
সাফের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা, বাদ এলিটা কিংসলে
০৯ জুন ২০২৩, ০৬:১০ পিএম | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৭ এএম

কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। সেই দলে রাখা হয়নি এলিটা কিংসলেকে।
শুক্রবার (৯ জুন) সংবাদ সম্মেলনে সাফের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেন হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।
এলিটা ছাড়াও চূড়ান্ত দলে জায়গা হয়নি মেহেদী হাসান শ্রাবণ, টুটুল হোসেন বাদশাহ, রিমন হোসেন, মাশুক মিয়া জনি, সাজ্জাদ হোসেন, শাহরিয়ার ইমনের।
আজ শুক্রবার রাতে কম্বোডিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ফুটবল দল। আগামী ১৫ জুন কম্বোডিয়ার ফেনম পেন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে তাদের বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। পরের দিন ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা হবে বাংলাদেশ দল।
আগামী ২১ জুন ব্যাঙ্গালুরুতে শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সাফে 'বি' গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে লেবানন, মালদ্বীপ ও ভুটান। অন্যদিকে 'এ' গ্রুপে আছে ভারত, কুয়েত, পাকিস্তান ও নেপাল।
বাংলাদেশ স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: আনিসুর রহমান, মিতুল মারমা, শহিদুল আলম।
ডিফেন্ডার: কাজী তারিক রায়হান, বিশ্বনাথ ঘোষ, তপু বর্মন, ঈশা ফয়সাল, রহমত মিয়া, আলমগীর মোল্লা।
মিডফিল্ডার: মাশুক মিয়া, সোহেল রানা, মজিবুর রহমান জনি, সোহেল রানা, রবিউল হাসান, জামাল ভূঁইয়া, মোহাম্মদ হৃদয়, শেখ মোরছালিন।
ফরোয়ার্ড: রাকিব হোসেন, সুমন রেজা, ফয়সাল আহমেদ , মোহাম্মদ ইব্রাহিম, রফিকুল ইসলাম, আমিনুর রহমান।

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে আজ
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪০ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪১ পিএম

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি মাঠে গড়িয়েও পরিত্যক্ত হয়। সিরিজের লিড নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।। বৃষ্টির শঙ্কা আছে এই ম্যাচেও।
আজ সকাল থেকে তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও ঠিক খেলা শুরুর আগে, শুরুর সময় এবং এক ঘণ্টা পর পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯০ থেকে ৮০ শতাংশ। বেলা ১টা ও দুপুর ২টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে ৯০ শতাংশ, আর বিকেল ৩টা নাগদ বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। তবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার আগে এবং রাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমে যাবে। বিকেল ৪টা ও ৫ টায় ৫০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তারপর থেকে রাত পর্যন্ত বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা বেশ কম, মাত্র ২০ %।
কাজেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস সত্য হলে আগামীকাল ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তবে যেহেতু খেলা শুরুর সময় ৮০ থেকে ৯০% বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনার কথা বলা আছে, তাই দুপুর ২টায় মানে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরুর সম্ভাবনা ক্ষীণ।
সেক্ষেত্রে খেলা শুরু হতে হতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতে পারে। বিকেলেও বৃষ্টির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ম্যাচ। ৫০ ওভারের ম্যাচের সম্ভাবনা বেশ কম। দুপুরের পর বিকেল থেকে বৃষ্টির তোড় কমে গেলে খেলা শুরু হতে পারে দেরি করে। তাই ৫০ ওভারের ম্যাচ না হলেও ৩৫-৪০ ওভারের খেলা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বেশ।
এই ম্যাচে টাইগাররা পাচ্ছে না তানজিম সাকিবকে। আহত হয়ে তিনি মাঠের বাইরে। তার জায়গায় ডাকা হয়েছে হাসান মাহমুদকে।
বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সুযোগ পেয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। ফিরেছেন তামিম ইকবালসহ আরও কয়েকজন। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের আলাদা নজর রয়েছে তামিম, মাহমুদুল্লাহ ও সৌম্যর ওপর।
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকবেন ওপেনার তামিম। অবশ্য মাহমুদুল্লাহ ও সৌম্যকে ফর্ম দেখিয়েই ফিরতে হবে। কিন্তু প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় তাদের ব্যাটিং দেখার সুযোগ পায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।
৪২ ওভারের পরিত্যক্ত ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ৩৩.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান করেছিল। দারুণ বোলিং করেন ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান। ছন্দে ফিরেছেন বাঁহাতি পেসার। ৭ ওভারের স্পেলে ২৭ রানের খরচে ৩ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ৮ ওভারের স্পেলে ৩ মেডেন নিয়ে ২১ রানের খরচে নেন ২ উইকেট। ব্যাটিং করার সুযোগ না পেলেও মাহমুদুল্লাহ ও সৌম্য বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। মাহমুদুল্লাহ ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ২১ এবং সৌম্য ২ ওভারে রান দেন ১৩।

