বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

শাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে অধ্যাপক, ছাত্র-ছাত্রী খুব কম

লেখা ও ছবি : নুরুল ইসলাম রুদ্র, শাবিপ্রবি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিক্ষার উচ্চতর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসের গোলচত্বর ও ডি-বিল্ডিংয়ের মাঝে সুসজ্জিত, চোখ জুড়ানো এই চারতলা ভবন। ১৯৯০ সালে মোটে চারটি ঘরে, সামান্য বই নিয়ে অ্যাকাডেমিক ভবন ‘এ’তে চালু হয়েছে গ্রন্থাগারটি। এখন নিজেদের ভবনটি আছে। তার তৃতীয় ও চতুর্থ তলা জুড়ে লাইব্রেরি কার্যক্রম চলছে।

অনলাইনে আছে, মোট ৭৫ হাজার বই আছে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে। ছয় হাজার কপি জার্নাল ও সাময়িকী রয়েছে। প্রতিদিন ২৩টি সংবাদপত্র ব্যবহারকারীদের জন্য রাখা হয়। অনলাইন সেবা আছে গ্রন্থাগারটির। ২৫ হাজারের বেশি ই-জার্নাল ও ই-বুক এবং ই-গবেষণাপত্র আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে চুক্তিতে তাদের ই-লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারেন তারা। ইউজিসি ডিজিটাল লাইব্রেরির ৩৭ হাজার ৫শ ই-বইগুলো ব্যবহার করতে পারেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আইপিএস ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সেবাগুলো প্রদান করে। বিরাট এই গ্রন্থাগারের জন্য মোট আছেন ৩৮ জন অফিসার ও কর্মচার্রীর বিরাট দল। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কম্পিউটারাইজ সার্ভিস সেবা চালু করেছেন। এই গ্রন্থাগারের ই-লিংক হলো http://library.sust.edu. তাদের সিসিটিভি ব্যবস্থায় চালু থাকে সর্বক্ষণ। মোট ৩২টি ক্যামেরা আছে। মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার রয়েছে। তাতে মুক্তিযুদ্ধের বই, পোস্টারগুলো, মানচিত্রগুলো, ভিডিও, প্রমাণাদি আছে। ২০ হাজারের বেশি বই আছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোতে মোট নয় হাজার ছাত্র, ছাত্রী পড়ালেখা করেন। তাদের জন্য হাজারের বেশি অধ্যাপক আছেন। সবার বই পড়ার সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি। তাদের জন্য ১শর বেশি আসন আছে। পড়ালেখা ও গবেষণা কাজে ব্যবহারের জন্য শুক্র এবং শনিবার ছুটির দিন বাদে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মদিবসে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সর্বক্ষণ সেবা প্রদান করা হয়। ছাত্র, ছাত্রীরা গ্রন্থাগার সেবার সময় বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করেছেন। ফলে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে আটটার সময় বেড়ে হয়েছে রাত ১০টা। এই লেখাটির জন্য একটি সপ্তাহ টানা গ্রন্থাগার ভবন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ দিন রাত ৮টার পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ছাত্র, ছাত্রীরা থাকেন না। কোনো, কোনোদিন মোটে ৪ থেকে ৫ জন ছাত্র, ছাত্রী পড়ালেখা করছেন। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জনের বেশি ছাত্র, ছাত্রী এই গ্রন্থাগার ব্যবহার করছেন না। দিনে এই প্রতিবেদকের উপস্থিতির সময় বেশিরভাগ ছাত্র, ছাত্রীর সামনে বই নেই। তারা পড়ালেখা করছেন না। অধ্যাপকদের দেওয়া ক্লাস শিট, নোট ও স্লাইড নিয়ে ক্লাসের পড়াই পড়ছেন। অনেকে মোবাইলে ব্যস্ত, ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছেন। বই পড়ছেন না কেন-এই প্রশ্নের জবাবে ছাত্র, ছাত্রীরা বলেছেন, আমাদের কোনো কোর্স কোনো নিদিষ্ট বই ধরে পড়ানো হয় না। অধ্যাপকরা একাধিক পাঠ্য বই মিলিয়ে পড়ান ও সেগুলো কিনে পড়তে পরামর্শ দেন। লাইব্রেরি থেকে সংগ্রহ করতে বলেন। তবে এই বিদেশী বইগুলোর অনেক দাম বলে কেনার সামর্থ্য বেশিরভাগেরই হয় না। আপডেট এই বইগুলো কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিও কোর্স এবং বিষয় ধরে রাখে না। ফলে কোনো বই কেনা হয় না। অধ্যাপকদের দেওয়া ক্লাস শিট ও তৈরি নোটই ভরসা থাকে। এজন্য সেগুলো এখানে পড়ালেখার জন্য নিয়ে আসেন তারা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীদের আরেকটি অভিযোগ হলো, বই ও খাতা-কলম বাদে ব্যক্তিগত আর কোনোকিছু গ্রন্থাগারে নিয়ে আসতে দেওয়া হয় না। তাতে তারা আর কিছু দরকার হলেও আনতে পারেন না। অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসহ তাদের সব বিভাগের গ্রন্থাগারেই এই ব্যবস্থা চালু আছে।
