বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঊর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্য আর ট্রাকে ঝুলন্ত মা

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে আর হতাশায় ভেঙে পড়া মানুষের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিদিন। এক বছরে ৭ বার তেলের দাম বাড়িয়েছে বিপণন সংস্থাগুলো। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলেছে, গত ১৫ দিনে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি অসাধু চক্র। অবশ্য তারা বলেনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাধু চক্র আছে কি না, থাকলে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা কী?

টিসিবি ভর্তুকি মূল্যে সয়াবিন তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করে। টিসিবির ট্রাক থেকে দুই লিটার সয়াবিন তেল কেনা যায় ২২০ টাকায়, বাজারে যা ৩৫০ টাকার বেশি। টিসিবি চিনি বিক্রি করে ৫৫ টাকা কেজিতে। বাজার থেকে চিনি কিনতে দাম পড়ে কেজিপ্রতি ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। টিসিবি মসুর ডাল বিক্রি করে ৬৫ টাকায়, যা বাজারে ৯৫ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। বাজার থেকে যে পেঁয়াজ কিনতে ৫০ টাকা লাগে, একই পেঁয়াজ টিসিবির ট্রাক থেকে ৩০ টাকায় কেনা যায়। তেল, চিনি, পিঁয়াজ, ডাল এই চার পণ্য বিক্রি হয় টিসিবির ট্রাক থেকে। প্রতিদিন ১৫০টি ট্রাকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে টিসিবি পণ্য বিক্রি করে। প্রতি ট্রাকে ২৫০ জন মানুষ পণ্য পেতে পারেন। সেই হিসেবে দিনে ৩৭ হাজার ৫০০ মানুষ পণ্য পাবেন; কিন্তু ঢাকা শহরে দরিদ্র্য মানুষের সংখ্যা তো ১ কোটিরও বেশি, যাদের মধ্যে ৪০ লাখের বেশি বস্তিবাসী। চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের এই পার্থক্যের কথা জেনে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে সেই সকাল থেকে, ট্রাক আসে ৯টায়। বাজারদর আর টিসিবির পণ্যের দরের যে পার্থক্য, তাতে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা সাশ্রয় হয় একজন ক্রেতার। যাদের কাজ না করলে চলে না তারা লাইনে দাঁড়াতে পারেন না কারণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা। ফলে লাইনে বৃদ্ধ, নারী এবং কর্মহীনদের সংখ্যা বেশি। একজন মন্ত্রী একবার বলেছিলেন এখন প্যান্ট শার্ট পড়া মানুষও ট্রাকের পেছনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন।

গত ৪ বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। যদিও মন্ত্রী বলেছেন, মোটা চাল এখন গরুকে খাওয়ানো হয়, হয়তো তার বিবেচনায় যারা মোটা চাল খান তারা গরুর পর্যায়ে পড়ে। খাবারের তেল সয়াবিনের দাম বেড়েছে ৯৪ শতাংশ, গ্যাসের দাম বেড়েছে ২২ শতাংশ এবং মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে ১১৫ শতাংশ, সরকার ঘোষিত মূল্যস্ফীতি গড়ে বছরে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থাৎ ৪ বছরে প্রায় ২৫ শতাংশ। তবে সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি কত? মন্ত্রী বলেছেন, আয় বেড়েছে দুই-তিন গুণ অর্থাৎ ২০০ থেকে ৩০০ শতাংশ। সে কারণেই না কি জিনিসের দাম বাড়লেও মানুষের কষ্ট হচ্ছে না। না খেয়ে কোনো মানুষ তো মরছে না। আর একজন তো বলেই ফেললেন, এখন একজন শ্রমিক যা আয় করে, তা দিয়ে না কি দিনে ২০ কেজি চাল কিনতে পারে! অর্থাৎ দিনে ১১০০ টাকা আয়, সেই হিসাবে মাসে ৩৩ হাজার টাকা আয় করে এমন শ্রমিক কোথায় বা কয়জন তা কি জিজ্ঞেস করা যাবে?

