রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩০ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সোনালি হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের আমবাগানগুলো

পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার পংক্তিগুলো বাস্তব রূপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। রাস্তার ধারে, বাড়ির আঙিনায়, মাঠ ঘাটে ও আনাচে কানাচে গাছের ডালে থোকায় থোকায় সাদা হলুদ ও সোনালি বর্ণে শোভা পেয়েছে আমের মুকুল। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে যেন মাতোয়ারা চারপাশ। এসব মুকুলে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ-মাছিরা। গাছে গাছে মুকুলের মনমাতানো এমন মুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ঠাকুরগাঁও জেলার আমবাগানগুলোতে ব্যাপক মুকুল আসায় গতবারের তুলানায় এবার বেশি আম হতে পারে। গত বছর আমের মৌসুমে শীলাবৃষ্টির কবলে পড়ে আমের ক্ষতি হলেও এবার আবহাওয়া ভালো থাকলে ব্যাপক আম উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন বাগান মালিকরা।

জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, আম্রপালি, সূর্যপূরী, বান্দিগড়সহ বিদেশি কিং চাকাপাত, নাম দোকমাই, চিয়াংমাই, আলফান শো, রেডপার্লমারসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছের মুকুল ও ফল ধরে রাখতে এবং গাছের পরিচর্যা ও পোকা দমনে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক স্প্রে করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আম চাষি ও বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জানান মো. সিরাজুল ইসলাম, পাচঁ উপজেলায় মোট ১ হাজার ৮৪৪টি আম বাগানে মুকুল ধরেছে। যার আয়তন প্রায় ৩ হাজার ২৩৬ হেক্টর। এ ছাড়াও বসত বাড়িসহ মোট ৫ হাজার ৮২ হেক্টর জমির আম গাছে মুকুল হয়েছে। এসব গাছ থেকে এবার জেলায় মোট ৪৯ হাজার ১৮৫ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার থেকেও বেশি আম উৎপাদন হতে পারে।

গতবার আবহাওয়ার কারণে আম চাষে কিছুটা ক্ষতি হলেও এবার গাছে ব্যাপক মুকুল আসায় খুশি বাগান মালিকরা। ঝড়বৃষ্টি না হলে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা তাদের। এ ছাড়াও সরকারিভাবে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরও বেশি লাভবান হবেন বলে জানান আম চাষিরা।

পীরগঞ্জ উপজেলার আম চাষি আহসান হাবিব (ডিপজল) ২০ একর জমিতে আম্রপালি, সূর্যপূরী, বান্দিগড়িসহ বিদেশি কিং চাকাপাত, নাম দোকমাই, চিয়াংমাই, আলফান শো, রেডপালমারসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছের বাগান করেছেন। তার বাগানে প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ জন শ্রমিক কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘গত বছর তিন দফায় শীলাবৃষ্টি হওয়ায় আমার আম বাগানে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। গত বছরের থেকেও এবার গাছগুলোতে ভালো ও বেশি মুকুল এসেছে। আশা করি তেমন ঝড়বৃষ্টি না হলে ভালো আম হবে ও আগের বার যা ক্ষতি হয়েছিল তা পুষিয়ে নিতে পারব।

রুবেল রানা নামে আরেক বাগান মালিক বলেন, আমাদের এদিকে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় চাষিরা আম উৎপাদন করে তেমন লাভবান হতে পারি না। সরকার যদি আমাদের এসব উৎপাদিত আম বিদেশে রপ্তানি ও এলাকায় আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে আমরা আরও লাভবান হতে পারতাম এবং আম চাষে কৃষকরা আরও বেশি আগ্রহী হতো। একইভাবে জেলায় সরকারিভাবে আম রপ্তানি ও সংরক্ষণের জন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার দাবির কথা জানান আম চাষি আজিজ, খলিল ও রবিউল ইসলাম।

এবারে জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে গাছে সেচ, আমের মুকুল ও গুটি ঝরা রোধে কীটনাশক স্প্রেসহ আমের ফলন সম্প্রসারণে সব ধরনের পরামর্শ আমরা আম চাষিদের দিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়াও রপ্তানি যোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতার মাধ্যমে জেলায় আম সংরক্ষণের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কথা বিভিন্ন মিটিং ও সেমিনারে আমাদের ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি।

এসএন

Header Ad

ক্রিকেটারদের বোনাসের অংশ যাচ্ছে দেশের বন্যা দুর্গতদের সহায়তায়

ছবি: সংগৃহীত

এবার পাকিস্তান সফরে অভাবনীয় সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে বোনাস হাতে পেল বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতে সব মিলিয়ে তিন কোটি টাকারও বেশি পেয়েছে টিম টাইগার্স। সেখান থেকে একটা অংশ যাচ্ছে বন্যা দুর্গতদের সহায়তায়।