গ্রন্থাগার ব্যবহার করা ছাত্র, ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, আমাদের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বেশিরভাগ বই হলো ইংরেজি ভাষার। বইগুলো পুরোনো। আমাদের ইংরেজি মাতৃভাষা নয় ও বইগুলো হাল আমলের নয় বলে পড়তে কষ্ট হয়। তারা জানিয়েছেন, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের টানা ২৫ বছরের কর্মস্থল এই গ্রন্থাগারে বাংলা ভাষার বই খুব আছে। যেগুলো রয়েছে, বেশিরভাগ সময় খুঁজে এনে দিতে পারেন না লাইব্রেরির স্টাফরা। তাতে পড়ার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না তাদের পক্ষে। এই আলাপে বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাজকমের ছাত্র রুবিয়ান শান বলেছেন, ‘অনেক খুঁজেও আমাকে পড়ার মতো কোনো মানসম্পন্ন বাংলা বই একবার তারা এনে দিতে পারেননি। ফলে গ্রন্থাগারে আসতে ভালো লাগে না।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘সময়ের হাত ধরে ভালো মানের ইংরেজি ও বাংলা বইগুলো থাকলে আমাদের আসতে ইচ্ছে করবে, গ্রন্থাগারে পড়তে ভালো লাগবে।’ চাহিদার বইয়ের অভাব এবং বাইরের ভালো বই না নেবার নিয়মেও তাদের অনেকে গ্রন্থাগারে আসতে চান না।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব ভালো একটি নিয়ম হলো-এখানে চাকরির গাইড বা এমন কোনো বই নিয়ে আসা যায় না। সেখানে অ্যাকাডেমিক বইও নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কেবল ক্লাস নোট গ্রন্থাগারে বসে কেন পড়ছেন-এই প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের ছাত্র হাসিবুল কবীর শিমুল বলেছেন, ‘আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে গভীর জ্ঞানের চেয়ে পরীক্ষার ফলাফলকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের সবখানে। আমরা জানি, ক্লাসে শিক্ষকদের দেওয়া লেকচারের নোট নিয়ে, অ্যাসাইনমেন্ট করে মোটামুটি ভালো ফলাফল করা সম্ভব হয়। তাই জ্ঞানের খোঁজে বই না পড়ে অল্পতে ভালো ফল করতে, সময় কম দিয়ে শিট পড়ার দিকে ঝুঁকে পড়েছি সবাই।’ তবে এই ছাত্রটি জানালেন, ‘ভালো মানের গবেষক হতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বলেছেন, ‘যারা বিদেশে গবেষণায় যেতে চান, তাদের অনেকে বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সেভাবে ক্যারিয়ার গড়েন।’
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সবচেয়ে বড় সুবিধাটির কথা জানালেন সমাজকমের ছাত্রী সানজিদা নওরিন সুবর্ণা, ‘আমাদের গ্রন্থাগারটি বাদে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ভবনের কোথাও রিডিং রুম নেই। তবে এখানে কোর্সের, প্রচলিত ও আমাদের উপযোগী আধুনিক বইগুলো না থাকায় আমরা কেউ ভালোভাবে পড়ালেখা করতে পারি না।’
ছাত্র, ছাত্রীদের এই সমস্যাগুলোর সমাধান এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার নিয়ে বলতে গিয়ে প্রশাসক ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিজুল বাতেন ঢাকা প্রকাশের বিশ্ববিদ্যালয়র প্রতিনিধি ও তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নুরুল ইসলাম রুদ্রকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কেন্দ্রীয় নীতিমালা হলো-কোনো ছাত্র, ছাত্রী, অধ্যাপক সঙ্গে করে কোনো বই নিয়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারবেন না। সাধারণ কিছু সমস্যা হয় বলে আগে থেকে নিয়মটি চালু আছে। কেন্দ্রীয়ভাবে পরিবর্তন করা না হলে প্রশাসক হিসেবে আমার পক্ষে সিদ্ধান্তটি পরিবতন করা সম্ভব নয়।’
অধ্যাপক ড. আজিজুল বাতেন ছাত্র, ছাত্রীদের চাহিদানুসারে বই অপ্রাপ্তির বিষয়ে বলেছেন, ‘প্রতি বছর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে যেসব বই অর্ন্তভুক্ত করা হয়, সেগুলো বিভাগগুলোর মাধ্যমে আসে। গ্রন্থাগারের নিয়মে, প্রতিটি বিভাগকে তাদের ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকদের প্রতি বছরের চাহিদার বইগুলোর তালিকা দিতে অনুরোধ করা হয়। তাদের সেই বইগুলো আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে সবার জন্য কিনে রাখি। ফলে শিক্ষার্থীদের চাহিদাগুলো তাদের বিভাগগুলোতে বলতে হবে।’

