করপোরেট গিলে খাচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেতারাও

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:২৪ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:২৬ এএম


করপোরেট গিলে খাচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেতারাও

করপোরেট প্রতিষ্ঠানের আগ্রাসনে হারিয়ে যেতে বসেছেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তারা মুড়ি, চানাচুর তৈরি করে তা কম দামে বিক্রি করেন। হাসকিংসহ অটো রাইস মিল থেকেও কম দামে চাল বিক্রি করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিটি গ্রুপ, আকিজ, প্রাণসহ বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান মুড়ি, চানাচুর, চালের ব্যবসায় নেমে প্যাকেটজাত করে অনেক বেশি দামে বিক্রি করছে। এসব খাতে তারা একেবারে বাজার দখল করে নিয়েছে। যার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে।

শিল্পনীতির ফাঁকফোকরেই তারা গিলে খাচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আহার। শিল্পনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বিকাশের কথা বলা হলেও কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পখাতে বিনিয়োগে করপোরেটদের নিষেধ করা হয়নি। ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা হারিয়ে যাচ্ছেন। করপোরেটদের বিনিয়োগে মন্ত্রী থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবসায়ীরাও ক্ষুদ্ধ। তারা বলছেন, করপোরেটরা সব জায়গয়ে বিনিয়োগ করলে ক্ষুদ্র ও ছোটরা যাবে কোথায়?

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, সিটি গ্রুপের তীর মিনিকেট ২৫ কেজি বস্তার দাম ১৮৫০ টাকা। প্রতি কেজির মূল্য ৭৪ টাকা। এটি পাইকারি দাম। তবে খুচরা প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। একইভাবে আকিজ গ্রুপের এসেনসিয়াল ২৫ কেজি মিনিকেট চালের দামও ১৮৫০ টাকা। যেখানে মোজাম্মেল, রশিদসহ অন্যান্য মিনিকেট চালের কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির আব্দুল আওয়ালসহ অন্যান্য চাল ব্যবসায়ীরা করপোরেট কোম্পানির চালের বাড়তি দামের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

দীর্ঘ দিনের ব্যবসার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ওই চাল ব্যবসায়ীরা করপোরেটদের বেশি দাম নেওয়ার ব্যাপারে বলেন, গুণাগুণ একই হলেও প্যাকেটজাত করার কারণেই করপোরেট কোম্পানির চালের দাম বেশি। এতে ভোক্তাদের বাড়তি টাকা করপোটেরদের পকেটে যাচ্ছে। তারা আরও বলেন, কোম্পানি থেকে লোক এসে বলে ভালো চাল, আমরাও রাখি। কারণ অনেকে মনে করে, বেশি দাম তাহলে বেশি ভালো হবে।

আটারও একই দশা। হাজী স্টোরের জসিম, জব্বার স্টোরের জব্বারসহ অন্যান্য মুদি ব্যবসায়ীরা জানান, তীর, ফ্রেশসহ বিভিন্ন করপোরেটের দুই কেজি আটা ১৩০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। যেখানে খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। পোলাও চালও বেশি দামে বিক্রি করছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। খোলা চাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি করা হলেও প্রাণ, তীর কোম্পানির প্যাকেট চাল ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

ভাই ভাই ট্রেডার্সের মুনির হোসেন ও মেসার্স রফিক ট্রেডার্সের রফিক জানান, কুষ্টিয়া, গাজীপুরের খোলা মুড়ি প্রতি কেজি ৮০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। আর বরিশালের মোটা চালের মুড়ি প্রতি কেজির দাম ১২০ টাকা। কিন্তু একটু দূরেই প্রাণসহ বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মুড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।

ওই মার্কেটের দ্বিতীয় তলার রফিক ট্রেডার্সের রফিক জানান, বিসমিল্লাহ বেকারির ৯০০ গ্রামের চানাচুর ৮০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। ৩০০ গ্রামের রুচি চানাচুরের দাম ৬৫ টাকা।

এটা যে শুধু কারওয়ানবাজারের চিত্র, তা কিন্তু নয়। মোহাম্মদপুরের পাইকারি বাজার কৃষিমার্কেট, টাউনহলের মতো বড় বড় বাজার থেকে শুরু করে পাড়া মহলায়ও করপোরেটরা ঢুকে গেছে। মোহাম্মদপুরের ফিউচার টাউন হাউজিং এর আলআমিন এন্টারপ্রাইজের মো. আনোয়ার এ প্রতিবেদককে বলেন, আগে বিভিন্ন এলাকার মুড়ি, চানাচুর কম দামেই বিক্রি করতাম। কিন্তু প্রাণ, সিটিসহ বিভিন্ন কোম্পানিও মুড়ি, চানাচুর, চাল, ডাল নিয়ে আসছে। তাদের পণ্যের দামও বেশি। তীর মিনিকেট ২৫ কেজি ১৮৭৫ টাকা। প্রতি কেজির মূল্য ৭৫ টাকা। ৫ কেজির মিনিকেট রুপচাঁদা চাল ৪৬০ টাকা। অথচ অন্য মিনিকেট কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তারা প্যাকেটজাতের কারণেই বেশি দাম নিচ্ছে।

