সারাদেশ

ঈদে দাওয়াতে না যাওয়ায় জামাইকে বেধড়ক মারধর, শ্বশুরবাড়ির হামলায় আহত মা ও ভগ্নিপতি


সারাদেশ ডেস্ক
প্রকাশ :১২ জুন ২০২৫, ১০:০৬ এএম

ঈদে দাওয়াতে না যাওয়ায় জামাইকে বেধড়ক মারধর, শ্বশুরবাড়ির হামলায় আহত মা ও ভগ্নিপতি
ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ঈদের দাওয়াতে না যাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এক জামাইকে বেধড়ক মারধর করেছে। হামলার সময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন ভুক্তভোগীর মা ও ভগ্নিপতিও। ঈদের মতো পবিত্র উৎসবের পর এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১১ জুন) জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কাঠারবিল গ্রামে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ কাঠারবিল গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে সাকোয়াত হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ের বিয়ে হয় প্রায় তিন বছর আগে। তাদের সংসারে একটি সন্তানও রয়েছে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল এই দম্পতির মধ্যে।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জামাই সাকোয়াতকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তার বাড়িতে আসেন। কিন্তু পুরনো মনোমালিন্যের কারণে তিনি দাওয়াতে যাওয়ার আগ্রহ দেখাননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঈদের দুই দিন পর শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন সদস্য তার বাড়িতে গিয়ে দাওয়াতে না যাওয়ার কারণ জানতে চান। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সাকোয়াতের ওপর হামলে পড়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন।

পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে এগিয়ে এলে সাকোয়াতের ভগ্নিপতিকে মারধর করা হয় এবং তার মা বাধা দিতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। এ ছাড়া হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

আহত সাকোয়াত বলেন, "আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অনেক আগ থেকেই আমাকে অবহেলা করে। এ কারণে আমি এবার দাওয়াতে যাইনি। কিন্তু তারা আমার বাড়িতে এসে যে আচরণ করেছে, তা অমানবিক।"

এ ঘটনার বিষয়ে হাতিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, "এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পারিবারিক বিরোধ থাকলেও এভাবে হিংসাত্মক রূপ নেওয়া অনভিপ্রেত। আমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।"

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধকে পদদলিত করে এমন সহিংস আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।