ওএস।

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

হিট অ্যালার্ট জারি। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে চলমান তাপমাত্রার পারদে উঠতি গতার খুব একটা হেরফের না হওয়ায় এখনও অস্বস্তি কমেনি। মাথার ওপর গনগনে সূর্যকে সঙ্গী করেই প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল পরিস্থিতি পার করছে মানুষ। যদিও কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বাতাসের উপস্থিতি থাকলেও পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারাদেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়

ডকুফিল্ম ‘মুচাচোস’ এর পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। সৌদি আরবের কাছে হেরে অঘটন দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল আলবিসেলেস্তারা। তবে শেষমেশ লিওনেল মেসির হাতেই ওঠে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি, এমন বিশ্ব আসরকে সেরা বলতে বাধ্য যে কেউ।

অবিস্মরণীয় এই বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ নিয়ে এরইমধ্যে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু ডকুফিল্ম। যার মধ্যে আলোচিত একটি স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত ডকুফিল্ম ‘মুচাচোস’।

স্প্যানিশ পরিচালক জেসাস ব্র্যাসেরাস নির্মাণ করেছেন ১০০ মিনিটের এই ডকুফিল্ম। গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনায় মুক্তি পাওয়া ‘মুচাচোস’ সেখানকার দর্শকদের মধ্যে দারুণ সাড়া তুলেছিল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্টার সিনেপ্লেক্স জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার ‘মুচাচোস’ মুক্তি পাবে এই মাল্টিপ্লেক্সের সবগুলো শাখায়।

বাংলাদেশে ডকুফিল্মটি মুক্তি নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার বিপুলসংখ্যক সমর্থক রয়েছে। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার খেলা উপভোগ করেছে কোটি মানুষ। বিশ্বকাপ জয়ের পর ঢাকাসহ সারাদেশ উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের সমর্থকদের উন্মাদনা দেখে রীতিমত অবাক হয়েছেন আর্জেন্টিনার মানুষও।

