শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

শিক্ষার অহংকার ও আমাদের মানবিক বিপর্যয়!

২০৩০ সালে উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যে দিকগুলোর উন্নতি অপরিহার্য তার মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা অন্যতম। মানসম্মত শিক্ষা ব্যতীত একটি দেশের সামগ্রিক উন্নতি বাধাগ্রস্থ হয়। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বপ্রথম রাষ্ট্রযন্ত্রের উদ্যোগ ও আন্তরিকতা বিবেচ্য। আর এজন্যই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র বা সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলের ১৭ টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো মানসম্মত শিক্ষা। এই সময়ের মধ্যে যদি সমগ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা না যায় তাহলে বাকি ইস্যু গুলোর উন্নতি টেকসই হবেনা।

শিক্ষাকে একমুখীকরণ, সংস্কার সাধন এবং সর্বজনীন করার মধ্য দিয়েই এই রাস্তা তৈরি হতে পারে। কিন্তু বিগত দুই দশক ধরে শিক্ষা ব্যবস্থায় চলমান নানা উদ্যোগ, পোষ্টমর্টেম, পরিবর্তন, পরিবর্ধন পরিমার্জন সংকোচন নীতি গ্রহণ করা হয়েছে যা কাক্ষিত মানসম্মত শিক্ষার লক্ষ্যকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করেনি করেছে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ।

সবশেষ ২০২২ সালে এস,এস,সির ফলাফল প্রমাণ করে সরকার শিক্ষায় হাইব্রিড অর্জনের কোন রাস্তা আর বাকি রাখেনি। মান অর্জনের জায়গায় আমরা শুধু কিছু সংখ্যার উন্নতি দেখে অভ্যস্ত হয়েছি। আর এটাকে আমরা মনে করেছি শিক্ষার উন্নতি, প্রকৃত উন্নতি। তবে শিক্ষার উন্নতি সবসময় ধান গাছের মত দৃশ্যমান হয় না এটা কখনও কখনও ওল গাছের মতও হয়। আমাদের শিক্ষার উন্নতি ধান-গমের মত দৃশ্যমান কিন্তু সেটা কতটুকু টেকসই আমরা কি ভেবেছি কখনো? শিক্ষায় সংস্কৃতিতে, কাঙ্খিত সমাজ পরিবর্তনের প্রতিফলন আসে শিক্ষার মধ্য দিয়ে আর এটাই শিক্ষার চূড়ান্ত রূপ।

শিক্ষার এই সংখ্যা তাত্বিক বিশ্লেষণ প্রমাণ করে আমরা স্থায়ীভাবে কেরানি তৈরির জন্য কতটা উদগ্রীব। ব্রিটিশ পাকিস্থান এমনকি বাংলাদেশ পর্বে এসেও সরকারের অনুগত কর্মচারী শ্রেণি, কেরানি তৈরি করা ছাড়া শিক্ষায় মৌলিক পরিবর্তনের কোনো অনুসঙ্গ যোগ করতে পারিনি। ঔপনিবেশিক আমলের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে হাল আমলের শিক্ষাব্যবস্থার আসলে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই।

সনদ সর্বস্ব শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সুশীল সমাজের চিৎকার বহুদিনের। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় যে ছাত্র নকল করিল আর যে ছাত্র মুখস্থ করিয়া মগজে ভরিয়া খাতার উপর বমি করিল, সেই বা কম কি করিল! পড়া মুখস্থ কর, পরীক্ষা দাও, ভালো চাকরি পাও, বিলাসী জীবন কাটাও, এখন পর্যন্ত আমরা শিক্ষার এই সংকীর্ণ ধারণায় আটকে আছি। আত্মশক্তি অর্জনই যে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য সেই চিন্তা থেকে আমরা আজ বহুদূরে। শিক্ষা যে প্রদীপ শিখা, পরশ পাথর এবং এই তত্বদিয়ে বৃহৎ পরিসরে পরিবর্তন, বিপ্লব আনা সম্ভব, রাষ্ট্র, সমাজ দেশ, জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে উঠিয়ে আনা সম্ভব সেই চিন্তা এখন সুদূর পরাহত। পৃথিবীর বহুদেশ শিক্ষা দিয়ে সেই পরিবর্তন এনছেন এখনো আনছেন। বলা হচ্ছে একুশ শতকে শিক্ষায় রাষ্ট্রের সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের প্রধান অস্ত্র। রেনেঁসাস মানুষ তৈরির মূল হাতিয়ার শিক্ষা, এই চেতনা আজ নির্বাসিত। প্রকৃত শিক্ষার উদ্দেশ্য থেকে আমাদের দূরত্ব যোজন যোজন। একজন শিক্ষিত মানুষ নিজের পাশাপশি জাতি, সমাজ নিজের বিশ্বাসকে এগিয়ে নেয়, মানবতার জন্য বেদনা অনুভব করবে এমন প্রবণতা এখানে অনুপস্থিত। শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষার অহংকার তৈরি হয়েছে, পাশাপাশি সমাজের মানবিক, নৈতিক, উন্নতি না হয়ে ঘটেছে উল্টো বিপর্যয়। শিক্ষায় বিনিয়োগের কোনো সুফল আসেনি।

