বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

বাংলাদেশের জয়ের পথে যেসব প্রতিবন্ধকতা!

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে বাংলাদেশ যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে, তাতে অন্য যে কোনো দল থাকলে চোখ বুঝে জয়ের কথা ভাবত। নিউ জিল্যান্ডও হারের কথা মাথায় নিয়ে শেষ দিন মাঠে নামত। মাত্র ১৭ রানে এগিয়ে থেকে হাতে ৫ উইকেট নিয়ে খেলতে নেমে কতদূরই বা যাবে? আর কতক্ষণই টিকে থাকবে? ড্রেসিং রুমে নেই প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানরা। ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল ক্যারিয়ারে শেষবারের মতো ব্যাট করতে নামা রস টেলর। তিনি ৩৭ রানে অপরাজিত। তাকে কতোটা আর সহায়তা দিতে পারবেন ৬ রানে অপরাজিত থাকা রাচিন রবিন্দ্র। কিংবা পরে আসা জেমিসন-সাউদি-ওয়েগনার-বোল্ট। চতুর্থ দিন শেষে কথা বলতে আসা লিটন কুমার দাস জানালেন, ‘জিততেই হবে এমন কোনো কথা নেই। আমরা একটা প্রসেসের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত সেই প্রসেসটা ধরে রেখে সফল হয়েছি। সামনেও সফল হবো আশা করছি।’

নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের বিবর্ন ইতিহাস লিটনদের আশাবাদী করে তুলতে পারছে না। তাছাড়া নিউ জিল্যান্ড যদি তাদের লিড শতরান ছাড়িয়ে নিতে পারে তাহলে বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা জেতা কঠিন হয়ে উঠবে। তবে একটা বিষয় বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে পেরেছে এই টেস্ট হারবে না।

লিটনের কথার গভীরে গেলে এই টেস্ট জয়ে বাংলাদেশের জয়ের পথে কিছু প্রতিবন্ধকতা সামনে আছে। প্রথমেই হলো ১৭ রানে এগিয়ে থাকা নিউ জিল্যান্ড সেই লিড কতোদূর টেনে নিয়ে যেতে পারে। আগামীকালের তিন সেশনে নিউ জিল্যান্ড যতো বেশি রান করতে থাকবে, একদিকে যেমন লিড বাড়তে থাকবে অপরদিকে কমে আসতে থাকবে সময়। এই দুইটিই বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। কারণ লিড বাড়লে সময় কমে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের জন্য দেখে-শুনে খেলা কঠিন হয়ে যাবে। এমন দেখা যেতে পারে জিততে হলে কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে খেলতে হবে। আর এমন ঝুঁকি নিয়ে খেলতে গেলে নিউ জিল্যান্ডের চার পেসার লুফে নেবেন। দেখা যাবে রান আসছে, আবার উইকেটও পড়ছে। শেষ পর্যন্ত কী হয় কে জানে? এদিকে আবার অতীত ইতিহাস বলে প্রথম ইনিংসে ভালো করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করার নজির নেই দেশটির।

প্রতিবন্ধকতা আছে আরো। ইনুজরির কারণে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ব্যাট করতে না পারা। হাতের ইনজুরির কারণে কনকাশন সাবও পাবে না। তাই টার্গেট যাই থাকুক ১০ জন নিয়ে অতিক্রম করার লড়াইয়ে নামতে হবে। অথচ এই জয় প্রথম ইনিংসে নান্দনিক ব্যাটিং করে সবার নজর কেড়েছিলে। ২২৮ বল খেলে করেছিলেন ৭৮ রান।

আরকেটি প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ‘রিভিউ’ না থাকাতে। তিনটি রিভিউ বাংলাদেশ আজ চতুর্থ দিনই নষ্ট করে ফেলেছে। যেসব রিভিউ নিয়েছে তা নিয়ে বিস্তর হাসাহাসি পর্যন্ত হয়েছে। তাসকিনের বলে রস টেলরের ব্যাটে লাগার পরও মিরাজের আশ্বাসে মুমিনুল রিভিউ নিয়েছিলেন। আর এই রিভিউ নিয়েই ধারাভাষ্যকাররা পর্যন্ত হাসাহাসি করেছেন। টুইটারে লেখা হয়েছে বিদ্রুপ। আগামীকাল যদি কখনো রিভিউ নেয়ার প্রয়োজন পড়ে বাংলাদেশকে শুধু আফসোস করতে হবে।