ডেঙ্গু পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টেও ভয়াবহ ঝুঁকি
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:২৫ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩৬ পিএম

রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও রাজধানীর বাইরে হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর চাপ। অনেক চেষ্টা করেও এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে শয্যা সংকট। রোগী বেড়ে যাওয়ায় নাকাল হচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এসবের মধ্যেই নতুন করে আশঙ্কার জন্ম দিচ্ছে নেগেটিভ রিপোর্ট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও লক্ষণ সব ডেঙ্গুর মতোই। তাই বিষয়টি বিবেচনা করে নেগেটিভ রোগীদেরও ডেঙ্গুর ‘ট্রিটমেন্ট প্রটোকল’ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও লক্ষণ সব ডেঙ্গুর মতোই। তাই বিষয়টি বিবেচনা করে নেগেটিভ রোগীদেরও ডেঙ্গুর ‘ট্রিটমেন্ট প্রটোকল’ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, এনএস-১ অ্যান্টিজেন টেস্টে পজিটিভ আসে যদি জ্বর আসার তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু, কেউ যদি লক্ষণ দেখা দেওয়ার চার-পাঁচ দিন পর আসেন তাহলে তাকে আমরা ডেঙ্গু আইজিএম পরীক্ষা করতে বলি। এরপর যেটা দেখা যায়, এনএস-১ নেগেটিভ আসা অনেকেরই আবার ডেঙ্গু পজিটিভ আসছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত নন- এমনটি ধরে নিয়ে বাসায় নির্বিকার থাকছেন অনেক রোগী। পরিস্থিতি খারাপ হলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। করার কিছু আর থাকছে না। তারা বলেন, অনেক রোগীর এনএস-১ পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, কিন্তু ডেঙ্গু আইজিএম বা আইজিজি পরীক্ষার পর রিপোর্ট পজিটিভ আসছে।
আমরা নিজেরা যেসব রোগীকে শুরুতে দেখছি, তাদের প্রত্যেককেই এনএস-১ পরীক্ষার পাশাপাশি সিবিসি বা আইজিএমণ্ডআইজিজি পরীক্ষা করাতে বলছি। এরপর ডেঙ্গু নিশ্চিত হয়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। কিন্তু, কিছু রোগী সরাসরি চিকিৎসক না দেখিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো এনএস-১ পরীক্ষা করান। সেই রিপোর্টে কোনো কারণে ডেঙ্গু পজিটিভ না এসে নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার আরো কিছু কারণ থাকতে পারে। যেহেতু এটি আরএনএ ভাইরাস, সেহেতু এর মিউটেশন হওয়া খুব স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে মিউটেশন হয়ে যদি ভাইরাসটি তার ক্যারেক্টার চেঞ্জ করে ফেলে, তাহলেও পরীক্ষায় নেগেটিভ আসতে পারে। এমন আরো অনেক কারণ আছে, যার কারণে রিপোর্ট নেগেটিভ আসতে পারে। প্রয়োজনে শুধু এনএস-১ পরীক্ষার ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে হবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অন্যান্য পরীক্ষারও প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে কোন রোগীর কোন পরীক্ষা লাগবে, সেটি রোগীর ইচ্ছার ওপর নির্ভর না করে চিকিৎসকের ওপর আস্থা রাখতে হবে। তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।’
কেউ ডেঙ্গু পজিটিভ কি না, সেটি এনএস-১ টেস্টের মাধ্যমে জানা যায়। তবে, ডেঙ্গু ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার শুরুর দিকেই এ পরীক্ষা করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি বলছে, জ্বরের প্রথম দিন থেকেই ডেঙ্গু এনএস-১ টেস্টের ফল পজিটিভ আসে। তবে, চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে হলে এটি নেগেটিভ হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকরা সাধারণত টেস্টের ফলের সঙ্গে অন্য উপসর্গ ও লক্ষণ মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
আইজিএম বা আইজিজি পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু আরো ভালোভাবে শনাক্ত করা যায়। এ বিষয়ে সিডিসি বলছে, সাধারণত জ্বর হয়ে যাওয়ার চার থেকে পাঁচ দিন অতিবাহিত হলে এবং এর মধ্যে কোনো পরীক্ষা না করা হলে আইজিজি পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ পরীক্ষার মাধ্যমে পজিটিভ কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। রক্তে আইজিজি পজিটিভ থাকলে বুঝতে হবে আগে রোগীর সংক্রমণ ছিল। শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটুকু আছে, সেটি বোঝার জন্যও এ পরীক্ষা করা হয়। আইজিজি সূচক স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে শরীর যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি করতে অক্ষম এবং সেক্ষেত্রে সংক্রমণে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর রক্তে আইজিজি পজিটিভ থাকলে বুঝতে হবে আগে রোগীর সংক্রমণ ছিল এবং বর্তমানে সে দ্বিতীয়বারের মতো আক্রান্ত হয়েছে।
অর্থাৎ রোগী কোনো সংক্রমণের শিকার হয়েছে কি না, রক্তকণিকা স্বাভাবিক রয়েছে কি না বা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কেমন- এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝার জন্য চিকিৎসকরা এ টেস্ট দিয়ে থাকেন।

