‘গরু-খাসি তো আগেই বাদ, এখন মুরগিও কিনতে পারব না’

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৩২ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:২৯ এএম


‘গরু-খাসি তো আগেই বাদ, এখন মুরগিও কিনতে পারব না’

‘দেশে কি দুর্ভিক্ষ লেগে গেছে। যে যার মতো দাম নিচ্ছে। কয়েক দিন আগে যে মুরগি ১৬০ টাকা কেজি কিনেছি। বর্তমানে তা ২৩০ টাকা। তাহলে আমরা খাব কী? গরু, খাসিতো ঈদ ছাড়া চোখে দেখি না। এখন তো দেখছি মুরগিও কিনতে পারব না।’

মোহাম্মদপুরের স্বপ্নধারা হাউজিংয়ের বাসিন্ধা রিকশাচালক আবুল কালাম বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ব্যাপারে এমন করেই নিজের হতাশা প্রকাশ করছিলেন।

বাংলামটরের বাসিন্ধা এন্তাজ উদ্দিন। সদ্য অবসরে যাওয়া একজন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ১৪০ টাকার মুরগি আজকে (সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি) ২২০ টাকা কেজি কিনতে হলো। খুবই খারাপ অবস্থা। দাম বেড়ে যাওয়ায় কেনাও কমিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে এন্তাজ বলেন, ‘আগের মতো কিনতে পারি না। আগে প্রতি সপ্তাহে ৫/৬ কেজি কিনতাম। এখন অর্ধেক হয়ে গেছে। জীবনে কখনো এত দাম বৃদ্ধি দেখিনি। এই দাম থাকলে তো আমার মতো ক্রেতারা নিরুপায়। হাত পা বাঁধা। কী করব।’

শুধু এন্তাজ উদ্দিনিই নয়, এই অবস্থা তার মতো আরও বহু পরিবারের। ব্রয়লার মুরগির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এই আমিষও চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। রাজধানীর কাপ্তান বাজারে পাইকারি পর্যায়ে এসে সেই মুরগির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২০৫ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। অর্থাৎ সাধারণ ক্রেতাদের হাতে যেতে যেতে প্রতি কেজি মুরগিতে দাম বেড়েছে ৬০ টাকা।

অপরদিকে, সোনালি মুরগি হিসেবে পরিচিত কক মুরগি খামার পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৭০ টাকা। পাইকারি পর্যায়ে ১০ টাকা বেড়ে ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাদেরকে কিনতে হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। অর্থাৎ পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে ভোক্তাদের গুণতে হচ্ছে কেজিতে ৭০ টাকা বেশি।

ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে মুরগির মাংস। গরু ও খাসির মাংস তো আগেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এখন মধ্যবিত্তের শেষ অবলম্বন মুরগির মাংসও হাতছাড়া।

গত কয়েকদিন ধরেই ব্রয়লার মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পাইকারি থেকে খুচরা সব পর্যায়ে বিক্রেতারা ইচ্ছামত দাম আদায় করছে। কিন্তু কেউ দায় নিতে চাচ্ছে না। খামার থেকে শুরু করে রাজধানীর আড়ত, পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এবং সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে মুরগির বাজারের অস্থিরতার এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

সারা দেশের খামারগুলোতে মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে কাজী ফার্মস, প্যারাগন, নারিশসহ অসংখ্য কোম্পানি। খামারিরা সেই বাচ্চা বড় করে কেজি দরে বিক্রি করে। আগে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হলেও এখন সেই দামে আর পাওয়া যাচ্ছে না।

ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর জেনারেল সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা সারা দেশে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে থাকি। খামারিরা তা বড় করে বিক্রি করে। আগে ফার্মে ১৫০ থেকে ১৬০ কেজি ব্রয়লার বিক্রি করা হলেও বিভিন্ন কারণে দাম বেড়ে বর্তমানে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকারিতে তা ১৯০ টাকা কেজি। তবে এলাকা ভেদে একটু হেরফের হতে পারে।

খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মুরগি কেন ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অন্যায্য, অযৌক্তিক। এটা হতে পারে না। সরকারকে তা দেখা দরকার। কারণ, একদিকে করোনার পর উৎপাদন কমে গেছে। অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। আগে প্রতিদিন এক কোটি ৬০ লাখ মুরগি উৎপাদন হলেও বর্তমানে সেই উৎপাদন কমে এসেছে এক কোটি ২০ লাখে। অন্যদিকে, খুচরা বিক্রেতারা অনেক বেশি দামে বিক্রি করছে। এভাবে চলতে থাকলে এই নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য কেনা মানুষ বন্ধ করে দেবে। যেমনটা গরু ও খাসির মাংস বন্ধ হয়ে গেছে। তখন নতুন প্রজন্ম আমিষহীন হয়ে পড়বে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোনালি মুরগি আমাদের সংগঠনের বাইরের হিসেব। তারপরও সংগঠন থেকে একটা মূল্য তালিকা করা হয়। সেখানে দেখা যায় গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলাতে পাইকারি পর্যায়ে সোনালি মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের আদর্শ চিকেন হাউজের ম্যানেজার সেরাজুল ইসলাম জানান, সোনালি মুরগি (পাকিস্তানি) ৩৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এটা ১৫ দিন আগে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়েছে। ১০-১৫ দিন থেকে দাম বেশি। বেশির ভাগ নরসিংদী থেকে আনা। তিনি জানান, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা কেজি দরে কেনা। কাপ্তান বাজারে নগদে কিনতে হয়, আবার দামও বেশি। তাই অন্য জায়গা থেকে বাকিতে আনা হয়। আর ব্রয়লার মুরগি কেনা হয় ২১০ থেকে ২১২ টাকা কেজি। বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। পার্থক্য ৩০ থেকে ৫০ টাকা।

