রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ | ৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন, ৩৮ মরদেহ উদ্ধার

ছবি : সংগৃহীত

ঝালকাঠিতে মাঝনদীতে যাত্রীবোঝাই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক বিল্লাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। দগ্ধ অবস্থায় অর্ধ শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।

বিল্লাল উদ্দিন বলেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের নামপরিচয় এখনো জানা যায়নি।

তবে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। লঞ্চে প্রায় এক হাজার যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।

যাত্রীরা জানান, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি নদীর তীরের দিয়াকুল গ্রামে এলাকায় ভেড়ানো হয়।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তাদের মোট পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোসহ উদ্ধার কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। প্রাণে বাঁচতে বেশ কয়েকজন নদীতে ঝাঁপ দেন।

ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। যতক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ওই লঞ্চটির এমন কোনো অংশ নেই যেখানে আগুনের ভয়াবহতা পৌঁছেনি। কেবিনে থাকা যাত্রীরা সেখানেই পুড়ে ছাই হয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে মরদেহ শনাক্ত করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, আগুনে ৭০-৮০ জন দগ্ধ হয়েছেন। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধদের দ্রুত পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর দগ্ধদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, লঞ্চটিকে বর্তমানে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউড়ি সাইক্লোন শেল্টারের পাশে (বিষখালী নদীর তীরে) নোঙর করা হয়েছে।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নদীতীরে স্বজনরা ভিড় করছেন। এই ভিড় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে। বাড়ছে নদীর তীরে স্বজনদের আহাজারি। এদের মধ্যে বেশিরভাগই জানেন না তাদের প্রিয়জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে।

লঞ্চে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

টিটি/এসএ/

Header Ad
Header Ad

দেশের নাম পরিবর্তন করা উচিত বলে আমরা মনে করি না: সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐকমত্য সংস্কার কমিশন কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন যে, দলটি সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে দেশের নাম পরিবর্তনকে সমর্থন করে না। পাশাপাশি, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সমতুল্য বিবেচনা করার বিষয়েও বিএনপি দ্বিমত পোষণ করে।

রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে বিএনপির প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি মনে করে যে, সংবিধান সংশোধনের কিছু প্রস্তাব নির্বাচিত প্রতিনিধি ক্ষমতা খর্ব করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, যা তারা মেনে নিতে পারে না। নির্বাচন আগে সংসদীয় পদ্ধতিতে হওয়া উচিত, গণভোট নয়।

তিনি আরও জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারের ক্ষেত্রে ২০টি প্রস্তাবের মধ্যে বিএনপি একমত। বিচার বিভাগের সব প্রস্তাবের সঙ্গে তারা একমত এবং প্রশাসন সংস্কারের ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে অর্ধেকের সঙ্গে একমত। বিএনপি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আদলে লোয়ার জুডিশিয়ারির সংস্কারের প্রস্তাবও দিয়েছে।

সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবে দেশের নাম পরিবর্তনের বিরোধিতা করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘২৪ ও ’৭১-কে একই কাতারে রাখা সমীচীন নয়। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে আলাদা করে উল্লেখ রাখা উচিত।’

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে গত ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি ও ‘স্প্রেডশিট’ পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন।

Header Ad
Header Ad

জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদের। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরে সেট্রাল ইন্টেলিজেন্স থেকে পাঠানো চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠি দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর দেওয়া হয়েছে।

গত ২০ মার্চ থেকে চাঁদাবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য ও দলীয় ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯-২০১৪ সালে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad
Header Ad

হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব : তাজউদ্দিনকন্যা শারমিন

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান তার নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলেন, যেভাবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

শারমিন আহমদ বলেন, শেখ মুজিব গ্রেফতার হওয়ার আগে তাজউদ্দিন আহমদকে কোনো নির্দেশনাই দিয়ে যাননি। তিনি নেতাকর্মীদের ছেড়ে নিজের পরিবারকে নিরাপদ স্থানে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাও দেননি এবং কোনো চেইন অব কমান্ডও নির্ধারণ করেননি।

তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিব জানতেন যে ক্র্যাকডাউন হতে যাচ্ছে। এরপরও তিনি নেতাকর্মীদের কোনো নির্দেশনা না দিয়ে বলেন, ‘তোমরা যা করার করবে।’ সেই রাতে তাজউদ্দিন আহমদ শেখ মুজিবকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নাই যে, যুদ্ধের মুখে জাতিকে ফেলে দিয়ে নেতা ধরা দিয়েছেন।’ কিন্তু শেখ মুজিব তখনও নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা দেননি।

শারমিন আহমদ আরও উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এতদিন চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে এবং অনেক সত্য এখনো বের হয়ে আসেনি। তিনি দাবি করেন, এই ইতিহাস বাদ দিয়ে সরকার শুধু ৭ মার্চ ও ২৬ মার্চের দিকেই নজর দিয়েছে এবং ১৯৭২ সালের দিকে চলে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর জাতীয় চার নেতার পরিবারের সঙ্গে শেখ পরিবারের বিরোধ সামনে আসে। তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ একাধিকবার অভিযোগ করেছেন যে, তাদের পরিবারকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন শেখ হাসিনা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের নাম পরিবর্তন করা উচিত বলে আমরা মনে করি না: সালাহউদ্দিন
জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব : তাজউদ্দিনকন্যা শারমিন
২৫ মার্চ সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন
১০ শতাংশ দাম কমছে ইন্টারনেটের
দীর্ঘ ৮ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর হবে মাইলফলক : চীনা রাষ্ট্রদূত
পাওনা আদায়ে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে তুলছে ইসলামী ব্যাংক
সাগরে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে সারজিসের দ্বিমত
টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় যাত্রীকে মারলেন পাইলট
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত
গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ভারত অবগত ছিল: জয়শঙ্কর
নামাজরত বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করল ছেলে
নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন, তদন্ত কমিটি    
গাজার পর লেবাননেও ইসরায়েলী হামলা  
দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস  
টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, দুর্ভোগে যাত্রীরা  
রাজধানীর সড়কে বসছে ‘রিকশা ট্র্যাপার’