নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি এবং নতুন ড্যাপে স্থবির আবাসন খাত

০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:২৩ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম


নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি এবং নতুন ড্যাপে স্থবির আবাসন খাত

একদিকে নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে হুমকির মুখে আবাসন শিল্প। তার মধ্যে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঢাকা শহরের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) গেজেট।

এই দুইয়ের কারণে রাজধানী ঢাকাতে আবাসন শিল্পের নির্মাণ কাজে মারাত্বক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। নতুন ড্যাপে যে নির্দশনা দেওয়া হয়েছে ছোট প্লটের মালিকরা এককভাবে বাড়ি নির্মাণ করতে পারবেন না। তাদেরকে বাড়ি নির্মাণ করতে হলে পাশের প্লটের মালিকের সঙ্গে একত্রিত হয়ে বাড়ি নির্মাণ করতে হবে। এ কারণে এখন বাড়ি নির্মাণের কাজে হাত দিতে কেউই সাহস পাচ্ছেন না।

জটিল এই পরিস্থিতিতে ড্যাপ সংশোধন করা হতে পারে বলে ইঙ্গিতও মিলেছে সরকারে পক্ষ থেকে।

সম্প্রতি ড্যাপ রিভিউ বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নগর পরিকল্পনাবিদ ও ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম দুজনই প্রয়োজনে ড্যাপ সংশোধনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সভাপতি শামসুল আলামিন বলছেন, সমাধানে আসতে রাজউক, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে রিহ্যাব।

জানা যায়, শুধু যে রিহ্যাবের কাজ স্থবির বিষয়টি তেমন নয়। রাজউকের সংশ্লিষ্ট শাখায় গিয়েও দেখা যায়, ভবন নির্মাণে নকশা অনুমোদন জন্য আবেদন তেমন একটা জমা পড়ছে না। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ড্যাপে যেহেতু ছোট প্লট মালিকরা এককভাবে বাড়ি করতে পারবেন না, এমন নির্দেশনা আছে সেই কারণেই নকশা অনুমোদনের আবেদন পড়ছে না।

রাজউক সূত্র বলছে, বড় প্লটের ক্ষেত্রেও ড্যাপে ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার) বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে নতুন ড্যাপের কার্যকরের কারণে আগের ড্যাপের তুলনায় ভবন অর্ধেকে নেমে আসবে।

রাজউকে গিয়ে দেখা যায়, ছোট প্লট মালিকরা তো অপেক্ষা করছেনই, বড় প্লটের ক্ষেত্রেও আবেদন তেমন জমা পড়ছে না। কারণ, ঢাকা শহরের জমির দাম বেশি। সেই তুলনায় ভবনের আকার যদি অর্ধেক কমে যায় তাহলে লাভ হয় না। এ জন্য তারাও অপেক্ষায় আছেন ড্যাপ সংশোধন হওয়ার।

এ ছাড়া, ড্যাপ সংশোধনের দাবিতে একটি রিটও হয়েছে হাইকোর্টে। রিটকারী আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ন্যয়বিচার পাব। অবশ্যই ড্যাপ সংশোধনের পক্ষেই রায় হবে। এটাই ন্যয়।

রিহ্যাবের সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ঢাকা শহরের বেশির ভাগ প্লটই তো ছোট ছোট। আবাসিক প্লটের কথা বলা হচ্ছে। কাজেই তারা তো প্ল্যানই পাবেন না। আবেদন কীভাবে করবেন?

কামাল মাহমুদ বলেন, ছোট প্লটের ক্ষেত্রে ২/৩ জন প্লট মালিক একত্র হয়ে তারপর প্ল্যান করতে পারবেন এমন বিধান রাখা হয়েছে। ভাইয়ে ভাইয়েই বিবাদ লেগে থাকে। সেখানে অন্যের সঙ্গে জমি শেয়ার করে কীভাবে প্লট করবে?

জানা যায়, রাজধানীতে জমির নিবন্ধন ফি পরিশোধ করা যেত মৌজা ভিত্তিক দর অনুযায়ী। নতুন ড্যাপে সেটিকে পরিবর্তন করে বাজার মূল্য অনুযায়ী মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটিও আবাসন শিল্পের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চ মূল্যের কারণে এমনিতেই সংকটে রয়েছে নির্মাণ খাত। তার সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন ড্যাপ নিয়ে শঙ্কা। বিষয়টির সুরাহা না হলে এখাতে গতি আসবে না।

