রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ | ৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

দেশি মাছের জন্য হুমকি সাকার মাছ

সাকার মাছ

সাকার ফিশ নামে এক প্রজাতির মাছ মানুষের কাছে বেশ পরিচিত। এর পুরো নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস। অ্যাকুরিয়ামে চাষযোগ্য বিদেশি প্রজাতির এই ক্ষতিকর মাছটি এখন হরহামেশাই দেখা মিলছে ময়মনসিংহের বিভিন্ন নদ-নদী, হাওর ও জলাশয়ে। সম্প্রতি নদ-নদী, পুকুর ও হাওরে পানি বাড়ার পর এই মাছটি ব্যাপকহারে দেখা যাচ্ছে। এর বিস্তার বাড়লে দেশের মৎস্যখাত হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন মৎস্য গবেষকরা।

বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রজাতির সাকার ফিশ ১৬-১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হলেও মাছটি পানি ছাড়াই প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
মৎস্য আইন ২০১১ অনুযায়ী বাংলাদেশে দেশীয় প্রজাতির মাছের ক্ষতি সাধন হয় এমন যে কোনো বিদেশি মাছ চাষ দণ্ডনীয় অপরাধ।

গবেষকরা বলছেন, দ্রুত বংশবিস্তার ও প্রচুর খাদ্য গ্রহণের কারণে জলাশয়ের অন্যান্য মাছ ও প্রাণীর জন্য হুমকি হয়ে ওঠেছে সাকার ফিশ। ইতিমধ্যে এই মাছের কারণে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে মিয়ানমার ও আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ। তবে বাংলাদেশে দ্রুত বংশ বিস্তারকারী মাছটি কীভাবে উন্মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়েছে তার সঠিক তথ্য দিতে পারছে না কেউ। তবে দেশের মৎস্য খাতকে ধ্বংস করতে এই মাছটি দেশের প্রত্যন্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে কোনো চক্র জড়িত কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু এরই মধ্যে জলাশয়ের মাছ চাষিদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মাছ।

সাকার মাছ মূলত বাড়ি বা অফিসে রাখা অ্যাকুরিয়ামের শোভাবর্ধন করত। অনেকে এটিকে চেনে অ্যাকুরিয়ামের ময়লা খেকো মাছ হিসেবে। কারণ শোভাবর্ধনের পাশাপাশি মাছের বর্জ্য এবং অ্যাকুরিয়ামের অন্যান্য ময়লা খেয়ে ফেলে এই মাছ। অনেকে শুরুর দিকে অ্যাকুরিয়াম ফিশ হিসেবে পালন করলেও পরবর্তীকালে মাছটি বড় হয়ে গেলে পুকুর বা ডোবায় ছেড়ে দেন। সেখানে মাছটি নতুন পরিবেশে খাপ খেয়ে বংশবিস্তার শুরু করে। মাছটি খেতে সুস্বাদু না হওয়ায় সাধারণত কেউ মাছটি খায় না এবং বাজারেও মাছটির তেমন চাহিদা নেই।

দেশের শতকরা ২২ ভাগ মাছ উৎপাদন হয় ময়মনসিংহ জেলায়। কিন্তু কয়েকমাস ধরে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জসহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) জলাশয়গুলোতে এই মাছটি ব্যাপকহারে দেখা যাচ্ছে। এমনকি ময়মনসিংহে অবস্থিত মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফিসারিতেও দেখা গেছে এই ক্ষতিকর মাছ। আগে সবসময় নদী থেকে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ পাওয়া গেলেও এবার বেশি পরিমাণে ‘অপরিচিত’ এসব ভয়ঙ্কর ক্যাট ফিশ উঠছে জালে।

বাকৃবির ফিশারিজ অনুষদের মৎস্য খামারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রফেসর ড. একে শাকুর আহম্মদ বলেন, সাকার ফিশ মূলত অ্যাকুরিয়ামে চাষের জন্য বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। তবে এই মাছটি কীভাবে খালে-বিলে ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয়ে ছড়িয়েছে এর কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে মাছটি নিধন করা না গেলে দেশি প্রজাতির মাছের উৎপাদনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ ঢাকা প্রকাশকে বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া ক্যাটফিশের দ্রুত বংশবিস্তারের জন্য অনুকূল। এতে জলাশয়ের দেশীয় মাছগুলো এখন হুমকির মুখে পড়ছে। এটি জলাশয়ের একেবারে নিচের স্তরে থাকে। এই মাছ দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাবার এবং বাসস্থান নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। এগুলো দ্রুত খাবার গ্রহণ ও বংশবিস্তার করে। দ্রুত মাছটি নিধন করা না গেলে মাছ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান ঢাকা প্রকাশকে বলেন, শিগগিরই সাকার ফিশ নিধনের ব্যবস্থা করা না হলে রেণু পোনা থেকে শুরু করে বড় মাছের উৎপাদন অনেকাংশে কমে যেতে পারে।

