গাজায় চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন করেছে। শনিবার ভোরে ছয় ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ৭৩৫ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে রোববার (১৯ জানুয়ারি) প্রথম দফায় মুক্তি পাবে ৯৫ জন। ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ৬৯ জন নারী, ১৬ জন পুরুষ এবং ১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের বন্দিদশা থেকে মুক্তির বিনিময়ে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস তাদের কব্জায় থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব জিম্মির মধ্যে নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ রয়েছেন।
চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হবে প্রথম ধাপের ১৬তম দিনের মধ্যে। সেখানে অবশিষ্ট ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
তৃতীয় ধাপে মৃতদেহ ফেরত দেওয়া এবং গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় ১৫ মাসের সংঘাতের পর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শনিবার ভোরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই চুক্তি রোববার থেকে কার্যকর হওয়ার পথ প্রশস্ত করবে।