বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশ্বকাপে সুইস বাধা টপকাতে পারবে ব্রাজিল?

আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুই দল মোকাবিলা করেছে মোট ৯ বার। ব্রাজিলের জয় তিনটিতে। সুইজারল্যান্ডের জয় দুটি। বাকি চার ম্যাচ ড্র। কিন্তু বিশ্বকাপে এই সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের রেকর্ড নেই ব্রাজিলের। দুইবার মুখোমুখি হলেও ড্র দুটিতেই।

দুই দলের প্রথম দেখা ১৯৫০ বিশ্বকাপে। ঘরের মাঠে ব্রাজিল সে ম্যাচে ২-২ গোলে করেছিল ড্র। দ্বিতীয় ও সর্বশেষ দেখা ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে। যেখানে ম্যাচ ড্র হয় ১-১ গোলে। সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের সর্বশেষ জয়ও আজ থেকে ১৬ বছর আগে। ২০০৬ সালে প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিল জিতেছিল ২-১ গোলে।

কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মাঠে নামবে ব্রাজিল। দোহার ৯৭৪ স্টেডিয়ামে 'জি' গ্রুপে সেলেসাওদের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। এই ম্যাচ জিতলেই নকআউট পর্বে চলে যাবে তিতে শিবির। নেইমারহীন ব্রাজিল পারবে সুইস বাধা টপকাতে?

এসজি

কালশী উড়ালসেতুর নাম বদলে হলো শেখ তামিম মহাসড়ক

কালশী উড়ালসেতু, যা বর্তমানে শেখ তামিম মহাসড়ক। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কালশী উড়ালসেতুর নাম পরিবর্তন করে কাতারের আমির শেখ তামিমের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। এখন থেকে এ সড়কের নাম শেখ তামিম মহাসড়ক।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুইদিনের সফরে গতকাল বাংলাদেশে এসেছেন। বিশ বছর পর বাংলাদেশ সফর করছেন কাতারের আমির। সকালে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পাঁচটি করে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ তামিম দুই দেশের পক্ষে এতে সই করেন।

ঢাকা সফরকালে শেখ তামিমের নামে একটি উড়ালসেতু এবং পার্কের নামকরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছিল। এরইমধ্যে উড়ালসেতুর নামকরণের ঘোষণা এলো।

উল্লেখ্য, কালশী উড়ালসেতুটি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটারের উড়ালসেতু ও এর সংযোগ সড়ক (প্রশস্ত সড়ক) প্রকল্পটি ২০১৮ সালে একনেক অনুমোদন দেয়।

ক্যান্সারে না ফেরার দেশে পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ

পেপার রাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট আহমেদ সাদ। ছবি: সংগৃহীত

চিরতরে চলে গেলেন পেপার রাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট আহমেদ সাদ। দীর্ঘদিন ধরে মরণব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে ৫২ বছর বয়স হয়েছিল এ সংগীতশিল্পীর।

গায়কের মৃত্যুর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার স্কুলজীবনের বন্ধু ও পেপার রাইম ব্যান্ডের সদস্য অনিন্দ্য কবির অভিক। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন সাদ। মাঝে কিছুটা সুস্থও হয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে তার শরীরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্যানসার।

আবার তিনদিন আগেই হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সকালে ফের হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে।

পেপার রাইম ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

গায়ক আহমেদ সাদের দাফন বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) হতে পারে বলে জানিয়েছেন তার বন্ধু অভিক। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে তার পরিবার থেকে।

ব্যান্ড পেপার রাইম এবং এর শিল্পী আহমেদ সাদ নব্বই দশকে মাত্র একটি অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে শ্রোতাহৃদয়ে জায়গা করে নেন। ব্যান্ডটির হার্ডরক, মেলোরক, সফট রক ঘরণার গানগুলোর কথা ও সংগীত ভীষণ গ্রহণ করে নেয় শ্রোতারা। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘অন্ধকার ঘরে’, ‘আকাশের কী রং’, ‘এলোমেলো’ গানগুলো শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।

পেপা রাইম ব্যান্ডের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যস্ততার জন্য ওই বছরই কার্যক্রম থমকে যায় ব্যান্ডটির। তবে ২০০৯ সালে সেটি সক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এ সময় ব্যান্ডে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেন মিরাজ ও লনি। ড্রামার অভিক ২০১১ সালে দেশে ফিরে ব্যান্ডে যোগ দেন। তারপর অনুশীলন করতে থাকেন তারা। নতুন অ্যালবাম প্রকাশেরও কথা চলে। কিন্তু ব্যান্ডটির ভোকালিস্ট সাদের অসুস্থতা সেটি আর হয়ে উঠে না। ফলে ২০১২ সালে পথচলা অনেকটা অনানুষ্ঠানিকভাবে থমকে যায়।