আগের তুলনায় আমাদের দেশে এখন মেধাবীর সংখ্যা অনেক বেশি। ২০০১ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের দেশে শুধু এ প্লাস পেয়েছে ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৬০৯ জন। মেধাবী মানুষে ভরে গেছে দেশ, নেই আলোকিত মানুষ; অথচ শিক্ষা তৈরি করে আলোকিত মানুষ, রেনেঁসাস মানুষ।
অ্যারিষ্টটল, প্লেটো, কিংবা ইমানুয়েল কান্ট, হেগেল, জেরেমি বেস্থাম থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ কিংবা আধুনিক শিক্ষাবিজ্ঞানীরা শিক্ষার এই দৃশ্যমান উন্নতির কথা বলেননি। আত্বিক উন্নতির পাশাপাশি প্রয়োজনের শিক্ষাও দরকার, কিন্তু প্রথম বিষয়টিকে উপেক্ষা করে নয়। একটু পরিসংখ্যান দেখলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।

২০০১ সালে প্রথম গ্রেডিং পদ্ধতির মধ্যদিয়ে দেশে পরীক্ষা ব্যবস্থায় নতুন এক পুনর্জাগরণের আভাস আমরা দেখতে পায় এবং সে বছর সারা দেশে যেভাবে জি,পি,এ’র উত্থান আমরা দেখি। সে ধারা এখনও অব্যহত আছে পুর্বের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে। ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে মেধাবী না বাড়লেও বেড়েছে এ প্লাস এর সংখ্যা। গ্রেডিং পদ্ধতির প্রারম্ভে ২০০১ সালে যেখানে সারাদেশে মোট ৭৬ জন এ প্লাস পায়, সেখানে ২০০২ সালে এসে জ্যামিতিক হারে এই সংখ্যা বেড়ে ৩২৭ এ দাঁড়ায়।

২০০৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৮৯, ২০০৪ সালে ৮৫৯৭, ২০০৫ সালে ১৫৬৩১, ২০০৬ সালে ২৪ ৩৮৪, ২০০৭ সালে ২৫৭৩২, ২০০৮ সালে ৪১৯১৭, ২০০৯ সালে ৪৫৯৩৪, ২০১০ সালে ৫২১৩৪, ২০১১ সালে ৬২২৮৮, ২০১২ সালে ৮২২১২, ২০১৩ সালে ৯১২২৬, ২০১৪ সালে ১৪২২৭৬, ২০১৫ সালে ১১১৯০১, ২০১৬ সালে ১০৯৭৬১, ২০১৭ সালে ১০৮৭৬১, ২০১৮ সালে ১১০৬২৯, ২০১৯ সালে ১০৫৫৯৪, ২০২০ সালে ১৩৫৮৯৮, ২০২১ সালে ১৮৩৩৪০ এবং এভাবে চলতে চলতে সর্বশেষ ২০২২ সালে এসে সেটা দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬০০২ জন। প্রায় ২০ লাখের অধিক ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে ১৮ লাখ ৮১ ৬০০ জন শিক্ষার্থী পাস করে, পক্ষান্তরে ফেলের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ জন। দুই দশকের ব্যবধানে দেশে জ্যামিতিক হারে শুধু মেধাবীর সংখ্যা বাড়েনি; পাসের হার ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সব রেকর্ড। সবমিলিয়ে ২২ বার দেশে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষায় কথিত এ প্লাস ধারীর মোট সংখ্যা ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৬০৯ জন।

