
‘ম্যানেজ’ করে রাজধানী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ লেগুনা
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৪৬ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২১ এএম

বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজধানীর সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ লেগুনা। ভাড়াসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় ঢাকায় লেগুনা-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। বেশ আগে সরকারিভাবে ঢাকার সড়ক থেকে লেগুনা তুলে দেওয়ার ঘোষণা এসেছিল। কিন্তু সেই ঘোষণা বেশি দিন কার্যকর থাকেনি। ভাড়াসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় লেগুনা-সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ জানানোর সুযোগ নেই যাত্রীদের। যার কারণে যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে এই যানবাহন ব্যবহার করছে।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের মূলসড়কে চলাচলরত লেগুনা চালক ও হেলপাররা অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক। লাইসেন্সবিহীন বেপরোয়া চালকদের হাতে স্টিয়ারিং জেনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। যাত্রীদের অভিযোগ, যথাসময়ে বাস না পাওয়ায় এবং সংশ্লিষ্ট রুটে বাসের সার্ভিস না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে এ সব লেগুনায় চলাচল করছে। যার কারণে লেগুনা চালকদের হাতে অনেকটা জিম্মি তারা।
রাজধানীর, বাড্ডা, বাসাবো, ফকিরাপুল, মতিঝিল, মালিবাগ, গুলিস্তান, আদাবর, আসাদগেট, ফার্মগেট, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও উত্তরা, আজমপুর, আজিমপুর, লালবাগ, সেকশন, মিরপুর বেড়িবাঁধ, মোহাম্মাদপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় ঘুরে দেখা যায় এ সব অবৈধ লেগুনা দেদারছে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, লেগুনা চলে ইচ্ছা মতো, ট্রাফিক পুলিশ এসব গাড়ি কম ধরে আর ধরলেও ছেড়ে দেয়। এলাকা ভিত্তিক কিছু রাজনৈতিক নেতা এ সব লেগুনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে মিশে রাস্তায় চলাচল করিয়ে থাকেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ সব ঘটনার সঙ্গে তারা যুক্ত নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পলাশী মোড়ে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টের সঙ্গে। ওই সার্জেন্ট জানান, বেড়িবাঁধ থেকে লালবাগ হয়ে যেসব লেগুনা চলাচল করে এসব লেগুনা ধরার মতো আমাদের ক্ষমতা নেই। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের উপরের স্যারেরা বলেন, এ সব লেগুনার মালিক বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিরা। এর সঙ্গে সরকারের দলীয় লোকজনও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। আমরা ছোট চাকরি করি এজন্য এ সবের পেছনে লাগতে চাই না।
ছোট ছোট কিশোরদের দিয়ে এ সব লেগুনা চালনা করে আপনারা আইনগত ব্যবস্থা নেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে ওদের ধরে মালিককে জানাই, পরে আবার ছেড়ে দিতে হয় এজন্য এখন আর লেগুনা ধরি না। চাকরি জীবনের শুরু দিকে কয়েকদিন ধরেছি এখন আর ধরি না।
ফার্মেগেটের যাত্রী রবিন, আজিমপুরের যাত্রী নজরুল ও মিরপুর থেকে ইন্দিরা রোডের যাত্রী ইকবাল হোসেন বলেন, রাজধানীর বিভিন্নস্থানে চলাচল লেগুনা চালকদের অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক। অনেকেরই নেই লাইসেন্স। এ লেগুনা চালকদের হাতে জিম্মি আমাদের মতো হাজার হাজার যাত্রী। লেগুনা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের গলাকাটছে, নিচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া— যা দেখার কেউ নেই। গাড়ির চালকরা রাস্তায় যেমন খুশি তেমনই চলাচল করে। ট্রাফিক পুলিশ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ সব লেগুনার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। আর এ ব্যয় মেটাতে লেগুনা মালিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে ভাড়া আদায় করেন। কোনো কারণ ছাড়াই রাজধানীতে লেগুনার ভাড়া বেড়েই চলেছে।
বিআরটিএ এর তথ্য মতে, কয়েক বছর আগে লেগুনাকে মিনিবাস গণ্য করে ভাড়া নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু পরে বিআরটিএ’র একটি মিটিং এ লেগুনাকে রুট পারমিট দেওয়া হয় না। এরপর থেকেই মেইন রোডে চলাচলের জন্য এই যানবাহনটিকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
বিআরটিএ জানায়, ভবিষ্যতে লেগুনা থাকবে না। এটি উঠে যাবে এই পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সরকারিভাবে লেগুনাকে বলা হয়, ‘হিউম্যান হলার’ কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাষ্য অনুযায়ী এটাকে বলে ‘লেগুনা’।