সরকার পদত্যাগ না করলে দেশ সংঘাতের দিকে যাবে : মির্জা ফখরুল
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩৮ পিএম

সরকার পদত্যাগ না করলে দেশ সংঘাতের দিকে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, যতদিন আপনি (শেখ হাসিনার সরকার) থাকবেন এটি আরও সংঘাতের দিকে যাবে, আরও খারাপের দিকে যাবে এবং সংঘাত আরেও বাড়তে থাকবে।এখনও তো সংঘাত শুরু হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে তো জনগণ রুখে দাঁড়াবে- পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে এটি। জনগণই তাদের অধিকার আদায় করবে, জনগণ তো লড়াই করে, যুদ্ধ করেই তো স্বাধীনতা এনেছে। ১৯৯০ সালে এরশাদের সময়ে জনগণ তো লড়াই করে, সংগ্রাম করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। এখনও জনগণ লড়াই করছে, সংগ্রাম করছে।
ক্ষমতাসীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, দেশকে রক্ষার জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য, মানুষের অধিকারকে রক্ষা করার জন্য আপনারা দয়া করে এ জায়গা থেকে সরে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের দাবি তো আমরা সেজন্যই জানিয়েছি। প্লিজ এ জায়গা থেকে সরে আসেন। এসে পদত্যাগ করেন, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের একটি সরকার নির্বাচিত করতে পারে, তাদের একটি জনগণের পার্লামেন্ট গঠন করতে পারে- তার ব্যবস্থা করেন।
মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমার খান ও পরিচালক এএমএম নাসির উদ্দিনের সাজা প্রদানের বিষয়ে জুডিসিয়াল ক্যাডার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি প্রদানের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এমন বিবৃতি প্রদান নজিরবিহীন ঘটনা। এটি নিঃসন্দেহে নিরপেক্ষ আচরণের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, বিচার ব্যবস্থার সকল পর্যায়ের বিচারকদের বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমি বারবরই বলে আসছি আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনই সম্ভব না। এটা পরীক্ষিত। আমরা পরপর দুইটি নির্বাচন অতীতে করেছি এবং তাদের অধীনে যে কখনো কোনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না্, জনগন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে না- এ ব্যাপারে সন্দেহ কারোই থাকার কথা নয়। '
তিনি আরও বলেন, তারপরও সরকার যখন বিদেশিদের কাছে গিয়ে বলেছে এদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। তখন বিদেশিরা প্রাক পর্যবেক্ষক টিম পাঠিয়েছেন। তারা সমস্ত কিছু সার্ভে করেছেন এবং সব ধরনের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা এখন স্পষ্ট করে বলেছেন, এ দেশের টিম পাঠানোর কোনো পরিবেশ নেই। তারমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কথায় তা আবারো প্রমাণ হয়ে গেল। কারণ নতুন করে এসব কথা বলে তো কোনো লাভ নেই তারা তো কোনো কিছু কানের নিচ্ছে না।
দক্ষিণের সিটি মেয়রের বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানসিকতাটা তার (শেখ ফজলে নূর তাপস) কথার মধ্যে পাবেন। এটা তাদের- আমি বার বার একটা কথা বলি যে, তাদের চরিত্র, তাদের কথাবার্তা বলা সব কিছুর মধ্যে একটা সন্ত্রাসী ব্যাপার আছে। তারপর একটা জমিদারি-ভাব আছে। এটা হচ্ছে তাদের জমিদারি। এজন্য কাকে ঢুকতে দেবে, কাকে দেবে না- এ রকম কথা বলে। আমি এসব গুরুত্ব দিই না। এগুলো আমরা বহু দেখেছি। কে কী বললো না বললো এটা বাংলাদেশের জনগণের যায় আসে না। বাংলাদেশের জনগণের লক্ষ্য একটাই- তারা বাংলাদেশে একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। দ্যাট ইজ দ্য পয়েন্ট।