শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধিসৌধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন

১৭ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৪ এএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৫ এএম


শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধিসৌধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন

২৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সমাধিসৌধ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) প্রকল্পটি অনুমোদন সংক্রান্ত সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা হয়েছে।

রাসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নেতাদের সমাধি সংরক্ষণের মাধমে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট তুলে ধরা, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সমাধিসৌধ নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করা ও জাতীয় নেতার অবদান নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটির অনুমোদন দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) প্রকল্পটি অনুমোদন সংক্রান্ত সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা হয়।

প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র শহীদ কামারুজ্জামানের ছেলে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। একইসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জে অবস্থিত শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সমাধিসৌধের বর্তমান স্থানে ২৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে তাঁর সমাধিসৌধ নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের আওতায় সমাধিসৌধ নির্মাণ, সমাধি কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, লাইব্রেরী নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ নর্দমা নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ আলোকায়ন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ভূমি উন্নয়ন, প্রবেশ গেইট নির্মাণ, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, জলাশয়ের প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীর নির্মাণ, ল্যান্ড স্কেপিং নির্মাণ এবং ভূমি ও কাঠামোর ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। প্রকল্পের আওতায় গ্রেটার রোড থেকে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান সমাধিসৌধ পর্যন্ত ৩৫ মিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদকাল জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

এসআইএইচ 


বিভাগ : সারাদেশ



সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ জুলাইয়ে, অংশ নেবে ৮ দল

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০০ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:১০ পিএম


সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ জুলাইয়ে, অংশ নেবে ৮ দল
সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের দাবি ছিল দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চল- সাফের দেশগুলোর সেরা সেরা ক্লাব নিয়ে একটি চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করার। এই দাবি বাস্তবায়ন করা হবে বলে দীর্ঘ সময় পার করে ফেলেছে সাফ নির্বাহী কমিটি। অবশেষে সেই ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। আগামী জুলাইয়ে প্রথম সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সাফ নির্বাহী কমিটির সূত্রে জানা গেছে, বহুল প্রতিক্ষিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ক্লাব নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের যাত্রা শুরু হবে আগামী জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে। আজ সাফের কম্পিটিশন কমিটির সভায় এই অঞ্চলের নতুন এই টুর্নামেন্টের ফরম্যাট ও বাইলজ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সভা শেষে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা আজকের সভায় সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের ফরম্যাট ও বাইলজ অনুমোদন করেছি। সাত দেশের মোট আটটি ক্লাব নিয়ে হবে প্রথম এই টুর্নামেন্ট। দুটি দল খেলবে ভারত থেকে। কারণ, তারা এই অঞ্চলে ফিফা র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ দেশ। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ মোট ১৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।’

আনোয়ারুল হক হেলাল টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য তারিখও জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খেলা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুলাই। ওইদিন দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।’

সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে এএফসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টের সূচির কোনো সংঘর্ষ হবে কি না? জানতে চাইলে আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে এএফসি কাপ ও এএফসি ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের উইন্ডোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। যে কারণে, এই অঞ্চলের যে ক্লাবগুলো এএফসির টুর্নামেন্টে খেলছে, তারা সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা তৃতীয় দল নতুন এই টুর্নামেন্টে খেলবে। কারা খেলবে সেটা ওই দেশের ফেডারেশন আমাদেরকে নাম পাঠাবে।’


বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের বড় দুঃসংবাদ দিলো যুক্তরাজ্য

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫২ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:১০ পিএম


বিদেশি শিক্ষার্থী-কর্মীদের বড় দুঃসংবাদ দিলো যুক্তরাজ্য
ছবি সংগৃহিত

বিদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মী প্রবেশ সীমিত করতে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যে কাজের ভিসা পেতে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ন্যূনতম বেতনের সীমা বৃদ্ধি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবার নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সীমিত করার সিদ্ধান্ত।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অভিবাসী প্রবেশ ব্যাপক হারে বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে দেশটিতে নতুন অভিবাসীর সংখ্যা ছিল রেকর্ড ৭ লাখ ৪৫ হাজার। এটি যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতেও বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে।

