বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার

সচল ট্রাইব্যুনাল, স্থবিরতা আপিলে

ছবি : সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল করোনাক্রান্তির পর সচল হয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তিতে স্থবিরতা কাটেনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে।

মহামারি করোনাকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারপতির মৃত্যু হয়। যার ফলে করোনার প্রভাব কমে আসার প্রেক্ষিতে বিচারাঙ্গণে গতি ফিরলেও গতিহীনই ছিল ট্রাইব্যুনাল। তবে গত ১৪ অক্টোবর একজন বিচারপতিকে ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর পূর্ণতা পায় তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে একটি রায়ও দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

এর প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমিত কুমার দে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ট্রাইব্যুনালে সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি যোগদান করার পর এখন ট্রাইব্যুনালের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে নিয়মিত কার্যক্রম চলছে।

তবে করোনার রেশ কমে গেলেও ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে হওয়া আপিল মামলার ক্ষেত্রে স্থবিরতা অব্যাহতই আছে। যদিও ট্রাইব্যুনালের দেওয়া এসব রায়ে অনেক আসমিই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। তবে সর্বোচ্চ আদলত বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডের আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে পুরাতন মামলাগুলোকেই প্রধান্য দিচ্ছে বলে জানা গেছে। তা ছাড়া আপিল বিভাগে বিচারক সংকটও প্রবল।

আপিল বিভাগে দুটি বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম চললেও বর্তমানে চলছে মাত্র একটিতে। তা ছাড়া আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, তাতে আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা কমে হবে মাত্র চারজন। যদিও আপিল বিভাগে এক সময় ১১ জন বিচারপতিও ছিলেন।

আপিল বিভাগে যুদ্ধাপরাধীদের অনেক মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকার পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাইলে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল, আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত অনেক মামলার শুনানি হয়েছে। বাকিগুলোর শুনানিও হয়ে যাবে। খুব দ্রুতই শুনানি হবে। (সুপ্রিম কোর্টের আসন্ন অবকাশ শেষে) খোলার পর শুনানি হবে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ যাবত ৪৩টি মামলার রায় ঘোষণা করেছে। এসব মামলার রায়ে ৭২ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড, ২২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং খালাস পেয়েছেন একজন। তবে এসব রায়ের মধ্যে যেগুলোর বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে তার মধ্যে মাত্র সাতটির আপিল নিষ্পত্তি করেছে সর্বোচ্চ আদালত। বাকি আরও ২৭টি মামলা আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুানল এ যাবত ১১৬ আসামির বিষয়ে রায় দিয়েছে। যাদের মধ্যে ১২ জন মামলার রায় হওয়ার আগেই মারা গেছেন। বাকি ১০৪ আসামির মধ্যে ১০৩ জনকে দণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আর বাকি একজন মো. আব্দুল লতিফকে শিশু বয়স বিবেচনায় খালাস দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান এসব তথ্য দিয়ে ঢাকাপ্রকাশকে জানান, রায় হওয়ার আগে মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে ১০ জন মারা যান কারাগারে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। আর অন্য দুইজন মারা যান পলাতক অবস্থায়।

প্রসিকিউশনে সংরক্ষিত তথ্য থেকে তিনি জানান, আসামিদের মধ্যে ৫২ জন আটক এবং ৫২ জন পলাতক। দণ্ডপ্রাপ্ত ১০৩ আসামির মধ্যে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৪ জন। সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসমি ৬ জন, যাদের মধ্যে ২০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নোয়াখালীর আব্দুল কুদ্দুস বর্তমানে মৃত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আটক হয়েছেন ৩৫ জন এবং পলাতক ৩৬ জন। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আটক আসামিদের মধ্যে পলাতক ১১ জন এবং আটক ১১ জন।

আপিল নিষ্পত্তি

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত হওয়া আসামিদের অনেকেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ৯ জনের আপিল নিষ্পত্তি করেছে সর্বোচ্চ আদালত।

রিভিউ

এদিকে সাড়ে ছয় বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও আপিল বিভাগে চুড়ান্ত নিষ্পত্তির (আপিল রিভিউ) অপেক্ষায় আছে দুটি মামলা। এই দুই মামলার আসামিরা হলেন সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার এবং জামায়াত নেতা এটিএম আজহার। তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। পরে তারা ওই রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করে।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে যাদের

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ যাবত ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এই ছয় মামলার আসামিরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দলটির আরও তিন কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলী, আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

আমৃত্যু কারাদণ্ড

এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল রিভিউ নিষ্পত্তি হয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড পেয়েছেন তিনজন। তারা হলেন জামায়াতে ইসলামীর দুই কেন্দ্রীয় নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও এটিএম আজহার এবং জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার।

মৃত্যুর কারণে আপিল বাতিল

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া এবং আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া উপরিউক্ত ৯ আসামি ছাড়া আরও তিন আসামির আপিল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করলেও আপিল নিষ্পত্তির আগেই মারা যাওয়ায় তাদের আপিল আবেদন বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালত। এই তিন আসামি হলেন জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীম এবং জামায়াতের অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সোবহান।

আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ২৭ মামলা

মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত ২৭ মামলার আসামিদের করা আপিল সর্বোচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। বিচারাধীন এসব মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোবারক হোসেন। জাপার সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বার (রাজ্জাক), চাপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান, বাগেরহাটের সিরাজুল হক ও খান মো. আকরাম হোসেন, পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিক, নেত্রকোনার ওবায়দুল হক, আতা উর রহমান, মজিবুর রহমান, মহিবুর রহমান, সামসুদ্দিন আহমেদ, শাহসুল হক, এস. এম. ইউসুফ আলী, মো. সাখাওয়াত হোসেন, বিল্লাল হোসন, মো. আব্দুল লতিফ, ইউনুছ আহমেদ, মো. আমির আহম্মেদ, মো. জয়নুল আবেদীন, মো. আব্দুল কুদ্দুস, হামিদুর রহমান আজাদ, এ গনি ওরফে এ গনি হাওলাদার, মো. ইসাহাক সিকদার, মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. রনজু মিয়া, মো. খলিলুর রহমান মীর।

এমএ/টিটি/

Header Ad
Header Ad

সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক

ছবিঃ সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কাছে আটক হলেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম। তার বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ আছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।

তারেক আলমের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে আদালতে হাজির করতে যাচ্ছে।

অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মাচার ভেঙে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, এমন অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থপাচারের অধিকতর অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে তিন সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ টিমও কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!

২৮ জানুয়ারি থেকে চলবে না ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত

পেনশন ও নিয়োগপত্রের দুই শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।

সম্প্রতি রাজধানীর রেল ভবনে রেলওয়ে মহাপরিচালকের সঙ্গে সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণে বারবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও তারা আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা করছে না। তারা বারবার সময় চাইছে। আমরা মহাপরিচালকের সঙ্গে সভায় আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে তারা যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে ২৮ তারিখ সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে।

ময়মনসিংহ স্টেশনে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ বিক্ষোভ।

মো. মজিবুর রহমান বলেন, রেলের রানিং স্টাফদের মধ্যে রয়েছেন লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) এবং সাব-লোকোমাস্টার (এসএলএম)। ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। সেজন্য তাদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।

মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক বেসিকের সমপরিমাণ টাকা বেশি পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিন ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই-তিন মাসের সমপরিমাণ। তাদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ধারাবাহিকভাবে আমরা আন্দোলন করে আসছি।

চট্টগ্রাম বটতলী পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।  

অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাজ করতে হয় বলে অনেক রানিং স্টাফ চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। রানিং স্টাফ পদে এতে ২ হাজার ২৩৫ জন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও এখন ১ হাজার ১৩৫ জন কাজ করছেন। এতে রানিং স্টাফরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন না। 

অবশ্য এর আগেও মাইলেজের দাবিতে রেলের রানিং স্টাফরা আংশিক কর্মবিরতি পালন করেছেন। এতে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় শুরু হয়, ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। চলতি ডিসেম্বর মাসে রানিং স্টাফদের কর্মসূচিতে বেশ কয়েকটি মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। এবার দেশব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি

কণ্ঠশিল্পী মনির খানের বাবার জানাজা। ছবি: সংগৃহীত

কোটি বাঙালির প্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান শোকাহত। তার বাবা মো. মাহবুব আলী খান মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ৯৯ বছর বয়সে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাই রাজিউন)। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ঝিনাইদহে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মদনপুর গ্রামে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে এ শোকাবহ মুহূর্তে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। জানাজার মাঠ থেকে চুরি হয়ে যায় শিল্পী মনির খানের আইফোন এবং তার ছেলের মোবাইল ফোন। গায়ক মনির খান নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাবা মো. মাহবুব আলী খানের সঙ্গে মনির খান। ছবি: সংগৃহীত

মাহবুব আলী খানকে পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। প্রিয় বাবা হারানোর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি মনির খান, এমন অবস্থাতেই চুরির এই ঘটনা তার জন্য দুঃখজনক।

মনির খানের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ১৯৯৬ সালে তার *তোমার কোন দোষ নেই* অ্যালবামটি প্রকাশের পরই তিনি সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেন। তার কণ্ঠে প্রায় সব গানই শ্রোতাদের হৃদয়ে দাগ কাটে, বিশেষ করে 'তোমার কোন দোষ নেই' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এরপর থেকে একের পর এক হিট অ্যালবাম এবং সিনেমার গান উপহার দিয়েছেন তিনি।

এ পর্যন্ত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে একক অ্যালবাম এবং তিন শতাধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামে গান গেয়েছেন মনির খান। তার সুরেলা কণ্ঠে গাওয়া গানগুলো বাংলা ভাষাভাষী শ্রোতাদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। 'অঞ্জনা' খ্যাত এই শিল্পী তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।

বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল 'মনির খান' ও 'এমকে মিউজিক 24' থেকে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন তিনি, যা তার ভক্তদের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার
বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম
আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানা গেল
৯ বছরেও শেষ হয়নি রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত, দায়িত্ব নিতে চায় দুদক
গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!