শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ | ১৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

নওগাঁয় সবজি বদলে জিরা চাষে কৃষক পেয়েছে বিকল্প পথ!

মসলাজাতীয় ফসল জিরা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

একসময় গ্রামের মাঠজুড়ে দেখা যেত সবজি ক্ষেত। এখন সেই মাঠে চোখে পড়ে মসলাজাতীয় ফসলের ক্ষেত। এই ফসলের চাষেই চমক দেখিয়েছেন নওগাঁর রানীনগর উপজেলার শিয়ালা গ্রামের কৃষক জহরুল ইসলাম।

জিরা মসলাজাতীয় ফসল। দেশে জিরার চাহিদার পুরোটায় আমদানি নির্ভর। আর সেই মূল্যেবান জিরা চাষ শুরু করেছেন কৃষক জহরুল ইসলাম। এই গ্রামের তার এই পরীক্ষামূলক জিরা চাষ দেখে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় অন্য কৃষকদেরও। এই অঞ্চলে মসলা ফসল জিরা চাষে কৃষক পাবে বিকল্প পথ! এমনটাই আশা।

প্রাচীনকাল থেকেই রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়াতে জিরা ব্যবহার করা হয়ে আসছে। জিরা শুধু মশলা নয়, বহু রকমের বিশেষ ঔষধি গুণ সম্পন্ন। এটি শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় তা নয়, শরীরের নানা সমস্যা সমাধানে জিরার জুড়িমেলা ভার।

জানা যায়- কৃষক জহুরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় দেশী-বিদেশী সবজি চাষ করে থাকেন। বাজারে জিরার দাম বেশি হওযায় তিনি জিরা চাষে উদ্বুদ্ধ হন। এরপর অনলাইনে এর চাষাবাদ প্রদ্ধতি দেখতে শুরু করেন। অনেক চেষ্টা করে অনলাইনে মাধ্যমে ভারত থেকে প্রায় ১ হাজার টাকা খরচ করে ৫০০ গ্রাম জিরা বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৯ শতক জমিতে এই জিরা বীজ রোপণ করেন। বর্তমানে জহুরুলের জিরা গাছে ফুল ও জিরা আসতে শুরু করেছে। তিনি পরীক্ষামূলক জিরা চাষে অনেকটা সফল হওয়ায় স্থানীয় কৃষদের মধ্যেও জিরা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

কৃষক জহুরুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, প্রথমে বীজ সংগ্রহের পর পানিতে ৩০টি জিরা বীজ ভিজে টিস্যুর মধ্যে রেখে পরীক্ষা করি, কি পরিমান গাছ গজাবে। পরে ৩০টির মধ্যে ২৫টি গাছ উঠে গেছে। তখন ৯ শতক জমি হালচাষ ও সার ছিটিয়ে বীজ রোপন করি। বীজ রোপনের ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে জিরা গাছ উঠতে শুরু করে। পরে বৃষ্টির কারনে কিছু গাছ নষ্ট হয়ে যায়। বাকি গাছগুলো ভালো করে যত্ন নেয়া শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, যেভাবে সরিষার চাষ করা হয় একই রকমভাবে জিরা চাষ করেছি। এরইমধ্যে গাছে ফুল ও জিরা ধরতে শুরু করেছে। গাছে যতগুলো ফুল; ততগুলোই জিরা ধরছে। হিসেব করে দেখছি যেভাবে জিরা ধরছে তাতে ৯ শতক জমি থেকে ২০ থেকে ২২ কেজি জিরা পাওয়া যাবে। বাজারে জিরার দাম ভালো থাকায় যার বাজার মূল্যে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তাতে জিরা চাষ একটি লাভজনক ফসল মনে হয়েছে। তবে জিরা চাষ শীতকালে ভালো হয়। বীজ বপণের ৩ থেকে সাড়ে তিন মাস সময় লাগে জিরা ঘরে উঠতে। এবছর পরীক্ষামূলকভাবে জিরা চাষ সফল দাবি করে আগামীতে আরও বড় পরিসরে জিরা চাষাবাদের পরিকল্পনা করছেন বলে জানান তিনি।

স্থানীয় তানজিব হোসাইন নামে এ যুবক ঢাকাপ্রকাশকে জানান, জহরুল ভাই নতুন ফসল জিরা চাষ করেছেন। জিরা চাষ ইতিপূর্বে আমরা কখনো দেখিনি। প্রথম হলেও খুব সুন্দর তার জিরার গাছ হয়েছে। বাজারে জিরার দাম ভালো রয়েছে। চিন্তা করছি তার দেখাদেখি আমরাও জিরা চাষ করবো এবং জিরা চাষ করে লাভবান হওযার সম্ভাবনা আছে।

স্থানীয় আরেক কৃষক মোফাজ্জল হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আমাদের এই এলাকায় জিরা চাষ প্রথম হিসেবে মোটামুটি গাছ ভালোই হয়েছে জহুরুলের। শুনলাম তার এই জমিতে ২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আর পাবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা মতো। কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা করলে আমরাও জিরা চাষ করবো।

