শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ সাক্ষাৎকার

স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধান টার্গেট ছাত্রলীগ: লেখক

আজ ৪ জানুয়ারি ২০২২ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রদের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই অঙ্গ সংগঠনটি। নানা সমালোচনা ঝড়ঝাণ্ড পেরিয়ে ছাত্রলীগের এই পদচারণা কেমন ছিল। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি দাঁয়িত্ব নেওয়ার পর নেতিবাচক সমালোচনা থেকে ছাত্রলীগ কি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে? ছাত্রলীগ কি তার আদর্শের জায়গায় রয়েছে? এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ ওঠে এবং নানা নেতিবাচক সমালোচনা হয় বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

লেখক ভট্টাচার্য্য: যারা আওয়ামী লীগের বিরোধী তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রের বিরোধী। বাংলাদেশের মূলনীতি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র বিরোধী যারা তারা কিন্তু প্রথম টার্গেট হিসেবে ছাত্রলীগকে বেছে নেয়। তারা সব সময় ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্য, ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, বিভিন্ন বিতর্কের জন্ম দেয়। যখনই কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বা  ইতিবাচক কর্মকাণ্ড জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বড় পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করে, তখনই এই স্বার্থন্বেষী মহল স্বাধীনতা বিরোধরা ছাত্রলীগের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাতে না হয়, উন্নয়ন কাজ যেন বানচাল করতে পারে। যারা সরকারকে এবং বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে কাজ করে, তারাই ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বড় ভূমিকা রাখে।

ছাত্রলীগ যেভাবে পরিচালিত হয় সেখানে ছাত্রলীগের কারো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার সুযোগ নেই। যেখানে আমরা নতুন কমিটি করি না কেন, আমরা যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে গঠণতন্ত্র অনুসরণ করে কমিটি গঠন করে থাকি। বিতর্কিতদের কেন নেব? তাদের নিলে সংগঠনই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হলে নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আমরা আমাদের নেতৃত্বের জন্য হলেও এই চেয়ারের মর্যাদা বজায় রাখার জন্য হলেও আমাদের জ্ঞানত কোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড যারা করে তাদের প্রশ্রয় দেই না। কিংবা বিতর্কিত কাউকে আমরা কোনো পদে না দেয়ারই সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু সবখানে কমিটি করার ক্ষেত্রে একের অধিক যোগ্য প্রার্থী থাকে। যেহেতু সকলেই সভাপতি সেক্রেটারি হতে চায়। এই দুইটা পদ যেহেতু সবাইকে দেওয়া সম্ভব না। তাছাড়া দেখবেন প্রত্যেকটা ইউনিটে ১০ জনের বেশি যোগ্য প্রার্থী থাকে। আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেসকল নির্দেশনা দেয়, সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য যেমন সদিচ্ছা দরকার তেমন কিন্তু সেই ক্ষমতা বা যোগ্যতাও থাকা দরকার। সেই যোগ্যতাগুলোকে প্রাধান্য দেই আমরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সংসদ সদস্য কিংবা আওয়ামী লীগের যারা অভিভাবক আছেন, সাবেক নেত্রীবৃন্দ আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি ঘোষণা করি। যেখানে বিতর্কিত কেউ আসার সুযোগ নেই। যারা কাঙ্খিত পদ পায় না, তারাই অপরাজনীতি করে। তাদের প্রভাবে বিভিন্ন ধরণের প্রচারণা করা হয়, যেন ছাত্রলীগকে একটু বিতর্কিত করা যায়। যেন তারা তাদের সুদুর প্রসারী যে ষড়যন্ত্র সেটা বাস্তবায়ন করতে পারে।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগ কি বিতর্কিত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে?