মেধাবী শিক্ষাথীতে ভরে গেছে দেশ, শূন্যতা রয়েছে ফলাফলে। শিক্ষার্থীদের শুধু শুধু নাম্বার দেওয়ার প্রবণতা, খাতামূল্যয়নে শৈথিল্য প্রদর্শন, শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীলতার নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এমন কা-ের মূল কারণ। উদ্দেশ্যহীনভাবে এভাবে সনদ দেওয়ার প্রবণতা শিক্ষা ব্যবস্থায় বহুমাত্রিক সমস্যা তৈরী করেছে এর মধ্যে বেকারত্ব অন্যতম। শুধু শুধু পাশ করিয়ে দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধবংশের পায়তারা চলছে অনেকদিন ধরেই তা না হলে এই নাম্বার দেওয়ার কোন উদ্দেশ্য আছে কি না সেটা বোধগম্য নয়। দক্ষিন আফ্রিকায় পরিচালিত এক গবেষণা বলছে পুরো জাতিকে ধ্বংস করার জন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নকল করার সুযোগ তৈরি অথবা অতিরিক্ত নাম্বার দেওয়ার প্রবণতা যথেষ্ট। এজন্য শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের প্রয়োজন হয় না। টি, আই,বি, এডুকেশন ওয়াচসহ বেশ কয়েকটি বিদেশি দাতা গোষ্ঠীর গবেষণা বলছে দেশে অশিক্ষিত বেকারের চেয়ে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অধিক। আর এই সংখ্যা ২৬ লাখের অধিক। প্রতিবছর মোট এই সংখ্যার সঙ্গে আরও যোগ হচ্ছে নতুন শ্রমশক্তি। যারা শিক্ষিত হয়ে নতুন চাকরির শ্রম বাজারে ঢুকে সমস্যা তৈরি করছে। শুধু পাশ করালেই সমাধান আসে না নাগরিকদের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা বিধান করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সংবিধান প্রদত্ত নাগরিকের এই অধিকার নিয়ে রাষ্ট্রের কোনো মাথাব্যথা আছে কি না সেটা ভাববার বিষয়। শুধু পাশ করালে সংকট আরও বাড়ে যা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। আমরা ৯০ দশকের কোেো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখি ১৯৯০ সালের ৪ বোর্ড মিলিয়ে সম্মিলিত পাসের হার ছিল ৩১ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ৬৯ শতাংশ ফেল করে। বলা চলে চার লাখের মতো শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ লাখই ফেল করে। শিক্ষার মান সে সময়ে ভালো না হলেও খারাপ ছিল না। থাকলেও এতটা বিতর্কিত ছিল না। আজকের বাস্তবতায় ২০২২ সালে প্রায় ২০ লাখের অধিক পরীক্ষা দিয়ে ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৬০০ অধিক পাস করাটা আশ্চর্য্যের বটে। ফেল করেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ । ৯০ দশকের তুলনায় পুরোপুরি উল্টো চিত্র দেখি আমরা। আর এখানেই আছে যত সমস্যা। ২০২২ সালে পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষার্থী স্কুল ফাইনাল দেয়নি, পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

উদ্দেশ্যহীনভাবে অবিবেচকের মতো পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রবণতা, গণতন্ত্রের মতো মানের চেয়ে সংখ্যাকে সমাধান মনে করার অপচেষ্টাই এমন এ প্লাস জোয়ারের জন্য দায়ী। ৮৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক গণিত ও ইংরেজির শিক্ষক সংকট। আর এসব কারণ শিক্ষার জন্য ভালো লক্ষণ নয়। এই পাশ করা তথ্য আর সংখ্যার উন্নতি ক্রমাগত আমাদের পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, ঘটেছে আমাদের মানবিক বিপর্যয়। সংখ্যাতত্বে শিক্ষার অহংকার বেড়েছে পাশাপাশি বেড়েছে অনিশ্চয়তা আর দুঃচিন্তা। রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনা আর শিক্ষাকে পণ্য করার ফলে এই প্রবণতা এখন সর্বগ্রাসী। সামনের দিকে রাষ্ট্রের তথাকথিত এই শিক্ষা সামগ্রিক উন্নতি আরও বেশি বাধাগ্রস্ত করবে এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না । নতুন প্রজন্মের বি,সি,এস মুখিতা বিশেষ করে প্রশাসক তৈরি, কেরানি তৈরির নীলনকশা ছাড়া এই শিক্ষাব্যবস্থায় অন্যকিছু আছে কি না সেটা প্রশ্নবিদ্ধ! শিক্ষার উন্নতির গ্রাফ এখন নিম্নগামী। এই রাষ্ট্র মেধাবী জন্ম দিয়েছে নাকি আমরা পরিকল্পিত ভাবে তাদের সংখ্যা বাড়িয়েছি। শিক্ষায় মানবিক উন্নতির যে স্বপ্ন আমরা দেখি সেটা অধরা। শিক্ষায় যেভাবে আমাদের অহংকার বেড়েছে সেভাবে মানসিকতার উন্নতি আসেনি। আসলে সত্যিকার অর্থেই এই দেশ একদিন সোনার দেশে পরিণত হত। কল্যাণকর, গণতান্ত্রিক, মানবিক রাষ্ট্র তৈরির সম্ভাবনা শিক্ষাব্যবস্থায় রাখার প্রয়োজন ছিল সেটা হয়নি। ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে শিক্ষা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষায় জমে থাকা সকল সমস্যা সমাধানের কথা বলা হলেও সেটা হয়নি।

