মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ | ৩০ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যে গ্রামের নাম শুনলেই ভেঙে যায় বিয়ে, মেলে না চাকরি!

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে একটি গ্রামের নাম শুনলেই ভেঙে যাচ্ছে বিয়ে, অভিভাবকরা পড়েছেন বেকায়দায়। জেলার পলাশবাড়ী পৌর শহর থেকে ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৮নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত গ্রামটির নাম রাইগ্রাম।

কয়েক দশক আগে থেকেই গ্রামটি উত্তরাঞ্চলজুড়ে হিরোইন পল্লী নামে পরিচিত। সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু কেউ বন্ধ করতে পারেননি এই এলাকার মাদক বাণিজ্য। ফলে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কয়েক দশক আগে ওই গ্রামের আব্দুর জব্বারের হাত ধরে মাদক ব্যবসার উৎপত্তি হয়। আব্দুল জব্বার মারা যাওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা চালিয়ে যাচ্ছেন এই ব্যবসা। বর্তমানে ওই গ্রামের অনেকই মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ঘটক জানান, এই গ্রামে ছেলে কিংবা মেয়ের বিয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে যায়, শুধু এই মাদকের কারণে। সবাই এই গ্রামটিকে মাদকের গ্রাম বলে জানে। এ জন্য বাইরের কোনো ছেলে এই গ্রামের মেয়েকে বিয়ে করতে চান না। আবার অন্য গ্রামের বাসিন্দারাও এ গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে তাদের মেয়েকে বিয়ে দিতে চান না। গ্রামের নাম শুনলেই বিয়ে ভেঙে যায়।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্সের কথা জানিয়ে বলেন, এ গ্রামে সভা করে মানুষকে সচেতেন করার কাজ চলছে। অতি দ্রুত গ্রামটিকে মাদকমুক্ত করা হবে।

গ্রামের এসহাক আলীর (৫৫) জীবন চলে রিকশাভ্যান-ইজিবাইক মেরামত করে। চার ছেলে-মেয়ের বাবা তিনি। ছোট মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন সম্প্রতি। তার দাবি, আগে বেশ কয়েকবার বিয়ে ভেঙে গেছে শুধুমাত্র গ্রামের নাম শুনে।

তার অভিযোগ, তুলনামূলক কম হলেও একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে অন্য সন্তানদের বিয়ের ক্ষেত্রেও। তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের সঙ্গে অন্য গ্রামের কেউ আত্মীয়তা করতে চান না।

এসহাক জানান, তার মেয়ে জামাই গার্মেন্টে চাকরি করেন, বাড়ি জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়।

গ্রামের নামের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ইব্রাহিম মিয়াকেও (৩৮)। তিনি একজন গাড়ি চালক। সম্প্রতি চাকরির জন্য তিনি একটি কোম্পানিতে যান, যেখানে তার লাইসেন্সসহ যাবতীয় বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও যখন তার বাড়ি ঠিকানা জানতে পারে, তাকে আর চাকরি দেয় নি। কর্তৃপক্ষ তাকে জানান, গাড়ি চালানো ফাঁকে তিনি মাদক পরিবহন করতে পারে বলে তারা সন্দেহ করছেন।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, কম-বেশি এমন নিয়মিত গ্রামের খ্যাতি পাওয়া এমন নামের কারণে তাদের নানান ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় গ্রামবাসী দ্রুত এমন সমস্যা থেকে মুক্তি চান। পাশাপাশি তারা মাদক নিয়ন্ত্রণে সবাই এক হয়ে কাজ করতে চান।

২০১৮ সালের মে মাসে রাইগ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত আব্দুল জোব্বারের ছেলে মাদক সম্রাট রাজু মিয়া র‌্যাবের সাথে গুলিবিনিময়কালে নিহত হন। এরপর বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযোগে বেশ কয়েকজন মাদক কারবারি আটক হন।

Header Ad

বেসিসের সাবেক সভাপতি আলমাস কবীর গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের ডিসি রুহুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, 'মোহাম্মদপুর থানায় হওয়া একটি মামলায় আলমাস কবীরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।'