এভাবেই বিভিন্ন করপোরেট কোম্পানি বেশি দামেই চাল, আটা, ময়দা, তেল, চানাচুর বিক্রি করছে। তাদের ব্যবসার পরিধিও বাড়ছে। কিন্তু কুটির ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ওই সব পণ্য কম দামে বিক্রি করা হলেও তাদের ব্যবসা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ এ শিল্পখাতের উন্নয়নের ব্যাপারে বলা হয়েছে-এসএমই নীতিমালা ২০১৯ এর আলোকে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং বিসিক উদ্যোক্তা উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখসহ এর সার্বিক কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা হবে এবং অপ্রাতিষ্ঠানিকখাতে কটেজ ও মাইক্রো শিল্পের বিকাশকে ত্বরান্তিত করা হবে। শিল্পখাতে নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তার ব্যাপারেও বলা হয়েছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ প্রদানে বিসিকের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষিভিত্তিক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ ও চামড়া শিল্পের উন্নয়নের জন্য আধুনিক সুবিধা সম্বলিত পরিবেশবান্ধব শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হবে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা একেবারেই ভিন্ন। বৃহৎ শিল্প বা করপোরেটদের চাপে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ দূরের কথা, দিনে দিনে তলিয়ে যাচ্ছে। কারণ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ না করেও চানাচুর, মুড়ি সরবরাহ করছে। তারা কম দামেও ভোক্তাদের এসব পণ্য সরবরাহ করছে।

অপরদিকে জাতীয় শিল্পনীতির আলোকে আমদানি বিকল্প পণ্য হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এসব ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এরফলে সম্প্রতি সিটি গ্রুপ, প্রাণ, আকিজের মতো বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান এসব ব্যবসায় নজর দিয়েছে। ফলে তাদের প্রভাবে ছোট উদ্যোক্তারা হারিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে ভোক্তাদেরও চাল, আটা, ময়দা, তেল, মুড়ি, চানানচুর বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এভাবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বাজার করপোরেটদের দখলে চলে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

সিটি গ্রুপের তীর ব্র্যান্ডের আটা, চাল, ডাল নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাব চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা আমি দেখি না। যারা দেখেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা দেখে থাকেন।

বিশ্বজিৎ সাহার সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, করপোরেটরা ব্যবসা করবে। কিন্তু চাল প্যাকেটজাত করে কেজিতে ৫ টাকা বেশি দাম নিবে, এটা হতে পারে না। আমাদের কাছেও অন্য চাল ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছে। বাজারে আসলে দাম বাড়াচ্ছে করপোরেটরা। কারণ তারা নিজে ধান কিনে মজুদ করে রাখছে। কিন্তু তথ্য প্রমাণ না পেলে তো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। শিল্পনীতিতে কী আছে তাও দেখার বিষয়।

এদিকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইএর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সম্প্রতি বলেছেন, সিটি গ্রুপসহ বড় বড় সাহেবরা চাল ব্যবসায়ে ঢুকে পড়েছে। একেকটা মিল দেড় থেকে দুই কিলোমিটার জুড়ে গড়ে উঠেছে। সিটির তীর চাল তারা খুচরাও বিক্রি করছে। এটা কেন? সব জায়গায় কেন তাদের যেতে হবে। এটা সরকারের দেখা উচিৎ। কারণ এভাবে চললে মুদির দোকানও বন্ধ হয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটো মেজর ও হাসকিং রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দিনাজপুর চেম্বারের পরিচালক শহিদুর রহমান পাটওয়ারী (মোহন) বলেন, পুঁজি থাকলে যে কেউ ব্যবসা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছুটা নিয়ম মেনেই তা করতে হবে। যেভাবে পারব ভোক্তাদের কাছে বেশি দাম নেব, এটা কোনো ব্যবসা না। করপোরেটরা মিনিকেট চাল বাজারে বিক্রি করছে আমরাও অটো রাইস মিল থেকে সেই মিনিকেট চাল বিক্রি করছি কম দামে। ভোক্তাদের তা দেখতে হবে। তাহলে তারা একচেটিয়ে বাজার দখল করতে পারবে না। অন্যরা টিকে থাকবে।

পলিশ করে মিনিকেট নামে চিকন চাল বাজারে বেশি দামে বিক্রি করার ব্যাপারে জানতে চাইলে কৃষি অর্থনীতিবিদ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এ প্রতিবেদককে বলেন, যে কেউ আইন মেনে বৈধপথে ব্যবসা করবে এটা দোষের কিছু না। কিন্তু বর্তমানে মিনিকেটের নামে ভোক্তাদের সঙ্গে ডাহা প্রতারণা করা হচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকেও বলা হয়েছে মিনিকেট নামে কোনো জাত নেই। তারপরও কেন বাজার থেকে সরকার বন্ধ করছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এজন্য আইন করতে হবে। অর্থনীতিবিদ হিসেবেই আমি বলছি এক ধানকে তিনবার কেটে অন্য চাল হিসেবে বিক্রি করা ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু না।

এনএইচবি


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ পিএম


মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩  বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

 


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ পিএম


গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উত্তর সালনা এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উত্তর সালনা এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাসে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

 


মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭ এএম


মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

অনুসরণ করুন