২০১৭ সালে সবশেষ ‘আবার’ নামের একটি মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশ হয় পেপার রাইমের। আশিক মিউজিকের ব্যানারে মিক্সড অ্যালবামটির গানটির শিরোনাম ছিল ‘দাঁড়াও বন্ধু’।

গাইবান্ধায় ‘শ্রুতিকটু’ ৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। ছবি: সংগৃহীত

শ্রুতিকটু হওয়ায় গাইবান্ধার ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৩ এপ্রিল প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ২৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে গাইবান্ধার দুটি উপজেলার নয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলার ‘গলাকাটি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হয়ে ‘আনন্দ বাজার’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘পাগলার চর’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিবর্তন হয়ে ‘ভোরের পাখি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘নাপিতের হাট’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিবর্তন হয়ে ‘থানাপাড়া আদর্শ’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘বাজে ফুলছড়ি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিবর্তন হয়ে ‘চর ফুলছড়ি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ‘কঞ্চিপাড়া ১নং’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হয়ে ‘কঞ্চিপাড়া আদর্শ’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ ছাড়া গাইবান্ধা সদর উপজেলার ‘পঁচারকুড়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হয়ে ‘গিদারী কৃষ্ণচূড়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘বাজে চিথুলিয়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিবর্তন হয়ে ‘পশ্চিম চিথুলিয়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘ধুতিচোরা’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিবর্তন হয়ে ‘রহমাননগর’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ‘পূর্ব ধুতিচোরা’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হয়ে ‘গিদারী আনন্দনগর’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা বোরহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাদী হাবিবা সুলতানা বলেন, এমন কিছু বিদ্যালয়ের নাম আছে যেসব নাম উচ্চারণ করতে মুখে বাধে। প্রতিনিয়ত শিশুরা ওইসব নাম নিয়ে ঠাট্টার শিকার হন। সারা দেশের শ্রুতিকটু নামের বিদ্যালয়গুলো চিহ্নিত করে নামগুলো পরিবর্তন জরুরি। ওই সব নেতিবাচক নাম পরিবর্তন করে অর্থপূর্ণ নাম রাখা হলে নরম মনের কোমলমতি শিশুরা তাদের বিদ্যালয়ের নাম নিয়ে লজ্জা না পেয়ে গর্ব করতে পারবে।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাল্টানো হয়েছে। পাল্টে যাওয়া নামগুলো ছিল শ্রবণকটু। যা শিশুদের মনে খারাপ প্রভাব ফেলত। নাম পাল্টে যাওয়া বিদ্যালয়গুলোর সাইনবোর্ডে নাম পাল্টে দেয়া হবে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সকল পেপারসে নাম পরিবর্তনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, অর্থহীন নামগুলো থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকেনা। যার কারণে খুঁজে খুঁজে উজ্জ্বল-সুন্দর এবং অর্থপূর্ণ নাম রাখা হয় সন্তানদের। মানুষ ইতিহাসে যে সব নাম উজ্জ্বল সে সব নাম রাখার চেষ্টা করেন। একই রকম বিদ্যালয়গুলোর নামের বেলাতেও। তবে যেকোনো কারণে হোক সারা দেশের কিছু বিদ্যালয়ের ‘শ্রুতিকটু’ নাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু ওইসব নাম পরিবর্তনের উদ্যোগটি একটি ভাল দিক। আমি মনে করি পরিবর্তন করা এসব অর্থপূর্ণ, শ্রুতিমধুর এবং ইতিহাস সমৃদ্ধ নাম কোমলমতি শিশুদের মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে শিশুরা গর্বের সঙ্গে তারা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উচ্চারণ করবে।

গাইবান্ধায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৪৬৬ টি। এসব বিদ্যালয়ের বিপরীতে শিক্ষকের সংখ্যা ৮ হাজার ২১৩ জন এবং এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৭৩ জন।

সর্বশেষ সংবাদ

কালশী উড়ালসেতুর নাম বদলে হলো শেখ তামিম মহাসড়ক
ক্যান্সারে না ফেরার দেশে পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ
গাইবান্ধায় ‘শ্রুতিকটু’ ৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
হিটস্ট্রোকে প্রাণ হারালেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইশতিয়াক
মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন থেকে না সরলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে বাস, পুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল ট্রেনের যাত্রীরা
ইনশাল্লাহ স্পিন বিভাগে পার্থক্য গড়ব : বাংলাদেশের নতুন কোচ
ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
এফডিসিতে সাংবাদিক-শিল্পীদের মারামারি, কী ঘটেছিল?
তীব্র গরমের মধ্যে ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়াল লোডশেডিং
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ
ছয় দিনের সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর
পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
ভাড়া বাড়াইনি, শুধু ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছি: রেলমন্ত্রী
নবাবগঞ্জে জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, সাবেক ও বতর্মান চেয়ারম্যান জেলহাজতে
ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল