
রাজধানীতে ‘ব্লু নেটওয়ার্ক’ নিয়ে নানা শঙ্কা
২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৬ এএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২৭ পিএম

রাজধানী ঢাকায় ১ হাজার ৩২৭ কিলোমিটার নদীপথ নিয়ে তৈরি করা হবে ‘ব্লু নেটওয়ার্ক’। এটি করা হবে সর্বশেষ বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুযায়ী।
তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন, এ ধরনের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন। অতীতেও দেখা গেছে নদী-খাল দখলমুক্ত ঠিকই করা হয়েছে। কিন্তু সেই নদী-খাল দখলমুক্ত থাকেনি। নতুন করে অন্য কেউ দখল করে নিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ড্যাপের প্রস্তাবনা অনুযায়ী এই ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির বিষয়টি নিয়ে আগানো হচ্ছে। জলাশয় ও নৌপথের সমন্বয়ে এই নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ড্যাপে তো আগেই প্রস্তাব করা ছিল। সে অনুযায়ীই অগ্রসর হচ্ছে সরকার।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ৫৭৪ কিলোমিটার নৌপথকে এর অন্তর্ভূক্ত করা হবে। বাকি খালগুলো নৌচলাচলের অনুপযোগী ও সরু হওয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ হবে।
রাজউকের সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্প এলাকায় মোট ১ হাজার ৩২৭ কিলোমিটার নদী ও খাল রয়েছে। ড্যাপে প্রায় ৫৭৪ কিলোমিটার নৌপথকে শ্রেণি ক্রম অনুসারে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
আন্তঃআঞ্চলিক, অভ্যন্তরীণ আঞ্চলিক ও সংগ্রাহক নৌপথ-এই তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ৫৭৪ কিলোমিটার নৌপথকে। বাকী খালগুলো নৌচলাচলের অনুপযোগী ও সরু হওয়ায় কিছু কিছু পদক্ষেপেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
এ সব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে— প্রকল্প এলাকায় সমস্ত কালভার্ট ভেঙে সেখানে ব্রিজ প্রতিস্থাপন করতে হবে। এ ছাড়া বাকি ব্রিজগুলোর নিচ দিয়েও যাতে নৌযান চলাচল করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জের নৌ টার্মিনালকে মাল্টিমোডাল টার্মিনালে রূপান্তরিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ড্যাপে। এ ছাড়া ভাটিতে একটি মাল্টিমোডাল টার্মিনাল তৈরিরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন, নদী-খাল দখলমুক্ত করেই তো এই প্রকল্প করতে হবে। অতীতে দেখা গেছে নদী-খাল অবৈধ দখলমুক্ত করার পর আবার দখল হয়ে গেছে। শুধু মেগাপ্রকল্পের নামে টাকাই নষ্ট হয়েছে।
তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত তো বৃত্তাকার নৌপথই করতে পারল না। এ ছাড়া অতীতে যতো ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে সবক্ষেত্রেই দেখা গেছে উচ্ছেদের পর আবার দখল হয়ে যেতে। কাজেই এখানে সদিচ্ছার অভাব সবসময়ই দেখা গেছে।
জানতে চাইলে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সভাপতি আবু নাসের খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এ ধরনের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প আমরা অতীতেও দেখেছি। নদীর সীমানা নির্ধারণের বিষয়গুলোও দেখেছি। কাজ হয়নি। কাজেই সদিচ্ছাটা আগে দরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে আবু নাসের খান বলেন, শীতকালে এক্সকেভেটর দিয়ে নদী খনন করলেই হয়। ড্রেজিংয়ের মতো বড় কাজ সেক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রেই লাগে না। কিন্তু সেটা তো করা হয় না কখনোই।
এনএইচবি/আরএ/

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৭ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২১ পিএম

আগামী ১০ ডিসেম্বর (রোববার) রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশ করবে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত ও আহত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দ্রুত বিচারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