লেখক ভট্টাচার্য্য: আমরা যখন দায়িত্ব পাই তখন দেখেছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কিছু কর্মকাণ্ড বা ছাত্রলীগের তৎকালিন নেতৃত্বের কিছু প্রশ্নবিদ্ধ আচারণ। যেগুলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সর্বোপরি শুধু মাত্র আওয়ামী লীগের বাইরের লোকজনই না, আওয়ামী লীগের ভেতরের লোকজনও এমনকি ছাত্রলীগের লোকজনও সেসব কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছে। যেসব কারণে ছাত্রলীগ বিতর্কিত হয়েছিল যেসব কারণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে মানুষ সমালোচনা করার সুযোগ পেয়েছিল সেই কারণগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করতে চেষ্টা করেছি এবং আমি মনে করি সেটা সাফল্যের সাথেই করতে পেরেছি। কিন্তু সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করার জন্য কিংবা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে সাংগঠনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে তৃণমূল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। করোনা মহামারীর কারণে যখন সবকিছু বন্ধ, তখন তো কিছুই করতে পারিনি। ছাত্রলীগ হচ্ছে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র সংগঠন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ থাকে, হলগুলো বন্ধ ছিল যে কারণে আমরা কোনো নির্দেশনা দিতে পারি নাই। গ্রামে যে যেখানে ছিল সেখান থেকেই ছাত্রলীগের মাধ্যমে সমন্বয় করে সেই এলাকার মানুষের সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করেছি। এখন যেহেতু করোনা মহামারী মোকাবিলা করে আবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসগুলো আবার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত হয়েছে। এখন আবার প্রচলতিন নিয়মানুসারে আমাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি সম্মেলন করেছি। চলতি মাসে (জানুয়ারি) এবং সামনের মাসেও (ফেব্রুয়ারি) অনেকগুলো তারিখও নির্ধারণ করা আছে। সুতরাং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেভাবে চালালে সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের কর্মী বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের কাছে ছাত্রলীগ যেন প্রশংসা পায় কোন বিতর্কের জন্ম না দেয় সেই আশা নিয়ে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগ কী শিক্ষার্থীদের কাছে অনুকরণীয় সংগঠন?

লেখক ভট্টাচার্য্য: অবশ্যই। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অনুকরণীয় সংগঠন যদি থেকে থাকে সেটা হচ্ছে ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একমাত্র সংগঠন যেটা ঐতিহ্যগতভাবে এবং ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের পক্ষে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন। ছাত্রলীগ এই দেশের কাজ করার জন্য কিংবা ভবিষ্যত প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব থেকে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে আমরা বিবেচনা করি। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই কেবলমাত্র একটি ছাত্র তার রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে নিজেকে পূর্ণ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সর্বোচ্চ সুযোগ ছাত্রলীগের মাধ্যমে পায়। সেজন্য আমি মনে করি ছাত্রলীগ শিক্ষাথীদের কাছে অনুকরণীয়।

ঢাকাপ্রকাশ: কোনো কোনো সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে আবেদন করার চিন্তা করছে? এবিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী?

লেখক ভট্টাচার্য্য: ২০১৩ সালে যখন গণজাগরণ মঞ্চ সৃষ্টি হয়েছিল। যখন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল মানুষ, অসাস্প্রদায়িক মানুষ যখন মাঠে নেমেছিল কিংবা তাদের অনলাইন প্লাটফর্মে বা বিভিন্ন ব্লগের মাধ্যমে হোক যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে বা রায় বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করেছে ওই সময়ও এই গোষ্ঠি একই কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন বানোয়াট তথ্য এবং বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে জাতিসংঘের উদ্দেশে পিটিশন রিট করেছিল যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে যেন প্রমাণিত করা হয়। কিন্তু আমরা দেখতে পারি যে তার কিছুদিন পরেই বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ থেকে। সুতরাং এটা অনেকেই চেষ্টা করবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারাই অবস্থান করার চেষ্টা করুক তাদেরকে আগে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান করতে হবে, তারপর তারা আওয়ামী লীগ কিংবা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। সুতরাং ছাত্রলীগ সকলের প্রধান টার্গেট। এজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীরা একটু বেশি বিচলিত। তারা তাদের অপকর্মগুলো যেভাবে চালাবে আমরাও সেটা সংঘবদ্ধভাবে মোকাবিলা করব এবং তাদের এই পায়তারা কোন দিনই বাস্তবায়ন হতে দেব না।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগকে কেউ কেউ গুন্ডাবাহিনী বলে এর কারণ কী?