গত ২৩ আগস্ট ড্যাপের প্রজ্ঞাপন জারি করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ওই দিনই ২০ বছর মেয়াদি নতুন ড্যাপ কার্যকর হয়। যা ২০১৫ সাল থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত চলবে। আর এরমধ্য দিয়ে ২০১০ সালে পাস হওয়া ড্যাপ স্বাভাবিকভাবেই অকার্যকর হয়ে যায়।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ড্যাপের প্রজ্ঞাপন প্রকাশের আগ পর্যন্ত ২০১০ সালের ড্যাপের অধীনে যেসব কাজ সম্পন্ন হয়েছে বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো বৈধ বলে গণ্য হবে।

প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই আগে জমা দেওয়া প্ল্যানগুলো পাসের হিড়িক পড়ে যায়। আগে জমা দেওয়া প্ল্যনের ক্ষেত্রে যেহেতু নতুন ড্যাপ প্রয়োজ্য হবে না তাই তড়িঘড়ি করে প্ল্যান পাসের জন্য তদবির করেন সংশ্লিষ্টরা।

এনএইচবি/এমএমএ/

 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৮ পিএম


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট (স্নাতক) প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এবারের ভর্তিযুদ্ধ।

এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান, বাণিজ্য ১ মার্চ এবং ২ মার্চ চারুকলা অনুষদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এবারও ঢাকাসহ মোট আট বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। এছাড়া অন্যান্য নিয়মও বিগত বছরকে অনুসরণ করে হবে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

সারাদেশের কেন্দ্রগুলো হলো- ঢাকা বিভাগের পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, সিলেট বিভাগের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বরিশাল বিভাগের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে, খুলনা বিভাগের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে, রংপুর বিভাগের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ময়মনসিংহ বিভাগের পরীক্ষা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

নম্বর বন্টন-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত এবং এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে ৪৫ মিনিট করে। তবে চারুকলা ইউনিটে ৪০ (সাধারণ জ্ঞান) নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা ও ৬০ (অংকন) নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউর জন্য সময় থাকবে ৩০ মিনিট ও লিখিতের জন্য সময় থাকবে ৬০ মিনিট।

এর আগে গত ২৬ নভেম্বর ২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, পরীক্ষায় পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন পরীক্ষার্থী।


সিআইডি অভিনেতা দিনেশ ফাডনিস মারা গেছেন

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৫ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৯ পিএম


সিআইডি অভিনেতা দিনেশ ফাডনিস মারা গেছেন
ছবি সংগৃহিত

ভারতে দীর্ঘ সময় ধরে চলা জনপ্রিয় শো ‘সিআইডি’র অন্যতম অভিনেতা দীনেশ ফাডনিস মারা গেছেন। সিআইডিতে ফ্রেডেরিকস চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দীনেশ ফাডনিস। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে মারা যান এই অভিনেতা। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন দীনেশের সিআইডি সহ-অভিনেতা দয়ানন্দ শেঠি। যিনি সিআইডি শো’তে দয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাত ১২.০৮ মিনিটে দীনেশ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’ অভিনেতা মুম্বইয়ের তুঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

দয়ানন্দ শেঠি জানিয়েছেন যে দীনেশ ‘মাল্টি অর্গান ফেলিওর’-এর কারণে মারা গেছেন। তিনি বলেন, দীনেশের অনেক জটিলতা ছিল এবং গতকাল রাতে তাকে ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, রবিবার দীনেশ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল, পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, দয়ানন্দ শেঠি নিশ্চিত করেছিলেন যে দীনেশের হার্ট অ্যাটাক আক্রান্ত হয়নি কিন্তু লিভারের ক্ষতি হয়েছে।

তবে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেলেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা।
দীনেশ সিআইডিতে ফ্রেডেরিকস চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ভারতের জনপ্রিয় টিভি অভিনেতাদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠে। প্রায় ২০ বছর ধরে শোটির অংশ ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে প্রথম পর্ব সম্প্রচারিত হয়েছিল এটির এবং এটি ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি টেলিভিশন শোগুলোর মধ্যে একটি। সিরিজটি ২০ বছর ধরে সনি টিভিতে প্রচারিত হয়েছে।

সিআইডি ছাড়াও, দীনেশকে হিট টিভি শো ‘তারাক মেহতা কা উল্টা চশমা’তে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। কয়েকটি সিনেমায় ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘সারফারোশ’ এবং ‘সুপার ৩০’-এর মতো হিন্দি চলচ্চিত্রে দেখা গেছে এই অভিনেতাকে।


যে ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২৭ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৯ পিএম


যে ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। ফাইল ছবি

দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (১৮তম) জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ গতকাল মধ্যরাতে (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার, দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৫ ডিসেম্বর ভোররাত নাগাদ নিলর ও মাসুলিপট্টমের নিকট দিয়ে ভারতের অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর (পুন:) ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

অনুসরণ করুন