ময়মনসিংহ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দিলীপ কুমার ঢাকা প্রকাশকে বলেন, জেলার বিভিন্ন এলাকায় খাল-বিল ও জলাশয়ে বিদেশি প্রজাতির সাকার ফিস পাওয়ার খবর শুনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত এই মাছ নিধনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

টিটি/

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে ঈদের দিন আনন্দ মিছিল ও দিনব্যাপী মেলার আয়োজন

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীবাসীর ঈদকে আরো উৎসবমুখর করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এরই অংশ হিসেবে ঈদের দিন অনুষ্ঠিত হবে ‘ঈদ আনন্দ মিছিল’। ঈদগাহ মাঠের পাশে থাকবে মেলার আয়োজন।

রবিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ঈদে উৎসবের আমেজ নেই। টিভি প্রোগ্রাম দেখে কিংবা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কেটে যায় ঈদ। ঈদের জামাত ছাড়া কালেকটিভ কোনো কর্মসূচি নেই। এবারের ঈদকে নগরবাসীর জন্য আরো সুন্দর করতে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি।

ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঈদ মিছিলের বিষয়ে আমরা কমবেশি সবাই অবগত আছি। সুলতানি আমলে, পরবর্তীতে ব্রিটিশ আমলেও ঈদ মিছিলের আয়োজন করা হতো। এই সংস্কৃতিকেই এবার থেকে রিভাইভ করার উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে (বাণিজ্য মেলার পুরাতন মাঠ) ঈদের জামাত হবে।

ঠিক গ্রামের ঈদগাহের পাশে যেমন ছোট মেলা বসে, তেমনি মেলা থাকবে দিনব্যাপী। নামাজের পরে হবে ঈদ আনন্দ মিছিল। আনন্দ পূর্ণ ও বর্ণাঢ্য একটি মিছিল আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আয়োজনের কোনো অংশেই ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করে এমন কিছু থাকবে না। মিছিলটি জামাতের স্থান থেকে শুরু হয়ে সংসদ ভবনের সামনে এসে শেষ হবে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন, নতুন বাংলাদেশে নতুনভাবে আমাদের ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই। এবারের ঈদটা একসঙ্গে উদযাপন করি। নগরবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই এই আয়োজনকে সাফল্যমণ্ডিত করবে। অগ্রিম ঈদ মোবারক।’

 

Header Ad
Header Ad

দেশের নাম পরিবর্তন করা উচিত বলে আমরা মনে করি না: সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐকমত্য সংস্কার কমিশন কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন যে, দলটি সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে দেশের নাম পরিবর্তনকে সমর্থন করে না। পাশাপাশি, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সমতুল্য বিবেচনা করার বিষয়েও বিএনপি দ্বিমত পোষণ করে।

রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে বিএনপির প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি মনে করে যে, সংবিধান সংশোধনের কিছু প্রস্তাব নির্বাচিত প্রতিনিধি ক্ষমতা খর্ব করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, যা তারা মেনে নিতে পারে না। নির্বাচন আগে সংসদীয় পদ্ধতিতে হওয়া উচিত, গণভোট নয়।

তিনি আরও জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারের ক্ষেত্রে ২০টি প্রস্তাবের মধ্যে বিএনপি একমত। বিচার বিভাগের সব প্রস্তাবের সঙ্গে তারা একমত এবং প্রশাসন সংস্কারের ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে অর্ধেকের সঙ্গে একমত। বিএনপি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আদলে লোয়ার জুডিশিয়ারির সংস্কারের প্রস্তাবও দিয়েছে।

সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবে দেশের নাম পরিবর্তনের বিরোধিতা করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘২৪ ও ’৭১-কে একই কাতারে রাখা সমীচীন নয়। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে আলাদা করে উল্লেখ রাখা উচিত।’

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে গত ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি ও ‘স্প্রেডশিট’ পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন।

Header Ad
Header Ad

জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদের। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরে সেট্রাল ইন্টেলিজেন্স থেকে পাঠানো চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠি দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর দেওয়া হয়েছে।

গত ২০ মার্চ থেকে চাঁদাবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য ও দলীয় ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯-২০১৪ সালে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজধানীতে ঈদের দিন আনন্দ মিছিল ও দিনব্যাপী মেলার আয়োজন
দেশের নাম পরিবর্তন করা উচিত বলে আমরা মনে করি না: সালাহউদ্দিন
জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব : তাজউদ্দিনকন্যা শারমিন
২৫ মার্চ সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন
১০ শতাংশ দাম কমছে ইন্টারনেটের
দীর্ঘ ৮ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর হবে মাইলফলক : চীনা রাষ্ট্রদূত
পাওনা আদায়ে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে তুলছে ইসলামী ব্যাংক
সাগরে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে সারজিসের দ্বিমত
টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় যাত্রীকে মারলেন পাইলট
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত
গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ভারত অবগত ছিল: জয়শঙ্কর
নামাজরত বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করল ছেলে
নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন, তদন্ত কমিটি    
গাজার পর লেবাননেও ইসরায়েলী হামলা  
দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস  
টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, দুর্ভোগে যাত্রীরা