আজ শনিবার বিকেলে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের উৎসাহ যোগানোর একটা অংশ বোনাস। ক্রীড়া উপদেষ্টা এখানে এসেছেন। খেলোয়াড়রা যেন উজ্জীবিত হয়ে পরের সিরিজটা খেলতে পারে। সেজন্য আমাদের একত্রিত হওয়া। পাকিস্তানে দুটি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে। তারপর সিরিজ জয় আছে। আলাদা আলাদা বোনাসের ব্যবস্থা আছে। যার একটা অংশ যাবে বন্যা দুর্গতদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রান তহবিলে।’

বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি পেসারদের দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন ফারুক আহমেদ, ‘একটা দুইটা জেতার চেয়ে পারফরাম্যান্স এমন একটা স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে যাওয়া যেনো মাঝেমধ্যেই টেস্টে জিতি আমরা, এ লক্ষ্যেই কাজ করছি। ওয়ানডে দলটা যেমন করছে টেস্টে আমাদের লক্ষ সেদিকে যাওয়া। ‘সবচেয়ে চোখে পড়েছে পেস বোলিংয়ে উন্নতি। এমন পেস বোলিং আমার জীবনে দেখিনি। তাদের উচ্চতা অনেক ভালো কুইক বোলিংয়ের জন্য।’

বিতর্কিত প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য পলাতক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে গিয়ে বিতর্কিত ভূমিকায় ছিলেন পুলিশের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা। আন্দোলনকারীদের হয়রানি, সমন্বয়কদের হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনসহ নির্বিচারে গুলি করে শতশত ছাত্র-জনতা হত্যার নির্দেশদাতা বিতর্কিত এসব কর্মকর্তা এখন লাপাত্তা। খোঁজ নেয় প্রায় আটশ পুলিশ সদস্যের। তাদের অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। খোদ পুলিশের মধ্যেই আছে নানা আলোচনা।

কেউ বলছেন, তারা একটি বিশেষ বাহিনীর হেফাজতে আছেন। কারও দাবি, তারা প্রশাসনের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন।

পলাতক এসব কর্মকর্তার মধ্যে আছেন সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, ঢাকা জেলার সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রকৃত পক্ষে তারা কোথায় আছেন, কেন আইনের আওতায় আসছেন না, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এসব কর্মকর্তাসহ পুলিশের শীর্ষ অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি অপারেশনস মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘যাদের খুঁজে পাচ্ছি, তাদের গ্রেপ্তার করছি বা তাদের হেফাজতে নিচ্ছি। বাকিদের (পলাতকদের) অবস্থানের বিষয়ে জানলে তো ধরে ফেলতাম।’

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য শীর্ষ কর্তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যাওয়া বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় আট শ পুলিশ সদস্য এখনো কাজে যোগদান করেননি। কয়েক দফায় তাদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো হদিস নেই এসব সদস্যের। তারা কোথায় আছেন, সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুলিশে একচ্ছত্র প্রভাব ছিল সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলামের। বিসিএস ১৫তম ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসুদপুরে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ায় পুলিশে অঘোষিত ডন ছিলেন তিনি। তার কথার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না তৎকালীন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অভিযোগ আছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে পুলিশে কট্টর আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের (কথিত পুলিশ লীগ) নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক ও দিকনির্দেশনা দিতেন মনিরুল ইসলাম। ৫ আগস্ট বিকালে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে শীর্ষ যে কর্মকর্তাদের হেলিকপ্টারে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়, সেখানে ছিলেন মনিরুল ইসলামও। পরবর্তী সময়ে চাকরিচ্যুত হন তিনি। মনিরুলের বিরুদ্ধে অন্তত ২০টি হত্যা মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এখনো তাকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুঞ্জন রয়েছে, তিনি একটি বাহিনীর নজরদারিতেই আছেন। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে, তিনি দেশ ছেড়েছেন। তবে ঘটনার মাস পেরোলেও তার প্রকৃত অবস্থান জানা যায়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ। বিসিএস ২০তম ব্যাচের কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের বাসিন্দা হারুন নিজেকে সাবেক রাষ্ট্রপতির নাতি পরিচয় দিতেন। হারুনের ভাতের হোটেল দেশব্যাপী বহুল সমালোচিত। এ কর্মকর্তা আন্দোলন দমাতে সমন্বয়কদের হেফাজতে নেওয়া, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-নির্যাতনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।

সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়াল টপকে বের হয়ে লাপাত্তা হন তিনি। তার অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা গুঞ্জন রটেছে। তিনি হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বাহিনীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন-এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। আবার তিনি সীমান্ত পারি দিয়ে দেশ ছেড়েছে-এমন তথ্যও ফেসবুকে ছড়িয়েছে। তার বিরুদ্ধে অন্তত ৫০টি হত্যা মামলা হয়েছে। কিন্তু তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ঢাকা মহানগরে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তৎকালীন কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশেই ডিএমপির আটটি বিভাগের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছেন। বিসিএস ১৭ ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরে। ৫ আগস্ট বিকালে তিনিও একটি বাহিনীর হেলিকপ্টারে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নিরাপদ স্থানে যান। এরপর থেকে তারও কোনো হদিস নেই।

