শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ | ৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

হারিয়ে যাওয়া এক কিংবদন্তী গেমিং ফোন

একটি স্মার্টফোনকে যে রীতিমতো একটি প্লেস্টেশন হিসাবে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়টিও তুলে এনেছে গেমিং ফোন।

স্মার্টফোনের বাজারে একের পর এক নতুন চমক আনছে কোম্পানিগুলো। কেউ স্মার্টফোনে ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে হইচই ফেলে দিচ্ছে, আবার কেউ ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে দিয়ে বাজারের সেরা ফোনের খেতাব নিয়ে নিচ্ছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন এক ট্রেন্ড, গেমিং ফোন।

গেমিং ফোনের উত্থান স্মার্টফোন ব্যবহারের ধারণাকে একদম বদলে দিয়েছে। গতানুগতিক কাজের বাহিরে একটি স্মার্টফোনকে যে রীতিমতো একটি প্লেস্টেশন হিসাবে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়টিও তুলে এনেছে গেমিং ফোন।

একটি গেমিং ফোনের মালিক হওয়ার ইচ্ছা তরুণ-তরুণীদের এক স্বপ্নে রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে গেমপ্রিয় নেটিজেনদের মৌলিক চাহিদায় রূপান্তর হয়েছে একটি শক্তিশালী গেমিং ফোন। এই ট্রেন্ডে দিন দিন বাড়ছে গেমারের সংখ্যা, তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন গেমিং প্ল্যাটফরম, সেই সঙ্গে প্রযুক্তি খাতের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কোম্পানিগুলো একের পর এক আনছে নতুন সব গেমিং ফোন।

শুধু তা-ই নয় বাজার টিকিয়ে রাখতে এবং গেমারদের আরও আগ্রহী করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সেরা খেলোয়াড়দের লাখো ডলার পুরস্কারও দেওয়া হচ্ছে।

বাজারে এখন অসংখ্য গেমিং ফোন। যাদের মাঝে নেতৃত্ব ধরে রেখেছে আসুসের রগ ফোন, শাওমির ব্ল্যাক শার্ক, জেডটিই এর নুবিয়া রেড ম্যাজিক এবং লেনোভোর লিজিয়ন ফোন। এ ছাড়া প্রায় সব কোম্পানির গেমিং করার মতো পারফরম্যান্সের ফোন বাজারে আছে।

গেমিং স্মার্টফোনগুলোর বৈশিষ্ট্য আর দশটা সাধারণ ফোন থেকে একটু আলাদা হয়। এর জন্য চায় শক্তিশালী প্রসেসর, অধিক ধারণক্ষমতা-সম্পন্ন র‍্যাম, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং বড় ও স্মুদ ডিসপ্লে। এর বাইরে যে কোম্পানি যত বেশি ফিচার দিতে পারবে সে কোম্পানিই তার ফোন বাজার টিকিয়ে রাখতে পারবে। এ কারণে এই ফোনগুলোর বাজারমূল্য অন্য ফোনগুলোর তুলনায় বেশি।

গেমিং ফোনের প্রচলন খুব বেশিদিন নয়। প্রায় চার বছর আগে, ২০১৭ সালে। যদিও বিশ্ববাজার গেমিং ফোনের ট্রেন্ডে আসতে শুরু করে ২০১৮ সালে, তাও সীমিত ফিচার নিয়ে। তখন শাওমি, আসুস, ওয়ানপ্লাসসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি প্রতিযোগিতা করে বাজারে গেমিং ফোন এনেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে একটি কোম্পানি তখনকার বাজারে অনেক বেশি ফিচার নিয়ে গেমিং ফোন বানিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল।

বলছিলাম ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বাজারে আসা বিশ্বের প্রথম ১২০ হার্জ ডিসপ্লের গেমিং স্মার্টফোন 'রেজার ফোন'এর কথা।

ফোনটি বাজারে এনেছিলো সিঙ্গাপুর-আমেরিকার যৌথ বাণিজ্যিক কোম্পানি বিখ্যাত কম্পিউটার হার্ডওয়্যার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান 'রেজার ইনকর্পোরেটেড'। বিশ্বজুড়ে রেজার এর খ্যাতি তাদের উচ্চক্ষমতা-সম্পন্ন গেমিং ল্যাপটপের জন্য। গেমিং পারফরম্যান্সে রেজারকে টেক্কা দিতে অন্য কম্পিউটার কোম্পানিগুলোর রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।

রেজার ফোন নিয়ে বিখ্যাত প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের একবাক্যে মতামত ছিল অনেকটা এরকম 'এই স্মার্টফোনটি ভবিষ্যৎ থেকে নিয়ে আসা'।