তাদের হিসেবে, শুধুমাত্র ঢাকায় লেগুনা আছে প্রায় ৫ হজারেরও বেশি। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও কয়েক গুণ।
লালবাগ-আজিমপুরে কথা হয় লেগুনার যাত্রী আবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার বাসা সেকশন। প্রায় দিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। মাঝে এই রোডে লেগুনা বন্ধ ছিল। ২০২২ সালের শুরুতে নতুন করে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে ও সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই রাস্তায় চলাচল করছে অবৈধ লেগুনা।
শুধু আজিমপুর নয়— মিরপুর, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়িসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে এ সব অবৈধ যানগুলো চলাচল করছে। তাদের ক্ষেত্রে পুলিশের আইনি প্রক্রিয়া একটু কম দেখা গেছে।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ১৭টি নির্দেশনা আসে। সেই নির্দেশনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ওই নির্দেশনার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজধানীর মূল সড়ক ও রাজপথগুলোতে লেগুনা চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলো। সেই ঘোষণার পর বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবারো অবাধে চলাচল শুরু করেছে এ সব অবৈধ যানগুলো।
এ সব যানবাহন পরিচালনার কাজে যুক্তরা বেশির ভাগ শিশু-কিশোর ও যুবক বলা যায়, অধিকাংশ চালক ও হেলপার অপ্রাপ্তবয়স্ক। লেগুনা চালক ও হেলপারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তারা বিভিন্ন রোডে মালিকের কথা মতো চলাচল করেন। এবং তাদের লাইনের কোনো ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা এ সব গাড়ি আটকিয়ে রাখেন না। যদি অন্য লাইনে বা রোডে তারা প্রবেশ করে তাহলে সেই জোনের ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা তাদের আটক করলে রাজনৈতিকভাবে ও প্রশাসনিক (পুলিশের) মাধ্যমে এ সব গাড়ি ও চালকদের ছাড়িয়ে নেওয়া হয়।
ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে কথা হয় ঢাকা মেট্রো-হ ১৪-১৪৫১ নম্বর এর লেগুনা চালক হিরোনের সঙ্গে। হিরোন বলেন, পুলিশে রাস্তায় আটক করলে আমরা মালিককে ফোনে ধরিয়ে দেই। এরপর মালিক তাদের সঙ্গে কি কথা বলে সেটা তো আমাদের জানা নেই।
মিরপুর টু মহাখালী এলাকার লেগুনা চালক নাছির বলেন, আমাদের রোড হলো মিরপুর থেকে মহাখালী পর্যন্ত। এর বাইরে চললে পুলিশে ধরে এজন্য এর বাইরে যাই না।
ফার্মগেট টু নিউমার্কেট রোডের লেগুনার মালিক আহমেদ চুন্নু হক বলেন, পুলিশের কাছ থেকে বিশেষভাবে এসব লেগুনার রুট পারমিট নেওয়া আছে। রুট পারমিট কীভাবে পেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনাকে তো এ সব কথা বলতে পারবো না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশেরও অনেক লোক আমাদের ভাই ব্রাদার। আমাদের ভেতরের খবর আপনাকে বলবো কেন?
এ বিষয়ে ফার্মগেটের আনন্দ পরিবহনের মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ খান বলেন, আমরা রাস্তায় নিয়ম মেনেই চলাচল করি। আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে ট্রাফিক বিভাগ বা সিটি করপোরেশনকে বলেন। তা ছাড়া এই ব্যাপারে আপনার সঙ্গে আমরা কথা বলতে চাই না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনসহ লেগুনায় প্রতিদিন অতিরিক্ত ভাড়া-নৈরাজ্যের অভিযোগ দেয় যাত্রীরা। দীর্ঘদিন ঢাকায় লেগুনা চললেও এটা কোনো নিয়মের মধ্যে আসেনি। অধিকাংশ চালকদের নেই লাইসেন্স। এই যানবাহন চলাচলের জন্য অনেক প্রভাবশালীরা যুক্ত রয়েছে যার কারণে সাধারণ যাত্রীরা এদের কাছে জিম্মি। যাত্রীদের ইচ্ছা থাকলেও এর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারে না।
রাজধানীতে লেগুনার অবাধ চলাচল সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক প্রধান) মনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, আপনি যে সব লেগুনার কথা বলছেন সেগুলো কি নিয়মের মধ্যে আছে কি না। সেই সব বিষয়টি আগে দেখা দরকার। আর যেগুলো নিয়মের বাইরে চলছে সেগুলো আমরা দেখব। তিনি বলেন, তবে এ সব লেগুনার সঙ্গে আমাদের ট্রাফিক পুলিশের কোনো সর্ম্পক নেই।
মনিবুর রহমান বলেন, লেগুনার কিছু অনুমতি আছে। তবে তাদের মূল সড়কে চলাচলে নিষেধ করা আছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের অলিতে গলিতে তারা চলাচল করে। যাদের লাইসেন্স নেই তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তা ছাড়া এদের সঙ্গে আমাদের পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই। আর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জড়িত কি না সেটা আমাদের জানা নেই।
কেএম/আরএ/

