শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করব: সিইসি

রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের টপ লেবেলের দায়িত্ব হবে। আমরা আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব। পরবর্তীততে আপনারাই তা মূল্যায়ন করবেন। আমরা অন্তরের অন্তস্থল থেকে প্রার্থনা করি প্রত্যাশা করি সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব আমাদের রয়েছে। প্রাথমিক কাজ হিসেবে আজ আইন নিয়ে জ্ঞান আহরণ করেছি, সবার সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। সকলেই (অন্য নির্বাচন কমিশনার) অভিন্ন ভাষায় বলেছে শপথের প্রতি অনুগত থেকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব।’

সিইসি আরও বলেন, ‘দলগুলোরও একটি দায়িত্ব রয়েছে। নির্বাচনে অনেক কর্মী থাকে। সামর্থের সঙ্গে প্রতিটি দলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যেমন পালিয়ে যাননি। তেমনি নির্বাচনটাও একটা যুদ্ধ। কাজেই মাঠ ছেড়ে আসলে হবে না। হয়তো কষ্ট হবে।’

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, কিছুটা ধস্তধস্তি হয়, আমরা এগুলোর জন্য চেষ্টা করব। আমাদের সামর্থ দক্ষতা শক্তি যতটুকু আছে ততটুকু দিয়ে আইনের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ প্রয়াস নিয়ে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। আমরা সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করব, যাতে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে; সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জটা আমরা নিতে চাইব।’

তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘ধরুন আমি যদি একটা দলের পক্ষে নির্বাচন করি আমার ভাইরে বিপক্ষে আমি তার শক্তি দেখে জাহাজে চট্টগ্রামে চলে গেলাম তাহলে কিন্তু নির্বাচনটা হবে না। কর্মীদের বলতে হবে তোমারা শেষ পর্যন্ত থাক। সেফ গার্ড হিসেবে থাকতে হবে, আর যদি না থাকে তাহলে অবাধে ভোট দিতে থাকবে। আমরা সেটা চাই না। আমরা চাচ্ছি দান্দিক অর্থাৎ প্রতিবন্ধিতা হবে। যদি সকলেই মাঠ ছেড়ে দেয় নির্বাচন কমিশন অতটা দায় বহন করতে পারে না। যা যা আমাদের করতে হবে আমরা করব।’

সিইসি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সকলে যদি সমভাবে এগিয়ে না আসে এবং রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য তাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে করণীয়টা না করেন তাহলে তারা তো নিজেরা নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না; আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করবেন আমি সবিনয়ে বলব আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আপনাদেরও যদি কোন দুর্বলতা থাকে সেটা স্বীকার করবেন।’

লেবেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির বিষয়ে বলেন, নির্বাচনের মাঠ উত্তপ্ত। লেবেল প্লেইং ফিল্ড এককভাবে নির্বাচন কমিশন করতে পারে না। আমাদের কনসালন্টিং এজেন্সি আছে সবাই চেষ্টা করবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক সমঝোতা যদি না হয়, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি সবাই মিলে কেউ কারো সঙ্গে কথা বলব না আমরা মাঠে যুদ্ধ করব তাহলে তো হবে না।

তিনি বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে দূরত্ব কমে আসবে। আমরা যদি মুখ ফিরিয়ে রাখি তাহলে কিন্তু দূরত্ব বাড়তে থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত দরকার। দলগুলোকেও কাউকে না কাউকে অহংকার পরিত্যাগ করে মিলেমিশে আলোচনা করতে হবে। আমরা কতটা পরস্পরের পক্ষে সহযোগিতামূলক আচারণ করব। আমাদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, আস্থা রাখতে হবে। আমরা সকলকে নির্বাচনমুখী করতে চাই। সেই ব্যাপারে আমাদের তরফ থেকে চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকবে না।’

দেশের মানুষের নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা নেই, আস্থা ফিরিয়ে আনতে আপনারা কোনো ভূমিকা রাখবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা পরিবর্তনশীল। আস্থা অনাস্থা হয়, আস্থা সৃষ্টি হয়। যদি কোন কারণে আস্থা নষ্ট হয়ে থাকে আমি সঠিকভাবে সেটা জানি না; আপনারা জানেন। যদি আস্থা নষ্ট হয়ে থাকে আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি না। কতটা অনাস্থা হয়েছে বা হয়েছে কি না সেটার প্রশ্নে না গিয়ে আমাদেরকে আপনাদের পর্যবেক্ষণে রাখেন, দেখার চেষ্টা করেন। আমরা গোপনে কোথাও কোন রকম সামান্যতম ত্রুটি যদি পান অভিযোগ করেন। তবে আমরা আস্থা ফেরানো চেষ্টা করব। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব, চেষ্টার করার ঘাটতি থাকবে না।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পাওয়ার পর শপথ নেন ২৭ ফেব্রুয়ারি। সোমবার তারা প্রথম কাজে যোগ দিয়েই বেলা ১১ টায় পরিচিতি সভা করেন। এরপর আসেন সংবাদ সম্মেলনে। নতুন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি।