এ বিষয়ে রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, জহুরুল ইসলাম উদ্যোগী একজন কৃষক। তিনি নতুন ফসল হিসেবে জিরা পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন। তার জিরা চাষ কৃষি বিভাগ সার্বক্ষনিক নজরে রেখেছে। আমরা শেষ পর্যন্ত এটার ফলন কেমন হয় সেটা দেখবো। তিনি জিরা চাষে সফল হলে উঠান বৈঠক, সভা, সেমিনার করে অন্য কৃষকদের জিরা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশে যে পরিমাণ জিরার চাহিদা তার পুরোটাই আমদানি করতে হয়। জিরা মসলা এখনও বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর। তাই এই জিরা চাষে সফল হলে কৃষিতে বানিজ্যকরন ও জিরা উৎপাদন করে আমদানির পরিমাণ কমানো সম্ভব বলে মনে করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

Header Ad
Header Ad

ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পের কারণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। এর উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের পাশের দেশ মিয়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর–উত্তরপশ্চিমে।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন

ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নতুনভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠিত হয়েছে, যা ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। এই তথ্য দিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মীর স্নিগ্ধ জানান, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থান নিয়ে একটি অধিদপ্তর করা হয়েছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি সেই অধিদপ্তরের নাম ‘জুলাই অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’। সেই অধিদপ্তরটি ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। এ অধিদপ্তরের কাজ হলো সরকারিভাবে জুলাই এবং আগস্ট যারা শহীদ হয়েছে এবং আহত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনসহ পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করা।

সিগ্ধ আরও জানান, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হয় সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে। আজকে পর্যন্ত ৭৪৫ জন শহীদ পরিবারকে ৩৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা সহায়তা করতে পেরেছি। গেজেটভুক্ত শহীদ পরিবারের মধ্যে ৮৭.১৩ শতাংশ পরিবারের কাছে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি। আহতদের মধ্যে ৫ হাজার ৫৯৬ জনকে ৫৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা সহায়তা করতে পেরেছি। তালিকাভুক্ত মোট আহতের ৩৮.৩৯ শতাংশের কাছে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৬ হাজার ৩৪১ জনকে ৯৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

‘ইদ’ থেকে ‘ঈদ’ বানানে ফিরছে বাংলা একাডেমি: আসিফ মাহমুদ

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় আট বছর আগে ‘ঈদ’ থেকে ‘ইদ’ বানান নির্ধারণ করেছিল বাংলা একাডেমি। এবার শব্দটির সেই আগের বানানেই ফিরছে দেশের ভাষানিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টার পোস্টে লেখা হয়েছে, বাংলা ভাষার শুদ্ধতা ও ঐতিহ্য রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলা একাডেমি–‘ইদ’ থেকে ‘ঈদ’ বানানে ফেরার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।

বাংলা একাডেমি ফেসবুক পেজে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখা একটি কার্ডেও ‘ইদ’ ব্যবহার করা হয়েছে। একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম এতে সই করেছেন।

ড. মোহাম্মদ আজম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ঈদ’ বানানের মতো বিতর্কিত কিছু শব্দের পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে বাংলা একাডেমি। কমিটির সুপারিশে বাংলা একাডেমির অভিধানে নতুন সংস্করণে এই পরিবর্তন আনা হবে।

২০১৭ সালের দিকে বাংলা একাডেমি ‘ঈদ’ শব্দের বানান ‘ইদ’ লেখার প্রস্তাব করলে তখন ব্যাপক সমালোচনা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন
‘ইদ’ থেকে ‘ঈদ’ বানানে ফিরছে বাংলা একাডেমি: আসিফ মাহমুদ
গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, নিহত ২
কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ৪ ভারতীয় পুলিশ সদস্য নিহত
সফল বৈঠক, ড. ইউনূসকে দৃঢ় সমর্থন চীনা প্রেসিডেন্টের
আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা: রমজানের শেষ জুমার তাৎপর্য
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার যানবাহন পারাপার, কমছে টোল আদায়ের হার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ঝরল আরও ৪০ প্রাণ, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
সন্‌জীদা খাতুনের শেষ ইচ্ছা: চিকিৎসা গবেষণার জন্য দেহ দান
গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকিরুল গ্রেফতার
কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরি হারানোর অভিযোগ এক নারী পোশাককর্মীর
লাইলাতুল কদরের সন্ধানে ইবাদতে মশগুল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা
৫ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
চুয়াডাঙ্গায় যুবকের কোমরে মিলল ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার স্বর্ণ
জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে: বিষ্ণোইয়ের হুমকি প্রসঙ্গে সালমান খান
গুলশানে কয়েদির বেশে দেখা মিলল আফরান নিশোর
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এখন থেকে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ এভিনিউ’