
জাতীয় স্কুল ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৭ এএম

'যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে,হবেই হবে দেখা দেখা হবে বিজয়ে'-গানটির এ লাইন আবারো প্রমান করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচে একের পর এক দুর্দান্ত জয় দিয়ে অবশেষে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
আজ (রোজ শনিবার) সকাল ৯ ঘটিকায় সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অঘোষিত ফাইনাল খেলায় চাপা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ ছিল
গোলাপ অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়। এ ম্যাচে পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। একটি করে গোল করে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিমন, শাওন ও শাকিল।
৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয় লীগ ভিত্তিক। টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগে থেকেই লীগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল পর্যায়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আজকের ম্যাচে কমপক্ষে ড্র বা ১ পয়েন্ট দরকার ছিল।
অঘোষিত ফাইনাল খেলায় শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দলের উপর একের পর এক আক্রমণে কুপোকাত করে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা। এর ফলও তারা পায় ম্যাচের মাত্র ৩৬ মিনিট। গৌরব কর্মকার লিমনের অসাধারণ গোলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড পায় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণের ধার আরো বাড়িয়ে দেয় মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় খেলোয়াড়েরা। এবার জ্বলে ওঠে গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা স্ট্রাইকার শাওন। দুর্দান্ত এক গোল করে শাওন। ম্যাচের ঠিক শেষ দিকে আর একটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে শাকিল। আর সেই সাথে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল বিভাগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়।
ম্যাচে শেষের বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও শিক্ষকরা আবেগে আপ্পলুত হয়ে পরে।
মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই অর্জন মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় তথা পুরো গাইবান্ধা জেলার। তিনি আরও বলেন, তার স্কুলের ছেলেরা একদিন জাতীয়দলে খেলবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৯ পিএম

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, শুক্রবার সকাল ১০.০০ টা থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শাহ রেজওয়ান হায়াত আরও জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত সকল প্রকার সামগ্রী এরইমধ্যে জেলায় পাঠিয়েও দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় (রংপুর ৮, বরিশাল ৬, সিলেট ৪) এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫ এবং কক্ষের সংখ্যা ৮১৮৬।
পরীক্ষা-সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে।
বিভাগ : শিক্ষা
বিষয় : শিক্ষক-নিয়োগ-পরীক্ষা , নিয়োগ , পরীক্ষা , লিখিত-পরীক্ষা , প্রাথমিক-শিক্ষা-অধিদফতর

১০ কোটি টাকা পুরস্কার পেলেন বাড়ির উঠোনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষক
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫১ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৯ পিএম

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে লেখাপড়া করানোর উদ্দেশে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজের বাড়ির উঠোনে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাকিস্তানের রিফাত আরিফ । কিন্তু অর্থের অভাবে রিফাতের কাছে ছিল না কোনো শিক্ষক কিংবা ভবন । কিন্তু মনোবল ছিল অটুট । আজ সেই মনোবল স্বপ্নকে পুঁজি করেই রিফাত আরিফ এখন সারা বিশ্বের শিক্ষকের কাছে আইকন। অর্থের অভাবে যিনি স্কুল চালাতে পারছিল না । তিনিই আজ কোটিপতি বনে গেলেন ।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, রিফাত আরিফ ‘সিস্টার জেফ’ নামেও পরিচিত। এই নারী শিক্ষাবিদের জন্ম পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায়। স্কুল চালানোর অর্থ জোগাড়ের জন্য তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সেই প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করার পর সন্ধ্যায় স্কুলে ফিরে এসে চার ঘণ্টা ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। রিফাতের এই পরিশ্রম বৃথা যায়নি। দীর্ঘ ২৬ বছর পর তাঁর স্কুলে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জন। সবাইকেই তিনি বিনামূল্যে শিক্ষা দেন।

রিফাতের এই মহানুভবতার জন্য গত মাসে তিনি ইউনেস্কোর ‘গ্লোবাল টিচার’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ফ্রান্সের প্যারিসে পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রিফাত বলেন, শিক্ষকতা নিছক কোনো পেশা নয়। এটি এমন এক পেশা, যা পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করে। আসুন, আমরা প্রতিটি শিশুকে শেখার সুযোগ দেই, স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেই এবং তাদেরকে ইতিবাচকভাবে বেড়ে উঠতে দেই।
পুরস্কার হিসেবে ১০ লাখ ডলার পেয়েছেন রিফাত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। পুরস্কারের এই পুরো অর্থই তিনি শিক্ষাখাতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের অনেক ছোট শহরে পর্যাপ্ত স্কুল নেই, শিক্ষক নেই। অনেক শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাদের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’
রিফাত আরিফ বলেছেন, পুরস্কারের এই অর্থ দিয়ে তিনি অনাথ শিশুদের জন্য একটি স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবেন। সারা পৃথিবী থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এসে শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিদিন ঘি খেলে যে উপকারিতা
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩২ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৯ পিএম

গরম ভাতের সঙ্গে এক চামচ ঘি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। ঘি শুধু স্বাদে এবং গন্ধে অতুলনীয় নয়, এর স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে অনেক। রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে ঘি’য়ের জুড়ি নেই।
ঘি’তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, খনিজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর পাশাপাশি শরীরের প্রতিটি পেশি শক্তিশালী করে, মেদ ঝরায়, হাড় মজবুত করে, শরীরের প্রতিটি কোষ সচল রাখে। অনেকের ধারণা, ঘি খেলেই ওজন বাড়ে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ইচ্ছেমতো খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু নিয়ম করে খেলে শুধু ওজনই নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নয়। পাশাপাশি আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে।
প্রতিদিন ঘি খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, ঘি শরীরকে ভেতর থেকে গরম করতে সাহায্য করে এবং ঠান্ডার জন্য উপকারি। নাকের ছিদ্রে কিছু ঘি লাগালে সংক্রমণে দ্রুত উপশম হবে।
ঘিতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। ফলে এটি বদহজমের সমস্যা কমাতেও কাজে লাগে।
বাত ও জয়েন্টের ব্যথা কমাতে ঘি সহায়ক। ঘি খেলে এই সব ব্যথা কমতে পারে।
ঘিতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে ঘি।
ঘি হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফোলাভাব কমায়। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পেটের বহু সমস্যাই কমে এর কারণে।
ত্বক, চুল ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ঘি খুবই ভালো। তবে ঘি পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়ে। তাই প্রতিদিন এক চামচের বেশি ঘি খাওয়া উচিত নয়। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস