মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বৃষ্টিতে খেলা চালানোয় ক্ষুব্ধ নিগার, জানাবেন ম্যাচ রেফারিকে

ক্রিকেটের আজন্ম শত্রু বৃষ্টি। কিন্তু আজ সেই বৃষ্টির সঙ্গে দেখা গেছে ক্রিকেটের বন্ধুত্ব! নিউ জিল্যান্ডের ডানেডিনে মেয়েদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বেশ বৃষ্টির মাঝেই বোলিং করতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। ঠিক মতো বল গ্রিপ করা সম্ভব হচ্ছিল না। কোনো রকমে বোলিং করে গেছেন।

এই সুযোগ বাংলাদেশের ৮ উইকেটে করা ১৪০ রান নিউ জিল্যান্ড বিনা বাধায় মাত্রও ২০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। বৃষ্টিতে এক পর্যায়ে সঠিকভাবে বলও দেখা যাচ্ছিল না। এভাবে বৃষ্টির মাঝে না খেলতে ফিল্ড আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা। কিন্তু আম্পায়ার তাতে সায় দেননি। অগত্যা তাদের খেলা চালিয়ে যেতে হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ দলে।

বিষয়টি ম্যাচ রেফারির নজরে আনা হবে বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেন, ‘স্কোর বোর্ডে যে রান ছিল সেটি ভালোই। দ্বিতীয় ইনিংসের দিকে যদি লক্ষ্য করেন, তখন সেটা ভিন্ন দেখবেন। বৃষ্টি ছিল অনেক বেশি। আবহাওয়াও কিন্তু খেলার উপযোগী ছিল না।

‘আমরা তার মাঝেই খেলেছি। বৃষ্টির কারণে বোলারদের ঠিকমতো বল গ্রিপ করতে খুব সমস্যা পড়তে হয়েছে। এত পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে যে, আউটফিল্ডে আমাদের যারা ফিল্ডিং করেছেন, তাদের বল দেখতেও সমস্যা হচ্ছিল। বোলারদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অবশ্য আমি বলব নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলে গেছে।’

বিষয়টি নিগার সুলতানা ম্যাচ রেফারিকে জানাবেন জানিয়ে বলেন, ‘বৃষ্টির সময় আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আমরা এই রকম কন্ডিশনে খেলা চালিয়ে যাব কি না। কিন্তু আম্পায়াররা তাতে সাড়া দেননি। তারা আমাদের খেল চালিয়ে নিতে বলেন। অন দ্য ফিল্ড তেমন কিছু করার থাকে না, অফ দ্য ফিল্ড যতটুকু কাজ করা যায় কথা বলব। আমরা সেটা করব। অবশ্যই আমরা ম্যাচ রেফারিকে জানাব কন্ডিশন এরকম ছিল।’

নিগার সুলতানার এই কথার মিল খুঁজে পাওয়া যায় ধারাভাষ্যকারদের বলা কথার সঙ্গেও। তারাও একই রকম পরিস্থিতি বর্ণনা করেছিলেন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়।

একদিকে বৃষ্টি, অপরদিকে ভেজা ও পিচ্ছিল আউটফিল্ড। এতে করে নিগার সুলতানা দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে কোনো সময় তারা পড়ে গিয়ে আহত হতে পারেন।

তিনি বলেন, নিরাপদে ম্যাচ শেষ করা নিয়ে আমি শঙ্কায় ছিলাম। বিশ্বকাপে আমাদের আরো ৫টি ম্যাচ খেলতে হবে। খেলোয়াড়রা যদি ভালো থাকে, তাহলে পরের ম্যাচগুলো খেলতে পারবে। সেখানে আমরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে লড়াই করতে পারব। কিন্তু ইনজুরিতে পড়লে তখন আর করার কিছু থাকবে না।’

বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ৬ দিন পর ১৪ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে।

এমপি/এমএমএ/

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, চরম উত্তেজনা

আহত সাংবাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মিশা-ডিপজলদের আয়োজিত শপথ গ্রহণ ও দোয়া মাহফিলের পর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় কয়েকজন বিনোদন সাংবাদিক হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সেখানকার পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে...

দিনাজপুরে বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল, রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস

বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল। ছবি: সংগৃহীত

ধান নয়, বাঁশের ফুলের বীজ থেকে তৈরি হচ্ছে চাল। তা দিয়ে রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস। এমনকি সেই চালের আটা তৈরি করে বানানো হচ্ছে রুটি। বাঁশ ও কঞ্চিতে ঝুলছে ধানসদৃশ দানাদার ফল। সেই ফল সংগ্রহ করা হচ্ছে বস্তায়। ময়লা পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে চলছে মাড়াই। এভাবেই তৈরি করা হচ্ছে বাঁশের চাল।

বাঁশফুল সংগৃহ করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের পাকাপান গ্রামে। বাঁশের ফল থেকে ধানসদৃশ দানাদার শস্য সংগ্রহ করে এলাকায় হইচই ফেলে দিয়েছেন গ্রামের তরুণ সাঞ্জু রায় (২৫)। সঞ্জু রায় উপজেলার ১নং এলুয়ারি ইউনিয়নের পাকাপান গ্রামের শিমুল চন্দ্র রায়ের ছেলে। পেশায় একজন কৃষিশ্রমিক।

গত এক সপ্তাহে প্রায় সাত মণ দানাদার শস্য সংগ্রহ করেছেন। ইতোমধ্যে দুই মণ চাল পেয়েছেন। নিজে যেমন রান্না করে খেয়েছেন, তেমনি আশপাশের মানুষের কাছে বিক্রিও করেছেন প্রতি কেজি ৪০ টাকায়। প্রতিবেশী বৃদ্ধের কাছে গল্প শুনে বাঁশফুলের বীজ থেকে দানা (চাল) সংগ্রহ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে উৎসুক এলাকাবাসীর মধ্যে এ বীজ সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে।

পাকাপান গ্রামের সাঞ্জু রায় ও প্রতিবেশী বৃদ্ধ কালিচন্দ্র রায় (৭০) দুজনই পেশায় দিনমজুর। তিনি সাঞ্জু রায়কে গল্প শোনান যে, ১৯৭১ সালে এরকম বাঁশফুলের দানা থেকে চাল সংগ্রহ করতে দেখেছেন। সে সময় অনেকেই এ দানা চাল হিসেবে ভাত রান্না করে খেয়েছেন।

সাঞ্জু রায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পাশের ঝাড় থেকে বাঁশের বীজ সংগ্রহ করছেন তিনি। তার মা বাঁশফুলগুলো কুলা দিয়ে ঝেড়ে পরিষ্কার করছেন। সেই বীজ পানিতে ধুয়ে সাঞ্জু রায় পরিষ্কার করে রোদে শুকাচ্ছেন। এরপর সেগুলো ধানের হাসকিং মিলে ভাঙাবেন। বাড়ির উঠানে প্রস্তুতকৃত এমন কয়েকটি বীজের বস্তা দেখা যায়। কিছু দানা ভাঙিয়ে রেখেছেন। গ্রামের অনেকেই তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বাঁশের ফুল থেকে চাল উৎপাদন করার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এটি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন তার বাড়িতে।

সাঞ্জু রায় বলেন, বাঁশের কঞ্চিতে ফলগুলো শুকিয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে কঞ্চি ধরে নাড়া দিলে ঝরে পড়ছে। এ পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ ২০ কেজি সংগ্রহ করেছেন। এক কেজিতে চাল পেয়েছেন আধা কেজির মতো। রান্না করে খেয়েছেন। ভাতের মতোই স্বাদ। পায়েসও রান্না করেছেন। আটা বানিয়ে রুটিও খেয়েছেন। ইতোমধ্যে আড়াই হাজার টাকার চাল বিক্রিও করেছেন। এখনও পাঁচ বস্তা মজুত আছে। ভালোই লাগছে।

বাঁশফুল থেকে পাওয়া চাল। ছবি: সংগৃহীত

বাঁশগাছে পাওয়া দানাদার শস্যের চাল নিয়ে গেছেন পাড়ার সুনীল রায়, লিপি রানী ও কামিনী বালা। তারা জানান, সাঞ্জুকে ধানের চাল বদল দিয়ে বাঁশের চাল নিয়েছেন এক কেজি করে। রান্না করে খেয়েছেনও। খুবই সুস্বাদু।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রকিবুল হাসান বলেন, বাঁশের বীজ থেকে চাল উৎপাদন হয় এই প্রথম জানলাম। দেশের কোথাও এমন ঘটনা শোনা যায়নি। এটি বিরল ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে আমরা শিগগিরই গবেষণার কাজ শুরু করব।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুজ্জামান জানান, বাঁশ এবং ধান একই প্রজাতির। ৫০ বছরে একটি বাঁশঝাড়ে একবার ফল আসে। পরে আর সেই বাঁশঝাড়টি আর টিকে থাকে না। তবে বাঁশফলের সেই দানা থেকে অবিকল চালের মতো দানা হয়। যার ভাতের স্বাদ ধানের চালের ভাতের মতোই। তবে এটি সম্ভাবনাময় নয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিভিকালচার জেনেটিকস বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বাঁশে সাধারণত ফুল হয় না। তবে প্রজাতিভেদে ২৫ থেকে ৬০ বছর পরে ফুল আসতে পারে। ফুল আসা মানেই ওই বাঁশের জীবনচক্র শেষ হওয়া। বাঁশফলটা দেখতে অনেকটা ধানের বীজের মতো।

পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পদ্মা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

নিহতরা হলো- পবা উপজেলার কাটাখালির বাখরা বাঁশ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেন্টুর ছেলে যুবরাজ (১২), নুর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান (১৪), লিটনের ছেলে আরিফ (১৪)। তারা সবাই স্কুলশিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাত কিশোর একসঙ্গে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমেছিল। এক পর্যায়ে তিনজন পানিতে তলিয়ে যায়। বাকি চারজন চেষ্টা করলেও কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা বলেন, পদ্মায় গোসলে নেমে নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, চরম উত্তেজনা
দিনাজপুরে বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল, রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস
পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার
বাড়তে পারে তাপমাত্রা
আজ রাতেই দেখা মিলবে ‘গোলাপী’ চাঁদের
চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করলো ইসি
দুই মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে ভারতীয় নারী দল
"বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, আছে সন্তানও"
হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
রাজধানীতে তীব্র গরমে এক পথচারীর মৃত্যু
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সেই দেলোয়ার
দেশের বাজারে দাম কমলো স্বর্ণের
থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে
বৃষ্টির জন্য রাজধানীতে ইসতিসকার নামাজ আদায়
পদ্মায় গোসল করতে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার পেলেন ১৪ হাজার ৫৫০ জন কৃষক
কাতারের আমিরের নামে ঢাকায় সড়ক ও পার্কের নামকরণ
ইসলাম গ্রহণ করেছেন বিখ্যাত ডাচ অভিনেতা ডনি রোয়েলভিঙ্ক