আগামীতে সেটার সম্ভাবনা কতটুকু সেটা বিবেচ্য বটে। অতি সাম্প্রতিক কালে সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ কয়েকজন শিক্ষাবিদ শিক্ষা সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশের কথা বলেছেন। তারা জোর দিয়ে বলেছেন শিক্ষাকে উন্নত যুগোপযোগী করতে সর্বপ্রথম শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি, শিক্ষায় বাজেট বৃদ্ধি করে টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ ছাড়া এই মুহূর্তে আসলে দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা। শিক্ষাকে পণ্য করা জন্য রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা লক্ষণীয়। রয়েছে সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খখলার অভাব।

পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে আকাশটাকে যতটা কাছে মনে হয় আসলে আকাশটা ততটা কাছে নয়। তাই শিক্ষিত হয়ে অনেক সার্টিফিকেট জোগাড় করলেই জ্ঞানী হয়না, এর জন্য বাস্তব বুদ্ধি দিয়ে নিজেকে জানতে হবে। পুঁথিগত বিদ্যা আমাদেরকে বাক্সে বন্দী করে, নিজেকে সমাজে মেলে ধরা, সমাজ সংস্কারক কাজে নিয়োজিত করা প্রকৃত জ্ঞানী ছাড়া কোনো দিন সম্ভবপর নয়। আর জ্ঞানী ব্যক্তি অবশ্যই শিক্ষিত, যেমন শিক্ষিত অন্যদিকে বাস্তববুদ্ধি সম্পর্কে অবগত।

জ্ঞানী ব্যক্তি পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে আকাশটাকে সত্যি কাছে করে দিয়েছেন মানবকল্যাণে। সেই শিক্ষা নেই আমাদের তথাকথিত শিক্ষাব্যবস্থায়। শিক্ষিত হয়ে সমাজের কেরানি হওয়া, জ্ঞানের মাধ্যমে সমাজ সংস্কার, বিজ্ঞানের সাধনায় নিয়োজিত রাখা এখন কল্পনাপ্রসূত। অন্যকে জানেন শিক্ষিত, নিজেকে জানেন জ্ঞানী। জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কাজে লাগে না এই মন্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসের বিলোপ সাধন করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি পোড়ামাটির নীতির দিকে।

তথাকথিত বিনয়, অহংকার ইত্যাদি দিয়ে শিক্ষিত ও প্রজ্ঞাবানদের আলাদা করা খুবই ভ্রান্ত। এটাও কোন চিন্তা না করে প্রচলিত পপুলিস্ট ধারণা আউড়ে যাবার মত হয়। কারণ, যাকে বিনয় বলা হয়, যাকে অহংকার বলা হয় তা সামাজিক কনটেক্সটের উপর নির্ভর করে। এমন ঊষর পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কি?

এ প্রসঙ্গে চিন্তাবিদ আহমদ ছফা বেশ দামি একটা কথা বলেছেন শিক্ষা বিষয়ে তিনি আক্ষেপ করে বলেন বড় বড় স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যার চেয়ে অহংকার শেখে বেশি। শিক্ষার আলো মানুষের মনুষ্যত্ব, মানব প্রেম, বিবেককে জাগ্রত করে । আর যারা শিক্ষিত হয়েও অহংকারী হই বুঝতে হবে তারা শিক্ষা অর্জন করেছে শুধু অবস্থার উন্নয়নের জন্য। আর্থিক দৈন্যতা ঘোঁচানোর জন্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ, আলোকায়নের জন্য নয় আর যদি তা না হয় তাহলে এই বঙ্গদেশে শিক্ষা ব্যর্থতার অপর নাম। শিক্ষা এখানে কোনোদিনই হয়ে উঠবে না অস্ত্র যা দিয়ে রাষ্ট্রের সকল পরিবর্তন আনয়ন করা সম্ভব। এই রাষ্ট্রে শিক্ষা হয়ে উঠছে পণ্য যা দিয়ে পরিবর্তনের চেষ্টা চলবে কিন্তু তা কখনই হয়ে উঠবে না। শিক্ষার অহংকার আর মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে এখন সেটাই হচ্ছে।

লেখক: গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষা গবেষক, এ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার।
সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ঝঊউচ) বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র বাংলামোটর, ঢাকা

 

