
আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন না অনেক মন্ত্রী-এমপি
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:১৫ পিএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:১১ এএম

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের পাশাপাশি বর্তমান সংসদে দলীয় সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং আওয়ামী লীগের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই তথ্য সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে।
নিজ নিজ এলাকায় সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জরিপ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যদের উপর চালানো জরিপের একাধিক প্রতিবেদন দলীয় হাই কমান্ডের টেবিলে পৌঁছেছে। নির্বাচনের আগে আগামী কয়েক মাসে আরও কয়েক দফা নেতাদের সম্পর্কে মাঠ জরিপ করবে সরকারি দল। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নানা কারণে মনোনয়ন পাবেন না। যে সব সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী মাঠ জরিপে লেটার মার্ক পাবেন তাদের হাতেই তুলে দেওয়া হবে নৌকার বৈঠা।
সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে অনেকগুলো বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে জরিপ চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে যেসকল সংসদ সদস্য নিজ নির্বাচনী এলাকায় নিজস্ব বলয় তৈরি করতে গিয়ে দলের ভেতর বিভাজন সৃষ্টি করেছেন তাদের কপাল পুড়তে পারে। যেসকল নেতা বা সংসদ সদস্য দলের বিপক্ষে নেতিবাচক কথা-বার্তা বলে দলকে বিব্রত করেছেন, দলের সিদ্ধান্তে বাইরে গিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে গ্রুপিং করেছেন তাদের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব।
সূত্র জানায়, শুধু দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া কিংবা গ্রুপিং নয়, যাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাদের কাউকেই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেবে না আওয়ামী লীগ। এর বাইরে যেসকল সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীরা বয়োবৃদ্ধ তাদের মনোনয়ন পাওয়া বিষয়টিও অনিশ্চিত।
আগামী নির্বাচনে যে প্রার্থী মনোনয়নে বড় পরিবর্তন হবে তার একটা আভাসও পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক একটি বক্তব্যে। ভারত সফর শেষে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নির্বাচনে নমিনেশনে পরিবর্তন এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ক্ষেত্র-মত অবশ্যই আমরা যাচাই করে দেখব কার জেতার সম্ভাবনা আছে কার নেই। অথবা বেশ কিছু নিবেদিত প্রাণকর্মী আছে যাদের বয়স হয়ে গেছে, কষ্ট হচ্ছে, তাদের আর কষ্ট দিতে চাই না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি তার এই বার্তায় তৃণমূল পর্যায়ে একটি স্বচ্ছ ধারণা দিয়েছেন আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়নের ব্যাপারে। সভাপতির এই বার্তায় অন্তত শতাধিক সংসদ সদস্য বাতিলের খাতায় পড়ে যাবেন বলে ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
যেসকল সংসদ সদস্য একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরও নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের বোঝা টানতে চায় না দলীয় হাই কমান্ড। ওই সংসদীয় আসনে কম পরিচিত কিন্তু মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন ব্যক্তি খুঁজে বের করে তাদের হাতেই নৌকার টিকিট দিতে চায় দলটি। এজন্য এমপিদের কাজের মূল্যায়ন যাচাই বাছাই করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বর্তমান একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগের ২৫৯ জন সংসদ সদস্য রয়েছে। সংরক্ষিত আসনে রয়েছেন আরও ৪৩ জন সংসদ সদস্য। বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের মোট সংসদ সদস্য রয়েছেন মোট ৩০২ জন। এদের মধ্যে একটা বড় অংশ আছেন যারা বয়স্ক। সঙ্গত কারণেই তাদের বাদ যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এমপি নানা বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে দল ও সরকারকে বিব্রত করেছেন। বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রাথমিক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবিরের নামে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ নাথকে ইতোমধ্যে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের মালিকানাধীন হোটেল রেইন ট্রি নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এরকম আরও যারা নানা অভিযোগ বিশেষ করে টেন্ডার, চাঁদাবাজি, মাদক মামলা, নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে। আগামী নির্বাচনে তাদেরও মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।
আগামী নির্বাচনে কেমন প্রার্থী চায় আওয়ামী লীগ, মনোনয়নের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘একেবারে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতাকে প্রার্থী করতে হবে। অবশ্যই তাকে সৎ নির্ভীক হতে হবে, এমনতর প্রার্থীকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। যাদের বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে এবং যে বিষয়ে অভিযোগ সে সব কিছুর উপর একটি সার্ভে চলছে। বার বার মাঠ জরিপ করে আমলনামা নেওয়া হচ্ছে। সেই আমলনামা অনুসারে কোনো নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে কেউ রেহাই পাবে না, কেউ না। সে যত বড় নেতাই হোক, আর যত বড় যেই হোক, কেউ রেহাই পাবে না।’
একই কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘অবশ্যই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেবেন আমাদের নেত্রী। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাকে তো আর প্রার্থী করবেন না।’
এনএইচবি/আরএ/

মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৮ এএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৫ এএম

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : বিএনপি , মনোনয়নপত্র , অভিযোগ , সংবাদ-সম্মেলন , ভোটার-আইডি-হ্যাক , রুহুল-কবির-রিজভী , জাতীয়-পরিচয়পত্র , জাতীয়-নির্বাচন

খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৮ এএম

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।
যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।
তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"
বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।