. তাহেরা খাতুন লাভলী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

রাইয়ান ক্লিনিকের ম্যানেজার মাহবুব আলম বলেন, গত ৬মার্চ আমাদের ক্লিনিকে মাইমুন্না আক্তার মীম নামের একজন প্রসূতি ভর্তি হয়। ডা. মোছা. তাহেরা খাতুন লাভলী ম্যাডাম তার সিজার করেন। কিছু দিন পর ওই রোগীর রক্তক্ষরণ হয় এবং আমাদের এখানে আবারও ভর্তি করান। সেদিন তাহেরা ম্যাডাম ছিলেন না, দিনাজপুর ছিলেন। শেষে আমাদের ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্স করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম রসূল রাখি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোছা. তাহেরা খাতুন লাভলীর বিরুদ্ধে একজন প্রসূতির সিজার নিয়ে দিনাজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে। আমি ও দুইজন মেডিকেল অফিসারসহ তিন সদস্যের একটি তদন্তের টিম গঠন করে দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রসূতির পরিবারের লোকজনকে ডাকা হয়েছে, তদন্ত চলছে।

এ বিষয়ে ডা. মোছা. তাহেরা খাতুন লাভলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। তার পেটে কোনো গজ বা ফুল রাখা হয়নি। এটা আমাকে হেয়ো করার চেষ্টা করছে। তবে যদি দিনাজপুর মেডিকেল রিপোর্টে আমার ভুল প্রমাণিত হয় তাহলে আমি অপরাধ মেনে নিবো।

তাপদাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ সচিব

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে নাজেহাল অবস্থা সবার। এর মাঝে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ। কিছু এলাকায় বিদ্যুতের এ লুকোচুরি অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে মানুষকে। তবে খুব শিগগিরই গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দিলেন না বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান। তাপদাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না বলে জানান তিনি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুরের ইসলামপুরে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনের জায়গা পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, যা চাহিদা, তার তুলনায় একটু কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, এর জন্য লোডশেডিং হচ্ছে। তবে হিটওয়েভ কমে গেলে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তখন আর লোডশেডিং থাকবে না৷ আর লোডশেডিং কিন্তু বেশি না।

তিনি আরও বলেন, বোরো মৌসুমে সেচের জন্য আমরা অগ্রাধিকার দেই। যাতে সেচে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। কেপিয়াই এরিয়াগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বাদ দিয়ে বাকি সব জায়গায় সমানভাবে লোডশেডিং দেওয়া হয়।

পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন সম্পর্কে তিনি বলেন, চরের মধ্যে সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করা যায় কি না, সেটার সম্ভব্যতা দেখার জন্য এখানে এসেছি, দেখে গেলাম কী অবস্থা। সোলার পাওয়ার প্লান্ট করে মানুষের উপকার করা যায় কি না৷ প্রায় ২০ হাজার একর জমির চর, তাই এখান থেকে সাত হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

এসময় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তী, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

রাজবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে স্কু‌লশিক্ষকের মৃত্যু
প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
তাপদাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ সচিব
ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ভিডিও পাঠাবেন যেভাবে
ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি নারী বক্সার জিন্নাত ফেরদৌস
নিজে না মেরেও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াজ
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল
ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
কালশী উড়ালসেতুর নাম বদলে হলো শেখ তামিম মহাসড়ক
ক্যান্সারে না ফেরার দেশে পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ
গাইবান্ধায় ‘শ্রুতিকটু’ ৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
হিটস্ট্রোকে প্রাণ হারালেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইশতিয়াক
মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন থেকে না সরলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে বাস, পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল ট্রেনের যাত্রীরা
ইনশাল্লাহ স্পিন বিভাগে পার্থক্য গড়ব : বাংলাদেশের নতুন কোচ
ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
এফডিসিতে সাংবাদিক-শিল্পীদের মারামারি, কী ঘটেছিল?
তীব্র গরমের মধ্যে ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়াল লোডশেডিং
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