শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পলাতক জঙ্গিদের খোঁজ নেই, বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) ১৪ শীর্ষ নেতা এখনো পলাতক। এরমধ্যেই আবার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কিছু সূত্র বলছে, জঙ্গিদের সক্ষমতা আগেরে চেয়ে বেড়েছে। জামিনে বের হওয়ার পর পলাতক জঙ্গিদের বিষয়ে খোঁজখবর রাখেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরকম অন্তত ৩২ জন জঙ্গি জামিনে রয়েছেন যাদের খোঁজ রাখেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, আনসার আল ইসলামের মূল নেতা মেজর (বরখাস্ত) জিয়াকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এ কারণেই হয়ত আদালতের মতো জনবহুল প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের সাহস দেখিয়েছে জঙ্গিরা।

জঙ্গি নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক সময় দেখা গেছে জঙ্গিরা জামিনে বের হওয়ার পর তারা হারিয়ে যায়। তাদেরও গোয়েন্দা মনিটরিং করতে হয়। ওই সব জঙ্গিদের মনিটিরিং এর মধ্যে না রাখার কারণে ছোট ছোট কিছু ঘটনার মোকাবিলা করতে হয় পুলিশকে। যেটা হলো আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। গোয়েন্দা বাহিনীর তথ্যের উপর ভিত্তি করে অনেক কিছু করা হয়। তাদের আগাম সতর্কতা দিতে হয়, অন্যথায় হামলার আশঙ্কা থেকে যায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেখা গেছে জঙ্গিরা ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালায়। এ সময় এক পুলিশকে হত্যা করে জেএমবির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেয়। তাদেরই একজন জঙ্গি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীন এখনো পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। পুলিশ কেনো তাদের এখনো গ্রেপ্তার করেনি নাকি গ্রেপ্তার করতে পারেনি? জঙ্গিদের তদারকি না করে গোয়েন্দা সংস্থা ভুল করেছে তারা জামিনে বের হয়ে যাওয়ার পর তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গোয়েন্দা তথ্য মতে, আসামি ছিনতাই বা আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেক বার ঘটেছে। চলতি বছরের ১১ মাসে সারাদেশে এমন ২৯টি ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে পুলিশকে। মোট ৩২ জন আসামি পালিয়ে গেছে। মার্চ, অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে এ সব ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। এরমধ্যে চারটি ঘটনা আলোচনায় এসেছে। সবচেয়ে কম ঘটেছে জুন ও আগস্ট মাসে।

গত ২০ নভেম্বর ঢাকার আদালত পাড়া থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জনই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (সাবেক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সদস্য। তারা জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। জঙ্গি সংগঠনটির পরিকল্পনায় ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একাধিক লেখক, প্রকাশক, ব্লগার, সমকামী ও অধিকারকর্মীকে হত্যা করা হয়। স্বাভাবিকভাবে ওই দিন আদালতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দরকার ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেরকম কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনার পর থেকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের মধ্য দিয়ে জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাফল্য পেয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি আদালত থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি গোয়েন্দা সংস্থার দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন অনেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রথম বড় ধরনের জঙ্গিবাদের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৯ সালে মুসলিম মিল্লাত বাহিনীর নেতৃত্বে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় হামলা। ওই সময় গ্রেপ্তার হলেও পরে ছাড়া পাওয়ার পর মিল্লাত বাহিনীর প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর মতিউর রহমানকে আর কখনো খুঁজে পায়নি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

বিশ বছরের বেশি সময় পার হলেও এখনো রমনা বোমা হামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রমনা বোমা হামলার প্রথম চার্জশিটভুক্ত ১৬ আসামি কোনো না কোনোভাবে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু এই ঘটনায় চলতি বছরে বোমা হামলার আসামি মুফতি শফিকুর রহমানকে র্যাব গ্রেপ্তার করলেও অনেক প্রশ্নের জবাব মিলেনি। ১৯৯৬ সালে উখিয়া-টেকনাফে গ্রেপ্তার হওয়া ৪১ জন জঙ্গি জামিন পাওয়ার পর আর কখনই তাদের খোঁজ রাখেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকে পলাতক আছে উত্তরবঙ্গের ১৪ জন জঙ্গি, যাদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। এর মধ্যে সালেহীনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও জঙ্গিরা তাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। পরবর্তীতে প্রত্যেকটি জঙ্গিবাদের ঘটনায় এই ১৪ জঙ্গির সম্পৃক্ততার কথা কোনো না কোনোভাবে সামনে আসে।

ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেছেন, ঢাকার আদালতের সামনে থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত বিভিন্ন হামলার আশঙ্কা ও ঝুঁকি থেকেই যায়। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।

জানতে চাইলে কাউন্টার টেরোরিজম ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা যদি আগে থেকে গোয়েন্দা তথ্য পেতাম তাহলে হয়ত এমন ঘটনার জন্ম হতো না। আশা করি জঙ্গিদের তৎপরতা দমন করতে আমরা সক্ষম হব।

পলাতক জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে না পারা, সম্প্রতি ঢাকার আদালত থেকে দুই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ারসহ সার্বিক জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আব্দুর রশীদ বলেন, জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনাটি হলো সার্বিক অবহেলা। কীভাবে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেটা জানতে হলে দরকার সঠিক তদন্ত। এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে বা ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে সেই বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে ঘটনাটির আসল রহস্য বের করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে জঙ্গিরা জামিনে বের হওয়ার পর তারা হারিয়ে যায়। তাদেরও গোয়েন্দা মনিটরিং করতে হয়। ওই সব জঙ্গিদের মনিটরিং এর মধ্যে না রাখার কারণে ছোট ছোট কিছু ঘটনার মোকাবিলা করতে হয় পুলিশকে। যেটা হলো আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা।

এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, আমরা অনেকদিন পর জঙ্গিদের এই তৎপরতা দেখলাম, হয়ত তারা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, জঙ্গিরা বাংলাদেশে সংঘটিত হয় রাজনীতিকে প্রভাবিত করার জন্য। হয়ত তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে সংকটগুলো দেখতে পায় বা আছে সেই সংকট সুযোগ মতো কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন হামলার সিদ্ধান্ত নেয় বা করার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে এ সব হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে তবে হামলার আশঙ্কা এখনো এমন পর্যায়ে যায়নি যে নিরাপত্তার হুমকি রয়েছে।

নির্বাচনের আগে জঙ্গিদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ সময় পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য জঙ্গি সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হয় এবং অনেক সময় তারা বিভিন্ন দলের হয়ে ব্যবহৃত হয়। দেখা গেছে, যে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দল তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে হয়ত, সেই সুযোগটা তারা কাজে লাগায়। জঙ্গিদের দমন না করে যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে তো অবশ্যই জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকবে। জঙ্গিদের অনেকে ব্যবহার করে এবং তাদের রাজনৈতিক সুরক্ষা দেয় এবং তারা পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে। রাজনৈতিক মহলে এই সুরক্ষার একটি প্রতিযোগিতা আছে। এখন গোয়েন্দা সংস্থা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি জঙ্গিদের মাঠে ছেড়ে দেয় তাহলে তো রাজনৈতিক মহলের কিছু অসৎ মানুষ তাদের ব্যবহার করার চেষ্টা করবে এবং সেই সুযোগটা জঙ্গিরা কাজে লাগাতে পারে। জঙ্গিদের ছেড়ে দিলে বাংলাদেশে জঙ্গি বাড়তেই থাকবে এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকবে।

আব্দুর রশীদ আরও বলেন, জঙ্গি দমনে একটি কৌশল হচ্ছে শক্ত প্রতিরোধের মধ্যে রাখা। তাদের দৌড়ের উপরে রাখা। যদি গোয়েন্দারা জঙ্গি বিরোধী অভিযান হালকা করে ফেলে তাহলে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা বেড়ে যাবে, কোনো বিষয়ে অবহেলা করা যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জঙ্গিদের যদি তদারকিতে এবং নিয়ন্ত্রণ ও দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্ষম না হয়, তাহলে শুধু নির্বাচনের আগে নয়, যেকোনো সময় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকতে পারে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

‘জমি পাওয়ার জন্য ড. ইউনূস স্যারকেও বাবা ডাকতে রাজি আছি’

অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। ছবি: সংগৃহীত

মা সবসময় সন্তানের চাহিদা পূরণে চেষ্টা করেন এবং সাধারণত সন্তানকে নিরাশ করেন না। ঠিক তেমনই, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাঁর মমতাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিকে মনে রেখে আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় একবার নিজেকে তাঁর সুযোগ্য সন্তান হিসেবে দাবি করে একটি আবদার জানিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনার কাছে রাজধানীর নিকটস্থ পূর্বাচলে একটি প্লটের আবেদন করেছিলেন অভিনেতা জয়। সেই আবেদনপত্রের একটি ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, যা এর আগেও কয়েক দফায় ভাইরাল হয়েছিল ফেসবুকে।

২০১৪ সালে পূর্বাচলে জায়গা পাওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিনেতা, যা ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ভাইরাল হয়। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলের পর সেই আবেদনপত্রটি ফের ভাইরাল হয়।

এদিকে দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিক স্যাটায়ার বানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা ও অন্তবর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দেশের রাজনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি গল্পে ‘৮৪০’ ওয়েব সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। এর আগেই বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘৮৪০’-এর বিশেষ প্রিমিয়ার শো।

‘৮৪০’ শিরোনামের ওয়েব সিনেমাটিতে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। সিনেমটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমি চাওয়া প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে শাহরিয়ার নাজিম জয় গণমাধ্যমকে বলেন, আমার জমির প্রয়োজন আছে। তাই ড. ইউনুস স্যারকে বাবা ডাকতে হলেও ডাকবো। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মা বলে জমি চাওয়াতে আমি মোটেও অনুতপ্ত না। একটা জিনিস পাওয়ার জন্য বাবা, দাদা, মা ডাকা যায়। আর আমি আমার কাজের জন্য ভবিষ্যতেও ডাকবো। তবে হ্যাঁ আমি তখনও বলেছি বিগত সরকার যেভাবে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছিল আর তাদের পতনের জন্য যত লোক প্রাণ দিয়েছে তা অনেক সেন্সেটিভ ইস্যু হয়ে গিয়েছে। আর ওই সকাররের প্রধানকে আমি মা বলেছি সেটার জন্য আমি অনুতপ্ত।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোল বন্দরে এলো আমদানিকৃত ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু

বেনাপোল বন্দরে এলো আমদানিকৃত ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের উর্ধ্বমুখী আলু বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। এই আলুগুলো মালবাহী ট্রেনে করে ভারতের মেসার্স আতিফ এক্সপোর্ট সুজাপুর কালিয়াচক মালদা শহর থেকে আমদানি হয়ে বেনাপোল রেল স্টেশনে পৌঁছেছে।

রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স টাটা ট্রেডার্স নামক একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আলু আমদানি করেছেন। আগামীকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পণ্য চালানটি বেনাপোল বন্দর অথবা নওয়াপাড়া থেকে খালাস করা হবে।

সি এন্ড এফ এজেন্ট আলম এন্ড সন্সের প্রতিনিধি নাজমুল আরেফিন জনি বলেন, ভারত থেকে ট্রেনের একটি রেক-এ ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। পণ্য চালানটি ছাড় করানোর জন্য আগামীকাল শনিবার বেনাপোল কাস্টম হাউজে কাগজপত্র সাবমিট করা হবে। কাস্টমস ও রেলস্টেশনের কার্যক্রম সম্পন্নের পর বেনাপোল বন্দর অথবা নওয়াপাড়ায় আনলোড করা হবে। নওয়াপাড়া থেকে আলুগুলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।

বেনাপোল স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জের টাটা ট্রেডার্স নামক এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আলু আমদানি করেন। ভারতের মালদার আতিপ এক্সপোর্ট নামক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আলুর চালানটি রপ্তানি করেছেন। একটি ট্রেনের রেক-এ ৯৪৬০ ব্যাগ আলু আমদানি হয়েছে। যার ওজন ৪৬৮০০০ কেজি। পণ্য চালানটির আমদানি মূল্য ১০৭৬৪০ মার্কিন ডলার।

Header Ad
Header Ad

কারচুপিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দাবাড়ু, অভিযোগ রাশিয়ার

ভারতীয় দাবাড়ু ডি গুকেশ। ছবি: সংগৃহীত

চীনা দাবাড়ু ডিং লিরেনকে হারিয়ে দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন ভারতীয় দাবাড়ু ডি গুকেশ। এর মধ্য দিয়ে প্রথম ভারতীয় এবং সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড গড়লেন তিনি। ১৮ বছর বয়সী গুকেশ ৭.৫-৬.৫ স্কোরে জিতেছেন।