এটা অবশ্য সত্যি যে, দেশে একদল এমন মানুষ আছেন যারা তাদের আয় দিয়ে দিনে ২০ টন চাল কিনতে পারবেন। তাদের আয়ের উৎস, পরিমাণ এবং তাদের মান-সম্মানের কথা জানতে না চাওয়াটা শুধু ভালো নয়, নিরাপদও বটে।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অসহনীয় মুল্য বৃদ্ধি কি প্রভাব ফেলে আমাদের জীবনে আর দেশের ভবিষ্যতে? একজন অযোগ্য দরিদ্র্য মানুষ (মাথাপিছু ২৫৫১ ডলার আয়ের দেশে দরিদ্র্য থাকাটা অযোগ্যতা) যদি দিনে ১.৯ ডলার বা ১৬৫ টাকার বেশি আয় করেন তাহলে তিনি না কি আর দরিদ্র্য থাকবেন না। তিনি এবং তার স্ত্রী দুজনে মিলে মাসে ৯ হাজার ৯০০ টাকা আয় করলে তারা দারিদ্র্য সীমার উপরে উঠে যাবেন। যদিও মাথাপিছু আয়ের হিসেবে তাদের আয় হওয়ার কথা ৩৭ হাজার টাকা। এই টাকা উৎপাদনে তাদের অংশগ্রহণ থাকলেও টাকার ভাগ তারা পাবেন না। ধরে নেই তাদের বাবা মা নেই, সন্তান সন্ততি নেই, ভাই বোন নেই, কারো প্রতি কোন দায়িত্ব নেই। তারা দুজন হংস মিথুন, কাজ করে, আয় করে, খায় আর ঘুমায়। তাহলেও কি এই আয় করে ন্যূনতম খাদ্য পুষ্টি পাবেন? অথচ এরাই তো আমাদের শ্রমজীবী যুবশক্তি! আমাদের ভবিষ্যৎ শ্রমশক্তি আসবে তাহলে কোথা থেকে, যারা আসবে তারা কি ধরনের স্বাস্থ্য পুষ্টি আর শিক্ষা নিয়ে বড় হবে? এই জনগোষ্ঠী তো দেশে ১২ কোটির বেশি।

বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ৮২ লাখ। যাদের ৯০ শতাংশ কাজ করে অসংগঠিত ক্ষেত্রে। এদের কথা না হয় নাই ভাবলেন কর্তাব্যক্তিরা কিন্তু যাদের মাসিক আয় ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার এই পরিবারগুলো কিভাবে চলছে? যাদের আয় ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার তাঁরা কি টিসিবির ট্রাকে লাইন দিয়ে দাঁড়াতে পারেন? তাদের সংসার তাঁরা কিভাবে চালান? টিসিবির হিসাবে, ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোটা চালের দাম ৩২ শতাংশ, সরু চাল ২৮ শতাংশ, বোতলজাত সয়াবিন তেল ৫৫ শতাংশ, খোলা সয়াবিন তেল ৮২ শতাংশ, মোটা দানার মসুর ডাল ৬৩ শতাংশ, চিনি ৩২ শতাংশ, ব্রয়লার মুরগি ২১ শতাংশ, খোলা আটা ২২ শতাংশ ও এলপি গ্যাসের দাম ১৮ শতাংশ করে বেড়েছে।

মন্ত্রী যতই ভাত কম খেতে বলুন না কেন ভাত ছাড়া আর কি খাবে অল্প আয়ের মানুষেরা? সাধারণ হিসেবে শ্রমজীবী পাঁচজনের একটি পরিবারে মাসে ৪০ কেজি চাল লাগে। টিসিবির মূল্যতালিকা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৪০ কেজি মোটা চাল কিনতে লাগত ১ হাজার ৪৫০ টাকা। আর গত মাসে লেগেছে ১ হাজার ৯০০ টাকা। তার মানে শুধু চাল কিনতেই খরচ বেড়েছে ৫০০ টাকার মতো।