এতবেশি লাভ কেন জানতে চাইলে সেরাজুল বলেন, খরচ আছে না। বর্তমানে ব্রয়লারে ১০ টাকা, আর অন্যটাতে ২০ টাকা লাভ হয়। তারপরও আগের চেয়ে এই লাভ কম। কারণ আগে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা লাভ হতো। মূল্য তালিকায় ব্রয়লার ২৩০ টাকা, পরিচিত হলে ১০ টাকা কমিয়ে ২২০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। যারা দাম করে না বা কম নেয় এমন ক্রেতাদের কাছে তালিকা অনুযায়ী দাম নেওয়া হয়।

কারওয়ানবাজারের ব্রাদার্স চিকেনের ম্যানেজার মো. হাসান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রহিম, আনোয়ার ও ব্রাদার্স পোল্ট্রি হাউজ বিভিন্ন জায়গা থেকে মুরগি নিয়ে আসে। পোল্ট্রি বিক্রি করা হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি। ১০ থেকে ১২ দিন থেকেই এই বাড়তি দাম।

কেনা কত করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জানি না। মহাজন কামাল জানে। আমার কেনা দাম জানা নেই। মহাজন শুধু বিক্রির কথা জানায়। বাড়তি দামের ব্যাপারে হাসান আরও বলেন, অর্ডার বেশি, কিন্তু মাল কম। তাই দাম বেশি।

একই বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী সুমন বলেনমুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমে গেছে। আগে যে ৫ কেজি কিনত, এখন আড়াই কেজি কিনছে। বিক্রি অর্ধেকে নেমে গেছে।

দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রমজান, শব-ই বরাত ঘনিয়ে আসছে। এ ছাড়া, বিয়ে শাদী, বিভিন্ন উৎসব বেশি হচ্ছে। চাহিদা বাড়ছে। তাই দাম আরও বাড়তে পারে। তবে ৫ থেকে ১০ রোজা পর্যন্ত দাম আবার কমবে। কারণ ওই সময়ে চাহিদা কমে যাবে।

কারওয়ানজাবারে কথা হয় একাধিক ক্রেতার সঙ্গে বিশ্বব্যাংকে কর্মরত রাফাত নামে এক ক্রেতা বলেন, আগে দেশি মুরগি কিনেছি ৫০০ টাকা কেজি। আজ কিনলাম ৫২০ টাকায়।

তিনি আরও বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় কেনাও কমিয়ে দিয়েছি। আগে সপ্তাহে একসঙ্গে ১২টা কিনলেও এখন কিনছি অর্ধেক। তিনি আরও বলেন, বিক্রেতারা চালাকি করে পাকিস্তানিটা দেশি বলে চালিয়ে দিচ্ছে। ধরা খুব মুসকিল। এতে তারা আরও বেশি করে লাভ করছে।

দনিয়া থেকে আসা বাহাউদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, মুরগি কেনা অর্ধেকে নামিয়ে দিয়েছি। আগে ৭ থেকে ৮টা কিনতাম। এখন তিনটা কিনলাম। এত দাম কী করব। উপায় নেই। আয় বুঝে ব্যয় করতে হচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট ও টাউনহল বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বিক্রেতারা বেশি দামে কেনার কথা বললেও বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। বিভিন্ন ফার্ম থেকে কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে পোল্ট্রি, সোনালি ও লাল এবং দেশি মুরগি।

মনির হোসেন নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, ‘মুরগির দাম তো বাড়ছেই। বেশি দাম হওয়ায় কেনা কঠিন হয়ে গেছে। এখন খাওয়া কমিয়ে দিতে হচ্ছে। কারণ, আয় তো আর বাড়েনি। তাই আগের আয়ে আগের মতো মুরগি কেনা সম্ভব না।’

ভোক্তা আইনে সব পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে টাঙিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও মুরগি ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। তারা শুধু বিক্রয় মুল্যের তালিকা দোকানে ঝুলিয়ে রেখেছেন। কিন্ত কতো দামে কেনা তা লিখেন না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সব জায়গায় পণ্যের ক্রয়-বিক্রয় মূল্য তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পোল্ট্রি শিল্প প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায়। তাই এটা নিয়ে অতো কাজ করা হয়নি। তবে ফার্ম থেকে পাইকারি ও খুচরা মূল্যের এত বেশি ফারাক হতে পারে না। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। এর আগে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে এটা দেখা দরকার। কারণ, মুরগির এমআরপি তো দেওয়া হয় না। কে কত লাভ করতে পারবে এটা তাদের বলা ও দেখা দরকার। এরপর কেউ বেশি দাম নিলে আমরা তখন ধরতে পারব।

এনএইচবি/এমএমএ/


মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ এএম


মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।


‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৪ এএম


‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।

রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।


খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা

২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩০ এএম


খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। ছবি: সংগৃহীত

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।

দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।

যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।

তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"

বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।

অনুসরণ করুন