লেখক ভট্টাচার্য্য: ৫০ লাখ নেতাকর্মীদের একটা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ আসলে যদি গুন্ডাবাহিনী হয়, ছাত্রলীগ যদি আসলেই চায় ভিপি নুরু কিংবা যেই হোক, যত বড় ব্যক্তিই হোক বাংলাদেশে সে রাজনীতি করতে পারবে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যদি মনে করে রাষ্ট্রের বিপক্ষে অবস্থান করার কারণে তার অধিকার নেই বাংলাদেশে থাকার কিংবা বাংলাদেশে রাজনীতি করার তাহলে মনে হয় বাংলাদেশের মাটিতে কেউ কোনো ধরণের সুযোগ পাবে না।

সে যত বড় ক্ষমতাধরই হোক ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কেউ কখনও দাঁড়াতে পারেনি, এটা পাকিস্তানিরাও পারেনি, আমেরিকাও পারেনি। অনেকেই চেষ্টা করেছে কেউ কোনো দিন পারেনি। এরাতো (ভিপি নুর) পারবেই না, তাদের আদর্শেরই কোন ভিত্তি নেই। তারা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে ছাত্রলীগের উপর দায় চাপাতে পারে। কারণ ছাত্রলীগের নামটার সঙ্গে থাকলে কিংবা ছাত্রলীগের কাছ থেকে যদি প্রতিরোধের শিকার হয় তাহলে সেটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। সেজন্য তারা এসব ধরণের মন্তব্য করে। এগুলো ভিত্তিহীণ বানোয়াট পুরোপুরি মিথ্যা। আমি আহ্বান করব বাংলাদেশের নাগরিকরা যেন এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকে। আন্দোলনের নামে যেনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠা না খুলে। বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইমেজকে কাজে লাগিয়ে যেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান করার জন্য বা অর্থ সংগ্রহের জন্য যেন কেউ বাংলাদেশের বিপক্ষে না দাঁড়ায়। দীর্ঘ দিন পর ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছিল ২৮ বছর পর আবারও ডাকসুকে কলঙ্কিত করেছে ভিপি নুর। 

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। 

লেখক ভট্টচার্য: আপনাকেও ধন্যবাদ।

জেডএকে/এএস

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ

ডিপজল। ছবি: সংগৃহীত

রাত পোহালেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নিয়ে এফডিসিতে উৎসবের আমেজ বইছে। এরইমধ্যে ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন সাদিয়া মির্জা নামে এক অভিনেত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদেরকে ভিডিও প্রমাণসহ এমন অভিযোগ করেন সাদিয়া মির্জা নামক এক প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজলকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে একটি কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি। এদিকে সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানান বর্তমান নির্বাচন কমিশনার খসরু।

এছাড়াও যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নিপুণ আক্তারের।

এ নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেলের চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বোকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমরা এমনটি আভাস পেয়েছি নির্বাচনের আগেই একটি পক্ষ নির্বাচন বাঞ্চালের চেষ্টা করবে। তবে আমরা চাইবো সুষ্ঠ নির্বাচন হোক। এমন অভিযোগ আমরা অন্য প্যানেল থেকেও অনেক পেয়েছি কিন্তু তাতে আমরা গুরুত্ব দেইনি।

তিনি আরও বলেন, ডিপজল ভাই মহৎ মানুষ এমনিতেই দানবীর, সবাইকে টাকা-পয়সা দান করে থাকেন। এটা নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিষয়টি সুখকর হবে না।

তবে এ বিষয় নিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলের কেউ মুখ খোলেননি। কথা বলতে চাননি মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য সদস্যরাও।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। দুপুরে বিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন উপলেক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার

টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং- জুয়ারোধ, চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্‌ঘাটন করে আসামিদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন এবং সর্বাধিক ওয়ারেন্ট তামিল লক্ষ্য পূরণ করাসহ ভালো কাজের বিশেষ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আহসান উল্লাহ্। তিনি জেলার ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এ নিয়ে জেলার মধ্যে চতুর্থবারের মতো সেরা ওসি নির্বাচিত হলেন তিনি। একইসাথে ভূঞাপুর থানাও শ্রেষ্ঠ হয়েছে এবং থানার এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলসহ ৯ জন ক্রেস্ট সম্মাননা পেয়েছেন। তার এই অর্জনে উপজেলার সুধীজন, বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক সংগঠনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে আয়োজিত মাসের কল্যাণ সভায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসির সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এ সময় ওসি আহসান উল্লাহ্’র হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট (পুরস্কার) তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার (বিপিএম) (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। এতে জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার মহোদয় (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এর দিক-নির্দেশনায় মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিংরোধ ও চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্‌ঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতারসহ বিশেষ অবদানের জন্য চতুর্থ বার আমাকে শ্রেষ্ঠ ওসি ও ভূঞাপুর থানাকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়।

ওসি আহসান উল্লাহ্ আরও বলেন- ভূঞাপুর থানার কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য এবং উপজেলার সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ভূঞাপুর থানার এমন এক সাফল্যময় গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই অর্জন সকলের। তাছাড়া জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি ও থানা নির্বাচিত হওয়ায় আমাদের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল। ভূঞাপুর থানা সকলের জন্য উন্মুক্ত। আগামী দিনগুলোতে আরও ভালো কিছু করতে ভূঞাপুর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা সহযোগিতা কামনা করছি।

ক্যাপশন: সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্।

দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি

সড়ক দুর্ঘটনা। ফাইল ছবি

দেশে বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। ফরিদপুরে ঈদের পরদিন সড়কে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। এই রেশ কাটতে না কাটতেই ঝালকাঠিতে সড়কে প্রাণ ঝরে আরও ১৪ জনের। গত তিন মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিদিন সড়কে প্রাণ যাচ্ছে ঝরছে ১৬ জনের বেশি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৬৩০টি। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৭৭ জনের। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৯২০ জন।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩৭টি, এতে মৃত্যু হয়েছে ৪০৪ জনের আর আহত হয়েছেন ৫১৪ জন। ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৬৯টি। এতে মারা গেছেন ৫২৩ জন আরও আহত হয়েছেন ৭২২ জন।

মার্চে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে হয় ৬২৪টি। এতে আহত হন ৬৮৪ জন। মারা গেছেন ৫৫০ জন। এপ্রিল মাসের ১৬ দিনে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬৯টি আর মৃত্যু হয়েছে ২৮৪ জনের। গড়ে প্রতিদিন সড়কে মৃত্যু হচ্ছে ১৬ জনেরও বেশি।

গত ৩ মাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে, যার সংখ্যা ৫৫৪টি, আর এতে মৃত্যু ৫০৪ জনের। আর সার্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু চট্টগ্রাম বিভাগে।

বিআরটিএ বলছে, গেল বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু দুটোই এবছর প্রথম তিন মাসে বেড়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ
টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার
দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি
টানা তিনদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট অ্যালার্ট জারি
তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল ছুটি ঘোষণা
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের 'প্রিমিয়াম টিম': সেনাপ্রধান
আগামীকাল ঢাকা মাতাবেন আতিফ আসলাম
এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আ.লীগের নির্দেশনা
নওগাঁয় শান্ত বাহিনীর শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন
বিএনপি এখনও টার্গেটে পৌঁছাতে পারেনি: রিজভী
বিরামপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়ল, কমল খোলা তেলের
মুস্তাফিজের বদলে ইংল্যান্ড পেসারকে দলে নিল চেন্নাই!
যে কারণে দুবাইয়ে এমন ভারী বৃষ্টিপাত ও ভয়াবহ বন্যা
গায়েব হয়ে গেল জোভান-মাহির ফেসবুক ফ্যানপেজ!
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান একাই যথেষ্ট: চীন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০
ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি হারালেন ২৮ কর্মী
আইপিএল থেকে বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে ম্যাক্সওয়েল