মন্ত্রীদের দায়িত্ব মন্ত্রণালয় সামলানো যাতে জনগণকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা যায়। কিন্ত যে জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন, মন্ত্রীদের বেতন ভাতা চলে সেই জনগণকে তাচ্ছিল্য বা উপহাস করা হলে তাকে কি অপরাধ বলা যাবে না? দারিদ্র্য কষ্ট দেয় কিন্তু অপমান জ্বালা ধরায়। কতখানি আর্থিক টানাপোড়নে পড়লে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে গরমে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন তা বুঝতে হলে বাজারে জিনিসের দাম আর পকেটে টাকার পরিমাণ কত তা কি একটু খেয়াল করবেন না? নাকি নিজেদের অবস্থান থেকে দেখবেন? খরচ বেড়েছে কিন্তু আয় বাড়েনি যে মানুষদের তাদের প্রতি রাষ্ট্রের কি কোন দায় থাকবে না। ট্রাকের পিছনে মাকে দৌড়াতে দেখে বুকের মধ্যে কষ্ট জাগে না কি নীতি নির্ধারকদের মনে? ইউরোপে দাম বেড়েছে এ কথা বলার আগে ভাববেন না কি ইউরোপের মানুষের আয় রোজগার কেমন? সংসার বাঁচাতে, নিজে বাঁচতে প্রাণপণ কষ্ট করছে যে মানুষেরা তাঁরা সহযোগিতা না পেলেও অপমানিত যেন না হন মন্ত্রী মহোদয়দের কাছে, এতটুকু চাওয়া পূরণ না হলে চাপা বেদনা বিক্ষোভে পরিণত হবে।

পণ্য না পেয়ে মধ্যবয়সী মা ছুটছেন এবং ঝুলছেন ট্রাকের পিছনে পিছনে। ট্রাক খালি, যা কিছু মালপত্র ছিল সব শেষ কিন্তু মানুষের লাইন শেষ হয়নি। অপেক্ষায় আছেন আরও অনেকে। কী আর করবেন টিসিবির কর্মচারীরা! তারা ট্রাক নিয়ে চলে যাচ্ছেন। লাইনে দাঁড়ানো মানুষেরা ট্রাকের পিছনে পিছনে ছুটতে শুরু করলেন। এক মা ট্রাকের পিছনের ডালা ধরে ঝুলে পড়লেন। ট্রাক চলছে, মা ঝুলছেন। এই ছবি দেখেছেন অনেকেই। কিন্তু মায়ের বুকের কান্না কি দেখতে পেয়েছেন আমাদের দেশের মন্ত্রীসহ কর্তাব্যক্তিরা?

লেখক: সহকারী সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাসদ

এসএ/

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ

ডিপজল। ছবি: সংগৃহীত

রাত পোহালেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ নিয়ে এফডিসিতে উৎসবের আমেজ বইছে। এরইমধ্যে ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন সাদিয়া মির্জা নামে এক অভিনেত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদেরকে ভিডিও প্রমাণসহ এমন অভিযোগ করেন সাদিয়া মির্জা নামক এক প্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজলকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে একটি কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি। এদিকে সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানান বর্তমান নির্বাচন কমিশনার খসরু।

এছাড়াও যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় ডিপজলের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা নিপুণ আক্তারের।

এ নিয়ে মিশা-ডিপজল প্যানেলের চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বোকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমরা এমনটি আভাস পেয়েছি নির্বাচনের আগেই একটি পক্ষ নির্বাচন বাঞ্চালের চেষ্টা করবে। তবে আমরা চাইবো সুষ্ঠ নির্বাচন হোক। এমন অভিযোগ আমরা অন্য প্যানেল থেকেও অনেক পেয়েছি কিন্তু তাতে আমরা গুরুত্ব দেইনি।

তিনি আরও বলেন, ডিপজল ভাই মহৎ মানুষ এমনিতেই দানবীর, সবাইকে টাকা-পয়সা দান করে থাকেন। এটা নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিষয়টি সুখকর হবে না।

তবে এ বিষয় নিয়ে কলি-নিপুণ প্যানেলের কেউ মুখ খোলেননি। কথা বলতে চাননি মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য সদস্যরাও।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। দুপুরে বিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। পরে ভোট গণনা শেষে একইদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন উপলেক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার

টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং- জুয়ারোধ, চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্‌ঘাটন করে আসামিদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন এবং সর্বাধিক ওয়ারেন্ট তামিল লক্ষ্য পূরণ করাসহ ভালো কাজের বিশেষ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আহসান উল্লাহ্। তিনি জেলার ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এ নিয়ে জেলার মধ্যে চতুর্থবারের মতো সেরা ওসি নির্বাচিত হলেন তিনি। একইসাথে ভূঞাপুর থানাও শ্রেষ্ঠ হয়েছে এবং থানার এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলসহ ৯ জন ক্রেস্ট সম্মাননা পেয়েছেন। তার এই অর্জনে উপজেলার সুধীজন, বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক সংগঠনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে আয়োজিত মাসের কল্যাণ সভায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসির সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এ সময় ওসি আহসান উল্লাহ্’র হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট (পুরস্কার) তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার (বিপিএম) (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। এতে জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার মহোদয় (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এর দিক-নির্দেশনায় মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিংরোধ ও চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদ্‌ঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতারসহ বিশেষ অবদানের জন্য চতুর্থ বার আমাকে শ্রেষ্ঠ ওসি ও ভূঞাপুর থানাকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়।

ওসি আহসান উল্লাহ্ আরও বলেন- ভূঞাপুর থানার কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য এবং উপজেলার সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ভূঞাপুর থানার এমন এক সাফল্যময় গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই অর্জন সকলের। তাছাড়া জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি ও থানা নির্বাচিত হওয়ায় আমাদের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল। ভূঞাপুর থানা সকলের জন্য উন্মুক্ত। আগামী দিনগুলোতে আরও ভালো কিছু করতে ভূঞাপুর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা সহযোগিতা কামনা করছি।

ক্যাপশন: সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্।

দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি

সড়ক দুর্ঘটনা। ফাইল ছবি

দেশে বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। ফরিদপুরে ঈদের পরদিন সড়কে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। এই রেশ কাটতে না কাটতেই ঝালকাঠিতে সড়কে প্রাণ ঝরে আরও ১৪ জনের। গত তিন মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিদিন সড়কে প্রাণ যাচ্ছে ঝরছে ১৬ জনের বেশি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৬৩০টি। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৭৭ জনের। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৯২০ জন।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩৭টি, এতে মৃত্যু হয়েছে ৪০৪ জনের আর আহত হয়েছেন ৫১৪ জন। ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৬৯টি। এতে মারা গেছেন ৫২৩ জন আরও আহত হয়েছেন ৭২২ জন।

মার্চে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে হয় ৬২৪টি। এতে আহত হন ৬৮৪ জন। মারা গেছেন ৫৫০ জন। এপ্রিল মাসের ১৬ দিনে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬৯টি আর মৃত্যু হয়েছে ২৮৪ জনের। গড়ে প্রতিদিন সড়কে মৃত্যু হচ্ছে ১৬ জনেরও বেশি।

গত ৩ মাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে, যার সংখ্যা ৫৫৪টি, আর এতে মৃত্যু ৫০৪ জনের। আর সার্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু চট্টগ্রাম বিভাগে।

বিআরটিএ বলছে, গেল বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু দুটোই এবছর প্রথম তিন মাসে বেড়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ
টাঙ্গাইলে সেরা ওসি হলেন আহসান উল্লাহ্, পেলেন শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার
দেশে প্রতিদিন সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন ১৬ জনের বেশি
টানা তিনদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট অ্যালার্ট জারি
তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল ছুটি ঘোষণা
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের 'প্রিমিয়াম টিম': সেনাপ্রধান
আগামীকাল ঢাকা মাতাবেন আতিফ আসলাম
এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আ.লীগের নির্দেশনা
নওগাঁয় শান্ত বাহিনীর শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন
বিএনপি এখনও টার্গেটে পৌঁছাতে পারেনি: রিজভী
বিরামপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়ল, কমল খোলা তেলের
মুস্তাফিজের বদলে ইংল্যান্ড পেসারকে দলে নিল চেন্নাই!
যে কারণে দুবাইয়ে এমন ভারী বৃষ্টিপাত ও ভয়াবহ বন্যা
গায়েব হয়ে গেল জোভান-মাহির ফেসবুক ফ্যানপেজ!
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান একাই যথেষ্ট: চীন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০
ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি হারালেন ২৮ কর্মী
আইপিএল থেকে বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে ম্যাক্সওয়েল