চাপের মুখে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, অভিবাসী অনেক বেশি। এটিকে নামিয়ে আনার জন্য আজ আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। অভিবাসন যেন যুক্তরাজ্যের জন্য সবসময় উপকারী হয়, তা নিশ্চিত করবে এই পদক্ষেপগুলো।

ব্রিটিশ সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, কেবল স্নাতকোত্তর গবেষণা ডিগ্রিতে পড়া বিদেশি শিক্ষার্থীরাই পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিতে পারবেন। এর বাইরে কোনো শিক্ষার্থী পরিবারের সদস্যদের নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।

এছাড়া, দক্ষ কর্মী ভিসার জন্য বিদেশিদের বেতন ন্যূনতম বেতনের সীমাও বাড়াতে চলেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ভিসা পেতে হলে ন্যূনতম ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড আয় করতে হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৫৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। বর্তমানে এই আয়ের সীমা হচ্ছে ২৬ হাজার পাউন্ড (৩৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা প্রায়)।

এসব সিদ্ধান্ত আগামী বছরের শুরুর দিকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ক্লেভারলি।

কী কী রয়েছে যুক্তরাজ্যের নতুন পরিকল্পনায়:

১. বিদেশি সেবা কর্মীদের পরিবারের সদস্য নিয়ে আসা বন্ধ করা এবং ভিসা স্পন্সর করার জন্য ইংল্যান্ডের কেয়ার ফার্মগুলোকে কেয়ার কোয়ালিটি কমিশনে নিবন্ধিত হওয়া। নতুন নিয়মের কারণে ২০২৪-২৫ সাল নাগাদ এই পদ্ধতিতে আগমন ২০ শতাংশেরও বেশি কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২. দক্ষ কর্মী ভিসায় যাওয়া ব্যক্তিদের ন্যূনতম বার্ষিক আয় এক-তৃতীয়াংশ বাড়িয়ে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড করা।

৩. ঘাটতি থাকা পেশাগুলোর জন্য ২০ শতাংশ বেতন ছাড়ের অবসান ঘটানো এবং ঘাটতি পেশার তালিকা সংস্কার করে বিদেশ থেকে কম খরচে কর্মী গ্রহণ বাতিল করা।

৪. পারিবারিক ভিসার জন্য দক্ষ কর্মীদের ন্যূনতম আয়ের (৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড) দ্বিগুণ আয় থাকা।

৫. শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম কঠোর করা। এর জন্য স্নাতক রুট পর্যালোচনা করবে একটি উপদেষ্টা কমিটি।

 


সেনাবাহিনীও নির্বাচনের মাঠে থাকবে: ইসি আলমগীর

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩০ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৯ পিএম


সেনাবাহিনীও নির্বাচনের মাঠে থাকবে: ইসি আলমগীর
মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনকে প্রতিহত করতে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস ঘটনা ঘটলেও তা ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেছেন, ভোটারদের ভালো উপস্থিতি থাকবে। নির্বাচনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে থাকবে সেনাবাহিনীও।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোহাম্মদ আলমগীর।

ইসি আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর বিদেশিদের চাপ একেবারেই নেই। তারা এসে আমাদের কাছে যেটা জানতে চান সেটা হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কী কী কাজ করেছি। আমাদের প্রস্তুতি ও নির্বাচনের পরিবেশ দেখে এখন পর্যন্ত বিদেশিরা সন্তুষ্ট। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সাজেশন দেওয়া হয়নি, চাপ তো নয়ই। বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনই সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে।

নির্বাচনকে ঘিরে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, যে কোনো কাজ করতে গেলেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ছোটখাটো চ্যালেঞ্জ তো আছেই। তবে কর্মকর্তারা এমন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি যেটা আমাদের কাছে বড় ইস্যু হিসেবে দেখা দিয়েছে।

প্রশাসনে রদবদলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচনে অতীতেও জেলা প্রশাসন পর্যায়ে কখনো কখনো পরিবর্তন করা হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসার শর্ত হিসেবে যে দাবিগুলো তুলেছিল, এর মধ্যে একটা দাবি ছিল প্রশাসনের রদবদল করতে হবে। তার একটা অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।

অনুসরণ করুন