এসএম/এসএ/

Header Ad

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশিদের জন্য ভিসা ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করেছে সৌদি আরব। এখন থেকে যেকোনো ধরনের ভিসায় সৌদি আরব গেলেই বিদেশিরা ওমরাহ পালনের অনুমতি পাবেন।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যেকোনো দেশ থেকে এবং যেকোনো ভিসায় সৌদি আরবে আগতরা এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম ও ই-ভিসাসহ সব ভিসাধারী ব্যক্তিরা এ সুযোগ পাবেন। এছাড়া ওমরাহ পালনের অনুমতি ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ের জন্য ‘নুসুক’ অ্যাপ ব্যবহার করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের ইবাদত সহজ করতে ‘ডিজিটাল ব্যাগ’ চালু করেছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, এই ব্যাগ প্রোগ্রাম হজ ও ওমরাহযাত্রীদের জীবনমান সহজ করবে। তাদের হজ ও ওমরাহ পালন সহজ করবে। মুসল্লিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে এর মাধ্যমে। বিশেষ করে কখন তারা কোন বিধান পালন করবে, সে বিষয়ে সতর্ক করা হবে।

নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

নিহত জাওহার আমিন লাদেন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জাওহার আমিন লাদেন (১৮) নামে আরও এক কলেজছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন প্রাণ হারালেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ এ চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়

নিহত জাওহার বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে।

জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে যায় তিন ভাই। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে বের হন তারা। পথে বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজনই গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামাতো ভাই আকিব হাসান (১৫) ও খায়রুল বাশার ছাগির (১৭) মারা যায়। বুধবার রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক ভাই জাওহারের মৃত্যু হয়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার ধামানিয়াপাড়া গ্রামে মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিন মামাতো-ফুফাতো ভাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনই মারা গেছেন।

জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপরই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রটি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কয়েকশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ঢাবি শিক্ষার্থী ও তিনজন পরীক্ষার্থী।

ডিবি জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বসে এ পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতেন তারা। পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হতো উত্তরপত্র।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাবি শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন (২৬) ও সুজন চন্দ্র রায় (২৫) এবং পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০) ও লাভলী মণ্ডল (৩০)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ডিবিপ্রধান বলেন, গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ জেলার সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এ পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

এ ঘটনায় দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা করে সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি জানান, কীভাবে এবং কখন তার মোবাইলে উত্তরপত্র এসেছে। মাদারীপুরে গ্রেপ্তার হওয়া পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই জামিনে বের হয়ে যান। ঘটনাটি তদন্তের জন্য মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলমের অনুরোধে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগ তদন্তে নামে।

মাঠে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্রকে। তারা দুজনেই ঢাবির জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

তারা গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, পরীক্ষার আগেই তারা প্রশ্ন সমাধানের জন্য পেয়েছেন। এ প্রশ্ন সমাধানের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতির্ময় গাইনের চাচা অসিম গাইনের মাধ্যমে।

প্রশ্ন প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তাদের দিয়ে প্রশ্ন সমাধান করান অসিম। এ প্রস্তাবে জ্যোতির্ময় ও সুজনসহ সাতজন ঢাবির জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুরতা ভবনের ২২৪ রুমে বসে তারা প্রশ্নের সমাধান করে পাঠান। অসিম তার ভাতিজা জ্যোতির্ময় গাইনকে প্রশ্ন সামাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, তিনি পরীক্ষার দুই থেকে তিন মাস আগেই পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিশেষ করে যাদের চাকরির বয়স শেষের পথে, এমন পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করতেন। তাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি করতেন।

পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই প্রশ্নের উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন অসিম গাইন। তাদের সমাধান করে দেওয়া প্রশ্নের মধ্যে ৭২ থেকে ৭৫টিই মিলেছে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমাদের তদন্তে এখন পর্যন্ত যে প্রমাণ পেয়েছি, তাতে এ চক্রের হোতা অসিম গাইন। তার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। তিনি আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। তিনি অল্পদিনে কয়েকশ’ কোটি টাকা আয় করেছেন। এ টাকা দিয়ে তার গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকা অসিমের মানবপাচার, হুন্ডি ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা রয়েছে। যেখানে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করে আয় করা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তাকে গ্রেপ্তার করলে কীভাবে প্রশ্নগুলো পান, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারব।

এ ঘটনায় দুজনকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। যারা প্রশ্নের সমাধান করেছেন, আদালতে তারাও স্বীকার করেছেন। যারা প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, তারাও স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ জানানো হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমরা এ মামলার তদন্তে নেমে যা যা পেয়েছি সবকিছুই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরীক্ষা বাতিল করবেন না-কি বহাল রাখবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়