২০০৬ সাল থেকে আলমাস কবীর মেট্রোনেটের সিইও ছিলেন। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) একজন সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। এ ছাড়াও, তিনি আইইউবি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং সিটি ইউনিভার্সিটিতে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।

আলমাস কবির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিরও অতিথি শিক্ষক ছিলেন।

Header Ad

মিস গ্রান্ড প্রতিযোগিতায় মুকুট জয়ে ভোট চাইলেন জেসিয়া

মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে বিনোদন জগতে পা রাখেন মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলাম। তারপর নানা ঘটনায় অনেকবারই আলোচনায় এসেছেন তিনি। প্রেম থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবন কোনো কিছুই বাদ যায়নি। এরমধ্যে অভিনয় মডেলিং ও করেছেন সমান তালে। এবার সেই জেসিয়া লড়ছেন নতুন একটি প্রতিযোগিতায়।

মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য মিস গ্রান্ড ২০২৪ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হয়ে লড়ছেন তিনি। এরইমধ্যে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগীদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন নানা আয়োজনে।

সেখান থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে ভোট চাইলেন সবার কাছে। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী পেজে ফলো বাটনে ক্লিক করে তারপর জেসিয়ার ছবিতে লাইক বা শেয়ার করতে হবে। লাইক করলে ১০ পয়েন্ট ও শেয়ার করলে ৫ পয়েন্ট যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন জেসিয়া

তিনি সবার কাছে ভোট চেয়ে বলেন, ‘আমি সবার কাছে ভোট চাইছি। সবার সহযোগিতায় আমি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।

জানা গেছে আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফিনালে। সেখান থেকে নির্বাচিত হবে সেরা ১০। উল্লেখ্য এই প্রতিযোগিতা চারটি বিষয় লক্ষ রাখা হয় বলে ওয়েব সাইট সুত্রে জানা গেছে। তারা মূলত ফোর বি কে গুরুত্ব দেন। এই ফোর বি হলো, বডি, বিউটি, ব্রেন ও বিজসেন।

Header Ad

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে গণহত্যার বিচার

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হবে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য বিচারপতিদের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা আগামীকাল প্রদান করা হবে। এর আগে, ১৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এবং সদস্য হিসেবে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী নিয়োগ পান।

এছাড়াও, গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রসিকিউশন টিমে আরও পাঁচজন প্রসিকিউটর আছেন: মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, যা ২০১০ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত হয়, এবার গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করবে। ইতোমধ্যে, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পেয়েছে, যেখানে অভিযুক্ত হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আরও জানান, বিচারকরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ট্রাইব্যুনাল কার্যকর হবে এবং তখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আসামিদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা এবং তথ্য জব্দ করার জন্য আদেশ চাইবে প্রসিকিউশন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং ২০১২ সালে গঠিত দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালে একীভূত করা হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেসিসের সাবেক সভাপতি আলমাস কবীর গ্রেপ্তার
মিস গ্রান্ড প্রতিযোগিতায় মুকুট জয়ে ভোট চাইলেন জেসিয়া
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে গণহত্যার বিচার
হাথুরুসিংহে বরখাস্ত, নতুন হেড কোচ ফিল সিমন্স
সিন্ডিকেট ভাঙতে কঠোর পদক্ষেপ: করপোরেট ব্যবসায়ীদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি
৮ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল খুলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
পুত্র সন্তানের বাবা হলেন পেসার শরিফুল
ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করলো সরকার, বুধবার থেকে কার্যকর
দোষী সাব্যস্ত হলে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা হবে: আইন উপদেষ্টা
এইচএসসিতে শিক্ষাবোর্ড সেরা রাজশাহী জেলা, দ্বিতীয় বগুড়া
চলতি বছরেই আমার দেশ পত্রিকা চালু করা হবে: মাহমুদুর রহমান
১১ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে চীনের প্রধানমন্ত্রী
যে কারণে নায়িকা হতে চান না মাহি
এইচএসসিতে ৬৫ কলেজে পাস করেনি কেউ
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ভিডিও ও স্থিরচিত্র জমাদানের আহ্বান তথ্য অধিদপ্তরের
আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস
এইচএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এবারও এগিয়ে মেয়েরা
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরে গেলেন সেনাপ্রধান
এইচএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মামলা