সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আয়ুর্বেদিকের লাইসেন্সে বানানো হচ্ছে প্যারাসিটামল

ফাইল নম্বর ১০৯। এটি ’হেলমো ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর ওষুধ বানানোর ফাইল। আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুতের লাইসেন্স রয়েছে এই প্রাতিষ্ঠানটির।

পুরান ঢাকার একটি ওয়ার্কশপ থেকে আট ধরনের ওষুধ তৈরির ছাঁচ বানিয়ে নিয়েছে ’হেলমো ফার্মাসিউটিক্যালস’। এর মধ্যে এমনকি জনপ্রিয় প্যারাসিটামল ব্র্যান্ড ‘নাপা’ তৈরির ছাঁচও রয়েছে।

জানা গেছে, কেবল এই প্রতিষ্ঠানটি নয়, এমন অন্তত দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান আয়ুর্বেদিক ও হার্বালের লাইসেন্স নিয়ে তৈরি করছে বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ।

সংশ্লিষ্টদের মতে, নকল ওষুধ তৈরির জন্য প্রথমে একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে হয়। এরপর সংগ্রহ করতে হয় কিছু যন্ত্রাংশ। সবশেষে প্রয়োজন হয় ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ও মোড়কজাতের লেবেল। এসব পণ্য সরবরাহের আগে ক্রেতার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স রয়েছে কি-না সে বিষয়টি যাচাই করে নেয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। মূলত নকল ওষুধ তৈরির পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রতিটি ধাপে ওষুধ উৎপাদনের লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। এই প্রয়োজনীয়তা মেটাতেই নকল ওষুধ কারবারীরা সংগ্রহ করেন ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধের লাইসেন্স।

ওষুধের যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য দেশের একমাত্র অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফাতেমা ইঞ্জিনিয়ারিং। এই প্রতিষ্ঠানটি এরমধ্যে ওষুধ তৈরির বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করেছে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানে। যার মধ্যে বেশিরভাগ নিয়েছে আয়ুবের্দিক ও ইউনানি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করার আগে তাদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হয়েছে যে ‘এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে কোনো প্রকার নকল বা অবৈধ ওষুধ তৈরি করলে ফাতেমা ইঞ্জিনিয়ারিং দায়বদ্ধ থাকবে না।’

ফাতেমা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সত্ত্বাধিকারীদের একজন আব্দুর রহমান। তার দাবি, দেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারাই একমাত্র ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদিত। এ জন্য তারা এ ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরির আগে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন রয়েছে কি-না তা যাচাই করে নেন। পাশাপাশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি লিখিতও রাখেন ।

দেশের কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে তারা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে থাকেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশ থেকে এসব যন্ত্রাংশ আমদানি করে থাকে। তবে দেশীয় ইউনানি ও আয়ুবের্দিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ নিয়ে থাকেন।

এদিকে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ সেবনের পরামর্শ (প্রেসক্রিপশন) দিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য বলছে, আগে অধিকাংশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তরল ধরনের হলেও এখন ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল ধরনের হচ্ছে। এর ফলে সহজেই ইউনানি ও আয়ুর্বেদিকের লাইসেন্স ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করে জনপ্রিয় বিভিন্ন অ্যালোপেথিক ওষুধ তৈরি করছে কিছু অসাধু কারবারী। পরে এসব নকল ওষুধ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জেলা থেকে উপজেলা, এমনকি গ্রামেও।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ.কে.এম হাফিজ আক্তার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ওষুধ আসল হোক বা নকল হোক এটি তৈরি করতে নির্দিষ্ট কিছু যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হয়। এসব যন্ত্রাংশ পুরান ঢাকার কয়েকটি ওয়ার্কশপে তৈরি হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এসব যন্ত্রাংশ ঢাকার বাইরে স্থাপন করে নকল ওষুধ উৎপাদন করে তা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ওষুধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এর কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না। তাদের মতে, একজন খুনি হাতে গোনা কয়েকজনকে হত্যা করে। অন্যদিকে, নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারিরা নীরবে অসংখ্য মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। তাদের রুখতে হবে। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সের বিকল্প নেই। একইসঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাকে নিয়মিত বাজার তদারকি করতে হবে। ওষুধের পাইকারি বাজারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান চালাতে হবে।’

নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারী কারখানার মালিকদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করার জন্ জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা এ ব্যাপারে জনসাধারণকেও ওষুধ কেনার সময় সচেতনতার পরিচয় দিতে বলছেন। ওষুধ প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানির কি-না এবং তার মেয়াদ রয়েছে কি-না, তা দেখে কিনতে হবে বলে তারা মনে করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক ডা. মো শাহ এমরান বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নকল ওষুধ উৎপাদনকারীরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যান। সাধারণত যারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন, তারা নকল ওষুধ বিপণনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। শুধু এদের ধরলেই হবে না, এই চক্রের মূল হোতাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি আমাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন, নকল ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রেও একটি ল্যাবরেটরি, অনেক ধরনের যন্ত্রাংশ, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল প্রয়োজন হয়। এ জন্য মেডিকেল যন্ত্রাংশ কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িতসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ওপর নজরদারী রাখা প্রয়োজন।

এদিকে ওষুধ প্রশাসনের তথ্য বলছে, মানহীন ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতের জন্য চলতি বছরে ৮৪টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে চারটি অ্যালোপেথিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বাকিগুলো ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক।

আরও পড়ুন: কারাদণ্ডের বিধান রেখে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক শিক্ষা আইন অনুমোদন

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ’ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ঔষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে আর অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। আগে যারা অনুমোদন নিয়ে রেখেছিলেন, তাদের কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। ত্রুটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের অনুমোদন স্থগিত এমনকি স্থায়ীভাবে বাতিল করা হচ্ছে।’

এনএইচ/এএন

Header Ad
Header Ad

ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা, থানায় সোপর্দ

ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা, থানায় সোপর্দ। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় প্রক্টরিয়াল বডি, বিভাগের শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে উদ্ধার করে ইবি থানায় সোপর্দ করেন।

মামুন অর রশিদ নামে ওই নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের ইবি শাখার সহ-সভাপতি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি প্রকাশ্যে জুলাই আন্দোলনের বিরোধীতা ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন। আন্দোলন পরবর্তী সময়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন। একইসঙ্গে আন্দোলনকারীদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছেন।

জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশ নেয় ছাত্রলীগ নেতা মামুন অর রশীদ। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা ভবনের তৃতীয় তলায় ৩১৫নং কক্ষের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ বিরোধী শ্লোগান দেয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে থানায় সোপর্দ করেন। তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের কিল-ঘুষি ও চড়থাপ্পড়ের শিকার হন তিনি।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, সে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলো। পরে আমি তাকে আসতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু আজকে সে কখন এসে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তা বুঝতে পারিনি। পরে প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা ও সমন্বয়করা তাকে থানায় দিয়েছে।

প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় তাকে পরীক্ষা দিতে আসতে নিষেধ করলেও সে পরীক্ষা দিতে এসেছে। এতে কারোর ইন্ধন আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। পুলিশি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’

ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে পুলিশী হেফাজতে দিয়েছে। সে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

এর আগে, কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আহত আরমান মীর সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় গত ৩০ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুন অর রশিদ ১৮ নম্বর আসামি। গত ৩১ ডিসেম্বর ওই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। পরবর্তীতে ৭ জানুয়ারি সে জামিন পায়।

Header Ad
Header Ad

এবার মাদক অধিদপ্তরের ডিসপ্লেতে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’

ছবি: সংগৃহীত

এবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গেন্ডারিয়া ঢাকা (দক্ষিণ) কার্যালয়ের ভবনে লাগানো মাদকরোধক ডিসপ্লেতে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’ লেখা ভেসে উঠেছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে অধিদপ্তরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে ওই ডিসপ্লেতে ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফেরার একটি লেখা দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা জড়ো হয়ে কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।

খবর পেয়ে গেন্ডারিয়া থানার টহল পুলিশ এসআই মো. আব্দুর কাদির ঘটনাস্থলে যান। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে তারা স্থানীয়দের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ডিসপ্লেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস্ ও গোয়েন্দা), অ্যাডিশনাল ডিআইজি তানভীর মমতাজ বলেন, আমরা আজ (সোমবার) বিকেলে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’-এই লেখাটি কীভাবে ডিসপ্লেতে এলো সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

তবে দক্ষিণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মানজুরুল ইসলাম বলেন, ডিসপ্লে বোর্ডটি সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করায় আমার কাছে ফুটেজ নেই। তবে নতুন যে পেনড্রাইভ লাগানো আছে, সেখানে লেখা থাকলে থাকতেও পারে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পরিচালক লিখিতভাবে প্রধান কার্যালয়কে জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবে।

Header Ad
Header Ad

সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের বিরুদ্ধে এক নারীর গুরুতর অভিযোগ

সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলন করে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশিদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক ভুক্তভোগী নারী। তিনি দাবি করেন, একটি মামলায় তার কাছ থেকে দুই কোটি টাকা দাবি করেন হারুন-অর-রশিদ। টাকা দিতে না পারায় মামলার চার্জশিটে তার পরিবারের সদস্যদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অভিযোগকারী ওই নারী জানান, তার স্বামী মৃত হাসান আহমেদ ছিলেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। পৈতৃক সূত্রে তিনি একজন জুট মিলস ব্যবসায়ীও ছিলেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ২০২০ সালে ব্রেইন স্ট্রোকজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তার স্বামী। সে সময়ে তার দেবর কবির আহমেদ ও মুসা এবং তাদের কর্মচারী বিদ্যুৎ ঘোষ বিভিন্ন অজুহাতে কোম্পানির বিভিন্ন ডকুমেন্টস সরাতে শুরু করেন। কোম্পানির চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করা হয় তার স্বামীকে। এ অবস্থা বুঝতে পেরে তার স্বামী তার প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তি রক্ষায় ভিডিও বার্তায় কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তা কামনা করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজধানীর মতিঝিল থানায় জিডিও করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর অভিযুক্তরা পরিবারের আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করেন। এ মামলা পল্টন থানা পুলিশ তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। পরে এ তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে আদালত তা ফের তদন্তে দেয় ডিবিকে।

জান্নাতুল ফেরদৌস দাবি করেন, ডিবিপ্রধান হারুন তাকে ডেকে নিয়ে দুই কোটি টাকা চান। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানান। টাকা দিতে না পারায় এবং প্রভাবিত হয়ে এ মামলায় চার্জশিট দেয় ডিবি। পরে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তারা। মামলাটি এখন চার্জ শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা ডিসচার্জ আবেদন করছি। এর ওপর শুনানি হবে। আমরা ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করছি। তার স্বামীর বেতনভুক্ত কর্মচারী বেইলি রোডে কয়েক কোটি টাকার ফ্ল্যাটসহ বিপুল অর্থের মালিক। এসবই তার স্বামীর অসুস্থতার সুযোগে আত্মসাৎ করা অর্থ বলে দাবি ওই নারীর। এ ছাড়া দেবররা তার স্বামীর মৃত্যুর পরে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তার।

তিনি বলেন, আত্মসাৎ, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে দেবর ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ২০২৪ সালের ৩ জুলাই মামলা করি। মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের পর আমাদের (বাদী) জিম্মায় জামিন দেওয়া হয়। জামিনের শর্ত ছিল যে, আইন অনুযায়ী তার স্বামীর সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তা তারা প্রতিপালন না করে ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে বেশ কটি এসএমএসও গণমাধ্যমকর্মীদের দেখান এ ভুক্তভোগী।

সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিবার ও সম্পত্তির নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আর্তনাদ জানান ভুক্তভোগী ওই নারী, তার শিশু সন্তান, ৯০ বছরের বৃদ্ধা মাসহ পরিস্থিতির শিকার ব্যক্তিরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা, থানায় সোপর্দ
এবার মাদক অধিদপ্তরের ডিসপ্লেতে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’
সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের বিরুদ্ধে এক নারীর গুরুতর অভিযোগ
জাপানে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
বাংলাদেশে কিছুই নেই, ওই দেশে দরিদ্র মানুষ বেশি: বিজেপি নেতা
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জামায়াতের
ভারতে পালানোর সময় ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ১৭ ফেব্রুয়ারি
সীমান্তে উত্তেজনা: নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব
পুলিশে বড় রদবদল, ৭৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
৫ আগস্ট ‘সার্বক্ষণিক যোগাযোগে’ ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধান
জাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ, তফসিল ১ ফেব্রুয়ারি
বিপিএলে টানা তিন জয়ে উড়ছে চট্টগ্রাম কিংস
প্রথমবার বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ পেলেন পেসার নাহিদ রানা
সচিবালয়ের সামনে এসআইদের আমরণ অনশনের ডাক
সচিবালয় ঘেরাও করলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
বেরোবিতে ইউজিসির নিয়মকে ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ দেখিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগ
দাবানলের আগুনে প্রাণ হারালেন হলিউড তারকা ররি স্কাইজ
বদলগাছীতে সংঘর্ষ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