২০১৭ সালে রেজার ফোনে ব্যবহার করা হয়েছিলো স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ প্রসেসর (২.৪৫ গিগাহার্জ) যাকে সহযোগিতা করার জন্য ছিল ৮ গিগাবাইট র‍্যাম। একইসঙ্গে চূড়ান্ত ফলাফল সর্বোচ্চ ভালো দিতে আরও ছিল ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের মাখন মসৃণ আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। একই সময়ে এলজি, শাওমি, সনিসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি একই প্রসেসর ব্যবহার করলেও সেই ফোনগুলোর কোনোটিই ভারী গেমিং-এর জন্য উপযুক্ত ছিল না। সহায়ক হিসাবে চার ও ছয় গিগাবাইটের র‍্যাম থাকলেও ১২০ হার্জের ডিসপ্লে ছিল কল্পনাতীত।

ফোনটির ৫.৭ ইঞ্চি আকৃতির ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ১৪৪০X২৫৬০ (2k)। যার সুরক্ষা দিতে ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস থ্রি। সম্পূর্ণ অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমের এই ফোনে সর্বপ্রথম 'সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর অন পাওয়ার বাটন' প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ফোনটিতে লাউড স্পিকার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে দুটি ডলবি অ্যাটমস স্টেরিও স্পিকার। যদিও ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক ছিল না, কিন্তু টাইপ সি চার্জিং পোর্ট থাকায় ইয়ারফোন ব্যবহারে তেমন কোনো অসুবিধাও হয়নি।

অ্যান্ড্রয়েড ৭.১.১ নোগাট অপারেটিং সিস্টেমে ফোনটি পরিচালিত হলেও তা অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ পাই অপারেটিং সিস্টেম পর্যন্ত আপগ্রেড করার ব্যবস্থা ছিল, অর্থাৎ দীর্ঘসময় ফোনটি তার ব্যবহারকারীকে সফটওয়্যার আপডেট দিয়েছে। ফোনটির প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল করে দুইটি ইমেজ সেন্সর। যার একটিতে আছে ২.৬ অ্যাপারচারের বেসিক লেন্স এবং অপরটিতে আছে ১.৮ অ্যাপারচারের ওয়াইড লেন্স। সেলফি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ইমেজ সেন্সর।

১৯৭ গ্রাম ওজনের এই ফোনটিতে পাওয়ার সাপ্লাই হিসাবে থাকছে একটি চার হাজার মিলি এম্পিয়ারের লি-পলি ব্যাটারি। মজার বিষয় হলো বিশ্ব বাজারে ২০১৯-২০ সালের দিকে ফাস্ট চার্জিং ট্রেন্ড চালু হলেও রেজার ফোন ২০১৭ সালেই ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং-এর ব্যবস্থা করেছিল, তাও আবার কুইক চার্জ ফোর প্লাস ক্যাটাগরিসহ। যা ২০২১ সালে বাজারে আসা স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার শুরু হয়।

২০১৮ সালের প্রথমদিকে প্রযুক্তি বাজারে নেতৃত্ব দেওয়া ওয়ানপ্লাস ফাইভ টি, পোকো এফ ওয়ান, শাওমি ব্ল্যাক শার্ক, আসুস রগ ফোনসহ অনেক স্মার্টফোনই গেমিং জগতে পদার্পন করেছে কিন্তু রেজার ফোন-এর মতো ফিচার দিতে পারেনি কেউ। বরং ২০১৮ সালের অক্টোবরে একই কনফিগারেশনে প্রসেসর আপডেট করে স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ (২.৮ গিগাহার্জ) নিয়ে রেজার হাজির হয়েছিলো নতুন রূপে। জন্ম নিয়েছিল গেমিং ফোনের জগতে আরেক কিংবদন্তী 'রেজার ফোন টু' এর। তবে এখন তা কেবল ইতিহাস।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রেজার ঘোষণা দিয়েছিল ব্যবসায়িক জটিলতার কারণে তাদের কয়েকটি পণ্য উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হবে। ফলশ্রুতিতে 'রেজার ফোন থ্রি' বাজারে আসার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে এখনও 'রেজার ফোন টু' কিনতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

বাংলাদেশের বাজারে প্রবাসীদের মাধ্যমে হাতে গোনা কয়েকটি রেজার ফোন ঢুকলেও উচ্চমূল্য ও তথ্য স্বল্পতার কারণে ফোনটি পরিচিতি পায়নি।

/এএস

Header Ad
Header Ad

বারিধারায় চলছে বাড়ির সংস্কার, শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান    

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবিঃ সংগৃহীত

চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার কিছুদিনের মধ্যেই দেশে ফিরতে পারেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

বুধবার (১৯ মার্চ) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক।

তিনি বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম ঈদ করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।

এম এ মালেক বলেন, ডাক্তাররাও সে অনুপাতে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাডামকে সেভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এখানে ফ্লাইটেরও একটি বিষয় আছে। ফ্লাইট যদি নির্ধারিত সময়ে না পাওয়া যায়, তাহলে দুই-এক দিন এদিক-সেদিক হতে পারে। তবে ম্যাডাম দেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

এসময় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি বলেন, আমাদের লিডারের দেশে যাওয়ার সময় নিয়ে এখনো নিশ্চিত বলতে পারছি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যাওয়ার কিছুদিন পরে হয়তো তিনি দেশে ফিরবেন। একসাথে দুইজন অবশ্যই যাবেন না, এটা আমি বিশ্বাস করি।

অবশ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার ব্যাপারটি বেশ জোর দিয়েই জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, এটি এখন সম‌য়ের ব‌্যাপার মাত্র। তারেক রহমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর আগেই দেশে ফিরবেন। ঢাকায় তার থাকার জন্য বাসা সংস্কারসহ সব প্রস্তু‌তি চলছে।

বাড়ির বিষয়ে জানা গেছে, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও তার বড় বোন শাহীনা জামান বিন্দুর উত্তরাধীকার সূত্রে বারিধারা ডিওএইচএসে এক‌টি বাড়ি আছে। বাড়িটি তারেক রহমানের শ্বশুর সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খানের সূত্রে পাওয়া। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে ঢাকায় মারা যান তিনি। বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। তারেক রহমান সস্ত্রীক ঢাকায় গিয়ে এই বাড়িতেই উঠতে চান। সেই লক্ষ্যে বাড়িটিতে বড় ধরনের সংস্কার কাজ চলছে। বাড়ির কিচেন, বাথরুমসহ অনেক অংশ ভেঙে আধু‌নিক ডিজাইনে কাজ করানো হচ্ছে।

গত ২০ মার্চ হাইকোর্ট থেকে সব মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলটির আইনজীবীরা বলছেন, এখন তিনি দেশে ফিরে সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন।

 

Header Ad
Header Ad

গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর    

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবিঃ সংগৃহীত

২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে এসে না দাঁড়াত তাহলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী কৌশলে গণঅভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে বিভাজন তৈরি করতে চায়। এতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে সবাইকে এই বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশ শেষে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে একটি গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি পল্টন থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাব প্রদক্ষিণ করে আবার গণ অধিকারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, নতুন করে এটা নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধে ৫ আগস্টেই জনগণ রায় দিয়েছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফারুক হাসান, হাসান আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকারের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমানসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

Header Ad
Header Ad

সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের ঘোষণা সেনাবাহিনীর  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ফের প্যারালিমিটারি বাহিনীর হাত থেকে দখলে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকফুটে ছিল। তবে সম্প্রতি সাফল্য অর্জন করতে শুরু করে এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে দেশের কেন্দ্রস্থল পুনরুদ্ধার করেছে।

এদিকে আরএসএফ পশ্চিমাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ সুসংহত করেছে, যুদ্ধে তাদের অবস্থান শক্ত করেছে এবং দেশকে কার্যত বিভক্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আরএসএফ তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে একটি সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে।

যদিও তারা বড় আকারে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা মধ্য খার্তুমের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সামরিক সূত্র জানিয়েছে, আরএসএফ যোদ্ধারা প্রায় ৪০০ মিটার দূরে সরে গেছে।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে সেনা সদস্যদের উল্লাস করার ভিডিও শেয়ার করেছে সেনাবাহিনী। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের জানালার কাচ ভেঙে গেছে এবং দেওয়াল বুলেটের দাগে ভরা।রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাবিল আবদাল্লাহ জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছে।

আবদাল্লাহ জানিয়েছেন, আমাদের বাহিনী শত্রু যোদ্ধাদের পুরো সরিয়ে দিয়েছে এবং তাদের বিরাট অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জয় পুরোপুরি না আসা পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। তবে এনিয়ে আরএসএফে মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে সশস্ত্র বাহিনীতে আধাসামরিক বাহিনীর একীকরণকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের এপ্রিলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আরএসএফ দ্রুত খার্তুমের প্রাসাদসহ শহরের বাকি অংশও দখল করে নেয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বারিধারায় চলছে বাড়ির সংস্কার, শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান    
গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর    
সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের ঘোষণা সেনাবাহিনীর  
আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন নিয়ে আমার সাথে আলোচনা হয়নি : সোহেল তাজ
দুপুরের মধ্যে তিন বিভাগে কালবৈশাখী আঘাত হানবে  
গাজার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালও ধ্বংস করে দিল ইসরায়েল  
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক এনসিপির
ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ: নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ
শেখ হাসিনার মতো নব্য ফ্যাসিবাদীরা জাতীয় পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: জি এম কাদের
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের মিছিল, যুবলীগ নেত্রীসহ আটক ৩
তাসকিনের আইপিএল অভিষেকের সম্ভাবনা, যোগাযোগে মিলেছে ইতিবাচক সাড়া!
স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসনের সুযোগ পায়, এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না: তারেক রহমান
ট্রেনের ১৩০ টিকিটসহ নৌবাহিনী কর্মচারী আটক
জনগণ সুযোগ দিলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিএনপির কিছু বলার নেই: রিজভী
বিচারের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ নেই : মামুনুল হক
টাঙ্গাইলে আগুনে পুড়ল ২১ দোকান, ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি
ব্যাংককে ড. ইউনূস-মোদির মধ্যে বৈঠক হচ্ছে না
রাত ১টার মধ্যে ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
পৃথিবীর সর্বত্র আজ দিন-রাত সমান
নরসিংদীতে আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০