ঢাকায় রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির মশাল মিছিল
০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২০ পিএম

সরকার পতনের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল রোববার সারাদেশে সর্বাত্মক ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ সফল করতে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে বিএনপি।
শনিবার আগারগাঁওয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ড. খন্দকার বাবলু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন নিলু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহসভাপতি তারেকুর জামান তারেক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি রাফিজুল হাই রাফিজ, এ বি এম মাহমুদ সর্দার, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা. আউয়াল প্রমুখ।
বিভাগ : রাজনীতি
বিষয় : মশাল-মিছিল , রুহুল-কবির-রিজভী , বিএনপি , বিএনপি-নেতা , বিএনপি-নেতাকর্মীরা , বিএনপির-নেতাকর্মী

যেভাবে ভাগ হলো অমিতাভ বচ্চনের সম্পদ
০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২১ পিএম

গত কয়েক মাস ধরেই ক্রমাগত আলোচনায় রয়েছে বচ্চন পরিবার। তাদের অন্দরমহলের সমীকরণ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। ‘বচ্চন বহু’ ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে নাকি সম্পর্কে চিঁড় ধরেছে বচ্চন পরিবারের। বিগত কয়েক মাস ধরেই নাকি শ্বশুরবাড়ির থেকে ছাড়াছাড়া ঐশ্বরিয়া রায়। এর মাঝেই মেয়ে শ্বেতা বচ্চনের নামে নিজের প্রথম বাংলো ‘প্রতীক্ষা’ লিখে দিয়েছেন অমিতাভ। এ বার সম্পত্তির ভাগ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা। প্রায় ২৮০০ কোটি রুপীর সম্পত্তির ভাগ কী ভাবে হবে জানালেন অমিতাভ বচ্চন।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তারকা জানান তার সম্পত্তি দুই সন্তানের মধ্যে সমান ভাগ করে দিয়েছেন। প্রথম থেকে ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোনও তফাত করেননি অমিতাভ। তাই সম্পত্তির ক্ষেত্রেও দুই সন্তান সমান ভাগ পেয়েছেন। সদ্য দীপাবলির উপহার হিসাবে অমিতাভ ‘প্রতীক্ষা’ বাংলোটি মেয়ের নামে লিখে দেন। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫০ কোটি।
মুম্বাইয়ের জুহুতে অমিতাভ বচ্চনের পাঁচটি বাংলো রয়েছে। প্রতীক্ষা, জনক, জলসা, বৎসা এবং জলসার পেছনে থাকা আরেকটি বাংলো।

অমিতাভের সম্পত্তি ছাড়া এই মুহূর্তে অভিষেক বচ্চনের সম্পত্তির পরিমাণ ২৮০ কোটি। এর সাথে যদি বাবার অংশ যোগ হয় তাহলে মোট সম্পত্তির পরিমাণ হবে ১৮৬০ কোটি রুপি। অর্থাৎ বাবার সম্পত্তির ভাগ পেলে অভিষেকের সম্পত্তি বেড়ে যাবে প্রায় ৫৬৪ শতাংশ।
শ্বেতা বচ্চন ১১০ কোটি রুপির মালিক। ১৬০০ কোটি রুপি পেলে তার সম্পত্তি বেড়ে হবে ১৬৯০ কোটি রুপি। অর্থাৎ মোট সম্পত্তি বাড়বে ১৪৩৬ শতাংশ। সাথে আছে ‘প্রতীক্ষা’ বাংলো।
অন্যদিকে কারও সম্পত্তি না পেয়েই এই মুহূর্তে প্রায় ৭৭৬ কোটি রুপির মালিক ঐশ্বরিয়া। ঐশ্বরিয়ার চেয়ে অভিষেকের সম্পত্তি অনেক কম। তবে বাবার সম্পত্তির ভাগ পেলে সম্পত্তির দিক থেকে ঐশ্বরিয়ার চেয়ে এগিয়ে থাকবেন তিনি।