মোটরসাইকেল তল্লাশিতে বেরিয়ে এল ১৬ কোটি টাকার সোনা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ এএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে ১৬ কেজি ওজনের ৯৬টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাজমুল ইসলাম (৩১) নামের এক পাচারকারীকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী রুদ্রনগর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নাজমুল দর্শনার শ্যামপুরের আসাদুল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পারচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, অভিযানের সময় চোরাকারবারী নাজমুল ইসলাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি সশস্ত্র টহলদল তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম। এর আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

‘ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে’
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৭ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫১ এএম

ভোটার আইডি হ্যাক করে বিএনপির নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সরকার প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। নেতারা জানেনও না, এরপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র কেনা হচ্ছে। যেহেতু পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকারের হাতে, অতএব এটার মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়ন ফরম কিনছে। এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রকেও ব্যবহার করা হচ্ছে মহাজালিয়াতির জন্য।
রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন জানেন না, তার নাম দিয়ে, হ্যাক করা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নিয়ে তার ফরম তোলা হয়েছে। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ এখন এক দীর্ঘ মেয়াদি সংকটের দিকে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার ডিবি প্রধান ২৮ অক্টোবরে ঘটনার পেছনে যুব দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে আটকদের স্বীকারোক্তি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তাকে মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও ৯ মিথ্যা মামলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির এ নেতা বলেন বলেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর গ্রামের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।
বিভাগ : জাতীয়
বিষয় : বিএনপি , মনোনয়নপত্র , অভিযোগ , সংবাদ-সম্মেলন , ভোটার-আইডি-হ্যাক , রুহুল-কবির-রিজভী , জাতীয়-পরিচয়পত্র , জাতীয়-নির্বাচন

খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ এএম

এবার খাবারের ব্যবসায় নামছেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। 'হ্যাংজু মা'স কিচেন ফুড' নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি শুরু করেছেন চীনা এই ধনকুবের। চীনের পাবলিক রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত বুধবার পূর্ব চীনে, মা-এর নিজ শহর হ্যাংজুতে নথিভুক্ত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ক্রেডিট ইনফরমেশন পাবলিসিটি সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি খাদ্য আমদানি-রপ্তানি, ভোজ্য কৃষিপণ্য ও প্রি-প্যাকেজ খাদ্যের ব্যবসা করবে। কোম্পানিটি নিবন্ধনের সময় প্রায় ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণের মূলধন দেখিয়েছে। আর এর মালিকানাতে যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেটির ৯৯.৯ ভাগ মালিকানা জ্যাক মা-এর দখলে।
যদিও নতুন এই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বিজনেস মডেল সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এমনকি ঠিক কোন ধরণের খাবার বিক্রি করবে সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি। অন্যদিকে গত সোমবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশনের সাথে সিএনএন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, মা-এর প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাবনাময়ী রেডিমেইড খাবারের বাজার দখল করতে মাঠে নামছেন। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে, চীনে রেডিমেইড খাবারের বাজার গত বছর ছিল ৯.৯ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০১৮ সালের তুলনায় শতকরা ২৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও জ্যাক মা-এর কোম্পানিটি ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সেটি পরিষ্কার নয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার।
তিনি বলেন, "এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্যাকেটজাত খাবার ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্ষেত্রবিশেষে ভোক্তারা এই খাবারগুলি বেছে নিচ্ছে কারণ তারা ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকায় ডাইনিং আকারে খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা করে সময় পাচ্ছে না। আর তাই সময় স্বল্পতার জন্য তারা এই ধরণের খাবার বেছে নিচ্ছে।"
বেন ক্যাভেন্ডার আরও বলেন, "জ্যাক মা-এর কোম্পানি যদি ফলের মতো তাজা খাবার বিক্রিও শুরু করে তবে সেটিরও মার্কেটে বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদা থাকবে। এছাড়াও এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেটি ই-কমার্সের সাথে যুক্তের ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে চীনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করার দেশটির সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। এরপর দীর্ঘদিন নিজেকে অনেকটা আত্মগোপনেও রেখেছিলেন এই ধনকুবের।