Header Ad

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশিদের জন্য ভিসা ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করেছে সৌদি আরব। এখন থেকে যেকোনো ধরনের ভিসায় সৌদি আরব গেলেই বিদেশিরা ওমরাহ পালনের অনুমতি পাবেন।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যেকোনো দেশ থেকে এবং যেকোনো ভিসায় সৌদি আরবে আগতরা এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম ও ই-ভিসাসহ সব ভিসাধারী ব্যক্তিরা এ সুযোগ পাবেন। এছাড়া ওমরাহ পালনের অনুমতি ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ের জন্য ‘নুসুক’ অ্যাপ ব্যবহার করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের ইবাদত সহজ করতে ‘ডিজিটাল ব্যাগ’ চালু করেছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, এই ব্যাগ প্রোগ্রাম হজ ও ওমরাহযাত্রীদের জীবনমান সহজ করবে। তাদের হজ ও ওমরাহ পালন সহজ করবে। মুসল্লিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে এর মাধ্যমে। বিশেষ করে কখন তারা কোন বিধান পালন করবে, সে বিষয়ে সতর্ক করা হবে।

নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

নিহত জাওহার আমিন লাদেন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জাওহার আমিন লাদেন (১৮) নামে আরও এক কলেজছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন প্রাণ হারালেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ এ চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়

নিহত জাওহার বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে।

জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে যায় তিন ভাই। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে বের হন তারা। পথে বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজনই গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামাতো ভাই আকিব হাসান (১৫) ও খায়রুল বাশার ছাগির (১৭) মারা যায়। বুধবার রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক ভাই জাওহারের মৃত্যু হয়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার ধামানিয়াপাড়া গ্রামে মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিন মামাতো-ফুফাতো ভাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনই মারা গেছেন।

জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপরই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রটি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কয়েকশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ঢাবি শিক্ষার্থী ও তিনজন পরীক্ষার্থী।

ডিবি জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বসে এ পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতেন তারা। পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হতো উত্তরপত্র।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাবি শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন (২৬) ও সুজন চন্দ্র রায় (২৫) এবং পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০) ও লাভলী মণ্ডল (৩০)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ডিবিপ্রধান বলেন, গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ জেলার সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এ পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

এ ঘটনায় দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা করে সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি জানান, কীভাবে এবং কখন তার মোবাইলে উত্তরপত্র এসেছে। মাদারীপুরে গ্রেপ্তার হওয়া পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই জামিনে বের হয়ে যান। ঘটনাটি তদন্তের জন্য মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলমের অনুরোধে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগ তদন্তে নামে।

মাঠে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্রকে। তারা দুজনেই ঢাবির জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

তারা গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, পরীক্ষার আগেই তারা প্রশ্ন সমাধানের জন্য পেয়েছেন। এ প্রশ্ন সমাধানের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতির্ময় গাইনের চাচা অসিম গাইনের মাধ্যমে।

প্রশ্ন প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তাদের দিয়ে প্রশ্ন সমাধান করান অসিম। এ প্রস্তাবে জ্যোতির্ময় ও সুজনসহ সাতজন ঢাবির জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুরতা ভবনের ২২৪ রুমে বসে তারা প্রশ্নের সমাধান করে পাঠান। অসিম তার ভাতিজা জ্যোতির্ময় গাইনকে প্রশ্ন সামাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, তিনি পরীক্ষার দুই থেকে তিন মাস আগেই পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিশেষ করে যাদের চাকরির বয়স শেষের পথে, এমন পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করতেন। তাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি করতেন।

পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই প্রশ্নের উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন অসিম গাইন। তাদের সমাধান করে দেওয়া প্রশ্নের মধ্যে ৭২ থেকে ৭৫টিই মিলেছে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমাদের তদন্তে এখন পর্যন্ত যে প্রমাণ পেয়েছি, তাতে এ চক্রের হোতা অসিম গাইন। তার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। তিনি আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। তিনি অল্পদিনে কয়েকশ’ কোটি টাকা আয় করেছেন। এ টাকা দিয়ে তার গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকা অসিমের মানবপাচার, হুন্ডি ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা রয়েছে। যেখানে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করে আয় করা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তাকে গ্রেপ্তার করলে কীভাবে প্রশ্নগুলো পান, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারব।

এ ঘটনায় দুজনকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। যারা প্রশ্নের সমাধান করেছেন, আদালতে তারাও স্বীকার করেছেন। যারা প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, তারাও স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ জানানো হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমরা এ মামলার তদন্তে নেমে যা যা পেয়েছি সবকিছুই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরীক্ষা বাতিল করবেন না-কি বহাল রাখবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়