৯ বছর পর শিরোপা মোহামেডান শিবিরে
বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফাইনাল খেলা উপহার দিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা খরা ঘুচিয়েছে মোহামেডান। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় খেলা ৪-৪ গোলে ড্র হয়েছিল। মোহামেডানের হয়ে হ্যাটট্রিকসহ একাই চার গোল করেন সুলেমান দিয়াবাত। আবাহনীর হয়ে গোল করেন ফাহিম, কলিন্দ্রেস, এমেকা ও রহমত।
টাইব্রেকারে মোহামেডানর হয়ে সুলমান দিয়াবাত, আলমগীর কবির রানা, শাহরিয়ার ইমন ও কামরুল গোল করেন। গোল করতে ব্যর্থ হন রজার। তার শট আটকে দেন গোলরক্ষক শহীদুল। আবাহনীর হয়ে গোল করেন এমেকা ও ইউসেফ। গোল করতে ব্যর্থ হন রাফায়েল ও কলিন্দ্রেস। দুটি শটই আটকে দেন বদলি গোলরক্ষক আহসান হাবিব দিপু। মোহামেডান পঞ্চম শট থেকে গোল করায় আবাহনীকে আর পঞ্চম শট নিতে হয়নি।
আবাহনী-মোহামেডান দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর আগের সেই লড়াই এখন আর হয় না। এই না হওয়ার কারণ ছিল মোহামেডান দল গঠনে পিছিয়ে পড়ায়। এবার শক্তিশালী দল গড়ে তারা উঠে আসে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে। প্রতিপক্ষ আবাহনী হওয়ায় আবারও অনেকেই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সেই লড়াই আশা করছিলেন। কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক ও টিভি কল্যাণে অগণিত দর্শককে হতাশ করেননি তারা। ৮ গোলের খেলা নির্ধারিত সময় ৩-৩ গোলে ড্র ছিল। ফলাফল নিষ্পত্তিতে খেলা গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়। সেখানেও নিষ্পত্তি হয়নি। দুই দলই গোল করে আরও ১টি করে। এরপর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে মোহামেডান জয়ী হয় ৪-২ গোলে।
দুই দলের সর্বশেষ লড়াই হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেবারও মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল একইভাবে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে ম্যাচ জিতে। নির্ধারিত সময় খেলা গোলশূন্য ছিল। ফেডারেশন কাপে মোহামেডানের এটি ১১তম শিরোপা। আর মোহামেডান সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিল স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে। ফেনী সকার ক্লাবকে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়েছিল তারা। নির্ধারিত সময়ে খেলা গোলশূন্য ড্র ছিল।
এবারের শিরোপা নিষ্পত্তি হতে ম্যাচ দুলেছে পেন্ডুলামের মতো। ৪-৪ গোলের ম্যাচে আবাহনী এগিয়ে ছিল দুইবার। প্রথমে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর মোহামেডান খেলায় সমতা আনে ২-২। এসময় আবাহনীর হয়ে ১৬ মিনিটে ফাহিম ও ৪৪ মিনিটে কলিন্দ্রেস গোল করেন। মোহামেডানের হয়ে ৫৬ ও ৫৯ মিনিটে সুলেমান দিয়াবাত গোল দুটি পরিশোধ করে খেলা জমিয়ে তুলেন। ৬৬ মিনিটে এমেকার গোলে আবাহনী আবার এগিয়ে যাওয়ার পর ৮২ মিনিটে সুলেমান দিয়াবাতে হ্যাটট্রিক করে খেলায় সমতা আনেন। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। প্রথমবারের মতো মোহামেডান এবার এগিয়ে যায়। গোলদাতা সেই সুলেমান দিয়াবাতে। পেনাল্টি থেকে তিনি গোলটি করেন ১০৮ মিনিটে। ১১৭ মিনিটে আবাহনীর হয়ে সেই গোল পরিশাধ করেন রহমত মিয়া।
এমপি/এসজি