এরই মধ্যে অর্ধশত হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন তিনি। কিন্তু তাকে এখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ডিএমপির যুগ্মকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারও ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে কঠোর অবস্থান নেন। ২১ ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরে। তিনি ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে তিনি মাঠ পুলিশকে ব্যাপক চাপ দেন বলে অভিযোগ আছে।

পুলিশের এ কর্মকর্তাও ৫ আগস্টের পর থেকে লাপাত্তা। তবে তিনি এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৫টি হত্যা মামলা হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

সাবেক সিটিটিসি প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান জঙ্গি দমনে আলোচিত কর্মকর্তা। বিসিএস ১৮ ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনিতে। আওয়ামী লীগের শেষদিকে জামায়াতের অনেক নেতাকর্মীকে আটক করে জঙ্গি বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে সিটিটিসির একাধিক দল অভিযান চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অন্তত ৫টি হত্যা মামলা রয়েছে। তবে তিনি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমন বিতর্কিত অন্তত ২৫ কর্মকর্তা এখনো লাপাত্তা।

ডিএমপির ২৭ সদস্য পলাতক: আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এখন পর্যন্ত ডিএমপির ২৭ সদস্য পলাতক। তাদের মধ্যে আটজন এএসপি থেকে ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে আছেন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ; যুগ্মকমিশনার বিপ্লব সরকার, মেহেদী হাসান, খন্দকার নুরুন্নবী ও সঞ্জিত কুমার রায়সহ দুই সহকারী কমিশনার ও এক অতিরিক্ত উপকমিশনার। অন্যরা কনস্টেবল থেকে ইনস্পেকটর পর্যন্ত। ডিএমপির পলাতক এসব কর্মকর্তার তালিকা হয়েছে সপ্তাহখানেক আগেই। তবে তাদের বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে কোনো উদ্যোগ নেই ডিএমপির। সূত্র : যুগান্তর

নিজেদের ভুল বুঝতে পারলে সুযোগ আ.লীগ পেতে পারে: মঈন খান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংস্কারে যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে। পাশাপাশি অন্তর থেকে নিজেদের ভুল বুঝতে পারলে এই সুযোগ পেতে পারে সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ।

শনিবার বিকালে নরসিংদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগিরথপুর ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত চারজনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও আহত-নিহতদের জন্য দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীনতা অর্জনকারীরা বর্তমান সরকারকে দায়িত্বে নিয়োজিত করেছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এরফান আলী, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মনির, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহেন শাহ শানুসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়।পাশাপাশি নিহত আরিফুল ইসলাম রাব্বী, আব্দুর রহমান, আরমান মোল্লা এবং নাহিদের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার অর্থ তুলে দেওয়া হয়।

মঈন খান বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার ১৫ বছর ধরে স্বাধীনতার ওপর নির্যাতনের পাশাপাশি মানুষের মুখের ভাষা এবং ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, দেশের মানুষ সেটি ফিরিয়ে এনেছে।’

সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লে­খ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু সময়ই সরকারের নেওয়া উচিত।

সর্বশেষ সংবাদ

ক্রিকেটারদের বোনাসের অংশ যাচ্ছে দেশের বন্যা দুর্গতদের সহায়তায়
বিতর্কিত প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য পলাতক
নিজেদের ভুল বুঝতে পারলে সুযোগ আ.লীগ পেতে পারে: মঈন খান
কুয়াকাটায় হোটেলে ঝুলছিল তরুণীর মরদেহ, পালানোর সময় স্বামীসহ আটক ২
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি ৪ দিনের রিমান্ডে
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ৫ মরদেহ উদ্ধার
হাসিনার দোসরদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে: নিজামীপুত্র মোমেন
বাড়ির ভেতরে বাছুরের সঙ্গে আনন্দে মেতেছেন নরেন্দ্র মোদি
এই আঁধার কেটে যাবে খুব শিগগিরই: নানক
গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতা নিহত
পলকের জন্য ৯ বছরের প্রেম ও বাগদান ভাঙেন নুসরাত ফারিয়া...!
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যাহার ভারতের
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ: গভর্নর
বৌভাতের দিন অতিথিদের জন্য দই কিনে বাড়ি ফেরা হলো না বরের
শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি: মামুনুল হক
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলের বিছানাজুড়ে টাকার বান্ডিল!
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে দুই ম্যুরালেই ব্যয় ১১৭ কোটি টাকা!
‌পরিস্থিতির কারণে নাহিদের বোন পরিচয় দিয়েছিলাম, সেই ফাতিমার স্বীকারোক্তি
সরকারি অর্থের অপচয় কমাতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে জ্যোতি গ্রেপ্তার