“লিওনেল মেসির হাত ধরে বিশ্বকাপ জয়ের এই মুহূর্ত নিয়ে ভক্তদের উৎসাহ ফুরাবে না সহজে। এই ভক্ত-সমর্থকদের জন্যই ‘মুচাচোস’ নিয়ে এসেছি আমরা। আশা করি এই ছবি দেখাটা চমৎকার একটা ব্যাপার হবে দর্শকদের জন্য।’’

‘মুচাচোস’এ অভিনয় করেছেন জেসুস ব্র্যাসেরাস, বসসি অগাস্টিন বসি, হার্নান ক্যাসশিয়ারি, ম্যাক্সিমিলিয়ানো লাসানস্কিসহ আরও অনেকে।

শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫

হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার প্রতিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে দফায় দফায় উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের সারেংকান্দি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন- শাহাবুদ্দিন সারেং (৩০), মো. আরশাদুল (১১), সৈকত সরদার (১৯), হাজেরা বেগম (৭৫) ও আকাশ হাওলাদার (২৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী এবং তার নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত ২৭ মার্চ দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সেই ঘটনার সূত্র ধরে আজ আবারও দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এসময় তারা সারেংকান্দি এলাকায় ফসলি জমিতে নেমে একে–অপরকে লক্ষ্য করে হাতবোমা (ককটেল) ছুঁড়তে থাকে। ককটেলের মুহুর্মুহু শব্দে ভারী হয়ে উঠে আশপাশ। এই ঘটনায় শাহাবুদ্দিন, আরশাদুল, সৈকত, আকাশ ও হাজেরা নামে ৫ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহাবুদ্দিন, আরশাদুল, সৈকত ও আকাশকে ঢাকায় পাঠান। এছাড়া দুপক্ষের বেশকিছু বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবর অভিযোগ করে বলেন, ‘কুদ্দুস বেপারীর লোকজন গতকাল মঙ্গলবার আমাকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে বলেন, ‘‘বাবার জন্মে হয়ে থাকলে সবার সামনে গিয়ে মারামারি করিস। পোলাপান সামনে দিয়ে মারামারি করিস না। আগামীকাল সকালে শুরু হবে।’’ এ বিষয়ে আমি পুলিশকে জানিয়েছি। পরে আজ কুদ্দুস বেপারীর লোকজন আমার লোকজনের বাড়িঘর ভাংচুর করে ও আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।’

তবে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, ‘জলিল মাদবর মারামারি করার জন্য কয়েক গ্রাম থেকে লোকজন এনে আমার লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আমার একজন লোক মুমূর্ষু অবস্থায় আছে।’

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক বছর যাবত বিলাসপুর ইউনিয়নে দুইটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব, হামলা-মামলা চলছে। তারই জেরে আজ দুই পক্ষ সংঘর্ষে জরায়। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা পৌঁছানোর আগেই দুপক্ষের অন্তত চারজন লোক আহত হয়। তারা বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। যারা এসব ঘটিয়েছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়
শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
মুক্তি পেল ইমতু রাতিশ ও অলংকার এর 'বরিশাইল্লা সং'
জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিলো ছাত্রলীগ
সাহিত্য চর্চার আড়ালে শিশু পর্নোগ্রাফি বানাতেন টিপু কিবরিয়া
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬
ধাওয়া খেয়ে গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর, গাড়িতে আগুন দিল জনতা
আর্জেন্টাইন ফুটবলার কার্লোস তেভেজ হাসপাতালে ভর্তি
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন
রাজবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে স্কু‌লশিক্ষকের মৃত্যু
প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
তাপদাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ সচিব
ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ভিডিও পাঠাবেন যেভাবে
ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি নারী বক্সার জিন্নাত ফেরদৌস
নিজে না মেরেও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াজ
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল
ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
কালশী উড়ালসেতুর নাম বদলে হলো শেখ তামিম মহাসড়ক
ক্যান্সারে না ফেরার দেশে পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