বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অর্থের অপচয়: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বারবার উপেক্ষিত

অর্থের অপচয় ঠেকাতে সরকার প্রধানের তাগিদ বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় ও জরুরি ছাড়া কোনো প্রকল্প না নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও সেটি কার্যকর হচ্ছে না। বরং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর এমন সব উন্নয়ন প্রকল্প নিচ্ছে যেগুলো ভুলে ভরা। ফলে সঠিক সময়ে এ সব প্রকল্পের কোনোটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কাজ শুরুর আগেই করতে হচ্ছে সংশোধন। তাতে একদিকে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে জনগণও প্রকৃত সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অথচ প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে সবদিক বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের পর থেকে গত ১৪ বছরে বহু অনুশাসন বা নির্দেশনা দিয়েছেন।

গত ১৪ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে সরকার নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে মোটা দাগে বলতে গেলে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র,পায়রা সমুদ্রবন্দর, শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ বহু মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যেগুলোর কোনো কোনোটি শেষ হয়েছে, আবার কোনো কোনোটি শেষ পর্যায়ে। এ সব উন্নয়ন কাজ দেশের দেশের চেহারা পাল্টে দিচ্ছে।

এ সব প্রকল্পের বাইরেও আরও অসংখ্য প্রকল্প নিচ্ছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর। কিন্তু এ সব প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়াতেও বিভিন্ন রকম গলদ থাকায় সেগুলো ফেরতও দেওয়া হচ্ছে। এতে সরকারের বিপুল অর্থের অপচয় হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চার হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন শেখ হাসিনা সেনানিবাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্প এলাকাকে বরিশাল জেলার কারখানা, বিঘাই ও পায়রা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা, শীর্ষক প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন তৈরি করা হয় ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে। ওই প্রতিবেদন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যাচাই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্পটি তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। তাতে ব্যয় ধরা হয় ৮৫২ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প প্রস্তাবটি যাচাই করতে ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রকল্প মূল্যায়ন যাচাই (পিইসি) সভা করে। তাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় সংশোধন করতে বলা হয়। সংশোধন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে তাতে ব্যয় বাড়িয়ে ৯৫২ কোটি টাকা ধরা হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আইডব্লিউএম ২০২২ সালে জুনে এর সম্ভাব্যতা যাচাই করে। তার উপর ভিত্তি করে সাড়ে আট কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণমূলক কাজ করার সুপারিশ করা হয়েছে। সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ১০০ কোটি টাকা বেশি প্রাক্কলন করে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫২ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী কৃচ্ছ্রসাধন কথা বলার পরও এ প্রকল্পে সাত হাজার ২৫৪ লিটার পেট্রোল ও লুব্রিকেন্ট কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। দুই সেট আসবাসপত্র কেনারও প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন গত ২৪ অক্টোবর আবারও পিইসি সভা করে। তাতে ব্যয় ২৭৫ কোটি টাকা কমিয়ে ৬৭৬ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। অন্যান্য কাজ শেষে একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। এভাবেই গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটিতে অনুমোদন পেতে ছয় বছর লেগে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষিত

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদনের সময় অর্থের অপচয় ঠেকাতে ও কাজের কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে হাজার খানেক অনুশাসন বা নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর এ সব অনুশাসন মানতে বাধ্য। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন।

২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর নির্দেশনা দেওয়া হয় একনেক সভার অনুশাসনগুলো আবশ্যিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবীক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করতে বিভাগীয় পর্যায়ে আইএমইডি অফিস স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু চার বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও ফাইলবন্দি হয়ে আছে অফিস স্থাপনের কাজ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা ফাইল পাঠিয়েছি। অর্থমন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ঘুরছে। কতো দিন লাগবে, বলা যাবে না। তিনি বলেন, আমিও চাই দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশটি কার্যকর হোক।

এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আসলে প্রকল্প বাস্তবায়ন জটিল প্রক্রিয়া। বিভিন্ন কারণে সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হয় না। তবে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। আইএমইডি থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে ত্রুটি কোথায়। ধরা পড়লে তা সংশোধনের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দেওয়ার ব্যাপারেও বলা হচ্ছে। কারণ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা প্রায় মন্ত্রণালয় মানে না। ফলে প্রকল্প অনুমোদনে বিভিন্ন ত্রুটি দেখা যাচ্ছে। বাস্তবায়নও ঠিকমতো হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে সাবেক পরিকল্পনা বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বই আকারে প্রকাশ করে যথাযথভাবে বাস্তবায়নে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নিতে বলে। কিন্তু তাতেও তেমন কাজ হচ্ছে না।

সূত্র মতে, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর যমুনা নদীতে টানেল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বলা হয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে। কিন্তু সেতু বিভাগ ৫ বছরেও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সেই কাজ করতে পারেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে ‘মাস্টার প্লান করা হচ্ছে। তবে এখনো সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়নি।’

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেশে উৎপাদিত আলুর বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিশেষ করে স্কুল ফিডিং এ বিস্কুটের পাশাপাশি আলুর তৈরি খাদ্য সংযোজন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একটি প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, ব্যয় প্রাক্কলন ও যাচাই প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও সংস্থাকে সতর্কতা অবলম্বন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

যানজট সৃষ্টি হয় বা দুর্গন্ধ ছড়াই এমন কোনো বর্জ্য সড়কে রাখা যাবে না। এ ব্যাপারে ২০২০ সালের ৩ মার্চ ঢাকার ২ সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট মহাসড়ক বিভাগের প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন ‘কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে হবে।’

শুধু এটি নয়, ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রায় প্রকল্প অনুমোদনের আগে বিভিন্ন ভুল-ভ্রান্তির কারণে বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে। তারপরও অনুমোদন পাচ্ছে না। অথচ সরকারি প্রকল্প প্রণয়ন, অনুমোদন ও সংশোধনের জন্য সরকার একটি গাইডলাইন করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ করা হলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রকল্প তৈরি করে একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে সরকার তা পাস করবে। কিন্তু সেই গাইডলাইনও অনুসরণ করা হচ্ছে না।

করোনা ধকলসহ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে সংকট দেখা দিয়েছে। তাই ব্যয় কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি-বেসরকারি পর্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলেছেন। বাধ্য হয়ে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ২০২২ সালে ৩ জুলাই বিদেশ ভ্রমণ, প্রশিক্ষণ, জ্বালানি ও সম্মানী ব্যয় কমানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তারপরও প্রায় মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে ডিপিপিতে তা মানা হচ্ছে না।

জানা গেছে, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত রক্ষা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। কিন্তু ডিপিপিতে বিভিন্ন ভুল বা অসঙ্গতি ধরা পড়ায় পিইসি সভায় উপস্থাপন করা সম্ভব নয় জানিয়ে গত ৬ নভেম্বর ডিপিপিটি ফেরত দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পে ২০১৯-২০ অর্থবছরের রেট সিডিউল অনুযায়ী ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে।

আবার কোনো কোনো প্রকল্প একনেক সভায় পাস হলেও বিভিন্ন অজুহাতে ঠিক মতো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দেখা গেছে, দুই বছরের প্রকল্প সাত বছরেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ রকম একটি প্রকল্প হচ্ছে ‘কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রাম বিভাগ’ প্রকল্প। ২০১৬ সালে অনুমোদন দেওয়া এই প্রকল্পের কাজ দুই বছরে শেষ করার কথা। কিন্তু চার বার সংশোধন করেও সাড়ে পাঁচ বছরেও শেষ করা যায়নি।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। ছবি: সংগৃহীত

অবাধে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে অনুমতি ছাড়াই ঢুকতে পারলেও গত এক মাস যাবৎ সেখানে প্রবেশ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ সাংবাদিকদের।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন।

তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য সকাল ১১টার দিকে অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, যদি কোনো কর্মকর্তা সাংবাদিকদের পাস দেন, সেক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে আগের মতো তারা অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।

প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় এমপিরাজ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাত দিন ধারাবাহিক কর্মসূচির প্রথম দিনে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মাঝে বোতলজাত পানি, স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারাও সুযোগ পাচ্ছে না। মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের কারণে জিম্মি স্থানীয় জনগণ। প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় এমপিরাজ তৈরি হয়েছে, তাও ডামি এমপি। আজকে ডামি এমপির স্বজনদের দিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে এমপিরাজ।