কিন্তু গুকেশের অভাবনীয় এ অর্জনের উল্লাসে পানি ঢেলে দিল রাশিয়ান দাবা ফেডারেশন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক দিন না যেতেই বিতর্ক উঠেছে ডিং লিরেনের বিপক্ষে হওয়া গুকেশের ম্যাচটি নিয়ে।

রাশিয়ার দাবা সংস্থার প্রধান আন্দ্রে ফিলাতভের অভিযোগ, ডিং লিরেন ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচ হেরেছেন। যে কারণে ফিডেকে তদন্ত শুরু করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। এক সংবাদ সংস্থা এমনটা জানিয়েছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গুকেশ হারিয়ে দেন লিরেনকে। ১৪তম ক্লাসিকাল ম্যাচটি জেতেন ভারতীয় দাবাড়ু। ১৩তম ম্যাচ শেষে দু’জনের পয়েন্ট সমান ছিল। শেষ ম্যাচ জিততেই সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন গুকেশ।

কিন্তু সেই জয় নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। ফিলাতভের অভিযোগ, ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ম্যাচ সকলকে অবাক করে দিয়েছে। চীনের দাবাড়ু যেভাবে হেরেছেন তা সন্দেহজনক। এটা নিয়ে ফিডের তদন্ত করা উচিত। লিরেন ম্যাচটা যে জায়গা থেকে হেরেছে, তা একজন প্রথম শ্রেণীর দাবাড়ুর পক্ষেও হারা কঠিন। চীনের দাবাড়ুর এই হার ইচ্ছাকৃত বলে মনে হচ্ছে।’’

 

এবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ম্যাচেই আক্রমণাত্মক খেলেছেন গুকেশ। অন্যদিকে লিরেন বরাবরই রক্ষণাত্মক খেলছিলেন। শেষ ম্যাচেও সেটাই দেখা গেল। সময়ের চাপে সমস্যায় পড়েন লিরেন। প্রথম ৪০ চালের পর শেষ দিকে সময় কমছিল লিরেনের। তখন বোর্ডে গুকেশের রাজা ও দু’টি বোড়ে পড়ে ছিল। অন্য দিকে লিরেনের ছিল রাজা ও একটি বোড়ে। দেখে মনে হচ্ছিল, খেলা ড্র হবে। সেখানেই ভুল করে বসেন চীনা দাবাড়ু।

এদিকে, ম্যাচ শেষে লিরেন বলেছেন, ‘চাপের মধ্যে একটা চালে ভুল করে ফেলি। তারপরই গুকেশের মুখ দেখে বুঝতে পারছিলাম, ও কতটা আনন্দ পেয়েছে। তখন আর আমার কিছু করার ছিল না।’ গুকেশ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারিনি যে লিরেন এত বড় ভুল করেছে। কয়েক সেকেন্ড পরে বুঝতে পারি। সেটা কাজে লাগাই।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘জমি পাওয়ার জন্য ড. ইউনূস স্যারকেও বাবা ডাকতে রাজি আছি’
বেনাপোল বন্দরে এলো আমদানিকৃত ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু
কারচুপিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দাবাড়ু, অভিযোগ রাশিয়ার
রাগের বশে ২ বছরের শিশু সন্তানকে হত্যা করে পুকুরে ফেলেন মা!
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন
শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান: তারেক রহমান
যদি রাজনীতিবিদরাই সংস্কার করেন, তাহলে ৫৩ বছর তারা কী করেছেন: রিজওয়ানা
পদত্যাগ করলেন পাকিস্তান টেস্ট দলের প্রধান কোচ
অভিনেতা আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৮৫ বাংলাদেশি
তামিলনাড়ুতে হাসপাতালে আগুন, নারী-শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের নিন্দা ৫৩ নাগরিকের
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ইস্যুতে যা জানাল আমেরিকা
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, আজও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩০ ফিলিস্তিনি
গণমাধ্যমই দেশের ভালো-মন্দের অতন্দ্র প্রহরী: শাকিল উজ্জামান
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি
কুবির দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশের কাছে তুলে দিলো শিক্ষার্থীরা
তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট