সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫ | ১০ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাংলাদেশে আসছে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা চালুর পরিকল্পনা করছে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওন লিমিটেড। ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়িয়ে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে সেলুলার সেবা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে দুবাইভিত্তিক এই টেলিযোগাযোগ কোম্পানি।

সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে মার্কিন সংবাদমাধ্যম *ব্লুমবার্গ*-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভিওনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্যান তেরজিওগ্লু জানান, তাদের লক্ষ্য এমন অঞ্চলগুলোতে নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যেখানে এখনো স্থলভিত্তিক অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তানের মতো দেশে স্যাটেলাইট-নির্ভর ইন্টারনেট সংযোগ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশে সেবাটি বাস্তবায়নে ভিওনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক পরিচালিত হয় গ্লোবাল টেলিকম হোল্ডিংসের মাধ্যমে, যার বেশিরভাগ শেয়ার ভিওনের মালিকানাধীন। ভিওন শুধু টেলিযোগাযোগে সীমাবদ্ধ না থেকে আর্থিক সেবা ও বিনোদন খাতে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়েছে।

স্টারলিংক স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট সেবা পৌঁছাতে কাজ করছে যেখানে সাধারণত স্থলভিত্তিক নেটওয়ার্ক নেই। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রযুক্তি টি-মোবাইলের সেলুলার নেটওয়ার্কের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ভিওনের সিইও ক্যান তেরজিওগ্লু জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, জ্বালানি সংকট বা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্থলভিত্তিক নেটওয়ার্ক প্রায়ই অকার্যকর হয়ে পড়ে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্যাটেলাইট এবং স্থলভিত্তিক নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে কার্যকর সংযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।

ভিওনের ইউক্রেনভিত্তিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান কিইভস্টার পিজেএসসি ইতোমধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ স্যাটেলাইট-টু-সেল প্রযুক্তির মাধ্যমে টেক্সট মেসেজিং সেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে, যা পরবর্তীতে ভয়েস ও ডেটা সেবায় সম্প্রসারিত হবে।

তবে সেবাটি বাস্তবায়নে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্পেকট্রামের অনুমোদন। এটি ব্যয়বহুল এবং সবসময় সহজলভ্য নয় বলে জানিয়েছেন ভিওনের সিইও। তবুও, বাংলাদেশ ছাড়াও ভিয়েতনাম, ইথিওপিয়া এবং মেক্সিকোতে এই সেবা চালুর পরিকল্পনা করছে তারা।

বাংলাদেশে স্টারলিংকের এই সেবা চালু হলে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা বিস্তৃত হবে। একইসঙ্গে জরুরি পরিস্থিতিতে টেলিযোগাযোগ সেবা কার্যকর রাখার ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

Header Ad
Header Ad

ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে ভুয়া মেজর আটক

ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে ধরা খেল ভুয়া মেজর। ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর পোশাকে রংপুরের একটি শপিং মলে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন ফজলে রাব্বী। তার সঙ্গে বেসামরিক পোশাকে ছিলেন আরও চারজন। সেই শপিং মলে কেনাকাটা করছিলেন সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ূন কাইয়ুম।

হঠাৎ তার চোখে পড়ে পোশাকধারী ফজলে রাব্বীকে। কাছে গিয়ে পরিচয় জানতে চাইলেই ঘটে বিপত্তি। সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও রক্ষা হয়নি সেনাবাহিনীর পরিচয় দেওয়া ভুয়া মেজর ফজলে রাব্বী।

রোববার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতে রংপুর মহানগরীর জাহাজ কোম্পানী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফজলে রাব্বীকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ভুয়া আইডি কার্ড, ৪টি মোবাইল ফোন, ওয়াকিটকি, ইয়ামাহা মোটরসাইকেল, নগদ ২ লাখ ৯০ হাজার ৫৬৫ টাকাসহ সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণামূলক বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

আটক ফজলে রাব্বী ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বাতুরিয়া ইউনিয়নের কাঁঠাল ডাংগী গ্রামের মোকতার আলমের ছেলে।

সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ূন কাইয়ুম জানান, ঈদের কেনাকাট করতে জাহাজ কোম্পানি মোড় সংলগ্ন রয়্যালটি মেগা মলে গিয়ে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত যুবক ফজলে রাব্বীসহ বেসামরিক পোশাকে আরও চারজনকে দেখতে পান তিনি। এ সময় ওই পোশাকধারীর পরিচয় জানতে চাইলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে ভুয়া সেনাবাহিনী বলে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ফজলে রাব্বীকে আটক করে। পরে নিকটবর্তী সেনা ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফজলে রাব্বী সেনাবাহিনীর সদস্য নয় বলে জানা যায়। পরবর্তীতে প্রতারক ফজলে রাব্বীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে চালিয়ে তার সঙ্গে থাকা পালিয়ে যাওয়া বাকি চারজনকে আটক করা হয়।

আটক ফজলে রাব্বী জানান, রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বেকার যুবকদের সেনাবাহিনীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

এদিকে ভুয়া মেজরকে আটকের ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ূন কাইয়ুমের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করেন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ভোক্তা সাধারণসহ স্থানীয়রা।

Header Ad
Header Ad

ভারত থেকে এলো আরও সাড়ে ১১ হাজার টন চাল

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-২) ভারত থেকে সাড়ে ১১ হাজার টন চাল নিয়ে এমভি ডিডিএস মারিনা নামে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। সোমবার (২৪ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-২) ভারত থেকে সাড়ে ১১ হাজার টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমবি ডিডিএস মারিনা জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ০৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে।

এর মধ্যে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৯ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে বলেও জানিয়েচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাহাজে রাকগা চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ পাচ্ছেন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা

ছবি: সংগৃহীত

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আর্থিক স্বাবলম্বিতা ও কল্যাণের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম-মুয়াজ্জিনরা এবার পাচ্ছেন সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ। ‘ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট’-এর অধীনে এ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, যা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সারাদেশে ৬০০ জন ইমাম-মুয়াজ্জিনকে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। একই সময়কালে ৪ হাজার ৬২০ জন অসচ্ছল ইমাম-মুয়াজ্জিনকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু ঢাকা জেলার ২৯৫ জন ইমাম-মুয়াজ্জিন পেয়েছেন ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বাকি অর্থ ইতোমধ্যেই নির্বাচিতদের মাঝে বিতরণের কার্যক্রম চলছে।

ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে এই দুই খাতে মোট ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কোনো ইমাম বা মুয়াজ্জিন মারাত্মক দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব, দুরারোগ্য ব্যাধি ইত্যাদি কারণে অক্ষম হলে বা আকস্মিক মৃত্যুবরণ করলে তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা ও ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া তাদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্যও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০০১ সালে গঠিত এই ট্রাস্ট দীর্ঘদিন ধরে তাদের আর্থিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে ভুয়া মেজর আটক
ভারত থেকে এলো আরও সাড়ে ১১ হাজার টন চাল
সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ পাচ্ছেন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা
হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, চাপে এরদোয়ান
বিএনপির স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস নেতা ও তার স্ত্রী নিহত
তামিমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রেমিকের যোগসাজশে স্বামীকে হত্যা, একই সঙ্গে কারাগারে থাকতে চাইলেন প্রেমিকা
ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু, জেনে নিন বিভিন্ন রুটের বিস্তারিত সময়সূচি
শাকিব খানকে নকল করলেন সালমান খান! ‘সিকান্দার’ নিয়ে তুমুল বিতর্ক
তামিমের হার্টে রিং পরিয়েছেন ডাক্তাররা, রাখা হয়েছে সিসিইউতে
সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ
আমরা দেশপ্রেমিক সেনাদের ভালোবাসি: হাসনাত
মাঠে হার্ট অ্যাটাক, লাইফ সাপোর্টে তামিম ইকবাল
কানাডার নির্বাচন ২৮ এপ্রিল, ক্ষমতা যাবে কার হাতে?
নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার  
ব্যারিস্টার ফুয়াদ গ্রেফতারের খবর ভুয়া: এবি পার্টির চেয়ারম্যান  
ফের ৪ দিনের রিমান্ডে পলক
দুপুরে বিসিবির জরুরি সভা, আসতে পারে যে সিদ্ধান্ত  
রামপুরায় সিএনজি ও অটোরিকশা গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ড