রিজভী বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা বারবার বলেছেন, কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন না। কিন্তু গণবিরোধী প্রধানমন্ত্রী গণবিরোধী প্রজেক্ট করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা গলাচিপা, বাউফলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছেন।

দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে জিয়াউর রহমান রেশনিং ব্যবস্থা তুলে নিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ দেশের অর্থনীতিকে লুটতরাজ করে ভঙ্গুর করে ফেলেছে। মুখে স্বয়ংসম্পূর্ণের কথা বলে আবার রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছেন। তাও সাধারণ মানুষ এর আওতায় নয়, আওয়ামী গোষ্ঠী এই রেশনিং কার্ডও দলীয়করণ করেছে।

জনসাধারণের মাঝে বোতলজাত পানি, স্যালাইন বিতরণ অনুষ্ঠান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

তিনি বলেন, প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ডলারের দামে আমদানি করতে হচ্ছে। মানুষ পেট ভরে ভাত খেতে পারছে না। আজকে সন্তান বিক্রি করে পেট চালাতে হচ্ছে।

রিজভী বলেন, ফরিদপুরে ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে ২ হাজার কোটি টাকা..., সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ভাই নাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা অর্জন করেছেন। এই আলাদীনের চেরাগ কই থেকে আসলো। কানাডা, দুবাই, মালয়েশিয়ায় এত বাড়ি-ঘরের মালিক কীভাবে হলেন? একসময় আজিমপুর কবরস্থানে যেতে হবে, সেটা তারা ভুলে গেছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চেয়েছেন বিএনপির কর্মসূচির দিন কেন আপনারা পাল্টা কর্মসূচি দেন? তিনি বললেন, বিএনপিকে মানসিকভাবে বাধা দেওয়ার জন্য আমরা পাল্টা কর্মসূচি দেই। এতেই প্রমাণ হয়, ওবায়দুল কাদেরের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তিনি সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলেন। উনি (ওবায়দুল কাদের) চাঁদাবাজ ও গুন্ডাদের গডফাদার।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোহন, হাজী মনির হোসেন ও সদস্য দফতরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু প্রমুখ।

অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাউলো ফারনান্দ ফেরেস। ছবি: সংগৃহীত

অনুমতি মিললে ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাউলো ফারনান্দ ফেরেস।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে এ কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিলের খামারগুলো রপ্তানির লক্ষ্যে প্রচুর পরিমাণ পশু প্রস্তুত করেছে। দীর্ঘদিন থেকে ব্রাজিল সারা বিশ্বে গোমাংস রপ্তানি করে আসছে। এর আগে বাংলাদেশে মাংস রপ্তানির আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে জীবন্ত পশুর বিশাল চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিলে আগামী জুনের ভেতর জীবন্তু গরু আনা সম্ভব।

বক্তব্য রাখছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাউলো ফারনান্দ ফেরেস

এদিকে আগামী জুলাইয়ে জি টোয়েন্টি সম্মেলনের আগেই ব্রাজিলে দ্বিপাক্ষিক সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে খেলা, নিরাপত্তা, কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত। এছাড়া রাজধানী ঢাকাতে ব্রাজিলের ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকায় ব্রাজিলের ভিসা সেন্টার খোলার ব্যাপারে কাজ চলছে। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান হতে পারে ভিসা সেন্টার।

ফেরেস বলেন, বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জুনে ব্রাজিল সফরের কথা রয়েছে। যদি সেটা হয় তাহলে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো সম্ভব হয়নি তা হয়ত স্বাক্ষর হতে পারে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকেও গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূত। বলেন, বিশ্বে অনেক সমস্যা থাকলেও রোহিঙ্গা সমস্যাকে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবেনা। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই চলবে ব্রাজিল। ফলে আইপিএস কিংবা বিআরআই নিয়ে আপাতত ব্রাজিলের কোনো ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়
বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে চিঠি দুদকের
ভূমি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নেবে ২৩৮ জন
জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার
বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে’
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি
তীব্র গরমে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়