সব প্রতিবন্ধকতাই জয় করা যাবে যদি নিউ জিল্যান্ডের লিডকে বেশি হতে না দেওয়া যায়। শতরানের নিচে থাকলে লাল-সবুজের বিজয় নিশান নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো উড়তে দেখা যাবে।

এখন শুধুই অপেক্ষার পালা। তীরে এসে বাংলাদেশ তরী ডুবাবে না-এমনিই আশা দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের।

এমপি/এসআইএইচ

আজকের সেহরির শেষ সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল

ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

দেশের মানুষ দুঃসময় অতিক্রম করছে উল্লেখ করে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। একটা দুঃসময় অতিক্রম করছি। এসময়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে এ ইফতালের আয়োজন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। একটা দুঃসময় অতিক্রম করছি। ফ্যাসিবাদী শক্তি সমস্ত জাতির ওপর চেপে ধরে বসে আছে। আমাদের সকল আশা আকাঙ্ক্ষাগুলো ব্যর্থ করে দিয়ে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেছি।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এক দফার আন্দোলনে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে সম্মিলিত করে। আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কাজ করছি। সে আন্দোলনে বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ্।

অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, ১৮ কোটি মানুষের দেশে মানুষ আজ মজলুম। পুরো দেশের মানুষ আজ জুলুমের শিকার। লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ্।

এতে জামায়াত নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত সেলিম, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ মাহমুদ চৌধুরী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহ্বায়ক মশিউজ্জামান, জাগপার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ, গণঅধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক, যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।

মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক কারাগারে

গ্রেপ্তার শিক্ষক ছেলে জলিল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নিজের মাকে ভরণপোষণ না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ছেলেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সরিষাবাড়ী থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বাশঁবাড়ী এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ছেলে জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন রাতে তাকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত জলিল মিয়া পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের শ্যামের পাড়া ফিরোজা মনিজা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

ভুক্তভোগী খোদেজা বেগম বলেন, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকে মেয়েকে ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করে সকল সম্পত্তি ছেলেকে লিখে দিতে বলে। এতে রাজি না হলে আমার খোঁজ খরব নেওয়া বন্ধ করে দেয়। সেই সাথে চিকিৎসা সেবাসহ কোন প্রকার ভরণপোষন দেয় না। বিভিন্ন সময় আমাকে মারপিট সহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।এক পর্যায়ে আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি বৃদ্ধ বয়সে নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নেই।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী খোদেজা বেগম থানায় ২০১৩ সনের পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন ৫(১) ধারায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আবদুল জলিলকে গ্রেপ্তার করে।

বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল, আলু, চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এ তথ্য জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করতে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসেবে এ সুবিধাগুলো দেয় তার জন্য বলব।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কী ধরনের সুবিধা পাবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক পণ্যের বাইরেও আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যখন আলাপ করেছি। তিনি জানিয়েছেন আমের অনেক সম্ভাবনা আছে। পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে। এর বাইরে আরও পণ্য আছে। আমরা এরই মধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্পন্ন চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্যময় পণ্য নিয়ে যেতে পারি তবে সেটা হতে পারে বিশাল বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

 

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ফলে ওই সব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। ছবি: সংগৃহীত

 

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতের দেশ এবং বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশিদার। চীনে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, পণ্য ছাড়াও সেবা এবং বিনিয়োগ খাতেও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ১৪-১৫ অক্টোবর চীনের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরকালে দু’দেশের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাই সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল
মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক কারাগারে
বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম হলেন যারা
বাংলাদেশে আসছেন সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম
চট্টগ্রামে ফিশিং বোটে আগুন, দগ্ধ ৪
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ৪ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৮৯ শতাংশই ফেল
ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
৮ বছর পর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা
‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলব, এটুক অন্যায় করবোই’
প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে শরফুদ্দৌলা
পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর
কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক
শিগগিরই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানো হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়িতে কাঁথাও বানায় না: রিজভী
ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিশ্বকাপ না জিতলে আমি হয়তো জাতীয় দল ছেড়ে দিতাম: মেসি
জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী