'আওয়ামী লীগের উন্নয়ন মানেই সন্ধ্যা হলে অন্ধকার'

৩১ জুলাই ২০২২, ০৮:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৬ পিএম


'আওয়ামী লীগের উন্নয়ন মানেই সন্ধ্যা হলে অন্ধকার'

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন মানেই সন্ধ্যা হলে অন্ধকার। সরকারের সীমাহীন লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতসহ দেশের সকল খাত আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। বিদ্যুৎ খাতে চরম সংকট, জ্বালানি মজুত তলানিতে ঠেকেছে, ডলারের মজুতও শেষ হয়ে যাচ্ছে।

রবিবার (৩১ জুলাই) বিকালে শহরের নওযোয়ান মাঠে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁ জেলা বিএনপির আয়োজনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে দেশ নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে। বাস্তবতা হলো দেশ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পথে হাঁটছে। আওয়ামী লীগ সরকার কারও সুবুদ্ধি শুনবে না। ভালো কথায় আর কাজ হবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা না গেলে দেশের জনগণের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন। শিগগিরই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ডাক আসছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের সকল ভেদাভেদ ভুলে আন্দোলনে শামিল হয়ে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে হবে। জনগণকে একটি শান্তিময় রাষ্ট্র উপহার দিতে হবে। এ জন্য সবাইকে এক হয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আপনারা মিথ্যা মামলায় মুক্তি দিচ্ছেন না। খালেদা জিয়াকে বিএনপি, সহযোগী সংগঠন ও দেশের মানুষ আন্দোলন করে মুক্ত করে আনবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একসময় আপনি রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকবেন না কিন্তু দেশের প্রতিটি নাগরিকের নামে যে প্রায় ৫ হাজার মার্কিন ডলার মাথাপিছু ঋণ করেছেন সেটা পরিশোধ করবে কে? চারদিকে দুর্নীতি আর সন্ত্রাসের স্বর্গ গড়ে তুলেছে এই সরকার।

নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. ছালেক চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম, শেখ রেজাউল ইসলাম, আমিনুল হক বেলাল, মামুনুর রহমান রিপন, শফিউল আজম (ভিপি) রানা, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি,জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সীমা চৌধুরী, সহ-সভাপতি সামিনা পারভিন পলি, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেওয়ান মো. ফারুক, ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা প্রমুখ।

এসজি/


বিভাগ : সারাদেশ



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫৫ পিএম


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট (স্নাতক) প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এবারের ভর্তিযুদ্ধ।

এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান, বাণিজ্য ১ মার্চ এবং ২ মার্চ চারুকলা অনুষদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এবারও ঢাকাসহ মোট আট বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। এছাড়া অন্যান্য নিয়মও বিগত বছরকে অনুসরণ করে হবে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

সারাদেশের কেন্দ্রগুলো হলো- ঢাকা বিভাগের পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, সিলেট বিভাগের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বরিশাল বিভাগের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে, খুলনা বিভাগের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে, রংপুর বিভাগের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ময়মনসিংহ বিভাগের পরীক্ষা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

নম্বর বন্টন-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত এবং এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে ৪৫ মিনিট করে। তবে চারুকলা ইউনিটে ৪০ (সাধারণ জ্ঞান) নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা ও ৬০ (অংকন) নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউর জন্য সময় থাকবে ৩০ মিনিট ও লিখিতের জন্য সময় থাকবে ৬০ মিনিট।

এর আগে গত ২৬ নভেম্বর ২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, পরীক্ষায় পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন পরীক্ষার্থী।


সিআইডি অভিনেতা দিনেশ ফাডনিস মারা গেছেন

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৫ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫২ পিএম


সিআইডি অভিনেতা দিনেশ ফাডনিস মারা গেছেন
ছবি সংগৃহিত

ভারতে দীর্ঘ সময় ধরে চলা জনপ্রিয় শো ‘সিআইডি’র অন্যতম অভিনেতা দীনেশ ফাডনিস মারা গেছেন। সিআইডিতে ফ্রেডেরিকস চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দীনেশ ফাডনিস। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে মারা যান এই অভিনেতা। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন দীনেশের সিআইডি সহ-অভিনেতা দয়ানন্দ শেঠি। যিনি সিআইডি শো’তে দয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাত ১২.০৮ মিনিটে দীনেশ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’ অভিনেতা মুম্বইয়ের তুঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

দয়ানন্দ শেঠি জানিয়েছেন যে দীনেশ ‘মাল্টি অর্গান ফেলিওর’-এর কারণে মারা গেছেন। তিনি বলেন, দীনেশের অনেক জটিলতা ছিল এবং গতকাল রাতে তাকে ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, রবিবার দীনেশ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল, পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, দয়ানন্দ শেঠি নিশ্চিত করেছিলেন যে দীনেশের হার্ট অ্যাটাক আক্রান্ত হয়নি কিন্তু লিভারের ক্ষতি হয়েছে।

তবে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেলেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা।
দীনেশ সিআইডিতে ফ্রেডেরিকস চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ভারতের জনপ্রিয় টিভি অভিনেতাদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠে। প্রায় ২০ বছর ধরে শোটির অংশ ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে প্রথম পর্ব সম্প্রচারিত হয়েছিল এটির এবং এটি ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি টেলিভিশন শোগুলোর মধ্যে একটি। সিরিজটি ২০ বছর ধরে সনি টিভিতে প্রচারিত হয়েছে।

সিআইডি ছাড়াও, দীনেশকে হিট টিভি শো ‘তারাক মেহতা কা উল্টা চশমা’তে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। কয়েকটি সিনেমায় ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘সারফারোশ’ এবং ‘সুপার ৩০’-এর মতো হিন্দি চলচ্চিত্রে দেখা গেছে এই অভিনেতাকে।


যে ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২৭ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫৪ পিএম


যে ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। ফাইল ছবি

দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (১৮তম) জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ গতকাল মধ্যরাতে (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার, দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৫ ডিসেম্বর ভোররাত নাগাদ নিলর ও মাসুলিপট্টমের নিকট দিয়ে ভারতের অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর (পুন:) ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

অনুসরণ করুন